{}{} একামতে দ্বীনের জন্য জরুরী চারটি কাজ৷ {}{}
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:০৭:৪৮ রাত
(মূল বক্তব্যে মরহুম জনাব ডাঃ ইসরার আহমাদ)
নাহমাদুহু অ নুসাল্লে আলা রাসুলিহীল কারিম,
পবিত্র কোরআনে ক্ষুদ্রতম সুরা গুলির মধ্যে সুরা ‘আল আসর’ অন্যতম৷ সুরাটি ছোট কিন্তু এর গভীরতা ব্যাপক৷ ইমাম শাফী রঃ এর মতে মানুষের হেদায়েতের জন্য মাত্র এই ছোট্ট সুরাটিই যথেষ্ট৷ ‘আল বক্বারা’ সব চাইতে বড় সুরা৷ এতে আয়াত আছে ২৮৬টি, ‘আলে ইমরান’ আয়াত সংখ্যা ২০০, ‘আন নিসা’ আয়াত সংখ্যা ১৭৬৷ এমন বড় বড় সুরাগুলিতেও এমন কিছু গুচ্ছ আয়াত আছে যার গুরুত্বও ব্যাপক৷ যেমন, ‘আয়াতুল কুরসী’, ‘আয়াতুল বির’, আাতুল আয়াত প্রভৃতি৷ সুরা আলে ইমরাণের এমনই এক গুচ্ছ আয়াত নীচে দেওয়া হল;-
১০২/يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
অর্থাৎ;-হে ইমানদারগন, আল্লাহকে যেমন ভয়করা উচিৎ তেমনই ভাবে ভয় করতে থাক, এবং অবশ্যই মুসলমান নাহয়ে মৃত্যু বরণ কোরনা।
১০৩/وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاء فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىَ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
অর্থাৎ;-আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়হস্তে ধারণ কর, পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা, আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ করো যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরষ্পর শত্রু ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। অতএব তারই অনুগ্রহে ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুণ্ডের কিনারায় অবস্থান করছিলে, অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদের মুক্তি দিয়েছেন। এ ভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শন সমুহ তোমাদের জন্য্য প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হও।
১০৪/وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
অর্থাৎ;-আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিৎ যারা সৎ কর্মের প্রতি আহবান জানাবে, ভাল কাজের নির্দেশ দেবে এবং অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখবে। আর তারাই হবে সফলকাম।
প্রথম আয়াতটিতে আল্লাহর তাকওয়া করতে বলা হয়েছে ততখানি যতখানি করা উচিৎ বা যা আল্লাহর প্রাপ্য৷ খেয়াল করুন এ আয়াত নাজিল হচ্ছে মদিনায় বিশেষ করে তাদের মাঝে যাঁরা মক্কায় কলিজার জোরে ইমানের ঘোষণা দিয়ে অত্যাচারের ষ্টীম রোলারে পিষ্ট হয়ে মদীনায় হিজরত করেছেন৷ যাদের শরীরের পরতে পরতে ইমান মিশে গিয়েছিল৷ তাদেরকেই এ তাকিদ৷
কোরআন শুধু আরবের জন্য আসেনি, এসেছে সমগ্র বিশ্ব বাসীর জন্য ও সকল যুগের উপযোগী করেই তা হেদায়েত হিসেবে এসেছে৷ তাহলে এ আয়াত আমাদের জন্য কি ভয়ঙ্কর বার্তা দিচ্ছে৷ কেননা যারা ছিলেন এর প্রথম গ্রাহক, তাদের অধিকাংশই ছিলেন পাক্কা ইমানদার৷ আর আমরা, আমাদের ইমান আছে বটে, তা আইনী, হাকিকী বা প্রকৃত নয়৷ আমরা মুসলীম ঘরে জন্মেছি৷ আল্লাহ, রসুল, কলেমা, কেয়ামত, আখেরাত, নামাজ রোজা সম্পর্কে আমাদের শেখানো হয়েছে আর তা আমরা বিশ্বাস করি৷ তাই ইমানের দাবী আমাদের যৌক্তিক৷ যদি কারও প্রকৃত ইমান থেকে থাকে এবং অবশ্যই আছে, তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান৷ আর বাকী আমাদের জন্য সুরা হুজরাতের সেই আয়াত, যেখানে ইমানের দাবীদার বেদুইনদের বলা হয়েছিল যে তারা মুসলীম হয়েছে মুমিন হয়নি৷ রসুল সঃ বলেছেন, ‘প্রকৃত মুমীন তিনিই যাকে দেখলে অন্যের ইমান বৃদ্ধি পায়৷’
আজ বিশ্বে দেড়কোটি মুসলীম, আন্তর্জাতীক কোন সিদ্ধান্তে কোন মুসলীম দেশ নেই৷ না জি-৩ তে না জি-১৩ তে৷ বরং সর্বত্রই মুসলীম অবহেলিত অপদস্থ লাঞ্ছিত হয়ে চলেছে৷
অথচ একই ‘সুরা আলে ইমরাণে’ আল্লা বলেন.-
১৩৯/وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
অর্থাৎ;-আর তোমরা নিরাশ হয়োনা, এবং দুঃখ কোরনা। যদি তোমরা মুমীন হও তবে তোমরাই জয়ী হবে।
মায়াজ আল্লাহ অবশ্যই কোরআন মিথ্যা বলেনি৷ তাহলে আমাদের লাঞ্ছনা গঞ্জনা অপমান অপবাদের জন্য আমরাই দায়ী৷ আমাদের মুমিনের লেবাস আছে ভিতরে ইমান নেই৷
আয়াতের শেষে বলা হয়েছে যে, তোমরা মুসলীম না হয়ে মৃত্যু বরণ করোনা৷ এখানে মুসলীম বলতে আল্লাহর উপর নিজেকে সর্বাত্মক সমর্পনকারী হওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ আল্লাহর রসুল বলেছেন যে, কারও ভিতর ইমান থাকবে আর সে চুরি করবে বা মদ খাবে কিংবা জেনা করবে এটা সম্ভব নয়৷ কার মৃত্যু কখন আসবে তার জানা নাই৷ শরিয়ত বিরুদ্ধ কাজে লিপ্ত অবস্থায় যদি কারও মৃত্যু আসে তবে সে বে-ইমান দুনিয়া ছাড়ল৷ আর এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে সর্বাবস্থায় ইমানী অবস্থায় থাকতে হলে তাকে আল্লাহর শরিয়তের উপর সর্বাবস্থায় নিজেকে বহাল রাখতে হবে৷ তবেই হবে মুসলীম অবস্থায় মওত৷
এখন ইমান কি ভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে আলোচনায় আসা যাক৷ হাদীশে আছে যে প্রকৃত মুমিনের সহবতে (সংষ্পর্শে) ইমান বৃদ্ধি হয়৷ যেমন, ফায়ার প্লেসের কাছে গেলে গরম অনুভূত হয় বা বরফের চাংএর কাছে গেলে ঠান্ডা৷ আর যদি ফায়ার প্লেসটি কৃত্রীম হয় তাহলে লক লকে আগুন দেখা গেলেও গরম পাওয়া যাবেনা৷ তেমনই কৃত্রীম ইমানদারও ইমান বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারেনা৷ এটি একটি উপায়৷ দ্বিতীয় উপায় বেশী বেশী আমল দ্বারা৷ বেশী আমলে যেমন ইমান সমৃদ্ধ হয়, তেমনই বেশী ইমানে আমলও বৃদ্ধি পায়৷ সাধারণ মানুষের ইমান বৃদ্ধির জন্য এ দুইটাই সহজ উপায়৷ কিন্তু যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, বুদ্ধিমান তাদের জ্ঞানের সাথে সাঞ্জস্য না হলে চলবে না, তাদের জন্য রয়েছে আল কোরআন৷ যত টুকু আরবী জানলে আয়াত পড়ে অনুবাদের দিকে তাকাতে হবেনা বা নম্বর খুঁজে পাশে ব্যাখ্যা তালাশ করতে গিয়ে আয়াত হারিয়ে যাবেনা ততটুকু আরবী শিখে কোরআন বুঝতে হবে৷ এ বিষয়ে আল্লামা ইকবাল বলেছেন, ‘তেরে জমীরপে জব তক নাহো নুজুলে কিতাব/গিরা কুশা হ্যায় না রাজী না সাহেবে কাশ্শাফ৷’ –যতক্ষন না কোরআন পাঠের সাথে তার ভাব বিষয় তোমার অন্তরে প্রবেশ করবে ততক্ষন ইমাম রাজীর তাফসীর বা তাফসীরে কাশ্শাফ কাজে আসবে না৷
সাহাবা গণ কোরআন পড়তেন বা শুনতেন আর নিজের অবস্থান কল্পনা করতেন ও আমলে বৃদ্ধি আনতেন৷ আলে ইমরাণের ১০২ আয়াতে সাহাবারা রসুল সঃ কে বললেন যে, মানুষের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহের কোন শেষ নেই যার, তার হক আদায় করা কেমন করে সম্ভব৷ জবাবে রসুল সঃ ‘সুরা তাগাবুনে’র ১৬ নং আয়াত শুনিয়ে দিলেন, যেখানে যথা সাধ্য তাকওয়া করতে বলা হয়েছে৷
‘সুরা বাক্বারায় বলা হয়েছে;-
৪৪/أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلاَ تَعْقِلُونَ
অর্থাৎ;-তোমরাকি মানুষকে সৎ কর্মের নির্দেশ দাও আর ভুলে যাও নিজেদেরকে, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর, তবুও কি তোমরা চিন্তা করনা?
তোমরা অন্যকে উপদেশ দাও অথচ নিজে পালন করনা৷ এতেকি তোমাদের চিন্তা হয়না যে তোমরা কি করছ৷ ‘বলা হয়েছে আপনি আচরী ধর্ম অপরে শেখাও’৷ নিজের চরিত্রকে শুধরাতে হবে নয়তো নসিহত কাজে আসবে না৷ রসুল সঃ নিজে পালন করেই তবে অন্যকে পালনের উপদেশ দিতেন৷ সমাজকে বদল করা পরের কথা আগে নিজের বদল কাম্য৷ সুদ ঘুস মদ জুয়া চুরি মিথ্যা কথন হারাম উপার্জন ত্যাগ করতে হবে৷ নিজে ও পরিবারের পর্দা হিজাবে অভ্যাস্থ হতে হবে৷ এ অবস্থায় উপনিত না হতে পারলে পরের আয়াত, ১০৩ অনেক দুরে রয়ে যাবে৷ মজবুত ইমারত তৈরী করতে প্রথমে মজবুত ইট প্রয়োজন৷ মজবুত ইট কাদার গাথুনী দিলে হবেনা, ভাল সিমেন্টও দরকার৷ সিমেন্ট ভাল ইট কাঁচা তাতেও ভাল ফল হবেনা৷ তাই একামতে দ্বীনের জন্য প্রয়োজন ইমানদার সৎচরিত্রবান নাগরিক৷ এর পর চাই একতার সিমেন্ট৷ যদি নিজেদের মধ্যে একতা না থাকে তবে শত্রু এ সুযোগ কাজে লাগাবে যেমন মীর জাফর সীরাজুদ্দৌলার বাদশাহী হারানোর জন্য দায়ী, আর সুযোগ নিয়েছিল ইংরেজ৷
আয়াত ১০৩ এ হাবলুল্লাহ বা আল্লাহর রশীর কথা বলা হয়েছে৷ আসুন দেখি আল্লাহর রশী কি?
রসুল সঃ বললেন, যে ভবিষ্যতে একটা বিরাট ফেতনার উদ্ভব হবে৷ তখন হজরত আলী রাঃ সরাসরি জানতে চাইলেন তাথেকে পরিত্রানের উপায় কি৷ হুজুর সঃ বললেন যে, তা হল আল্লাহর কিতাব৷ যাতে অতীতের কথা আছে আছে বর্তমানের আরও আছে ভবিষ্যতের সকল সমস্যার সমাধান৷ এটিই ‘সীরাতুল মুস্তাকীম’ ‘জিকরুল হাকীম’ ও ‘হাবলুল্লাহীল মতিন’৷আরও একটি হাদীশে পাওয়া যায়, রসুল সঃ একদিন তাঁর হুজরা থেকে বাইরে এসে মসজীদে নববীর এক কোনে কিছু লোককে কোরআন নিয়ে আলোচণা করতে দেখে কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন যে, তারাকি সাক্ষ্য দেয়না যে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই আর তিনি আল্লাহর রসুল আর কোরআন আল্লাহ নাজিল করেছেন৷ সকলে এক বাক্যে হাঁ বললেন৷ তখন তিনি তাদের উল্লাস করতে বলে বললেন যে, এই কোরআনের একপ্রান্ত আল্লাহর হাতে আর অন্য প্রান্ত তোমাদের হাতে৷
আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর রশী মজবুত করে ধর আর বিচ্ছিন্ন হয়োনা৷ এই কোরআনের মাধ্যমেই আল্লাহর রসুল এক দুর্ধর্ষ জাতিকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন৷ মদীনার আওস ও খাজরাজের চির শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রুপান্তরিত করেছিলেন৷ যারা ধ্বংসের প্রান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে ছিল৷ ১০৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে৷ আনসার ও মুহাজীরদের মাঝে ভ্রতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছেন৷ যার ফলে একজন আনসার তার বাসের ঘর, ব্যবসা ভাগ করে মুহাজীর ভাইকে পূণর্বাসন করেছেন৷ এমনও হয়েছে যে, এক আনসারের দুইজন স্ত্রীর মাঝে মুহাজের ভাইয়ের পছন্দের জনকে তালাক দিয়ে তার সংসার পাতার কথাও বলেছেন৷ এটিও ছিল সেই হাবলুল্লাহ নামক কোরআনেরই ফষল৷ এ উদাহরণ শুধুই সীরাতুন নবীতেই আছে, আর কোথাও নাই৷
সেই কোরআনের মাধ্যমেই হবে একতা৷ বলাহয় দশের লাঠি একের বোঝা৷ একটা লাঠি ভাঙতে পারলেও দশটি একত্রে ভাঙ্গা সহজ নয়৷ লাঠি জড় পদার্থ৷ তাকে একত্র করে বাণ্ডিল করা সোজা, কিন্তু মানুষ জড় পদার্থ নয় তাকে একত্র করা বড়ই কঠিন৷ মত পথ, মন মানসীকতা এক না হলে মানুষের মাঝে একতা হয়না৷ রসুল সঃ ইমান ও কোরআনের মাধ্যমে তা সফল করে দেখিয়ে গেছেন৷্র্র্র্র
দুঃখের বিষয় আজ মুসলীম জাতি জাতিয়তাবাদে শতধা বিচ্ছিন্ন হয়েছে৷ কোরআনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ এক অঞ্চলের মুসলীমের জন্য অন্য অঞ্চলের মুসলীমের অন্তর ব্যাথিত হয়না৷ অথচ ১৯৪৬ ইং সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য সারা ভারত বর্ষের মুসলীম, শীয়া সুন্নী, হানাফী,শাফী, ইত্যকার বিভেদ ভুলে এক মুসলীমলীগের পতাকা তলে জড়ো হয়েছিল৷ হায়দ্রাবাদের, উত্তর প্রদেশের মুলীমরা জানত যে তাদের এলাকা কোনদিন পাকিস্তান হবে না তবুও তারা পক্ষে ভোট দিয়েছিল৷ কিন্তু পাকিস্তানী মুসলীম জনগন ওয়াদা ভঙ্গ করে তাদের আশাহত করেছে৷
চলবে-------
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ ।
আর একতা হবে কিসের ভিত্তিতে? প্রত্যেকেই নিজের উদ্ভাবিত তন্ত্র-মন্ত্রে সন্তুষ্ট। তাই তারা নিজ নিজ দলের একতা নিয়ে ব্যস্ত ভিন্নদের দুরে সরাতেই বেশি পটু। প্রত্যেক দলই ইসলামের ভ্রাতৃত্বের কথা বলেন তবে শর্ত হল, সেই ভ্রাতৃত্ব তারা গড়তে চান নিজের দলের কর্মপন্হা ও নিজ দলের আন্ডারে। নিজ নিজ দলের ছত্রছায়ায়, মতবাদে মুসলিমরা একত্রিত হোক ও তাদেরকে বিজয়ী করুক ইসলামের নামে, এটাই তাদের মনোবাসনা। এটা একধরণের মানষিক রোগ, চিন্তাগত রোগ। এসব দল, মত, মতবাদ ও চিন্তার বিলুপ্তি দরকার।
আর সংখ্যাধিক্য দিয়ে ইসলাম কখনো বিজয়ী হয়নি হবেওনা। বদর, ওহুদ, খন্দক সহ প্রতিটি যুদ্ধে মুসলিমরা ছিল সংখ্যায় অনেক কম।পারস্য অভিযানের সময় সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস(রাঃ)নেতৃত্বাধীন মুসলিম সেনাবাহিনী ছিল পারস্য বাহিনীর তুলনায় সমুদ্রের মাঝে এক পেয়ালা জল। শুধুমাত্র হুনাইন যুদ্ধে মুসলিমগণ ছিলেন লোকবলে ও সক্ষমতায় বেশি আর সেটির জন্য তারা অহংকারী হয়ে উঠে বলাবলি করছিলেন আজ তো আমরাই বিজয়ী হব কারণ আমরা সংখ্যায় বেশি। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে মুসলিমরা মারাত্নক আক্রমণের মুখে পরে পালাতে থাকেন।
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ অনেক স্হানে তোমাদের সাহায্য করেছেন এবং হুনাইন যুদ্ধের দিনেও; তোমরা তোমাদের জনসংখ্যার (১২,০০০ সেনা) আধিক্যে প্রফুল্ল হয়েছিলে, তবে তা তোমাদের কোন উপকারেই আসেনি এবং যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্বেও তোমাদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং তোমরা শত্রুদের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। (সূরা তওবা, আয়াত: ২৫)
রাসূল ﷺ বলেছেন, ইসলাম শুরু হয়েছে অপরিচিত অবস্থায়, পুনরায় অপরিচিত অবস্থায়ই ফিরে যাবে, সুতরাং সেই অপরিচিতদের জন্য ‘তুবাহ’”।(ইবনে মাজাহ, কিতাব আল ফিতান, ৩৯৮৬) অর্থাৎ, খুব সামান্য কিছু লোক ইসলামের উপর টিকে থাকবে, এবং তাদের দ্বারাই ইসলাম বিজয়ী হবে, যদিও পৃথিবীতে ইসলাম বিদ্যমান থাকবে এবং কোটি কোটি মুসলিম জীবিত থাকবে। আমরা যেন এই অপরিচিতদের দলে যোগ দেই সেটাই উত্তম।
হাদীসে আছে যে
প্রকৃত মুমিনের সহবতে (সংষ্পর্শে) ইমান
বৃদ্ধি হয়৷ রসুল সঃ বলেছেন,
‘'প্রকৃত মুমীন তিনিই যাকে দেখলে অন্যের
ইমান বৃদ্ধি পায়৷’'
ব্যক্তি মার্যাদার বক্তব্য সমপন্ন হাদীসগুলো গ্রহণে আমাদের। সতর্ক হওয়া জরুরি।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-"নিশ্চয় মুমিন
তারা,যাদের আল্লাহর স্মরণ হলে হৃদয়
কেঁপে উঠে এবং তাদের সামনে তাঁর
আয়াত (কুরআন) তেলাওয়াত হলে তাদের
ঈমান বেড়ে যায়"।(সুরা আনফাল,আয়াত-২)
এখানে দেখুন, কোরআনের আয়াতের সাথে হাদীসের দ্বন্দ্ব মনে হচ্ছে।বিষয়টি পরিষ্কার করলে ভাল হয়।
এ ধরনী সে তো তুচ্ছ জিনিস "লওহ" ও "কলম" সকলি তোর।
ছিলাম আছি ও থাকিব অনুসারী মুহম্মদের জীবন ভোর/আশা করি হবেনা কোনদিন সাথীর অভাব জীবনে মোর৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন