%%%% ইকামতে দ্বীনে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য %%%
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:৩১:১০ রাত
( উর্দু হতে বাংলায় অনুবাদ)
নাহমাদুহ অয়া নুসাল্লে আলা রাসুলিহীল কারীম---
মানুষ মাত্রেই তা সে ছোট বড় ধনী গরীব বা যে কোন পদ পদবী অথবা পেশারই হোক একটা বিষয়ে সকলেই সমান৷ এবং সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে তার যত প্রচেষ্টা, অধ্যাবসায়, প্লান পরিকল্পনা৷ তাহল কামিয়াবী বা সাফল্য৷ সকলেই চায় তার জীবনে সাফল্য আসুক৷ হতে পারে এক এক জনের মত পথ ও দর্শণ ভিন্ন৷
এই সাফল্যের তিনটি স্তর রয়েছে, ব্যাক্তিগত সাফল্য, কওমী বা জাতি গত সাফল্য ও মিল্লি বা দ্বিনী সাফল্য৷ ব্যাক্তি গত সাফল্য সম্পূর্ণ ব্যাক্তি কেন্দ্রীক৷ যেন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী ছাত্র৷ আগে কওম তৈরী হত গোষ্ঠী বংশ গোত্র হিসাবে৷ বর্তমানে হয় দেশের গণ্ডিতে৷ হতে পারে সেখানে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণ ও ভাষার মানুষ৷ যেমন, AMERICAN NATION বাঙ্গালী জাতি৷ আর দ্বীনি সাফল্য হল ধর্ম ভিত্তিক৷ ধর্মের সাফল্যে উক্ত ধর্মের দুনিয়াব্যাপী অনুসারীদের সাফল্য৷
কোনটি আগে আর কোনটি পরে অর্থাৎ কোনটির মর্যাদা কি তা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে৷ কিন্তু কোরআন বলে ব্যাক্তিগত সাফল্যই মুখ্য৷ আর এর মূল ভিত্তি হল ইমান বিল আখেরাত বা পরকালে বিশ্বাস৷ তাই এর উপর দৃঢ়তার তাকিদ এসেছে৷ ব্যাক্তির মৃত্যুই তার কেয়ামত৷ তার পর উত্থান, হাশর, বিচার ও ফলাফলে অনন্তকাল জান্নাত বা জাহান্নাম৷ সুরা মরিয়ের ৯৫ আয়াতে বলা হয়েছে, ওয়া কুল্লুহু আতিহে ইয়াওমাল কিয়ামাতে ফারদা, কেয়ামতের দিন সকলে একা একা আসবে৷
রসুল সঃ প্রতি আদেশ হল, ওয়া আনজির আসিরাতাকুম আকরাবীন৷ সাবধান কর তোমার নিকট আত্মীয়দের৷ রসুলের পরামর্শমত বালক হজরত আলী রাঃ ভোজের ব্যবস্থা করলেন ও বনু হাশেমর সকলকে দাওয়াত দেওয়া হল৷ খাওয়া দাওয়া শেষে রসুল সঃ কিছু বলতে চাইলেন কিন্ত একে একে সকলেই চলে গেল৷ তারা জানত রসুল কি বলবেন৷ বেশ কিছুদিন পর আবারও দাওয়াত দেওয়া হল৷ এবারও রসুল কিছু বলতে চাইলেন৷ চক্ষুলজ্জার কারণেই হয়ত এবার কেউ গেলনা৷ রসুল শুরু করলেন; ইন্নার রায়েদা লা ইয়াকজেবো আহাদা ৷ (মরুভূমী বা পাহাড়ী পথে অভিজ্ঞ লোক যারা কাফেলাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় তাদের রায়েদা বলে)৷ রায়েদা কোন কাফেলা বা কাউকে ধোঁকা দেয়না বা মিথ্যা বলেনা৷ আমি তোমাদের সেই রায়েদা, অন্যের কাছে মিথ্যা বললেও তোমাদের সাথে কখনও মিথ্যা বলি না৷ আমি তোমাদের আপনজন৷ এর পর তাঁর সেই প্রারম্ভভিক খোৎবা শুরু করলেন৷ সেই আল্লাহর কসম, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন মাবুদ নেই৷ আমি তোমাদের জন্য বিশেষ ভাবে রসুল আর সমস্ত মানব জাতির জন্য সাধারন ভাবে রসুল৷ লক্ষ্য করুন মাত্র একটি বাক্যে তৌহীদ আর একটি বাক্যে রেসালাত বুঝিয়ে দিলেন৷ যিনি বললেন ও যার শুনলেন উভয়ের ভাষাই এক৷ কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন হলনা৷ কেউ মানুক আর না মানুক সবার অন্তরে দোলা দিয়ে গেল৷ এবার রসুল সঃ এলেন আখেরাতের কথায়৷ একটি নয় দুটি নয় আখেরাতের জন্য ছয়টি বাক্য ব্যবহার করলেন৷ অল্লাহে তামুতুন্না কামা তানামুন, সুম্মা লাতুব আসুন্না কামা তাস তাইকাজুন, সুম্মা লাতুহ সামুন্না বে্মা তাসআলুন, সুম্মা লাতুহজাবুন্না বিল এহসানে এহসানাঁও অবিসসুয়ে সুয়ান, অইন্নাহা লাজান্নতুন আবাদা অলানারুন আবাদা৷ তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে যেন প্রতি রাতে ঘুমাও৷(যদি মৃত্যুর সময় আরও দূরে থাকে তবে,)আবার জাগানো হবে যেমন প্রতি লকালে ওঠ৷ এরপর তোমাদের জমা করা হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য৷ এরপর ভালর বদলে ভাল আর খারাপের বদলে খারাপ ফল হবে৷ ফলে কেউ পাবে অনন্ত জান্নাত আর কেউ অনন্ত জাহান্নাম৷ এটিকে খুৎবায়ে উলা (প্রথম) বলা হয়৷
আখেরাতের জন্য ছয়টি বাক্য কারণ আখেরাতই প্রধান জিনিষ আর তাই আখেরাতের উপর দৃঢ় ইমান থাকতে হবে৷ যেখানে ব্যাক্তিগত সাফল্যই আমলে নেওয়া হবে৷ আর যদি আখেরাতের উপর বিশ্বাস না থাকে তবে তৌহীদ আর স্বস্থানে থাকেনা৷ রিসালাতও সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে রসুমাত বা ইদে মিলাদুন্নাবী, মিলাদ, ওয়াজ মাহফীল প্রভৃতিতে৷
কেয়ামতের মাঠে কেউই তার পিতৃ, বংশ, গোত্র পরিচয়ে পরিচিত হবে না৷ এ কথাটি কোরআনে চাঁছা ছোলা ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে৷ এ কারণে কথা গুলি অন্তরে কাঁটার ন্যয় ফুটতেও পারে৷ সুরা মায়ারেজের ১০-১৪ আয়াতে বলা হয়েছে, আর সেদিন কোন বন্ধু কোন বন্ধুকে জিজ্ঞেসও করবে না৷ যদিও তাদের এক জনকে অপর জনের সাথে মোলাকাত করানো হবে, সেদিন গোনাগার লোকেরা আজাব থেকে রেহাই পাবার জন্য স্বীয় সন্তানিগকে (নিজের বিনিময়ে) দিতে চাইবে৷ স্বীয় স্ত্রী ও ভাইকেও, আর তার জ্ঞাতি গোষ্ঠীকেও, যারা তাকে আশ্রয় দিত এবং পৃথিবীর সবাইকে; অতঃপর যাতে এ সব তাকে রক্ষা করে৷ সুরা আবাসায় বিষয়টিকে অন্যভাবে বলা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, সেদিন মানুষ নিজের ভাই থেকে পলায়ন করবে, এবং নিজের মাতা ও পিতা থেকে, আর নিজের স্ত্রী ও নিজের সন্তান থেকেও৷ সেদিন তাদের এমন ব্যস্ততা থাকবে যে, তা তাকে অন্যদিকে মনযোগ দিতে দেবেনা৷ এ অবস্থাকেই বলা হয়েছে সকলে নফসী নফসী করবে৷ এ টিও প্রমান করে যে ব্যাক্তি সাফল্যই আসল সাফল্য৷ এ ছাড়া আর যত সাফল্য তা দুনিয়া সম্পর্কিত৷
মনে রাখতে হবে যে সন্তানদের জন্য নিজের জীবন বাজী রেখে ছিল, যে ভাইবোন আত্মীয় পরিজনের জন্য কতইনা ভালবাসা ছিল৷ আজ তারা যেমন কোন উপকারে এলনা তেমনই নিজে বাঁচার জন্য এত মহব্বতের আপনজনকে জাহান্নামে ঠেলে দিতেও কুন্ঠীত নয়৷ অথচ কেউই কারও উপকারে আসবে না৷ আর তাদের সাক্ষাত এ জন্য করানো হবে যে অন্তরে তাদের ক্ষোভ ও আফসোস বৃদ্ধি পাবে৷ কেউবা দুনিয়াতেও এ ক্ষোভের শিকার হয়ে থাকেন৷
আখেরাতে কোন আত্মীয়তার বন্ধন নেই৷ আল্লাহ যেমন এক অদ্বিতীয় রুহও তেমনই একা৷ ইয়াসআলুনাকা আনির রুহ, ক্বুলিররুহ মিন আমরে রাব্বী’
এমনও হতে পারে যে, সমাজ জাতি উন্নত কিংবা আল্লাহর দ্বীনও প্রতিষ্ঠিত কিন্তু নিজের আমলনামা দূর্বলতো কেয়ামতে বিফল৷ অপর পক্ষে যদি সমাজ জাতি উন্নত নাও হয়, দ্বীন প্রতিষ্ঠা নাও হয় কিন্তু কারও আমল নামা ভাল হয়তো সে সফল৷ তবে হাঁ ব্যাক্তিকে নিজ দায়িত্বে সচেতন হতে হবে৷ কোন কর্মচারীকে যখন কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন যে যে বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় তার জবাব দেহীতা সেই সেই বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে৷ তার মাঝেই থাকে তার সফলতা ও বিফলতা৷ আল্লাহ মানুষকেও কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সাথে তা পালন করার সামর্থ নির্ধারণ করে দিয়েছেন৷ যদিও তা কতটুকু তা কেউ জানেনা৷ তাই সকলকে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে৷ দূর্ভাগ্য আমরা আমাদের দায়িত্ব বা ফারায়েজ সম্পর্কে সম্মক অবগত নই অথবা তা অল্প কয়েকটির মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি৷ আমরা জানি নামাজ রোজা জাকাত হজ্জ, তা যথাযত বা অনেক ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত আমল করেই পরকালে সাফল্যের প্রত্যাশা করে থাকি৷ অপর দিকে সন্তানদের উন্নত শিক্ষা, উন্নত চাকরী, মনোরম অট্টালিকা, জমীজমা করে সাফল্যের বাহবা কুড়াই৷
সুরা কাহাফের ১০৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে; তারাই সে লোক যাদের প্রচেষ্টা পার্থিব জীবনে বিভ্রান্ত হয়েছে, অথচ তারা মনে করে যে তারা সৎকর্ম করেছে৷ নামাজ রোজা জাকাত হজ্জের মত জিহাদ বা দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকেও ফরজ করা হয়েছে৷ সুরা হুজরাতের ১৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, প্রকৃত মুমিনতো তারাই যারা ইমান এনেছে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রতি অতঃপর কখনই মনে সন্দেহ পোষণ করেনি এবং আল্লাহর পথে প্রান ও ধন-সম্পদ দিয়ে জেহাদ করে৷ তারাই সেই সত্যনিষ্ঠ৷ এরা যদি নিজেদের মুমিন দাবী করে তবে তারাই সত্য বলেছে৷ আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবেই, তবে কখন কাদের দ্বারায় তা এক মাত্র আল্লাহই জানেন৷ রসুল সঃ এর জন্য দ্বীন প্রতিষ্ঠা ছিল ফরজ আর উম্মতের জন্য দ্বীনের প্রচেষ্টা বা জেহাদ ফরজ৷
নামাজকে ফরজ করা হয় ১১ হিজরীতে আর একামতে দ্বীনের শুরু হয় দাওয়াত, তাজকির ও তাবশিরের মাধ্যমে নবুয়তের সূচনা লগ্নে৷ সুরা বাক্বারার ১৫৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে; ওহে যারা ইমান এনেছো তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর৷ এখানে নামাজকে সবরেও পরে রাখা হয়েছে আবার এ দুটির মাধ্যমে কোন কিছুর জন্য সাহায্য চাইতে বলা হচ্ছে৷ সেই কিছুটিই জিহাদ৷ অতএব মুমিনের আমলে জেহাদের বিকল্প নাই৷ এ বিষয়টি সমর্থনে ইমাম বাইহাকী রঃ এর বর্নীত একটি হাদীশ যা জনাব মৌলানা আশরাফআলী থানবী রঃ জুমআর খোৎবায় শামিল করে ছিলেন তার উল্লেখ করা যায়, যার অর্থ হল; আল্লাহ জীবরাঈল আঃ কে ওহীর মাধ্যমে কয়েকটি জনপদ উল্টে দিতে আদেশ করলেন৷(স্মরণ যোগ্য যে, হজরত জীবরাঈল আঃ এর আল্লাহর সাথে সামনা সামনি কথপোকথন হচ্ছেনা)৷ জীবরাঈল আঃ আরজ করলেন যে, সেখানে আপনার এমন এক নেক বান্দা রয়েছে যিনি চক্ষের পলক পড়ার সময়টুকুও অন্য কাজে ব্যয় করেন না তার কি হবে৷ আল্লাহ বললেন যে, তাকে আগে উল্টাও পরে অন্য দের৷ কারণ আমার দ্বীনের ব্যাপারে তার চেহারায় কোনদিন কোন পরিবর্তন আসেনি৷ যেহেতু জীবরাঈল আঃ সাক্ষী দিচ্ছেন তখন তিনি কোন হাফ মুসলীম নন বরং শত ভাগ মুমিনই হবেন৷ তাঁর অপরাধ তিনি আমর বিল মা’রুফ ও নেহী আনিল মুনকার বা দ্বীনের জন্য জিহাদ করেন নি৷ এমনকি তার চেহাারায় প্রতিরোধ প্রতিবাদে অপারগতার দুঃখ বেদনা ক্ষোভের ছায়াও কোনদিন পড়েনি৷
নামজের জন্য যেমন শর্ত হল ওজু, যদিও ‘কুতেবা আলায়কুমুল ওয়াদু’ কোথাও বলা হয়নি৷পানির অভাবে তায়ম্মুম৷ তেমনই একমতে দ্বীনের জন্য শর্ত হল জামাত বা সংগঠন৷ হজরত ওমর রাঃ হতে বর্ণনা হয়েছে, ‘লা ইসলামা ইল্লা বিল জামায়াহ অলা জামায়াহ ইল্লা বিল আমারা’-জমাত ছাড়া ইসলাম হয়না আর আমির ছাড়া জামাত হয়না৷ যদি এমন কোন জামাতের অস্তিত্ব থাকে, যার কর্ম পদ্ধতি ঘোষিত হয়েছে যা শুধুমাত্র কোরআন, সুন্না ও সীরাতের ভিত্তিতে একামাতে দ্বীনের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে তবে তাতে শামিল হতে হবে৷জামাতে আমিরের আনুগত্য অবশ্যই মেনে চলতে হবে তবে অন্ধ ভাবে নয়৷ অন্ধ আনুগত্য শুধুই নবীর বেলায় প্রযোজ্য৷ আর যদি তেমন সংগঠন না থাকে তবে বানাতে হবে ও কর্ম পদ্ধতি ঘোষণা দিয়ে মানুষকে আহবান করতে হবে৷ যদি কেউ সে ডাকে সাড়া না দেয় তবে একাই যথেষ্ট৷
হজরত আবু হোরায়রা রাঃ বর্ণীত হাদিসে বলা হয়েছে যে, যে ব্যাক্তি মারা গেল অথচ সে জিহাদ করেনি বা তার অন্তরে জিহাদের কোন চিন্তা, সংকল্প বা ইচ্ছা দেখা যায়নি, সে মুনাফেকের ন্যায় মারা গেল৷ (মুসলীম, আবু দাউদ)
অমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ৷
(মূল বক্তা মরহুম ডাঃ ইসরার আহমদ ইউ টিউব)
বিষয়: বিবিধ
১৩৩০ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুসলিমদের অবশ্যই সংঘবদ্ধ থাকতে হবে। ইকামতে দ্বীন- টার্মটা অনেক আশার আলো জাগায় কিন্তু পথ টা দুর্গম!
আল্লাহ আমাদের শক্ত ভাবে আল্লাহর রজ্জু ধরে রাখার তৌফিক দান করুন।শয়তানের আশ্রয় থেকে হিফাজত করুন। আমিন।
কাঁটা হেরী ক্ষ্যান্ত কেন কমল তুুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয়কি মোহিতে?
ধন্যবাদ৷
জাজাকাল্লাহ খায়ের চাচাজান।
যখন কোন জামাত থাকবে না তখন কি করতে হবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন