## নবীরশিক্ষা ##
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩০:০৫ সকাল
রোজকার মত বসিয়া রসুল দ্বীনের আলাপে রত,
চারিদিকে তাঁর সাহাবা সকল, মস্তক অবনত।
সহসা চাহিয়া দেখেন নবী, সালামের রেশ ধরে,
বালকের সাথে মহীলা এক দাঁড়ায়ে রয়েছে দূরে।
ফিরায়ে সালাম, বিনয়েরস্বরে জানিতে চাহেন তিনি,
কিবা প্রয়োজনে আসিলে হেথায় বল মোরে তাই শুনি।
মহীলা জানায়, বিধবা আমি এইটি আমার ছেলে,
বড় জেদী সে, আমাকে জ্বালায় মিস্টি না খেতে পেলে।
আপনার কাছে অনুরোধ করি, বুঝায়ে বলুন তারে,
অসহায় মা কেমনে সদাই মিষ্টি যোগাতে পারে!
কহিলেন নবী অনুরোধ করি শোনো গো জননী তবে,
সপ্তাহ পরে যদি আরবার আস বড় উপকার হবে।
মহীলা গেলেন চলি’ আচ্ছা তাই হবে বলি’
সপ্তাহ বাদে সন্তান সাথে আবার আসিল চলি’।
মাথায় রাখিয়া হাত বালকে নরম মধুর সুরে,
বলিলেন নবী জেদ করো নাকো মিষ্টি খাবার তরে।
মা টি তোমার গরীব আর বিধবা ও সেই সাথে,
দোওয়া করি খুশী হবে তায় যা দেয় যখন হাতে।
সাহাবী এক আরজ করিল, মহীলা চলিয়া গেলে,
কথা গুলি কি হতনা বলা, সেদিন বলিয়া দিলে!
কহিলেন নবী, শোন মোর সাথী সাহাবীরা সব যত,
মিষ্টি খাওয়ার আছে অভ্যাস মোর ঠিক বালকেরই মত।
এ কটা দিন বিরত থাকিয়া যাচাই করিনু মোরে,
কষ্ট আমার হয়কি কিছু, একথা জানার তরে।
সাতটি দিনের সময় ভিক্ষা নিতে হল তাই মোরে,
নিজে অপরাধী, উপদেশ দেব অন্যে কেমন করে?
বিষয়: সাহিত্য
১০৪১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অ সা ধা র ন! মা শা আল্লাহ! চমৎকার শব্দে গুচ্ছে মায়াকাড়া লিখা!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন