"যারা আল্লাহ ও রসুলে বিশ্বাস করে না, আমি তাদের জন্য জ্বলন্ত আগুন প্রস্তুত রেখেছি৷"
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:৪৪:১৪ সকাল
(উ্দু বয়ানুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ)
সুরা আল ফাতহ রুকু;-২ আয়াত;-১১-১৭
সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু হতে যচ্ছে এ সুরার দ্বিতীয় রুকু৷ বিষয়টি পরের হলেও আগে স্থান পেয়েছে৷ তৃতীয় রুকুটি প্রথম রুকুর সাথে মিল রয়েছে৷
১১/سَيَقُولُ لَكَ الْمُخَلَّفُونَ مِنَ الْأَعْرَابِ شَغَلَتْنَا أَمْوَالُنَا وَأَهْلُونَا فَاسْتَغْفِرْ لَنَا يَقُولُونَ بِأَلْسِنَتِهِم مَّا لَيْسَ فِي قُلُوبِهِمْ قُلْ فَمَن يَمْلِكُ لَكُم مِّنَ اللَّهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ بِكُمْ ضَرًّا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ نَفْعًا بَلْ كَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
অর্থ;-মরুবাসীদের মধ্যে যারা রয়ে গিয়েছিল তারা বলবে, আমরা আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার পরিজজনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম অতএব, আমাদের জন্য ঞ্জক্ষমা প্রর্থনা করুন৷ তারা মুখে এমনকথা বলবে যা তাদের অন্তরেনেই৷ বলুন কার ক্ষমতা তোমাদেরকে আল্লাহর মোকাবেলা রক্ষা করবে, যদি তিনি তোমাদের কোন অনিষ্ঠ করতে ইচ্ছা করেন অথবা যদি তিনি তোমাদের কোন উপকার করতে চান৷ বরং তোমরা যা কর আল্লাহ সে বিষয়ে পরিপূর্ণ খবর রাখেন৷
# হোদায় বিয়া থেকে ফেরার পথে রসুল সঃ সিদ্ধান্ত নিলেন যে এই যাত্রায় তিনি খায়বার অভিযানে যাবেন৷ মদীনা হতে বহিষ্কৃত ইহুদীরা বেদুইনদের উসকানী দিয়ে সেখানে একটা শক্ত ঘাঁটি গড়েতুলেছিল৷ সেখানে বিজয়ের নিশ্চয়তা ও যথেষ্ট গনিমতের মাল প্রাপ্তির আশা ছিল, আর তাই বেদুইনের মধ্যের মোনাফেক যারা হোদায়বিয়া যায়নি বরং মুসলীম অভিযাত্রীদের বিষয়ে তাদের ধারণা ছিল যে, কেউই ফেরত আসবেনা, কোরাইশদের সাথে মোকাবেলা করার মজা বুঝবে, তাররাই এখন হোদায়বিয়ায় না যাওয়ার বিভিন্ন অজুহাত তুল ধরে খাইবার অভিযানে শামিল হতে চাইল এবং কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলল৷
রসুল সঃ তাদের দলভুক্ত করতে চাইলেননা, আরও বললেন যে কোন অনর্থ যদি ঘটে তবে তোমরা গেলেও ঘটবে, আরযদি কোন সাফল্য আসে তবে তোমরা না গেলেও ঘটবে৷
১২/بَلْ ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَنقَلِبَ الرَّسُولُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَى أَهْلِيهِمْ أَبَدًا وَزُيِّنَ ذَلِكَ فِي قُلُوبِكُمْ وَظَنَنتُمْ ظَنَّ السَّوْءِ وَكُنتُمْ قَوْمًا بُورًا
অর্থ;-বরং তোমরা ধারণা করেছিল যে, রসুল ও মুমিনগন আর কখনও তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসবে না৷ আর এ ধারণা তোমাদের অন্তরে বেশ সুখকর ছিল তোমরা মন্দ ধারণার বশবর্তী হয়েছিলে৷ তোমরা ছিলে ধ্বংস মুখী এক সম্প্রদায়৷
# আল্লাহ মোনাফেকদের মনের কথা প্রকাশ করে দিলেন৷
১৩/وَمَن لَّمْ يُؤْمِن بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ فَإِنَّا أَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ سَعِيرًا
অর্থ;-যারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলে বিশ্বাস করেনা, আমি সে সব কাফেরদের জন্য জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি৷
১৪/وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَغْفِرُ لِمَن يَشَاء وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاء وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
অর্থ;-নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই৷ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন৷ তিনি ক্ষমাশীল পরম মেহেরবান৷
১৫/سَيَقُولُ الْمُخَلَّفُونَ إِذَا انطَلَقْتُمْ إِلَى مَغَانِمَ لِتَأْخُذُوهَا ذَرُونَا نَتَّبِعْكُمْ يُرِيدُونَ أَن يُبَدِّلُوا كَلَامَ اللَّهِ قُل لَّن تَتَّبِعُونَا كَذَلِكُمْ قَالَ اللَّهُ مِن قَبْلُ فَسَيَقُولُونَ بَلْ تَحْسُدُونَنَا بَلْ كَانُوا لَا يَفْقَهُونَ إِلَّا قَلِيلًا
অর্থ;-তোমরা যখন গনিমতের মাল সংগ্রহের জন্য অগ্রসর হবে, তখন যারা পিছনে রয়েগিয়েছিল, তারা বলবে, আমাদেরকেও তোমাদের সাথে যেতে দাও৷ তারা আল্লাহর বাণী উল্টে দিতে চায়৷ বলুন, তোমরা কখনও আমাদের সাথে যেতে পারবে না, আল্লাহ আগেই এরূপপ বলেদিয়েছেন৷ তারা বলবে, বরং তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কর৷ বস্তুতঃ তারা খুবই কম বোঝে৷
# সকলের বিশ্বাস ছিল যে খয়বরে মুসলীমদের বিজয় হবেই, সেই সঙ্গে গনিমতের মাল৷ তাই পিছে থেকে যাওয়া মোনাফেকরা সহযাত্রী হতে আগ্রহী ছিল৷ কিন্তু আল্লাহ তাদের অন্তর্ভূক্তি আগেই নিষেধ বলেদিয়েছেন, যেকথা পরে পাওয়া যাবে, আগে নাজিল হলেও মোসহাফে পরে এসেছে৷ এ কথার পরে তারা মুসলীমদের বিদ্বেষী বলে দোষারোপ করবে৷
১৬/قُل لِّلْمُخَلَّفِينَ مِنَ الْأَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ إِلَى قَوْمٍ أُوْلِي بَأْسٍ شَدِيدٍ تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ فَإِن تُطِيعُوا يُؤْتِكُمُ اللَّهُ أَجْرًا حَسَنًا وَإِن تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُم مِّن قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
অর্থ;-গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদের (বেদুইন) বলেদিন, অচিরেই তোমাদেরকে এক পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে ডাকা হবে৷ তোমরা যুদ্ধ করবে যতক্ষন না তারা মুসলীম (ইমান,আনুগত্য) হয়৷ যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরষ্কার দেবেন৷ আর যদি পৃষ্ঠ প্রদর্শণ করো, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনা দায়ক শাস্তি দেবেন৷
# খায়বারে তোমাদের নেওয়া হচ্ছেনা ঠিকই, তবে তোমরা যখন যুদ্ধেযেতে এতই আগ্রহী তাহলে তৈরী ও তোমাদের এক শক্তিশালী কওমের সাথে লড়তে হবে৷ তোমরা তাদের সাথে ততক্ষন যুদ্ধ করবে যতক্ষন না তারা ইমান আনে অথবা বশ্যতা স্বীকার করে৷ সুরা তওবায় কোরাইশদের আল্টিমেটাম ছিল; ইমান আন অথবা মক্কা ছেড়ে যাও নয়ত নির্দিষ্ট সময় পরে হত্যা করা হবে৷ আর আরবের বাইরের জন্য অপশণ হল; ইমান আন অথবা বশ্যতা স্বীকার করে জিযিয়া দাও৷ এখানে পরাক্রান্ত কওম বলতে, বিরাট সজ্জিত সেনাবাহিনী ওয়ালা রোম সাম্রজ্যের কথা বলা হয়েছে৷ যোগদান কারী পেছনে থাকা বেদুইনদের জন্য্ থাকবে যোগদানে উত্তম পুরষ্কার আর পলায়ণে কঠোর শাস্তি৷
১৭/لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيضِ حَرَجٌ وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَن يَتَوَلَّ يُعَذِّبْهُ عَذَابًا أَلِيمًا
অর্থ;-অন্ধের জন্য, খঞ্জের জন্য ও রুগ্নের জন্য কোন অপরাধ নাই এবং যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে, তিনি তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়৷ পক্ষান্তরে যে পৃষ্ঠ প্রদর্শণ করবে তাকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দেবেন৷
# অন্ধ আতুর কিংবা রোগাক্রান্ত লোক যুদ্ধে না গেলে অপরাধ হবেনা, তবে তাকে অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করতেই হবে৷ যদি আনুগত্য থাকে তবে জান্নাত অন্যথায় শাস্তি৷
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আমরা এখন সেই বেদুইন দের মতই বসে আছে কখন এই অপশাসন এর অবসান হবে আরআমরা তারপর নিশ্চিত বিজয় এর জন্য যাব।
জাজাকাল্লাহ খাইরান চাচাজান ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন