'মনে রেখো, তারা যখন নিজেদেরকে পোষাকে আচ্ছাদিত করে তখন তারা যা গোপন করে ও প্রকাশ করে আল্লাহ তা জানেন৷ অন্তরে যা কিছু আছে তিনি সবিশেষ অবগত৷'

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৭ জুলাই, ২০১৫, ০৩:২২:৪৬ রাত

(উর্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)

(১১) সুরা হুদ (মক্কী) রুকু সংখ্যা ১০ আয়াত ১২৩

তৃতীয় গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা হুদ৷ এর রুকু সংখ্যা ১০ ও আয়াতের সংখ্যা ১২৩টি৷ যার ছয়টিরও বেশী রুকু জুড়ে রয়েছে ‘আম্বাউ রুসুল’ এর বর্ণনা৷ যাতে হজরত নূহ আঃ এর বর্ণনা মুখ্য ও হজরত মুসা আঃ এর বর্ণনা সামান্যই আছে৷ বাকী অন্যান্ন সুরার মতই অন্যান্ন নবী রসুল গনের বর্ণনা পাওয়া যাবে৷

সুরা হুদ রুকু;-১ আয়াত;-৮

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১/الَر كِتَابٌ أُحْكِمَتْ آيَاتُهُ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِن لَّدُنْ حَكِيمٍ خَبِيرٍ

অর্থ;-‘আলিফ, লাম, রা’ এটি এমন কিতাব যার আয়াত সমুহ সুদৃঢ়, আর বিশদ ভাবে বর্ণনা হয়েছে এমন সত্তার তরফ থেকে যিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ৷

# হরফে মোকাত্তায়াত দিয়েই সুরার শুরু৷ বলা হয়েছে, এ গ্রন্থের আয়াতগুলি সুদৃঢ়৷ আমরা জানি নবুয়তের প্রাথমিক অবস্থার সুরাগুলি ছোট ছোট কিন্তু অত্যন্ত গাম্ভির্যপূর্ণ৷ অর্থাৎ আয়তনে ছোট হলেও এর গুরুত্ব সুদূর প্রসারী৷ যা পরবর্তীতে বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ যেমন, সুরা ‘আল আসর’ যা মাত্র তিন আয়াতে সীমাবদ্ধ৷ ইমাম শাফী রঃ এর মতে, যদি কোরআনের আর কিছুই নাজিল না হত তবে মানুষের হেদায়েতের জন্য সুরা ‘আল আসর’ই যথেষ্ট ছিল৷

২/أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ اللّهَ إِنَّنِي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ

অর্থ;-যেন তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বন্দেগী না কর৷ নিশ্চয় আমি তার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদ দাতা৷

# ‘বশির’ ও ‘নজির’ শব্দ দুটি কোরআনে বহুবার এসেছে৷ যার অর্থ সতর্ক করা ও সুসংবাদ দেওয়া৷ এক জন নবী বা রসুলের প্রধান কাজই হল, মন্দ বা ভুল পথে চলা মিনুষকে আজাব হতে সতর্ক আর সৎ পথে চলা মানুষকে পুরষ্কারের সু সংবাদ দেওয়া৷

৩/وَأَنِ اسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُواْ إِلَيْهِ يُمَتِّعْكُم مَّتَاعًا حَسَنًا إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى وَيُؤْتِ كُلَّ ذِي فَضْلٍ فَضْلَهُ وَإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنِّيَ أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ كَبِيرٍ

অর্থ;-আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তার পর তারই দিকে ফিরে যাও, তিনি তোমাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন এবং প্রত্যেক অধিক আমলকারীকে অধিক দান করবেন৷ কিন্তু যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে, আমি তোমাদের উপর এক মহা দিবসের আজাবের আশংকা করি৷

# যার যতদিন আয়ু আছে আল্লাহ তার জন্য তত দিনের উৎকৃষ্ট আহার ও অন্যান্ন উপকরণের ব্যবস্থা এ দুনিয়ায় করেই রেখেছেন৷ আবা যারা ভাল কাজ করবে, তাদের আরও তা বাড়িয়ে দেবেন৷ আর যারা মন্দ কাজ করবে, তাদের জন্য কেয়া মতে কঠিন আজাব রয়েছে৷ লক্ষ্যনীয় তাদের আহার বা জীবনোপকরণ কম করার কথা বলা হয়নি৷

৪/إِلَى اللّهِ مَرْجِعُكُمْ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থ;-আল্লাহর কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে, আর তিনি সব কিছুর উপর সর্ব শক্তিমান৷

৫/أَلا إِنَّهُمْ يَثْنُونَ صُدُورَهُمْ لِيَسْتَخْفُواْ مِنْهُ أَلا حِينَ يَسْتَغْشُونَ ثِيَابَهُمْ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ

অর্থ;-জেনে রেখো, নিশ্চহই তারা তাদের বক্ষকে সংকুচিত করে যাতে আল্লাহর কাছে গোপন রাখতে পারে৷ মনে রেখো, তারা যখন নিজেদেরকে পোষাকে আচ্ছাদিত করে তখন তারা যা গোপন করে ও প্রকাশ করে আল্লাহ তা জানেন৷ অন্তরে যা কিছু আছে তা তিনি সবিশেষ অবগত৷

# এ আয়াতটি ‘মোতাশাবেহাতে’র অন্তর্গত৷ এটির বিষয়ে যে বর্ণনাগুলি পাওয়া যায় তার মধ্যে হজরত ইবনে আব্বাস রাঃ বর্নীত বোখারী শরীফের এক হাদীশে জানা যায় যে, কিছু মানুষ অত্যন্ত লজ্জ্বাশীলতার দরুন পোষাকের ব্যপারে অতিরিক্ত সংকুচিত হয়, এমনকি একান্ত গোপনে বিশেষ প্রয়োজনেও পোষাক খুলতে নারাজ৷ তাদের ধারণা কেউ না দেখলেও আল্লাহ দেখবেন৷ যেমন, হজরত ওসমান রাঃ কোন অবস্থায়ই পোষাক খোলাকে লজ্জ্বার চোখে দেখতেন৷( আল্লাহই বেশী জানেন)৷ তাই আল্লাহ বলেন, তোমরা পোষাক খোল আর না খোল, আমি সবটিই দেখি, এমনকি তোমাদের অন্তরে যা আছে তাও জানি৷ অতএব কোন ব্যাপারেই অতিরিক্ত করা উচিৎ নয়৷

পারা-১২

৬/وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

অর্থ;-পৃথিবীতে বিচরণকারী এমন কোন প্রানী নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর নয়৷ আর তিনি জানেন দীর্ঘকাল অবস্থানের স্থান ও স্বল্পকাল অবস্থানের স্থান৷ সব কিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে৷

# পৃথিবীতে এমন কোন প্রানী নেই, যার আহার যোগাবার দায়িত্ব আল্লাহর নয়৷ যার সুন্দর ব্যবস্থা তিনি করে রেখেছেন, অতি তচ্ছাতি তুচ্ছ প্রানীরও আহারের ব্যবস্থা তিনি করে রেখেছেন৷ সন্তান ভূমীষ্ঠ হবার আগেই মাতৃ স্তনে দুধের যোগান চলে আসে৷

হজরত ইশা আঃ বলেছেন, ‘পক্ষীদের দিকে তাকাও, উহারা বোনেওনা কাটেও না, সকালে খালি পেটে বার হয়,সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে’৷

দুনিয়ায় সৃষ্ট ক্ষুধা, অনাহার মানুষের অনিয়মের ফল৷ মানুষ বর্ডার সৃষ্টি করে আর নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থের জন্য অন্যের হক নষ্ট করে যে নিয়ম করেছে তার ফলেই এ হাহাকার৷

দীর্ঘকালীন স্থান আর স্বল্পকালীন স্থান বা ‘মুস্তাকার’ ও ‘মুস্তাওদা’র ব্যাপারে আমরা সুরা ‘আনআম’ এ পড়ে এসেছি৷

৭/وَهُوَ الَّذِي خَلَق السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاء لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً وَلَئِن قُلْتَ إِنَّكُم مَّبْعُوثُونَ مِن بَعْدِ الْمَوْتِ لَيَقُولَنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِنْ هَـذَا إِلاَّ سِحْرٌ مُّبِينٌ

অর্থ;-আর তিনিই আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে (আইয়াম)৷ তখন তার আরশ পানির উপরে ছিল৷ তিনি তোমাদিগকে পরীক্ষা করতে চান যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম৷ আর যদি আপনি তাদের বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মৃত্যুর পর পূণর্জীবিত করা হবে’, তখন যারা কাফের তারা অবশ্যই বলবে, এটাতো সুস্পষ্ট যাদু৷

# এ আয়াতটিও ‘মোতাশাবেহাতে’ই শামিল৷ তবে যে টুকু আন্দাজ করা যায় তাতে বোঝা যায় তা হল, এখানে পৃথিবী সৃষ্টির আদি কালের কথা বলা হয়েছে, যখন এ ধরাপৃষ্ঠ শীতল হতে থাকে তখন প্রচুর জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয়, যার মধ্যেকার অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাস মিলে পানির সৃষ্টি করে ও তা বৃষ্টি রূপে দীর্ঘকাল ভূপৃষ্ঠে পড়তে থাকে যাতে সমুদ্রের সৃষ্টি হয়৷ এদিকে সংকোচনের দরুন পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত, খানা খন্দ আগেই তৈরী হয়ে থাকে৷ ঐ অবস্থায় কোন প্রানের অস্তিত্ব বা ঘাস পাতা কিছুই ছিল না, শুধু অধিকাংশ পানি আর কিছু স্থল৷ ঐ সময় আল্লাহর আরশ পানির উপর ছিল বলে বলা হয়েছে৷(আল্লাহই ভাল জানেন)৷

৮/وَلَئِنْ أَخَّرْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ إِلَى أُمَّةٍ مَّعْدُودَةٍ لَّيَقُولُنَّ مَا يَحْبِسُهُ أَلاَ يَوْمَ يَأْتِيهِمْ لَيْسَ مَصْرُوفًا عَنْهُمْ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُواْ بِهِ يَسْتَهْزِؤُونَ

অর্থ;-আর যদি আমি তাদের আজাব এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত স্থগিত রাখি, তাহলে তারা নিশ্চয়ই বলবে,কোন জিনিষে আজাব ঠেকিয়ে রেখেছে? মনে রেখো যেদিন তা এসে যাবে, সেদিন তাদেরকে তাথেকে নিবৃত্ত করা হবেনা৷ এবং তাদেরকে ঘিরে ফেলবে তা যা নিয়ে তারা বিদ্রুপ করত৷

# প্রায় কথাতেই আজাব আসার কথা বলা হয়েছে কিন্ত কৈ আজাবতো আসেনা, কিসে তা বন্ধ করে রেখেছে৷ এমন প্রশ্ন মুশরীকদের কাছ থেকে পায়ই আসত৷ বারো বছর হয়ে গেছে আজাব আসেনি, তাই কথাটা নিয়ে তারা বিদ্রুপ করত৷ তারা জানতনা যে আজাব এসে গেলে তওবার সুযোগ শেষ হয়ে যাবে৷ আল্লাহ বলেন৷ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকে বন্ধ রাখা হয়েছে, এতে তাদের কল্যানই রয়েছে৷ যখন সত্যই তা এসে যাবে তাকে ঠেকিয়ে রাখার সাধ্য কারোও থাকবে না৷ মেয়াদের তারতম্য হবেনা তাও আগে বলে দেওয়া হয়েছে৷

বিষয়: বিবিধ

১২৪৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

328987
০৭ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:২৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ Praying
০৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
271241
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিন৷ ভাল থাকেন৷ধন্যবাদ৷
329007
০৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিন। আল্লাহতায়লা আমাদের আযাব থেকে মুক্তি দিন।
জমিন সৃষ্টির বিষয় টি ছয়দিন না লিখে ছয়টি সময়কাল মনে হয় ভাল হয়। এই মতামত ডঃ মরিস বুকাইলির্
০৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
271245
শেখের পোলা লিখেছেন : এটাতো অনুবাদে বলা হয়েছে৷সাথে আইয়াম শব্দটিও বলা আছে৷ বিষয়টি অন্যত্র্র সময় কাল বলেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ যাকে উ্দুতে দওর বলে৷ পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ৷
329019
০৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০৬
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : অসাধারণ হয়েছে আপনার অনুবাদ ।
আপনি আমাকে মেইল করেছিলেন ?
০৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:২৪
271267
শেখের পোলা লিখেছেন : হাঁ ভাই, আমি পর পর দুই খণ্ড আপনার ইমেইলে পাঠিয়েছি৷ না পাবার কারণ বুঝছি না৷ সত্যই না পেলে আবার পাঠাব ইন শাআল্লাহ৷
329088
০৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৪১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। অসাধারণে লখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
০৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:০০
271274
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ৷ অসাধারণ লেখার পূর্ণাঙ্গ কোরআন খানা পেতে চাইলে আপনার ই মেইল নং দিন৷
329167
০৮ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৪
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়েরান
০৮ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
271469
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ৷আমিন৷
329258
০৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:০৭
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খারান চাচাজান ।
০৯ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:২৩
271562
শেখের পোলা লিখেছেন : মামনাকে কি রোজায় দূর্বল করে দিয়েছে? নিয়মিত নয় কেন? ভাল থাক৷ ঈদের আগাম শুভেচ্ছা রইল৷
329308
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:৫৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান চাচাভাই
০৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৪২
271677
শেখের পোলা লিখেছেন : রোজায় কি দূর্বল করে দিয়েছে? লেখা লেখি কমে যাবার কারণ কি?
329337
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৫০
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ। আমি দুটো খন্ড পেয়েছি..জাযাকাল্লাহ খায়রান..
০৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
271679
শেখের পোলা লিখেছেন : বাকীটাও শিঘ্র পাবেন ইনশাআল্লাহ দোওয়া করবেন৷ ধন্যবাদ৷
১০ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৩৮
271727
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অগ্রীম জানাবার অনুরোধ রাখছি..:Thinking :Thinking :Thinking
329706
১২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সুন্দর পোস্টের জন্য জাঝাক আল্লাহ।
১২ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:১৯
271995
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷ পূর্ণ কোরআন পেতে চাইলে ই মেইল নং দিন৷৷ পাঠিয়ে দেব ইনশা আল্লাহ৷ এখানে আপত্তি থাকলে এ দিন৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File