"এ সব গায়েবের খবর যা আমি আপনাকে ওহীর মাধ্যমে অবহিত করি"
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০২:৪৮ রাত
(উর্দূ বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)
সুরা হুদ রুকু;-৪ আয়াত;-৩৬-৪৯
নূহ আঃ এরর দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার সমাপ্তি আর অবাধ্য কওমের আজাবের সংবাদ নিয়েই আসছে এ রুকুটি;-
৩৬/وَأُوحِيَ إِلَى نُوحٍ أَنَّهُ لَن يُؤْمِنَ مِن قَوْمِكَ إِلاَّ مَن قَدْ آمَنَ فَلاَ تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থ;-আর নূহ এর প্রতি ওহী প্রেরণ করা হল যে, যারা ইতি মধ্যেই ইমান এনেছে তাদের ছাড়া আপনার জাতির আর কেউ ইমান আনবেনা, অতএব তাদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হবেন না৷
৩৭/وَاصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا وَلاَ تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِنَّهُم مُّغْرَقُونَ
অর্থ;-আর আপনি আমার সামনে আমারই নির্দেশ মোতাবেক একটি নৌকা তৈরী করুন৷ এবং পাপিষ্ঠদের ব্যাপারে আমাকে কোন কথা বলবেন না, অবশ্যই তারা ডুবে মরবে৷
# চুড়ান্ত ফায়সালা হয়ে গেছে৷ এখন আর ইমান আনার সুযোগ নেই৷ তাই এই শেষ মুহূর্তে কারও জন্য আর কোন সুপারিশ করা যাবেনা৷ আর আল্লাহর নির্দেশ মত তারই সামনে, অর্থাৎ যেন আল্লাহ স্বয়ং দেখিয়ে দেবেন কেমন করে, কি ধরণের, কত বড় নৌকা বানাতে হবে৷ যদিও সবটাই ওহীর মাধ্যমে হবে৷ আল্লাহ এমন আদেশ দিলেন নূহ আঃ কে৷
৩৮/وَيَصْنَعُ الْفُلْكَ وَكُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ مَلأٌ مِّن قَوْمِهِ سَخِرُواْ مِنْهُ قَالَ إِن تَسْخَرُواْ مِنَّا فَإِنَّا نَسْخَرُ مِنكُمْ كَمَا تَسْخَرُونَ
অর্থ;-তিনি নৌকা নির্মান করতে লাগলেন আর যখনই তাঁর কওমের সর্দারগন তার পাশ দিয়ে যেত তখনই তাঁকে বিদ্রুপ করত৷ তিনি বললেন, তোমরা যদি আমাদের উপহাস কর, তবে আমরাও ঠিক তদ্রুপ উপহাস তোমাদের করব৷
# সেখানে আশে পাশে কোন জলাশয় ছিলনা, তাই নৌকা বানানোকে তারা যতায়াতের পথে উপহাস করতে লাগল৷ নূহ আঃ তাদের বললেন, এখন তোমরা আমাদের উপহাস করছ মনে রেখ ঠিক এমন উপহাস আমরাও সময়হলে তোমাদের করে এর জবাব দেব৷
৩৯/فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ مَن يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُّقِيمٌ
অর্থ;-আর শিঘ্রই তোমরা জামতে পারবে লাঞ্ছনা দায়ক আজাব কার উপর আসবে, আর তা কার উপর স্থায়ী আজাবে পরিনত হবে৷
৪০/حَتَّى إِذَا جَاء أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلاَّ مَن سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلاَّ قَلِيلٌ
অর্থ;-অবশেষে যখন আমার আদেশ এসে পড়ল এবং উনান উথলে উঠল, তখন আমি বললাম, যার সম্পর্কে পূর্বেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তাকে ছাড়া প্রত্যেক প্রকারের একটি করে নর ও মাদী এবং আপনার পরিজনকে উঠিয়ে নাও৷ আর যারা ইমান এনেছে তাদের কেও৷ খুব অল্প সংখ্যকই ইমান এনেছিল৷
# ভূ বিশেষজ্ঞদের মতে ঐ এলাকায় মহা প্লাবনের চিহ্ন আজও বর্তমান৷ভূমীর উচ্চতা সমুদ্রসমতল হতে নিম্নে ছিল এবং কোন কারণে কোন সুড়ঙ্গ হয়ে তা কোন চুলা পর্যন্ত চলে এসেছিল৷ এবং সেখান দিয়েই প্লাবনের সূত্রপাত হয়৷ যেমন, করাচী শহর সমুদ্র উপকূল ভাগ উঁচু হলেও অনেক এলাকা রয়েছে যা সমুদ্র সমতলের নীচে৷ সুড়ঙ্গ হলে প্লাবন হতে পারে৷ তা যিনি যাই বলুক, আল্লাহ এভাবেই সেই মহা প্লাবন আরম্ভ করেন৷ তার আগে সমসাময়ীক ভূমীতে বিচরণ কারী পশুদের নর ও মাদী জোড়ায় এক এক জোড়া, নূহ আঃ এর পরিজন ও যে অল্প সংখ্যক লোক ইমান এনেছিল তাদের নৌকায় উঠিয়ে নিতে বলেন৷ কিন্তু যাদের ব্যাপারে নিষেধ আগেই করা হয়েছিল তাদের উঠাতে নিষেধ করেন৷ তার মধ্য ছিল নূহ আঃ এর এক স্ত্রী ও তার গর্ভজাত, নুহ আঃ এর চতুর্থ পুত্র ইয়াম৷৷ কাফেরদের দলভুক্তই ছিল৷
৪১/وَقَالَ ارْكَبُواْ فِيهَا بِسْمِ اللّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ;-তিনি বললেন, তোমরা এতে আরোহন কর৷ আল্লাহর নামেই এর গতিও স্থিতি৷ নিশ্চয় আমার রব পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু৷
# আল্লাহর নাম নিয়েই সকলে আল্লাহর নির্দেশ মত নৌকায় উঠলেন৷ নৌকা ছিল গন্তব্য হীন৷ কেমন করে চলবে আর কোথায় গিয়ে থামবে তা কারও জানা ছিলনা৷ আল্লাহই এর গতি আর স্থিতি দেবেন৷
৪২/وَهِيَ تَجْرِي بِهِمْ فِي مَوْجٍ كَالْجِبَالِ وَنَادَى نُوحٌ ابْنَهُ وَكَانَ فِي مَعْزِلٍ يَا بُنَيَّ ارْكَب مَّعَنَا وَلاَ تَكُن مَّعَ الْكَافِرِينَ
অর্থ;-আর তা তাদের বয়ে নিয়ে পাহাড় সমান তরঙ্গের মাঝে চলল৷ আর নূহ(আঃ) তার পুত্রকে ডেকে বললেন যে পৃথক স্থানে ছিল, হে আমার পুত্র্র,আমাদের সাথে আরোহন কর এবং কাফেরদের সাথে থেকোনা৷
# মানুষের নিয়ন্ত্রন নয়, আল্লাহর নিয়ন্ত্রনে নৌকা খানি উঁচু উঁচু ঢেউয়ের মাঝে ভাসতে লাগল৷ নূ আঃ দেখদেন দূরে তাঁর পুত্র হাবু ডুবু খাচ্ছে, তিনি তাকে কাফেরদের সঙ্গ ত্যাগ করে ইমান এনে নৌকায় আসতে বললেন৷
৪৩/قَالَ سَآوِي إِلَى جَبَلٍ يَعْصِمُنِي مِنَ الْمَاء قَالَ لاَ عَاصِمَ الْيَوْمَ مِنْ أَمْرِ اللّهِ إِلاَّ مَن رَّحِمَ وَحَالَ بَيْنَهُمَا الْمَوْجُ فَكَانَ مِنَ الْمُغْرَقِينَ
অর্থ;-সে বলল, আমি অচিরেই কোন পাহাড়ে আশ্রয়য় নেব, যা আমাকে রক্ষা করবে প্লাবন থেকে৷ নূহ বললেন, আজ আল্লাহর হুকুম থেকে কেউই রক্ষাকারী নেই, এক মাত্র সে ছাড়া যাকে তিনি দয়া করবেন৷ তার পর তাদের মাঝে তরঙ্গ আড়াল হয়ে গেল এবং সে নিমজ্জিত হল৷
# পুত্র নবী পিতার কথা না শুনে অহংকার বশে, পাহাড় তাকে রক্ষা করবে বলে বসল৷ কিন্তু এমন সময় ঢেউ এসে তাদের আলাদা করে দিল, আর সে ডুবে গেল৷
৪৪/وَقِيلَ يَا أَرْضُ ابْلَعِي مَاءكِ وَيَا سَمَاء أَقْلِعِي وَغِيضَ الْمَاء وَقُضِيَ الأَمْرُ وَاسْتَوَتْ عَلَى الْجُودِيِّ وَقِيلَ بُعْداً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
অর্থ;-তার পর বলা হল, হে পৃথিবী, তোমার পানি চুঁষে নাও, হে আকাশ, ক্ষ্যান্ত হও৷ এর পর পানি হ্রাস করা হল৷ এবং কাজের সমাপ্তি ঘটল৷ আর নৌকাটি জুদী পাহাড়ের উপর স্থির হল৷ আর ঘোষনা হল, ধ্বংস হোক জালীম সম্প্রদায়৷
# নৌকাটি যখন পাহাড়ের উপর স্থিতি হল, বোঝা যায় যে পানি পাহাড়কেও ডুবিয়ে ছিয়ে ছিল৷ ভূপৃষ্ঠ হতে উদগীরণ হওয়া পানির সাথে যুক্ত হয় আকাশের বর্ষণ৷ যখন কাফেরর বংশ ধ্বংস হয়ে গেল তখনই প্লাবনের সমাপ্তি হল৷ আল্লাহ পৃথিবীর পানিকে পৃথিবীতে ফেরত যেতে বললেন আর আকাশের বর্ষণ ও থামিয়ে দিলেন৷ তুর্কী ও রাশিয়ার সীমান্তে দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় কোন এক পাহাড়ের উপর, কোন এক পাইলট নৌকা সদৃশ কিছু দেখেছেন বলে জানা যায়৷ ভবিষ্যতের জন্যই হয়ত আল্লাহ এটি পাহাড়ের উপর সংরক্ষন করেছেন৷
অল্প কিছু ইমানদার ও নূহ আঃ এর তিন পুত্র ছাড়া আর কেউ অবশিষ্ট থাকল না৷ নূহ আঃ এর পুত্র হাম, শাম ও ইয়াফিসের বংশ ধরদের দ্বারাই ক্রমে পৃথিবী জনপূর্ণ হয়৷ শাম এর বংশ ধররাই ভবিষ্যতে আদ সামুদ প্রভৃতি সম্পদায় রূপে প্রকাশ পায়৷
৪৫/وَنَادَى نُوحٌ رَّبَّهُ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ابُنِي مِنْ أَهْلِي وَإِنَّ وَعْدَكَ الْحَقُّ وَأَنتَ أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ
অর্থ;-আর নূহ তার রবকে ডেকে বললেন, হে আমার রব, নিশ্চয় আমার পুত্র আমার পরিবার পরিজনের অন্তর্ভুক্ত এবং আপনার ওয়াদা সত্য, অতঃপর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক৷
# আল্লাহ নূহ আঃ কে বলেছিলেন, পরিবার পরিজনকে নৌকায় নিতে, কিন্তু চোখের সামনে তাঁর পুত্র ডুবে মরল, তিনি নিতে পারেন নি, তাই আল্লাহর কাছে এ আক্ষেপ৷
৪৬/قَالَ يَا نُوحُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ إِنَّهُ عَمَلٌ غَيْرُ صَالِحٍ فَلاَ تَسْأَلْنِ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنِّي أَعِظُكَ أَن تَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ
অর্থ;-আল্লাহ বললেন, হে নূহ, নিশ্চয়ই সে আপনার পরিবার ভুক্ত নয়৷ অবশ্যই সে অসৎ কর্ম পরায়ণ৷ অতএব যে সন্মন্ধে আপনার জ্ঞান নেই এমন বিষয়ে আমার কাছে আবেদন করবেন না৷ আমি আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, আপনি যেন অজ্ঞদের শামিল না হয়ে পড়েন৷
# আল্লাহ এ আয়াতে একটা ব্যাপার পরিষ্কার করলেন যে, বে ইমান পুত্র হলেও পরিত্যাজ্য৷ আর যে বিষয়ের জ্ঞান নেই তা নিয়ে কথা নাবলতে নুহ আঃ কে উপদেশ দিলেন আর সুরা আনআম এ হজরত মোহাম্মদ সঃ কে ঠিক এমন ভাবেই বলা হয়েছিল, ‘আপনি অজ্ঞদের দলভুক্ত হবেন না’৷ এখানে নূহ আঃ কেও বলা হল৷
৪৭/قَالَ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلاَّ تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থ;-নূহ বললেন, হে আমার পালন কর্তা, আমার যা জানা নেই এমন কোন আবেদন করা হতে আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি৷ আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্থদের দল ভুক্ত হয়ে পড়ব৷
৪৮/قِيلَ يَا نُوحُ اهْبِطْ بِسَلاَمٍ مِّنَّا وَبَركَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَمٍ مِّمَّن مَّعَكَ وَأُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
অর্থ;-বলা হল, হে নূহ, অবতরণ করুন, আমার পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যান নিয়ে, আপনার প্রতি ও যারা আপনার সাথে আছে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি৷ আর অন্যান্ন সম্প্রদায়কে আমি কিছুকাল জীবন উপভোগ করতে দেব, অবশেষে তাদের উপর আমার তরফ থেকে যন্ত্রনা দায়ক আজাব আপতিত হবে৷
# নূহ আঃ এর জন্য কল্যান, তাঁর সাথে যারা আছেন, পরিবারের বা অন্যান্ন, তাদের মধ্যে যাদের ধারা ইমানদার হয়েই থাকবে তাদের প্রতিও কল্যান থাকবে আর যারা পুনরায় বিপথে যাবে তাদের সাময়ীক শান্তী, কল্যান থাকলেও তাদের আজাবের ভবিষ্যত বাণীও ঘোষণা হল৷
যা পরবর্তীতে, আদ সামুদ, প্রভৃতি সম্প্রদায় ভোগ করেছে৷
৪৯/تِلْكَ مِنْ أَنبَاء الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنتَ تَعْلَمُهَا أَنتَ وَلاَ قَوْمُكَ مِن قَبْلِ هَـذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِين
অর্থ;-এ সব গায়েবের খবর, যা আমি আপনাকে ওহীর মাধ্যমে অবহীত করি৷ এ সব ইতিপূর্বে না আপনি জানতেন না আপনার কওমের লোকেরা জানত৷ অতএব ধৈর্য ধারণ করুন৷ নিশ্চয় শুভ পরিনাম মুত্তাকীদের জন্যই৷
# যারা বলত, কোরআন মোহাম্মদ সঃ নিজেই রচনা করে আল্লাহর নামে চালাচ্ছে, তাদের জবাব হিসেবে বলা হয়েছে৷ এই যে খবর গুলো যা আপনিও জানতেননা বা মুশরীকরাও জানত না, আমি ওহীর মাধ্যমে জানাই তাই আপনি জানেন৷ আগের রুকুর শেষ আয়াতটিতেও ঠিক এমন কথা বলা হয়েছে৷
বিষয়: বিবিধ
১১৫৭ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব ভালো লাগ্লো...
আপনার অনুবাদ করা এ কয়টা আয়াত থেকে আমি যেটুকু বুঝতে পেরেছি ।
১,গায়েবের খবর আমরা কিছুই জানি না সে টুকু ছাড়া যে টুকু আল্লাহ জানিয়েছেন নবী, রাসুলদের কাছে আহীর মাধ্যমে ।
২,চুড়ান্ত ফায়সালা :এটাকে আমি এভাবেই মনে করতে পারি দুনিয়ার বুকে আমরা এমন ভাবে পাপ করছি তো করছিই আর হঠাত করেই একদিন আমাদের মৃত্যু এসে উপস্থিত হবে সেদিন হয়ত আমরা তওবা করার সময়ও হবে না বা কবুল করা হবে না ।
৩,অসৎ কর্ম পরায়ণ লোক আমাদের যত ঘনিষ্টজন হোক প্রকৃত পক্ষে তারা আমাদের আপনজন নয় ।আমাদেরকে তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে শেষ পর্যন্ত ব্যার্থ হলে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে ।
৪,আল্লাহর অসীম জ্ঞানের তুলনায় আমাদের জ্ঞান অতি নগন্য ।আমাদের জীবনে অনেক সময় অনেক কিছু ঘটে তাতে আমরা ধৈর্যহারা বা হতাশ হয়ে অনেক উল্টা-পাল্টা কথা বলে ফেলি ।আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহ যা করেছেন বুঝে শুনেই করেছেন আমাদের ভালর জন্য করেছেন ।
৫,মুমিনদের জন্য কোন হতাশা নেই শুধু সবরের সাথে ধৈর্য ধারন করতে হবে ।অবশ্যই মুমিনদের জন্য রয়েছে কল্যান ।
আমার যদি কোথাও বুঝার ভুল হয়ে থাকে আপনি আমাকে আর একটু বুঝিয়ে বলবেন এটা আপনার কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ ।
জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন