"আপনি বলে দিন, আল্লাহর কলা কৌশল দ্রুততর৷ নিশ্চয় আমার ফেরেশ্তারা, তোমরা যা চক্রান্ত কর তা লিখে রাখে৷"

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৭ মে, ২০১৫, ০৬:০৫:০৬ সন্ধ্যা

(উর্দু বয়ানুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ)

ইউনুস রুকু;-৩ আয়াত;-২১-৩০

মানুষ বিপদে পড়লে আল্লাহ প্রতি মনোনিবেশ করে, আল্লাহর কাছেই সাহায্য চায়৷ আবার বিপদ কেটে গেলেই আবার পিছনের কথা ভূলে যায়৷ এমন কথা নিয়েই আসছে আলোচ্য রুকুটি;

২১/وَإِذَا أَذَقْنَا النَّاسَ رَحْمَةً مِّن بَعْدِ ضَرَّاء مَسَّتْهُمْ إِذَا لَهُم مَّكْرٌ فِي آيَاتِنَا قُلِ اللّهُ أَسْرَعُ مَكْرًا إِنَّ رُسُلَنَا يَكْتُبُونَ مَا تَمْكُرُونَ

অর্থ;-আর যখন আমি কোন মানুষকে বিপদ স্পর্শ করার পর রহমত আস্বাদন করাই, তখনই তারা আমার আয়াত সমুহ সন্মন্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়৷ আপনি বলেদিন, আল্লাহর কলাকৌশল দ্রুততর৷ নিশ্চয় আমার ফেরেশ্তারা, তোমরা যা চক্রান্ত কর তা লিখে রাখে৷

# রসুল সঃ এর নবুওত প্রাপ্তির পর আল্লাহ তায়ালা মক্কায় খাদ্য সংকটের মত কিছু বিপদ দিয়েছিলেন৷ তখন মুশরীকরা অনেকেই রসুল সঃ এর মজলীশে দ্বীনের দাওয়াতে শামিল হত৷ কিন্তু বিপদ মুক্ত হওয়ার পর তারা আবার স্বস্থানে ফিরে গিয়ে রসুল সঃ এর নামে চক্রান্ত করতে থাকত৷ সে কথাই এ আয়াতে বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে সতর্ক করা হচ্ছে এই বলে যে, আল্লাহর চক্রান্ত মানুষের চক্রান্তের চাইতে দ্রুত গতি সম্পন্ন৷

২২/هُوَ الَّذِي يُسَيِّرُكُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ حَتَّى إِذَا كُنتُمْ فِي الْفُلْكِ وَجَرَيْنَ بِهِم بِرِيحٍ طَيِّبَةٍ وَفَرِحُواْ بِهَا جَاءتْهَا رِيحٌ عَاصِفٌ وَجَاءهُمُ الْمَوْجُ مِن كُلِّ مَكَانٍ وَظَنُّواْ أَنَّهُمْ أُحِيطَ بِهِمْ دَعَوُاْ اللّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ لَئِنْ أَنجَيْتَنَا مِنْ هَـذِهِ لَنَكُونَنِّ مِنَ الشَّاكِرِينَ

অর্থ;-তিনিই তোমাদের জল ও স্থল ভাগে ভ্রমনে রেখেছেন৷ এমনকি যখন তোমরা নৌকা ভ্রমনে থাক আর সে গুলো অনুকূল বাতাসে চলতে থাকে, তাতে আনন্দে মশগুল হয়৷ তার উপর এসেপড়ে প্রচণ্ড বাতাস, চতুর্দিকে তরঙ্গমালা তাকে আঘাত করতে থাকে৷ তারা ধারণা করে যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে৷ তখন তারা একনিষ্ঠ ভাবে খাঁটি বিশ্বাসের সাথে আল্লাহকে ডাকে; বলে, যদি আমাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা কর তে নিঃসন্দেহে আমরা কৃতজ্ঞ হব৷

২৩/فَلَمَّا أَنجَاهُمْ إِذَا هُمْ يَبْغُونَ فِي الأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا بَغْيُكُمْ عَلَى أَنفُسِكُم مَّتَاعَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَينَا مَرْجِعُكُمْ فَنُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

অর্থ;-অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে রক্ষা করেন তখন তারা অন্যায় ভাবে পৃথিবীতে জুলুম করতে থাকে৷ হে মানুষ, তোমাদের অনাচার তোমাদের উপরই বর্তাবে৷ পার্থিব জীবনের সুফল ভোগ করে নাও, অতঃপর আমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে৷ তখন আমি জানিয়ে দেব তোমরা যা করতে৷

# রুকুটির শুরু এমন কথা দিয়েই হয়েছে৷ এটা শয়তান পরিবেষ্টিত অনেক মানুষের স্বভাব৷ পৃথিবী যে চলমান তার কিছু ইঙ্গীত এ আয়াতে পাওয়া যায়৷ আল্লাহ বলেছেন, জলে স্থলে আমি তোমাদের ভ্রমনে রেখেছি৷ পরন্তু তোমরা যখন নৌকা ভ্রমন করো, এখানে সুন্দর একটি নৌকা বিহার বা সাগরে ক্রইজ ভ্রমনের দৃশ্য এঁকেছেন; অনুকূল পরিবেশে জলযান এগিয়ে চলেছে, আরোহীরা অত্যন্ত প্রীত৷ আমোদ প্রমোদ আহারে মশগুল৷ এনন সময় সাগরে বাতাস উত্তাল হল, চারিদিক হতে উত্তাল তরঙ্গ জাহাজে বা নৌকায় আঘাত করতে লাগল৷ জীবন নিয়ে মানুষ সনদীহান হল৷ এমতাবস্থায় মানুষ একাগ্র চিত্তে,একান্ত বিশ্বাসে, কায়মনবাক্যে, বিপদ উদ্ধারের জন্য এক মাত্র আল্লাহর কাছেই ফরিয়াদ করতে থাকল৷ আর বিপদ কেটে গেলে এক নিষ্ট আল্লাহর বান্দা হয়ে থাকার ওয়াদাও করতে থাকল৷ আল্লাহ বিপদ কাটিয়ে দিলেন আর মানুষ তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভূলে আবারও আগের মত হয়ে গেল৷ আল্লাহ বলেন; এটা তোমাদের পার্থিব জীবন, উপভোগ করে নাও, কিন্তু মনে রেখো আমার কাছে তোমাদের ফিরে আসতেই হবে৷ আর তখন তোমাদের জানিয়ে দেব তোমরা যা করতে৷

এ আয়াতের আলোকে একটা ঘটনার উল্লেখ করা যায়, সুরা তওবায় মক্কার মুশরীকদের জন্য একটা অলিখিত অপশন ছিল আরব ভূমী ছেড়ে যাওয়া৷ কেননা মক্কা তথা আরবভূমীকে মুশরীক কাফের মুক্ত করাই ছিল উদ্দেশ্য৷ আবু জেহেলের পুত্র ইকরামা মক্কা ছেড়ে আবিসিনিয়ার পথে রওয়ানা হয়৷ সাগর পাড়ি দিতে নৌকা তুফানে আক্রান্ত হলে দেখা গেল সকলে লাত, মানাত ভূলে কায় মনোবাক্যে আল্লাহর কাছেই বিপদ মুক্তির জন্য আবেদন জানাচ্ছে৷ তার চমক ভাঙল, চিন্তা করল, ঠিক এই কাজটি করার জন্যই তো মোহাম্মদ সঃ আমাদের বলে থাকে, তাই যখন আমরা করছি তখন কেন এ পলায়ন? ফিরে এসে রসুল সঃ হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহন করলেন ও একজন মুজাহীদ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে ছিলেন৷

মানুষের মনের গভীরে কোন স্থানে আল্লাহর প্রতি দূর্বলতা থাকেই, পার্থিব বিভিন্ন কারণে তার উপর আবরণ পড়ে থাকে৷ কোন কারণে যখন আবরণটি খসে পড়ে তখন মানুষ ঠিকই আল্লাহর দিকে ঝোঁকে৷ পরের আয়াতে তারই কিছু নমুনা পাওয়া যাবে৷

২৪/إِنَّمَا مَثَلُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاء أَنزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاء فَاخْتَلَطَ بِهِ نَبَاتُ الأَرْضِ مِمَّا يَأْكُلُ النَّاسُ وَالأَنْعَامُ حَتَّىَ إِذَا أَخَذَتِ الأَرْضُ زُخْرُفَهَا وَازَّيَّنَتْ وَظَنَّ أَهْلُهَا أَنَّهُمْ قَادِرُونَ عَلَيْهَآ أَتَاهَا أَمْرُنَا لَيْلاً أَوْ نَهَارًا فَجَعَلْنَاهَا حَصِيدًا كَأَن لَّمْ تَغْنَ بِالأَمْسِ كَذَلِكَ نُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

অর্থ;-বস্তুতঃ পার্থিব জীবনেরর উদাহরণ এরূপ যেমন, আমি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করলাম, পরে তা সংমিশ্রিত হয়ে জমীনের শ্যামল উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, যা থেকে মানুষ ও জীব জন্তুরা খেয়ে থাকে৷ তার পর ভূমী যখন তার মনমুগ্ধকর দৃশ্য ধারণ করে, এবং সুশোভিত হয়ে ওঠে, আর জমীর মালিকেরা ধারণা করে যে, এগুলো এখন তাদের হাতের কাছেই৷ হঠাৎ করেই তার উপর আমার নির্দেশ এল রাত্রে কিংবা দিনে, ফলে আমি তা এমন নিঃশ্চিহ্ন করে দিলাম যেন গত কালও এর অস্তিত্ব ছিলনা৷ এমনই ভাবে আমি নিদর্শন সমুহ খোলাখুলি বর্ণনা করে থাকি, তাদের জন্য যারা চিন্তা করে৷

# মাটির তলে শষ্যবীজ অঙ্কুরিত হওয়ার অপেক্ষায় লুকিয়ে থাকে৷ আল্লাহ তায়ালা যখন আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন আর সেই পানি মাটি শোষন করে থাকে তখনই ঐ শষ্যদানা অঙ্কুরিত হয়ে ধরিত্রী ফলে ফুলে শষ্যে শ্যামল ও মনমুগ্ধকর হয়ে ওঠে৷ মানুষ ও জীব জন্তুর আহার্যের যোগান দেয়৷ এমন করেই কৃষকের ফষল যখন ঘরে তোলার অপেক্ষা মাত্র৷ জমীর মালিক তা দর্শণে পুলকিত৷ কোন সময় ঠিক তখনই আল্লাহর নির্দেশে সেখানে বন্যা বা সাইক্লোনের তাণ্ডবে তা ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে এমন অবস্থা হয়, যা দেখে অনুমান করা কঠিন হয় এখানে গতকাল কি ছিল৷ আল্লাহ বলেন, তিনি চিন্তাশীল দের জন্য এমন উদাহণ সৃষ্টি করে থাকি৷

মানুষের জীবনটিও কিছুুটা এমন৷ দৌড় ঝাঁপ, অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষ সফল্যে পৌঁছতে চায়, অনেকে হয়ত সফল হয়, কিন্তু হঠাৎই তার মৃত্যু তাকে তার সুশোভিত সংসার থেকে আলাদা করে দেয়৷ আর মাটির আবরণে যেমন শষ্য বীজ লুক্কায়ীত থাকে, পানির পরশে জেগে ওঠে, মানুষের অন্তরে ইমানটিও ঠিক তেমনই পার্থিব প্রলেপে লুক্কায়ীত থাকে উপযুক্ত পরিবেশেই তা অঙ্কুরিত হয়৷ আবার যে মাটির পানি শোষন ক্ষমতা নেই সেখানে বীজ অঙ্কুরীত হয়না, ঠিক তেমনই যে মানুষের অন্তরে হেদায়েত শোষীত হয়না সে অন্তরে ইমানও অঙ্কুরীত হয়না৷ কোরআন পাঠে মানুষের অন্তর নরম হয়, এজন্য কোরআনকে হৃদয় নরম করার উপাদান বলা হয়েছে৷

২৫/

وَاللّهُ يَدْعُو إِلَى دَارِ السَّلاَمِ وَيَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيم

অর্থ;-আর আল্লাহ শান্তি, নিরাপত্তার আলয়ের প্রতি আহবান জানান, এবং যিনি সরল পথ চান তাকে তা দান করেন৷

২৬/

لِّلَّذِينَ أَحْسَنُواْ الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ وَلاَ يَرْهَقُ وُجُوهَهُمْ قَتَرٌ وَلاَ ذِلَّةٌ أُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

অর্থ;-কল্যানকারীদের জন্য অতিরিক্ত কল্যান, আরও অধিক৷ এবং তাদের চেহারাকে মলিনতা আচ্ছন্ন করবেনা না কোন হীনতা, এবং এরাই জান্নাতের অধিবাসী৷ সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে৷

২৭/وَالَّذِينَ كَسَبُواْ السَّيِّئَاتِ جَزَاء سَيِّئَةٍ بِمِثْلِهَا وَتَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ مَّا لَهُم مِّنَ اللّهِ مِنْ عَاصِمٍ كَأَنَّمَا أُغْشِيَتْ وُجُوهُهُمْ قِطَعًا مِّنَ اللَّيْلِ مُظْلِمًا أُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

অর্থ;-আর যারা মন্দ অর্জন করেছে, মন্দের বদলে শাস্তি তেমনই মন্দ৷ তাদেরককে হীনতা আচ্ছন্ন করবে৷ আল্লাহর হাত থেকে তাদের বাঁচাতে পারে এমন কেউ নেই৷ রাতের এক টুকরো আঁধার দিয়ে তাদের মুখমণ্ডল ঢেঁকে দেওয়া হবে৷ এরা হল দোজখ বাসী৷ এরা সেখানে অনন্তকাল থাকবে৷

# ভাল কাজের বদলা হবে অতিরিক্ত ভাল দিয়ে, বা তারচেয়ে আরও বেশী দিয়ে৷ কিন্ত মন্দ কাজের বদলা ঠিক ততটুকু মন্দ দিয়েই তার বদলা বা শাস্তি দেওয়া হবে৷ আর উভয়েই যার যার কর্মফলের দ্বারা অর্জিত আবাসে অনন্তকাল থাকবে৷

২৮/وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا ثُمَّ نَقُولُ لِلَّذِينَ أَشْرَكُواْ مَكَانَكُمْ أَنتُمْ وَشُرَكَآؤُكُمْ فَزَيَّلْنَا بَيْنَهُمْ وَقَالَ شُرَكَآؤُهُم مَّا كُنتُمْ إِيَّانَا تَعْبُدُونَ

অর্থ;-আর যেদিন আমি সবাইকে সমবেত করব, আর যারা শির্ক করত তাদেরকে বলব, তোমরা এবং তোমাদের শরিকরা নিজ নিজ স্থানে স্থির থাকো৷ অতঃপর আমি তাদেরকে পরষ্পর হতে বিচ্ছিন্ন করে দেব৷ তাদের শরিকরা বলবে, তোমরাতো আমাদের উপাসনা করতে না৷

# ইবাদত বা উপাসনায় শির্ক সাধারণতঃ দুটি মাধ্যমে হয়ে থাকে, একটি জড়পদার্থ,যার পিছনে প্রানের কোন অস্তিত্ব নাই, যেমন, লাত, মানাত, উজ্জাত, পাথর, প্রতিমা৷ অপরটি যার পিছনে প্রানের অস্তিত্ব আছে বা ছিল৷ যেমন, পীর ওলী আউলিয়া, ফেরেশ্তা, হজরত আব্দুল কাদের জীলানী, খাজা মঈনুদ্দীন চিসতী, খান জাহান আলী, শাহ জালাল রঃ৷ একদা এনারা ছিলেন, আজ নেই৷ তাদের নামে তাদের মাজারে সেজদা, বাতি, উপডৌকন, ও জিয়াফতের মাধ্যমে তাদের সুপারিশ আশা করে, পার্থিব সচ্ছলতা, সন্তান কামনা, প্রভৃতির মাধ্যমে শির্ক করে৷ কেয়ামতের দিন এই মুরিদ বা এই মাজারের অনুসারী গন নিজ নিজ পীর আউলিয়ার সুপারিশ দাবী করলে তাঁরা তাতে অক্ষমতা দেখিয়ে তাদের চিনিনা বলবেন৷ তাদের যাবতীয় মাজার প্রীতির কার্যকলাপকে অস্বীকার করে বলবেন, তোমরা কি করেছ না করেছ তা আমরা কিছুই জানিনা, তোমরা আমাদের উপাসনা করোনি, আল্লাহ সাক্ষী আছেন৷

(ফেরেশ্তার মূর্তি বানিয়ে উপাসনার কথা সুরা ‘নুহ’ তে পাওয়া যাবে)

২৯/فَكَفَى بِاللّهِ شَهِيدًا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ إِن كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَافِلِينَ

অর্থ;-বস্তুতঃ আল্লাহই আমাদের ও তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট যে, তোমাদের উপাসনা সন্মন্ধে আমরা ছিলাম সম্পূর্ণ গাফেল৷

# অতএব, মুমিন মুসলীম ভাইয়েরা আসুন, রসুল সঃ এর নির্দেশীত পথে সরাসরি আল্লাহর সাথে যোগ সূত্র স্থাপন করি৷ এমন শির্ক থেকে দূরে থাকি৷ অভাব অভিযোগ, যাকিছু ফরিয়াদ তার কাছেই করি৷

৩০/هُنَالِكَ تَبْلُو كُلُّ نَفْسٍ مَّا أَسْلَفَتْ وَرُدُّواْ إِلَى اللّهِ مَوْلاَهُمُ الْحَقِّ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُواْ يَفْتَرُونَ

অর্থ;-সেখানে প্রত্যেকে নিজ নিজ পূর্বকৃত আমল যাচাই করে নেবে এবং তাদেরকে তাদের প্রকৃত অভিভাবক আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে আনা হবে৷ আর তাদের কাছ থেকে উবে যাবে তারা যা মিথ্যা উদ্ভাবন করত৷

# উক্ত উপাস্য অপদেবতা বা মাজারের বাসিন্দা আল্লাহর ওলী আউলিয়াদের কাছে প্রত্যাখ্যত হয়ে সকলে আল্লাহর কাছেই ফিরে আসবে আর যার যার হিসাব বুঝে নিয়ে দেখবে, তাদের সে কল্পনার সুপারিশ কারিদের জন্য যতপুণ্যই করেছিল তার কোনই বিনিময়ই সেখানে নেই৷

বিষয়: বিবিধ

১৮৭০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

318695
০৭ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার মত যোগ্যতা আমার নেই। হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন।।
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৩৯
259974
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলকে মাফ করে দিক৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
318702
০৭ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৪০
259976
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ৷
318706
০৭ মে ২০১৫ রাত ০৮:০০
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আমরা আল্লাহ্ তাআলার শোকর আদায়ের জন্য যে নির্দেশ দিয়েছেন আর যাহা করতে নিষেধ করেছেন, আমাদের জীবনে সেভাবে ঢেলে সাজিয়ে তুলি। কেননা শুকরিয়াকারীদের জন্য উত্তম পুরস্কারের ওয়াদা করেছেন। তাছাড়া শুকরিয়া আদায়কে নেয়ামত বৃদ্ধির কারণ সাব্যস্ত করেছেন এবং একে সন্তুষ্টির একটি উদ্দেশ্য হিসেবে কুরআনে বলা হয়েছে।
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৪১
259978
শেখের পোলা লিখেছেন : অর্থবহ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷
318708
০৭ মে ২০১৫ রাত ০৮:০৭
আফরা লিখেছেন : চাচাজান আমার ও এরকম হয় যেদিন পরিক্ষা থাকে সেদিন ফজরে মামনির ডেকে তুলতে হয় না আমি আগেই উঠে নামাজ পড়ি । কিন্তু অন্যদিন মামনি না ডাকলে উঠতে পারি না ।
আল্লাহ আমাকে যেন ঈমানী মজবুতী দান করেন সে দুয়া করবেন চাচা জান ।

এ পর্বটা একটুবেশী ভাল লেগেছে আমার আরও কয়েকবার পড়তেহবে তাই প্রিয়তে নিয়ে নিলাম ।

জাজাকাল্লাহ খাইরান চাচাজান ।
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৪৩
259979
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ আার ক্ষুদে মায়ের মহত ইচ্ছা পুরণ করুক৷ আমিন৷ শেভেচ্ছা নিও৷
318762
০৭ মে ২০১৫ রাত ১১:৫৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam, jajakallah for your important piece of writing.
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৪৫
259981
শেখের পোলা লিখেছেন : অ আলাইকুমুসসালাম ৷আল্লাহ আমাদের এ ওয়ার্নিিং বোঝার তৌফিক দিন৷আমিন৷ধন্যবাদ৷
318771
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৩১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

দুনিয়ামুখী জং ধরা গাফেল হৃদয়কে হিদায়াত পানে আানার জন্য কোরআন অমোঘ নির্যাস যার আহবানে শুষ্ক হৃদয় সিক্ত হয়!

আপতিত বিপদে কি বা সুখে সবসময় আল্লাহ অভিমুখে যেনো থাকতে পারি, উনার স্মরনে কৃতজ্ঞতায় ভরপুর থাকুক জীবন-প্রান!

চমৎকার শিক্ষামূলক রুহানী কল্যানকর পোস্টের জন্য শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খইর! Good Luck Praying
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৪৬
259983
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন৷ আপনাকে নেক ধন্যবাদ৷
319145
১০ মে ২০১৫ রাত ০৩:৫০
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ যুক্তিনির্ভর পোষ্ট দেয়ার জন্য। আমাদের বুঝের মাঝে এখন্ও যোজন যোজন সমস্যা। শহীদ হতে চাই। বিপ্লব চাই। বিপদ আসলে উল্টো বলি হায় আল্লাহ, আমার সাথে এমন কর ক্যন? সত্যেকারের কোন মুসলিম দুনিয়ার জিন্দেগীকে প্রাধাণ্য দিতে পারেনা। আমরা তো দুনিয়াটা পুৃরো কিনে ফেলতে প্রস্তুত। ধন্যবাদ।
১০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:১২
260279
শেখের পোলা লিখেছেন : এটাই দুনিয়ার মোহ আর শয়তানের উস্কানি৷৷ আললাহ আমাদের এর থেকে দূরে থাকার তৌফিক দিক৷ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File