নভোমণ্ডল ও ভূমঞ্জণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই৷ তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান৷ তিনি সব কিছু করতে সক্ষম৷
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৩৬:২৬ রাত
(ডঃ ইসরার আহমদ সাহেবের উর্দু বয়ানুল কোআনের বাংলা অনুবাদ) ৷ মুসলীম দাবীদারদের পড়া জরুরী৷
(৫৭) সুরা আল হাদীদ (মাদানী) রুকু ৪টি আয়াত ২৯টি
শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ গ্রুপের মাদানী সুরার অংশ৷ এখানে একাধারে দশটি মাদানী সুরা রয়েছে৷ যার একটি বাদে সব কটি সুরা নাজিল হয় রসুল সঃ এর মাদানী জীবনের শেষাংশে, পঞ্চম হিজরীর পর৷ আয়তনে নয় সংখ্যার বিচারে পবিত্র কোরআনে মাদানী সুরার এটিই বড় গুচ্ছ৷ সুরা হাদীদ হতে সুরা তাহরীম পর্যন্ত৷ এখানে তৌহীদের উচ্চ মার্গের বর্ণনা হয়েছে৷ পাঁচটি সুরা শুরু হয়েছে ‘সাব্বাহা’ বা ‘ইয়ু সাব্বেহ’ শব্দ দ্বারা, যা একাধারে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে ঘেরাও করে রয়েছে৷ বিশ্ব জগতে এমন কিছুই কোনদিন ছিলনা, নাই আর থাকবেও না যা মহান আল্লাহর তাসবীহ বা পবিত্রতাও মহানুভবতা বর্ণনা না করে৷ এমনকি আমাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিও এক সময় এ কাজে শামিল হবে৷
এ পাঁচটি সুরাকে ‘মুসাব্বেহাত’ বলে৷ কেউ কেউ সুরা ‘আলা’ কেও এতে শামিল করেন, কিন্তু সেটি কিছু আলাদা যাতে হুকুম করা হয়ে স্বতস্ফুর্ত নয়৷ এ সুরাগুলির বিষয় বস্তু মূলতঃ তৌহীদের ধাক্কায় মুসলীমদের সুপ্ত চেতনা ও দূর্বলতা থেকে জাগ্রত করা৷ বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে, তোমাদের কি হয়েছে, তোমরা আল্লাহতে ইমান আনছ না, আল্লাহর পথে খরচ করছ না? রসুলের মক্কী জীবনে যারা ইমান এনেছিলেন, তাদের মাঝেও দৃঢ়তার তারতম্য অবশ্যই ছিল, তবে ধোঁকা দেবার জন্য কেউই ইমান আনেননি৷ তাই বলা হয়েছিল দশজন কাফেরের মোকাবেলায় একজন মুমিন যথেষ্ট৷ মদীনায় আসার পর মুসলীমদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় কিন্তু ঐ গড় নেমে দুইজন কাফেরের মোকাবেলায় একজন মুমিন হয়৷ সুরা ‘আনফাল’এ কারণ হিসেবে বলা হয় যে, তোমাদের মাঝে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে৷ মুসলীমদের সংখ্যাধিক্যের সাথে সেই দুর্বলতার গড়ও বাড়তে থাকে৷
মদীনায় অনেকেই দেখাদেখি বা গোত্রের অন্যেরা ইমান এনেছে ঠিক আছে আমিও আনলাম, এমনটাতো ছিলই৷ তাছাড়া ধোঁকা দেবার জন্যও অনেকে ইমান এনে মুসলীমদের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে, সাথে মানুষের মাঝে জেহাদের স্পৃহা, শাহাদাতের আকাংখ্যা ও আল্লাহর পথে সম্পদ খরচের আগ্রহও কমতে থাকে৷ তাদেরই জাগিয়ে তোলার প্রয়াস এ সুরাগুলিতে করা হয়েছে৷ যেহেতু এখানে মোনাফেকরাও শামিল আছে, তাই অনেকে সুরা গুলির বক্তব্যকে শুধুই মোনাফেকদের জন্যই বলে মনে করেন৷ এটি এ জন্য সঠিক নয় যে, মোনাফেকদের জন্য আলাদা একটি সুরাই এ গুচ্ছে রয়েছে৷৷
আমরা যারা বাই চান্স বা পারিবারিক ভাবে মুসলীম, মুসলীম পরিবারে জন্মাবার কারণে আল্লাহ, রসুল, আখেরত, কোরআন, কলেমা, নামাজ, রোজা ইত্যাদী গুলো শিখে নিয়েছি৷ আমাদের অবস্থা ঐ বেদুইনদের মত, সুরা ‘হুজরাতে’ যাদের বলা হয়েছে, যে তারা মুমিন হতে পারেনি মুসলীম হয়েছে, কেননা তাদের অন্তরে ইমান প্রবেশ করেনি৷ আর তাই, আল্লাহর পথে সম্পদ খরচের আগ্রহ, জেহাদের স্পৃহাও শাহাদাতের আকাঙ্খা আমাদের জন্মায়নি৷ এ সুরাগুলি থেকে আমাদেরও শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজন আছে৷ এই দশটি সুরা যিনি হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবেন, যেন তিনি পুরো কোরআনের সারাংশ বুঝে গেলেন৷
সুরা আল হাদীদ রুকু;-১ আয়াত;-১-১০
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
এ রুকুর প্রথম ছয়টি আয়াতে দর্শণ ও যুক্তির বিচারে তৌহীদ বর্ণনার শীর্ষে রয়েছে৷
১/سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থ;-নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যাকিছু আছে সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে৷
# সুরা ‘বণী ইস্রাঈলে’ আমরা জেনে এসেছি যে জগতের সকল কিছুই আল্লাহর প্রশংসা, পবিত্রতা বর্ণনা করে৷ সুরা ‘হামীম আস সাজদাহে’ বলা হয়েছে যে, কেয়ামতের দিন আমাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলিকে বাক শক্তি দেওয়া হবে, তারাও তা করবে৷ এ আয়াতেও রয়েছে তারই প্রতিধ্ধনি৷
শিল্পকর্ম বা সৃষ্টি তার কারিগরের দক্ষতা ও ব্যর্থতার স্বাক্ষর বহণ করে৷ একটি জনন্ন্দিত ছবি যেন বলতে থাকে, ‘দেখ, আমার শিল্পি কতখানি সফল, কত শ্রেষ্ঠ’৷ তেমনই নভোমণ্ডলে আর ভূমণ্ডলে যা কিছু সৃষ্টি তা গৌরবের সাথে আপন সৃষ্টি কর্তার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করে চলেছে৷
‘আল আজিজ’ অর্থ সর্বময় ইচ্ছাও পছন্দের অধিকারী৷ রাজনীতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ইচ্ছা ও পছন্দ সেচ্ছা চারিতার জন্ম দেয়৷ তাকে আয়ত্বে রাখতে আইন প্রনয়ন হয়৷ কিন্তু আল্লাহ ক্ষেত্রে তিনি ‘আজিজ’ শব্দের সাথে ‘হাকিম’ শব্দ জুড়ে দিয়ে নিজেই নিজের সমতা রক্ষা করেছেন৷ অর্থাৎ তিনি হেকমত ছাড়া কোন কিছুই করেন না৷ আর তিনিই শ্রেষ্ঠ হেকমত ওয়ালা৷
২/لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ;-নভোমণ্ডল ও ভূমঞ্জণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই৷ তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান৷ তিনি সব কিছু করতে সক্ষম৷
৩/هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
অর্থ;-তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশ্য, তিনিই গুপ্ত৷ তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত৷
# ইমাম রাজী রঃ তাফসীর করতে করতে এ আয়াতে এসে উঠে দাঁড়ালেন ও বল্লেন, ‘এয়লাম হাজাল মুকামা মুকামুন গামেজুন, মহীতুন, আমীকুন’৷ অর্থাৎ-জেনে রাখ, এ আয়াতের গভীরতা সমুদ্রের ন্যায় ও সূদুর প্রসারী৷ এ আয়াত বোঝার জন্য রসুল সঃ এর একটি দোওয়া সহায়ক হতে পারে৷ তিনি দোওয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, সৃষ্টির আদীতে যখন কেউ ছিলনা, কিছুই ছিলনা, তখন একমাত্র তুমিই ছিলে৷ আবার যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, কিছুই অবশিষ্ট থাকবে, এক মাত্র তুমিই থাকবে৷ তুমি এতই প্রকাশ যে তোমার উপরে আর কিছুই প্রকাশ হওয়ার নেই, আবার এতটাই গুপ্ত যে তোমার নীচেও আর কেউ নেই৷ আর তুমি সর্ব বিষয়ে সবজান্তা৷
৪/هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنزِلُ مِنَ السَّمَاء وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
অর্থ;-তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে৷ অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন৷ তিনি জানেন যা ভূমীতে প্রবেশ করে ও যা ভূমী হতে নির্গত হয় এবং যা আকাশ হতে নামে ও যা আকাশে উত্থিত হয়৷ তিনি তোমাদের সাথে আছেন, তোমরা যেখানেই থাক৷ তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন৷
# জমীতে পানি ও বীজ প্রবেশ করে আর লতা গুল্ম বৃক্ষ ও ফসলাদি উৎপন্ন হয়৷ বাষ্প আসমানে ওঠে, ফেরেশ্তা মানুষের দৈন্ন্দিন আমল নামানিয়ে, রূহ নিয়ে উপরে ওঠেন৷ আসমান থেকে পানি নামে, বজ্র নামে, ফেরেশ্তা নামেন রূহ নিয়ে, ওহী নিয়ে, সুসংবাদ অথবা আজাব নিয়েে৷ এ সমস্তই আল্লাহর দৃষ্টি সীমার ভিতরে চলে৷
৫/لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الأمُورُ
অর্থ;-ভূমণ্ডল ও নভোমণ্ডলের রাজত্ব তাঁরই৷ সব কিছু তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে৷
৬/يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَهُوَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
অর্থ;-তিনি রাত্রীকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাতে৷ তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত৷
# লক্ষ্যনীয় যে ‘ইলম’ শব্দটি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এসেগেছে৷
৭/آمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَأَنفِقُوا مِمَّا جَعَلَكُم مُّسْتَخْلَفِينَ فِيهِ فَالَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَأَنفَقُوا لَهُمْ أَجْرٌ كَبِيرٌ
অর্থ;-তোমরা ইমান আন আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রতি এবং তিনি তোমাদেকে যা কিছুর উপরে প্রতিনিধিত্ব দিয়েছেন তা থেকে খরচ কর৷ অতএব, তোমাদের মধ্যে যারা ইমান আনে ও ব্যয় করে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরষ্কার৷
# সুরা ‘হুজরাতের’ ১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘প্রকৃত মুমিনতো তারাই যারা, আল্লাহ ও তার রসুলের উপর ইমান এনেছে এবং কখনও সন্দেহ করেনি এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে জেহাদ করেছে, তারাই সত্যবাদী লোক৷’ এ আয়াতেও সে কথাকে শাখা প্রশাখা সমেত বলা হয়েছে৷ আল্লাহ ও রসুলের উপর সন্দেহাতীত ভাবে বিশ্বাস আর মালিকানাধীন প্রত্যেক বস্তু যেমন, শরীর, বিদ্যা বা জ্ঞান, সম্পদ, সন্তান প্রভৃতি সহ আ্লাহর দ্বীনের জন্য জেহাদ ও তাঁর নির্দেশিত পথে ব্যয়৷ এ দুটি যারা করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরষ্কার৷
৮/وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالرَّسُولُ يَدْعُوكُمْ لِتُؤْمِنُوا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيثَاقَكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
অর্থ;-তোমাদের কি হল যে তোমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছ না৷? অথচ রসুল তোমাদেরকে তোমাদের রবের প্রতি ইমান আনার দাওয়াত দিচ্ছেন! আল্লাহতো পূর্বেই তোমাদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন৷ যদি তোমরা মুমিন হও৷
# দূর্বল চিত্তের মুমিনদের ঝাঁকি দিয়ে সচেতন মূলক আয়াত এটি৷ রসুল সাথেই রয়েছেন, ইমানের দাওয়াত দিচ্ছেন তবুও তাদের চেতন ফিরছে না৷ অথচ আগেই আল্লাহ সকল মানুষের কাছে অঙ্গীকার নিয়েই রাখছেন৷ প্রথম অঙ্গীকার ছিল রূহ সৃষ্টির পর, ‘আলাসতো বে রব্বীকুম’, সবাই হাঁ বলেছিল৷ এ ছাড়াও মুমিনরা ‘সামে’না ও আতা’না’ বলেও অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে, সর্বোপরি মুমিনদের জান ও মাল জান্নাতের বদলে আল্লাহ কিনে নিয়েছেন৷ সেই জান্নাতের আশা করতে হলে, অলসতা, দূর্বলতা ছেড়ে, যার জিনিষ তারে দিতে তৈরী হও৷
৯/هُوَ الَّذِي يُنَزِّلُ عَلَى عَبْدِهِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ لِيُخْرِجَكُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَإِنَّ اللَّهَ بِكُمْ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
অর্থ;-তিনি সেই সত্তা,যিনি তাঁর বান্দার উপর স্পষ্ট আয়াত সমুহ অবতীর্ণ করেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোয় বার করে আনতে পারেন৷ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি করুনাময়, পরম দয়ালু৷
# সুরা ‘শুরা’য় রসুল সঃ কে বলা হয়েছে, আপনিতো জানতেননা যে, কিতাব কি৷ এবং এও জানতেন না যে ইমান কি৷ আমি কোরআনকে এক জ্যোতি করেছি যার সাহায্যে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শণ করে থাকি৷ নিশ্চয় আমি এর সাহায্যে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করি৷
১০/وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا يَسْتَوِي مِنكُم مَّنْ أَنفَقَ مِن قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُوْلَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِينَ أَنفَقُوا مِن بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
অর্থ;-তোমাদের কি হল যে তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয়করছ না? অথচ আসমান ও জমীনের ওয়ারিশ তো আল্লাহই৷ তোমাদের মধ্যে যারা বিজয়ের পূর্বে খরচ করেছ ও কেতাল করেছে,তারা মর্যাদায় উচ্চ ওদের চাইতে যারা বিজয়ের পরে ব্যয় করেছে ও কেতাল করেছে৷ তবে আল্লাহ উভয়কেই কল্যানের ওয়াদা করেছেন৷ তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত৷
# বিজয়ের সূচনা হয় হুদায়বিয়ার সন্ধীর মাধ্যমে৷ কিন্তু তা ছিল অপ্রকাশ্য বিজয়৷ তথন মুসলীমের সংখ্যা প্রকাশ্য বিজয় অর্থাৎ মক্কা বিজয়ের সময় অপেক্ষা অবশ্যই কম ছিল এবং শক্তিতেও দুর্বল ছিল৷ আর ছিল বিপদ সংকূল অবস্থায়৷ ঐ সময়ে যারা জান মাল বাজী রেখে জেহাদে গেছেন কেতাল বা যুদ্ধ করেছেন, তাদের মর্যাদা উচ্চতর যারা বিজয়ের পরে ঠিক সে কাজটিই করেছেন, তাদের অপেক্ষা৷ কিন্তু মহান আল্লাহ উভয়ের জন্যই কল্যান দানের ওয়াদা করেছেন৷
বিষয়: বিবিধ
১০৭২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহা গ্রন্থ পবিত্র কোরআনুল কারীমের তাফসির ভিত্ত্বিক সুন্দর উপস্হাপনার জন্যে জাযাকুমুল্লাহু খাইরান হে শ্রদ্ধেয়!
ইসলামের প্রকৃততা ভূলে গিয়ে- জিহাদের প্রতি স্পৃহা,শাহাদাতের তামান্না ও আল্লাহর রাহে স্বীয় সম্পদ খরচে অনিহা মুসলিমদের বর্তমান অপদস্থতার মূল কারণ!
আল্লাহ আমাদের হরফাযত করুন! আমিন!!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ভন্ড মোহাম্মদের আল্লার ভোগিযোগি কথা বলে মানুষকে ভয় দেখানোর দিন আর নেই। আল্লা/মোহাম্মদ জপ করে করে বর্বর মুসলিমরা পঁচে গেছে। আর কত, এখন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আমরা এখন নিজেরা নজরুলের ভাষায়
"হিন্দু না মোরা মুসলিম নিজেরাই নাহি জানি"
মন্তব্য করতে লগইন করুন