ডাক দিয়ে যাই

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৪ মার্চ, ২০১৩, ১০:১০:০৩ রাত



“অ ইযা ক্বুরেয়াল ক্বুরআনো ফাস্তামেয়ু লাহু অয়া আনসিতু লায়াল্লাকুম তুরহামু-ন৷” পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যখন কোরআন পড়া হয়, (পড়তে শোনা যায়) তখন মনযোগ দিয়ে শোনো আর চুপ থাকো, হয়তো রহমত পেতেও পার৷ সধারণ ভাবে শোনা নয়, যে শব্দট ব্যবহার করা হয়েছে তাতে মনযোগ সহকারে শোনার কথা বলা হয়েছে৷ এত গেল যখন কোরআনের আওয়াজ শোনাযায় তখনকার ব্যাপার৷ কিন্তু যখন কোরআনের কোন কথা কাগজে লেখা অবস্থায় পাওয়া যায়, তখন তাকে পড়া বা বোঝার কোন তাকিদ আছে কিনা তা আমার জানা নেই৷ তবে এটুকু বেশ জানি, যখন পাঁচ টাকার একটা পত্রিকা কিনি তখন তার প্রতিটি অক্ষর লাইন বেশ বুঝে না পড়া পর্যন্ত ছাড়িনা৷ আর বিশ্বাস করি আমরা সবাই তার পাঁচ টাকা ওসুল করেই ছাড়ি৷

আল্লাহ বলেন, ‘অযথা আমি এ পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি৷’ অতএব তার একটা উদ্দেশ্য আছে৷ আবার মানুষ সৃষ্টির সময় বললেন, মনুষকে আমি পৃথিবীতে আমার খলিফা বা প্রতিনীধি করে পাঠাব৷ পাঠালেনও৷ যে টুকু জ্ঞান দেয়ার তা সঙ্গে দিলেন৷ কিন্তু তার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য খলিফার নিশ্চয়ই কিছু নিয়ম কানুন, পদ্ধতি জানার দরকার তাই, আসমানী কিতাব দূত মারফত পাঠাবার ব্যবস্থাও করলেন৷

প্রত্যেকটি কিতাবই সেই যুগের মানুষের বিবেক বুদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই পাঠালেন৷ সেই ধারারই শেষ বিধি বিধানই হল পবিত্র কোরআন৷ খলিফাদের জন্য এটাই হল খেলাফতির পাথেয়, আল্লাহর উদ্দশ্য বাস্তবায়নের সংবিধান৷

কিন্ত তার খলিফারা এখন অনেক বুদ্ধিমান, আসল মালিক বা প্রভু যিনি তাকে পোষ্টিং দিলেন তাকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের সংবিধান নিজেরাই বানিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর সফল করার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ কেউ কেউ আবার আরও অগ্রসর হয়ে সেই নিয়োগ দাতাকেই ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে৷ যদিও তারা বেশ জানে, যে কোন সময় তার নিয়োগ ক্যানসিল হতে পারে, তাকে হেড অফিসে ক্লোজ করে শো-কজ করা হতেই পারে৷

যাক, এখন আসল কথায় আসি৷ হজরত ওসমান রাঃ একটি হাদীশের বরাতে বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যাক্তি যিনি কোরআন শেখেন ও শিখান”৷ এটা হাসিল করার যোগ্যতা আমার নেই, কারণ নিজেই জানিনা তা অপরকে কি শেখাব? আর একা হাদীশের বরাত দিয়ে হজরত আলী রাঃ বলেছেন, “যিনি কোরআনের মাধ্যমে কিছু বল্লেন, তিনি সত্য বললেন৷ যিনি কোর আনের মাধ্যমে বিচার ফায়সালা করলেন, তিনি ন্যায় বিচার করলেন৷ আর যিনি কোরআনের মাধ্যমে (দ্বীনের) দাওয়াত দিলেন, তার সিরাতুল মুতাকীম নিশ্চিত”৷ এখানে যে শব্দটি ব্যবহার হয়েছে তা গ্যারান্টি দিতেই ব্যবহার হয়৷ তো এইটা আমার মত অনেকের জন্যই সহজ৷ তাই আমি চেষ্টা করছি, আপনারাও আসুন এ কাজ সঠিক ভাবে করে সীরাতুল মুস্তাকীম বা হেদায়েত অর্জন করি৷

এস বি একটি অত্যন্ত জনপ্রীয় ব্লগ ছিল৷ বিডি টুডে ওআস্তে আস্তে জনপ্রীয় হয়ে উঠছে, তবে এখনও অনেক কিছু সহজেই (এস বির মত) আয়ত্ব করা যায়না৷ আশাকরি অচিরেই হবে৷ এস বিতে প্রায় দু বছর আমি একটা অত্যন্ত সুন্দর সংক্ষীপ্ত সহজ উর্দূ তাফসীরকে বাংলায় ধারা বাহিক ভাবে অনুবাদ করে যাচ্ছিলাম৷ কিন্তু দুঃখ হয় তা যেমন বন্ধ হওয়াতে তেমনই যেখানে হাজারের অধিক পাঠক ছিল, সেখানে ইসলামী কোন লেখায় ৫০ জনের বেশী পাঠকক হয়েছে বলে মনে হয়না ৷ অন্ততঃ আমার অনুবাদে হয়নি৷ এখানেও প্রকাশের ইচ্ছা আছে৷

কোরআন সুন্দর লাল গেলাফে জড়িয়ে অতি যত্ন করে শো কেসে তুলে রাখা আর মৃত্যু যন্ত্রনা লাঘব বা ইসালে সওয়াব আর তাবিজ কবজ বানানোর জন্যই আসেনি৷ সংবিধানের হেডিংয়ে দেশের কোন ‘আইন কোরআন সুন্নাহর বহির্ভূত হবেনা’ লিখেই দায়ীত্ব শেষ করার জন্য আসেনি৷ একে জীবনের সকল ক্ষেত্র পয়োগ করতে হবে৷ আল্লাহ বলেন, “তারা চায় মুখের ফুৎকারে আল্লহর নূরকে নির্বাপীত করতে, কিন্তু আল্লাহ তার নূরকে পূর্ণতায় পৌঁছানো ব্যাতিরেখে কিছুই চাননা” আল্লাহর এই মিশনে আপনার আমার অবদান কি তা কাউন্ট হবে৷ আসুন তাই যে যতটুকু পারি অবদান রাখি৷

আল্লাহ বলেন, “আমি এ স্মরণীকা অবতীর্ণ করেছি, একে সংরক্ষণের দায়ীত্বও আমার”৷ আজ চৌদ্দশত বছর তা সংরক্ষিতই আছে৷ তার চ্যলেঞ্জ গ্রহন করে কোন তসলীমা কোন, রুশদী, কেউই দু কলম লিখে মিথ্যা মিথ্যিও হাজির করার সাহস পায়নি৷

-আব্দুস সামাদ৷

বিষয়: বিবিধ

১৩৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File