"আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমাদের রবের কাছে এবং তারই দিকে ফিরে এস৷"
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৮:০১:২০ রাত
(উর্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)
সুরা হুদ রুকু;-৮ আয়াত;-৮৪-৯৫
‘বনু কাতুরা’ গোত্র, যারা আকাবা উপসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে বাস করত তারাই ছিল মাদীয়ানবাসী৷ তাদের মধ্যে শির্ক ছাড়াও লূত আঃ এর কওমের মত চারিত্রীক দোষ ছেয়ে গিয়েছিল, বানিজ্য কাফেলার চৌরাস্তায় তাদের বাসের কারণে উক্ত অঞ্চল জমজমাট ব্যবসা কেন্দ্রে পরিনত হয়ে ছিল৷ তারা রাহাযানি, ছিনতাই, ওজনে কম দেওয়া তাদের চরিত্রে বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল৷ তাদের মাঝেই আল্লাহ হজরত শোয়ায়েব আঃ কে রসুল মনোনিত করেছিলেন৷
৮৪/وَإِلَى مَدْيَنَ أَخَاهُمْ شُعَيْبًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُواْ اللّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَـهٍ غَيْرُهُ وَلاَ تَنقُصُواْ الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِنِّيَ أَرَاكُم بِخَيْرٍ وَإِنِّيَ أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ مُّحِيطٍ
অর্থ;-আর মাদীয়ানবাসীদের কাছে আমি তাদের ভাই শোয়ায়েবকে পাঠিয়েছিলাম৷ তিনি বললেন, হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো৷ তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন মাবুদ নেই৷ আর তোমরা মাপ ও ওজনে কম দেবেনা৷ আমি তোমাদের সচ্ছল দেখছি, কিন্তু আমি তোমাদের জন্য এক পরিবেষ্টনকারী দিনের আজাবের আশংকা করছি৷
# হজরত শোয়ায়েব আঃ তাদের শির্ক বাদ দিতে আর মাপে, ওজনে কম না দিতে অনুরোধ করলেন৷ তিনি তাদের বললেন যে তারা বেশ সচ্ছল তার পরেও কারচুপি করে যাচ্ছে৷ সেই সাথে তাদের এর শাস্তির ভয়াবহতার জন্যও সতর্ক করলেন৷
৮৫/وَيَا قَوْمِ أَوْفُواْ الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ وَلاَ تَبْخَسُواْ النَّاسَ أَشْيَاءهُمْ وَلاَ تَعْثَوْاْ فِي الأَرْضِ مُفْسِدِينَ
অর্থ;-হে আমার কওম, তোমরা ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মাপ ও ওজন পরিপূর্ণ করবে এবল লোকদের তাদের প্রাপ্য কম দিওনা; আর পৃথিবীতে ফাসদ করে বেড়িওনা৷
৮৬/بَقِيَّةُ اللّهِ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ وَمَا أَنَاْ عَلَيْكُم بِحَفِيظٍ
অর্থ;-আল্লাহ অনুমোদিত উদ্বৃত্ত তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা মুমিন হও৷ আর আমি তোমাদের পাহারাদার নই৷
# ওজনে যার যা প্রাপ্য তাকে তা কম নাদিয়ে যা অতিরিক্ত অর্থাৎ মুনাফা হবে তা আল্লাহ অনুমোদিত এবং তাই ভাল৷ তোমরা যদি মুমিন হও তবেই বুঝবে, এবং এতেই তোমাদের বরকত হবে৷ আর অযথা দাঙ্গা ফাসাদ করে না বেড়াতেও অনুরোধ করলেন৷ আর তিনি যে তাদের কাজকাম নজরদারী করার জন্য নয়, যার দায়িত্ব তার নিজেরই তাও বলে দিলেন৷
৮৭/قَالُواْ يَا شُعَيْبُ أَصَلاَتُكَ تَأْمُرُكَ أَن نَّتْرُكَ مَا يَعْبُدُ آبَاؤُنَا أَوْ أَن نَّفْعَلَ فِي أَمْوَالِنَا مَا نَشَاء إِنَّكَ لَأَنتَ الْحَلِيمُ الرَّشِيدُ
অর্থ;-তারা বলল, হে শোয়ায়েব, আপনার নামাজ কি আপনাকে শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐ সব উপাস্যকে ছেড়েদেই যাদের উপাসনা আমাদের বাপ দাদারা করে আসছে! অথবা আমাদের মাল আমরা যা ইচ্ছা তা করা থেকে বিরত থাকি! আপনিতো একজন বুদ্ধিমান ভাল মানুষ৷
# সব মুশরীকদের একই কথা যা আজও আছে৷ বাপ দাদারা তো নির্বোধ ছিলনা, তাদের নিয়ম নীতি, উপাসনা কেমন করে ত্যাগ করা যায়! আর মালতো আমাদের৷ আমরা যখন মালিক তখন আমার যা ইচ্ছা তাই করতে পারি৷ আপনার নামাজ কেমন যে আমাদের এ গুলো বন্ধ করতে চায়! আপনাকেতো আমরা একজন বুদ্ধিমান বলেই জানি৷ অথচ আপনি এ কেমন কথা বলছেন!
## বর্তমান বিশ্বে ক্ষুধা দারিদ্রের এটিও একটি কারণ, যে, মালের মালিক আমি৷ আমার ইচ্ছামত তা ব্যবহার হবে৷ অথচ সব জিনিষের প্রকৃত মালিক আল্লাহ৷ মানুষ তার সাময়িক ঠিকাদার মাত্র৷ অতএব তার নিয়মেই এর ব্যবহার হওয়া উচিৎ৷ এর মাঝেও তার পরীক্ষা রয়েছে৷ এটা আমরা ভূলে যাই৷
৮৮/قَالَ يَا قَوْمِ أَرَأَيْتُمْ إِن كُنتُ عَلَىَ بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّي وَرَزَقَنِي مِنْهُ رِزْقًا حَسَنًا وَمَا أُرِيدُ أَنْ أُخَالِفَكُمْ إِلَى مَا أَنْهَاكُمْ عَنْهُ إِنْ أُرِيدُ إِلاَّ الإِصْلاَحَ مَا اسْتَطَعْتُ وَمَا تَوْفِيقِي إِلاَّ بِاللّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ
অর্থ;-শোয়ায়েব বললেন, হে আমার কওম, তোমরাকি দেখনি, আমি যদি আমার রবের স্পষ্ট প্রমানের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে উত্তম রিজিক দান করেন, তবে কেমন করে তা অমান্য করব! আর আমি চাইনা যে তোমাদেরকে যা করতে নিষেধ করি আমি নিজেই তা করি৷ আমিতো শুধু সাধ্যমত সংশোধন করতে চাই৷ আমার যাবতিয় কার্যসাধন কেবল মাত্র আল্লাহর সহায্যেই হয়৷ তারই উপর আমি ভরসা করি এবং তারই মুখী হই৷
# সব নবীই পূন্যাত্মা হয়েই জন্মান৷ তার উপর আল্লাহ ওহী নাজিল করে তাঁকে আরও মহান করে দেন৷ হজরত শোয়ায়েব আঃ তাই তাঁ কওমকে বোঝাতে চাইলেন৷ তিনি শুধুই সংশোধন করে সকলকে সৎ পথেই নিতে চান৷ আর এমন কোন বিষই নেই যা তিনি নিজে পালন না করে অন্যকে করতে বলেন৷ এ চরিত্র কোন নবী বা আওলীয়া সিদ্দিকীন দের হয়না৷ কেননা তাঁরা বিশ্বাস করেন প্রতিটি কাজই সমাপন আল্লাহর সাহায্যেই হয়৷ তাঁর অতীত সৎতার দ্বারাই তাঁর আদেশ অনুরোধ গুলি যে সঠিক তা বোঝাতে সচেষ্ট হলেন৷
৮৯/وَيَا قَوْمِ لاَ يَجْرِمَنَّكُمْ شِقَاقِي أَن يُصِيبَكُم مِّثْلُ مَا أَصَابَ قَوْمَ نُوحٍ أَوْ قَوْمَ هُودٍ أَوْ قَوْمَ صَالِحٍ وَمَا قَوْمُ لُوطٍ مِّنكُم بِبَعِيدٍ
অর্থ;-হে আমার কওম; আমার সাথে বিরোধ যেন তোমাদেরকে এমন অপরাধ না করায়, যাতে তোমাদের উপর সে বিপদ এসে পড়ে যা, আপতিত হয়েছিল নূহের কওমের উপর অথবা হুদের কওমের উপর অথবা সালেহের কওমের উপর৷ আর লূতের কওম তো তোমাদের থেকে দূরে নয়৷
# অনেক সময় ব্যক্তিগত আক্রোশ মানুষের মাঝে জিদের সৃষ্টি করে৷ এই জিদ মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দেয়৷ তাই হজরত শোয়ায়েব আঃ তাঁর কওমকে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন যে, তার প্রতি কারো আক্রোশ যেন তার উপদেশ শোনার পথে বাধা না হয়৷ তাতে করে তাদের উপর আগের অবাধ্য কওমের উদাহরণ দিয়ে সাবধান করলেন৷ সাথে লূত আঃ এর কওম তাদের বেশ কাছের ঘটনা, যা তাদের জানার কথা,তাও মনে করিয়ে দিলেন৷
‘বেশী দূরে নয়’ কথাটি স্থান ও কাল এই দুই ভাবে ভাবা যেতে পারে৷ মৃত সাগর উপকূলে, স্থানটি অর্থাৎ সদুম ও আমুরা বস্তি তাদের অঞ্চল হতে খুব বেশী দূরে নয়৷ যার ধ্বংসাবশেষের অবশিষ্ট তাদের দেখা থাকতে পারে৷ আবার ঘটনাটি খুব বেশী পুরাণো হবার কথাও না৷ এমন কি অনেকে মনে করেন, মূসা আঃ নিরাপত্তার জন্য যখন মাদীয়ান গিয়েছিলেন, সেখানে যার কন্যা বিয়ে করে ছিলেন তিনিই শোয়য়েব আঃ৷ কিন্তু আমার মতে(তাফসীর কার) এটি সমর্থন যোগ্য নয়, অবস্থা দর্শনে বলা যেতে পারে মাদীয়ান বাসী ধ্বংসের পর শোয়ায়েব আঃ এর সাথে মুমিন যারা ছিলেন তাদেরই কারো বংশের কোন মুমিন বান্দার কন্যা তিনি বিয়ে করে ছিলেন৷ এটিও খুব বেশী পুরাতন ঘটনা নয়৷(আল্লাহই ভাল জানেন)৷
৯০/وَاسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُواْ إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي رَحِيمٌ وَدُودٌ
অর্থ;-আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো তোমাদের রবের কাছে এবং তারই দিকে ফিরে এস৷ নিশ্চয় আমার রব পরম দয়ালু, অতি স্নেহময়৷
৯১/قَالُواْ يَا شُعَيْبُ مَا نَفْقَهُ كَثِيرًا مِّمَّا تَقُولُ وَإِنَّا لَنَرَاكَ فِينَا ضَعِيفًا وَلَوْلاَ رَهْطُكَ لَرَجَمْنَاكَ وَمَا أَنتَ عَلَيْنَا بِعَزِيزٍ
অর্থ;-তারা বলল, হে শোয়ায়েব, আপনি যা বললেন তার অনেক কথাই আমরা বুঝিনা৷ এবং আমরাতো আপনাকে দূর্বল মনে করি৷ যদি আপনার স্বজনবর্গ না থাকত তবে অবশ্যই আমরা আপনাকে পাথের আঘতে হত্যা করতাম৷ আর আমাদের দৃষ্টিতে আপনিতো কোন মর্যাদাবান ব্যক্তিও নন৷
# গোত্রীয় সমাজে বংশ একটা বড় বিষয় সে সাথে বড় নিরাপত্তা বেষ্টনি৷ দূর্বল বা অপরাধীও সেই বেষ্টনীর মাঝে নিরাপদে থাকতে পারে৷ শত্রু পরিবেষ্টিত রসুল সঃ বনু হাশেম গোত্রের হওয়াতে তাঁর চাচা আবু তালিব ও দাদা আব্দুল মুত্তালীবের ছায়ায় নিরাপদেই ছিলেন৷ যদিও তারা ইমান আনেনি তবুও গোত্র প্রধান হওয়াতে এটি সম্ভব হয়েছিল৷ হজরত শোয়ায়েব নিজে দূর্বল হলেও তিনি তাঁর গোত্রের কারণে নিরাপদে ছিলেন৷ আর এটিই তাঁর কওমের লোকদের আফসোসের কারণ তা তারা জানিয়ে দিল৷
৯২/قَالَ يَا قَوْمِ أَرَهْطِي أَعَزُّ عَلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَاتَّخَذْتُمُوهُ وَرَاءكُمْ ظِهْرِيًّا إِنَّ رَبِّي بِمَا تَعْمَلُونَ مُحِيطٌ
অর্থ;-তিনি (শোয়ায়েব) বললেন, হে আমার কওম, আমার স্বজনবর্গকি তোমাদের কাছে আল্লাহর চাইতে অধিক শক্তিশালী? যখন তোমরা তাকে বিস্মৃত হয়ে পিছনে ফেলে রেখেছ! নিশ্চয় আমার রব তোমরা যা কর তা পরিবেষ্টন করে আছেন৷
# শোয়ায়েব আঃ তাঁর কওমকে বোঝাতে চাইলেন, যে আল্লাকে তোমরা তোয়াক্কা করোনা, তিনি আমার স্বজনদের চাইতে বহুগুনে বেশী শক্তিশালী, তোমরা তাকে ভয় না করে আমার স্বজনদের ভয় কর৷ অথচ আল্লাহর আয়ত্বের মধ্যেই তোমরা রয়েছ৷
আসলে তারা সকলেই আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী ছিল, তারসাথে শরিক দেবতাদেরই তারা সামনে রেখে আসল আল্লাহ অনেক দূরে রেখেছিল৷ মানুষ দুনিয়াদারীতে এতই মশগুল হয় যে তারা আল্লাকে আর আমলে নেয়না৷ এজন্যই বলা হয়েছে, ‘কাফের জাগতীক বিষয়ে ডুবে থাকে আর মুমীনের ভিতর ডুবে থাকে জগৎ’৷
৯৩/وَيَا قَوْمِ اعْمَلُواْ عَلَى مَكَانَتِكُمْ إِنِّي عَامِلٌ سَوْفَ تَعْلَمُونَ مَن يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَمَنْ هُوَ كَاذِبٌ وَارْتَقِبُواْ إِنِّي مَعَكُمْ رَقِيبٌ
অর্থ;-হে আমার কওম, তোরা নিজ অবস্থানে কাজ করে যাও, আমিও করছি৷ তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কার উপর অপমান কর আজাব আসে আরর কে মিথ্যাবাদী৷সুতরাং তোমরা প্রতিক্ষায় থাক, আমিও তোমাদের সাথে প্রতিক্ষায় রইলাম৷
# সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর অন্য রসুলদের মত তিনিও বললেন, তোমরা তোমাদের কাজ চালিয়ে যাও আর পারলে আমার বিরুদ্ধে যা খুশী কর৷ তোমাদের সাথে আমিও অপেক্ষায় থাকলাম দেখব কে মিথ্যাবাদী আর কার উপর গজব আসে৷ এটিই চুড়ান্ত আজাবের পূর্বাভাস৷
এ গুলি হজরতের মক্কী জীবনের শেষের দিকের সুরা তাই এ সুরাগুলোতে এমন চ্যালেঞ্জ এসেছে যা আমরা সুরা ‘আনআম’ থেকে শুরু হতে দেখেছি৷ অন্যান্ন রসুলগনের মত মোহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সঃ ও ক্রমশঃ বিরক্ত বোধ করছিলেন৷
৯৪/وَلَمَّا جَاء أَمْرُنَا نَجَّيْنَا شُعَيْبًا وَالَّذِينَ آمَنُواْ مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مَّنَّا وَأَخَذَتِ الَّذِينَ ظَلَمُواْ الصَّيْحَةُ فَأَصْبَحُواْ فِي دِيَارِهِمْ جَاثِمِينَ
অর্থ;-আর যখন আমার আদেশ এসে গেল, তখন আমি রক্ষা করলাম শোয়ায়েবকে এবং তার সাথে যারা ইমান এনেছিল তাদেরকে আমার বিশেষ রহমতে৷ আর যারা সীমা লঙ্ঘন করেছিল তাদেরকে পাকড়াও করল এক বিকট গর্জন, ফলে তারা নিজেদের ঘরে উপুড় হয়ে পড়ে রইল৷
৯৫/وَلَمَّا جَاء أَمْرُنَا نَجَّيْنَا شُعَيْبًا وَالَّذِينَ آمَنُواْ مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مَّنَّا وَأَخَذَتِ الَّذِينَ ظَلَمُواْ الصَّيْحَةُ فَأَصْبَحُواْ فِي دِيَارِهِمْ جَاثِمِينَ
অর্থ;-যেন তারা কখনও সেখানে বসবাস করেনি৷ মনে রেখো, ধ্বংসই ছিল মাদীয়ানবাসীদের পরিনাম যেমন সামুদ জাতির পরিনাম ছিল ধ্বংস৷
[/i][/i][/i][/i][/i][/i][/i]
বিষয়: বিবিধ
১১২৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যখনি কোনো রসূল,নবী মানুসকে সত্যের দিকে ডেকেছে,তারা বলেছে,তবে কি আমরা সত্যের পথে নেই ? আমরাই তো সঠিক। আর তুমি এত জ্ঞানী হয়ে এমন কেন করছ ?
এসব কমন ডায়ালগ,সর্বযুগেই আছে। খারাপে অভ্যস্ত হয়ে পড়া মানুষ ভাল কিছু পেলে তাকেই খারাপ ভাবে।
ভাল লাগল। চলুক। সাথে আছি
মন্তব্য করতে লগইন করুন