ঃঃঃঃঃঃদুষ্ট জনের মিষ্ট কথাঃঃঃঃঃঃঃ
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:৩০:৫০ রাত
জীবনের অনেক সঞ্চয় বয়সের সাথে হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলেও কিছু কিছু আজও মনের এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে গেছে৷ আজ অনেক দিন পরে হঠাৎ করে শেখ সাদী রঃ এর একটা উক্তি মনে পড়ল৷ অবশ্য তাকে খুঁচিয়ে জাগিয়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের বর্তমান সিটি নির্বাচনে কিছু দায়ীত্ববান মানুষদের মূল্যবান উক্তিকে দায়ী করা যেতে পারে৷
সেখ সাদী সাহেব জনগনের জন্য অনেক উপদেশ রেখে গেছেন, যার মধ্যে একটি হল;-‘আকেবাতে গর্কেজাদাহ গর্ক শুধ, গর্চে বা আদমী বুজুর্গ শুধ’৷যার বাংলা করলে হয়, ব্যাঘ্র শাবক ব্যঘ্রই হবে অবশেষে/যদিও সে পালিত হয় ভদ্র মনুষ্য পরিবেশে৷ বাঘের বাচ্চাকে যদি কেউ ভদ্র মানুষের পরিবেশে বড় করে তোলে তুও সে বাঘেরই বাচ্চা৷ সেকি মাংস খাওয়া ভুলে যবে? যাবেনা৷ কেননা এটি তার জন্মগত স্বভাব৷ হয়ত একদিন তার সেই স্বভাব মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, আর তার মুনিবকেই আক্রমন করবে৷ তাই কোন অবস্থাতেই তাকে নিরামিষাশী বলে বিশ্বাস করা ঠিক নয়৷
কিন্তু অবাক হবার বিষয়, কুকুর ও ঘোড়া এর থেকে কিছুটা আলাদা৷ মরহুম শেখ সাদী সাহেবের আরও একটি উক্তির দু লাইনের প্রথম লাইনটি মনে আসছে না (কারও জানা থাকলে মনে করিয়ে দিতে অনুরোধ রইল) দ্বিতীয় লাইনটি হল;-‘সাগে আসহাবে কাহাফ ব রোজে চান্দ মরদুম শুধ’৷ যার অর্থ, আসাবে কাহাফের কুকুরটি অল্প দিনেই মানুষ হয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ মানুষের আচরণে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছিল৷
ছোট বেলায় বাড়িতে কুকুর পোষার সখ আমারও ছিল৷ আমাদের সংসরে আমরা তাকেও আমাদের সদস্যের মতই মনে করতাম৷ বাজারে কসাইয়ের দোকান থেকে গোশ্তের ছাঁট এনে দিতাম, তার সাথে খুদ ও মশলাদিয়ে আমার মা তার জন্যে আলাদা খিচুড়ী রান্না করে খাওয়াত৷ ফলে সে আমাদের একান্ত আপন হয়ে যেত৷ আমাদের রান্নাঘর খোলা থাকলেও কোনদিন সে হাঁড়তে মুখ দিতনা,বরং দরজায় পাহারা দিয়ে বসে থাকত৷ খুলনায় আসার পরও আমার কুকুর পালা অভ্যাস যায়নি৷ আমার অফিস যেতে প্রায় এক কিলো মিটার দূরে নদী পার হয়ে যেতে হত৷ কুকুরটি কতদিন আমি বা আমার মায়ের সাথে এসে নদীর পানিতে নেমে দাঁড়িয়ে থাকত৷ আবার বাড়ি ফিরে যেত৷
আর ঘোড়ার কথা আল্লাহ তায়ালা নিজেই সুরা ‘আদিয়াতে’ বলেছেন, তিনি সাধারণ একটি ঘোড়ার সাথে মানুষের তুলনা করে শিক্ষা দেবার চেষ্টা করেছেন৷ ঘোড়ার মনিব শুধু মাত্র তাকে যত্ন করে পালন করে আর আহার যোগাড় করে দেয়, তাতেই সে তার মনিবের এত কৃতজ্ঞ যে তাকে পিঠে নিয়ে তলোয়ার বর্শা তীরের ভয়কে তুচছ্করে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আগুনে ঝাঁপ দেয়৷ অথচ মানুষকে আল্লাহ সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, বাক বুদ্ধি বিবেচনা দিয়েছেন, পৃথিবীর যাবতীয় তার অধীনে করেছেন, আহার বাসস্থান, বসন রষণা দিয়েছেন, তার পরও তারা আল্লাহর আদেশ নিষেধ মানেনা৷ তার জন্য জীবন দেওয়াতো দূরের কথা৷
অনেক পেচাল করে আপনাদের সময় নষ্ট করলাম৷ এবার গোড়ার কথায় ফিরে যাই৷ সিটি নির্বাচনে আর একবার প্রমান হল যে, শেয়াল মাংশ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে বল্লেও মোরগের উচিৎ নয় তার সাথে বন্ধুত্ব করা৷
বিষয়: বিবিধ
১০৮৬ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন শুধু জাতির বাবা আর তাদের বংশধর রাই উপদেশ দিবেন!
ধন্যবাদ চাচাজান সুন্দর লিখার জন্য ।
শুকরিয়া ভাইয়া!
এখন শুধু জাতির বাবা আর তাদের বংশধর রাই উপদেশ দিবেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন