আমরা কোথায় আছি৷

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৫২:৫৫ রাত

বাহার ভাইয়ের দেওয়া লিংকে এখানে এসে হাজির হলাম৷ অনেকেইই পেয়ে গেলাম৷ কিছু নতুন বন্ধুও দেখলাম৷ ভালই লাগলো৷ লেখার অনুমতিও পেলাম, কিন্তু কি লিখব! আমার দৌড়তো সেই মোল্লার মত মসজিদে গিয়েই শেষ হবে৷ তা যাই হোক৷ আজই প্রথম লেখা দিতে চেষ্টা করছি৷ একটা ছোট্ট ঘটনা দিয়ে শুরু করি, ঘটনাটি আমার সাথে ঘটেনি৷ আমার এক দেশী বন্ধু ফোনে জানালো, তা আমার জবানীতে আপনাদের জানানোর বাসনা আরকি?

“অফিসের কাজে মাঝে মাঝে ঢাকা যেতে হয়৷ হোটেলে থাকি আর খাইও হোটেলে৷ কাজ শেষ করে একটু পড়ন্ত বেলায়ই দুপুরের খাবার খেতে একটা ছোটখাট হোটেলে গেলাম, পয়সা বাঁচাতে এমনটাই সাধারণতঃ করে থাকি৷ এবার একটা নতুন অভিজ্ঞতা হল৷ টেবিলে বসতেই বেয়ারা এসে বলল, ‘স্যার কি খাবেন, বলে খাবারের ফিরিস্তি দিল’৷ মুরগীর গোশ্ত খাবার ইচ্ছা ছিল, তাই দিতে বলে জিজ্ঞেস করলাম, শুনেছি ঢাকায় হোটেলে মরহুম মুরগীর গোশ্ত বেচে৷ তোমাদের টা তা নয়ত? ছেলেটি বেশ চালাক৷ শিক্ষিত বলেই মনেহল৷ হয়ত অন্য কোন চাকরী না পেয়ে এই পেশায় এসেছে, যাই হোক৷ এক গার হেঁসে উত্তর দিল, ‘কিযে বলেন স্যার, আমরা ওসব করিনা৷ আমরা সব সময় শহীদ মুরগী সরবরাহ করি’৷ অবাক চোখে পপ্রশ্ন করলাম, কি বললে? শহীদ মুরগী! সে আবার কি? মুরগী আবার শহী হয় নাকী? আবার এক গাল হাঁসি, ‘কেন হবে না স্যার? আমরাতো মুরগীটাকে তার ইচ্ছা বিরুদ্ধে জবাই করেছি৷ বলতে হবে খুনই করেছি৷ আজকাল তো খুন হলেই তাকে শহীদ বলে, শোনেননি, থাবাবাবা না কিজানি নাম, রসুল সঃ আর ইসলামের নামে কি সব বাজে কথা বলেছে৷ কদিন আগে খুন হল৷ শুনলাম তার মরা হাতের মুঠোয় নাকি মেয়েদের মাথার লম্বা চুলও পাওয়া গেছে৷ তাকেওতো সবাই শহীদ বলছে’৷ কথার ফাঁকে সে ইতিমধ্যে রান্না ঘরে আমার জন্য ওর্ডারও দিয়েছে, অন্য একজন সহকারী খাবার দিয়েও গেছে৷ ভীড় নেই৷৷ তাই তার সময় আছে৷ আমি এবার বললাম, তুমিতো মুরগীকে শহীদ বলে প্রকৃত শহীদদের অপমান করলে৷ বিনিত ভাবে বলল, ‘মাফ করবেন স্যার, জানতাম যারা আল্লার পথে কাজ করতে গিয়ে খুন হয় তাদেরই শহীদ বলে, আর এখন যে যেখানে খুন হয়, তার পক্ষের মানুষ তাকেই শহীদ বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, ঐ যে লোকটা নবী সঃ বদনাম গাইলো ওর চাইতে কি আমার মুরগীটা খারাপ৷ আপনি শুনেছেন কোন মুরগী বা অন্য পশু তার স্বজাতিকে বিনা অপরাধে খুন করেছে? আজ দুনিয়ার সেরা জীব মানুষ কি করছে৷’ কথায় বেশ যুক্তি আছে৷ আমার খাওয়া শেষ৷ বিল আর তারে কিছু বখশীষ দিয়ে বার হলাম, আর তার কথ গুলো চিন্তা করতে লাগলাম, একটা সাধারণ হোটেলের বেয়ার কাছে এ কি শুনলাম৷

"সব বন্ধুদের জন্য রইল শুভেচ্ছা৷ আব্দুস সামাদ৷ আমার আসল কাজ করআন নিয়ে লেখা৷ উৎসাহ পেলে এ ব্লগেও শুরু করব ইন শা আল্লাহ৷"

বিষয়: বিবিধ

১১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File