" নিঃসন্দেহে আখেরাতে এরাই হবে সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত"
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ১২ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০২:৪০ সকাল
সুরা হুদ রুকু;-২ আয়াত;-৯-২৪
মানুষের অকৃতজ্ঞতার বয়ান নিয়ে আসছে এ রুকুটি;
৯/وَلَئِنْ أَذَقْنَا الإِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَةً ثُمَّ نَزَعْنَاهَا مِنْهُ إِنَّهُ لَيَئُوسٌ كَفُورٌ
অর্থ;-আর যদি আমি মানুষকে আমার রহমতের স্বাদ আস্বাদন করতে দেই, তার পর তার কাছ থেকে তা কেড়ে নিই, তাহলে সে অবশ্যই হতাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ে৷
১০/وَلَئِنْ أَذَقْنَاهُ نَعْمَاء بَعْدَ ضَرَّاء مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ ذَهَبَ السَّيِّئَاتُ عَنِّي إِنَّهُ لَفَرِحٌ فَخُورٌ
অর্থ;-আর যদি তার উপর আপতিত দুঃখ কষ্টের পরে তাকে সুখ আস্বাদন করাই, তবে তখন সে বলতে থাকে, আমার বিপদ আপদ কেটে গেছে৷ আর সে আনন্দিত ও অহংকারী হয়ে ওঠে৷
১১/إِلاَّ الَّذِينَ صَبَرُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ أُوْلَـئِكَ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
অর্থ;-কিন্তু যারা ধৈর্য ধারণ করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরষ্কার৷
# আল্লাহ যদি মানুষকে সুখেই রাখেন, তখন সে বেশ সুখ ভোগ করে৷ কিন্তু হঠাৎ যদি তার সে সুখ উধাও হয়ে যায় তখন, তখন হতাশ হয়ে ভাবে, হয়ত তারই ভুল পদক্ষেপে এমন হয়েছে৷ আবার যখন তার সে সুখ পুনরায় ফিরে আসে, তখন তার সে হতাশা থাকেনা, বরং তা অহংকার আর গর্বে পরিনত হয়৷ সে বলতে থাকে, আমার বিচক্ষনতা, আমার প্রজ্ঞা, আমার সময় মত সঠিক পদক্ষেপই আমার এ সাফল্যের কারণ৷ তার মনে আসেনা যে তার এ সাফল্য বা দুঃখ সবটাই আল্লাহ দান৷ আল্লাহই ইচ্ছা করলে এমন করতে পারেন৷ মানুষ এতই অকৃতজ্ঞ৷
সবাই ঠিক এমন নয়! যারা বিপদে ধৈর্য ধারণ করে, অবস্থার জন্য নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আর সকল কাজে আল্লাহর সাহায্য চায় ও সৎ কাজ করে, তাদের জন্য আল্লহর পক্ষথেকে পুরষ্কার রয়েছে৷
সুখে শুকরিয়া আর দুঃখে সবর করাই মুমিনের কাজ৷
১২/فَلَعَلَّكَ تَارِكٌ بَعْضَ مَا يُوحَى إِلَيْكَ وَضَآئِقٌ بِهِ صَدْرُكَ أَن يَقُولُواْ لَوْلاَ أُنزِلَ عَلَيْهِ كَنزٌ أَوْ جَاء مَعَهُ مَلَكٌ إِنَّمَا أَنتَ نَذِيرٌ وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ
অর্থ;-তা কি হয়! ঐ সব আহকাম যা ওহীর মাধ্যমে আপনার কাছে পাঠানো হয়, তার কিছু বর্জন করবেন, যা আপনার অন্তর কে সংকুচিত করবে তাদের এ কথায় যে, তার উপর কেন কোন ধনভাণ্ডার অবতারিত হয়নি, অথবা তার সাথে কোন ফেরেশ্তা কেন আসেনা৷ আপনিতো সতর্ককারী মাত্র৷ আর আল্লাহ সবকিছুর কর্ম বিধায়ক৷
# মুশরীকদের ধারণা ছিল, একজন নবীর শান শওকত, ধন সম্পদ, অগাধ থাকবে বা তার আশ পাশে ফেরেশ্তারা বডি গার্ড থাকবে৷ তাদের এ হেন কৌতুহল দূর করার জন্য বা এড়িয়ে চলার জন্য এক জন নবী তার প্রতি আসা ওহী বা হুকুম আহকাম নিজের ইচ্ছায় কিছু অঘোষিত রাখবেন, এমন হতে পারেনা৷ তিনিতো বাহক মাত্র৷ সতর্ক করার দায়িত্ব তাঁর, বাকী বিচার ব্যবস্থা যা কিছু তা আল্লাহর এখ্তেয়ারে৷
১৩/أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ فَأْتُواْ بِعَشْرِ سُوَرٍ مِّثْلِهِ مُفْتَرَيَاتٍ وَادْعُواْ مَنِ اسْتَطَعْتُم مِّن دُونِ اللّهِ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
অর্থ;-অথবা তারা কি বলে, এ কোরআন তিনি (নবী) নিজে রচনা করেছে৷আপনি বলেদিন, তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সুরা নিয়ে এস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও৷
# এটি কোরআনের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ৷ দশটি সুরা৷ প্রথম চ্যালেঞ্জটি ছিল কোরআনের মত আর একটি পূর্ণ কোরআন রচনা করার, তা বণী ইস্রাঈল সুরায় পাওয়া যাবে৷ তৃতীয় বা শেষ টি মাত্র একটি সুরার যা সুরা বাক্বারায় এসেছে৷ বলা হয়েছে যদি তোমরা অন্তরে বিশ্বাস করো যে এ কোরআন মোহাম্মদ সঃ নিজেই রচনা করেছে, তবে তোমরা আল্লাহ বাদে যত বড় পণ্ডিত জ্ঞানী গুণী পাও আর যাদের তোমরা ইবাদত করো সেই শরিকদেরও অনুরোধ জানাও আর তাদের সাহায্য নিয়ে এমন দশটি সুরা রচনা করে নিয়ে এস৷
১৪/فَإِن لَّمْ يَسْتَجِيبُواْ لَكُمْ فَاعْلَمُواْ أَنَّمَا أُنزِلِ بِعِلْمِ اللّهِ وَأَن لاَّ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ فَهَلْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ
অর্থ;-অতঃপর তারা যদি তোমার ডাকে সাড়া না দেয়, তা হলে মনে রেখো আল্লাহরই ইলম দ্বারা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই৷ সুতরাং এখনকি তোমরা মুসলীম হবে?
# যদি এমন চ্যালেঞ্জে তারা সাড়া না দেয় তবে, তাদের জানা উচিৎ এটা আল্লাহর জ্ঞ্যানের দ্বারাই অবতীর্ণ হয়েছে৷ মানুষের আয়ত্বের বাইরে৷ আর যখন হার স্বীকারই করল তখন তাদের বশ্যতা স্বীকার করাও দরকার৷ কেননা যার কাছে পরাজিত হল তিনিই একমাত্র উপাস্য৷
১৫/مَن كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ
অর্থ;-যে কেউ পার্থিব জীবন ও তার আড়ম্বর কামনা করে, আমি দুনিয়াতেই তাদের কর্মফল পূর্ণ রূপে দান করি এবং সেখানে তাদের কম দেওয়া হবে না৷
# যারা দুনিয়ার আরাম আয়েশ নিয়েই নিজেকে সন্তষ্ট রাখতে আল্লাহর কাছে আবেদন করে, আল্লাহ তাদের সৎ কর্মের প্রতিদান পুরোপুরি দুনিয়াতেই দিয়ে দেন৷ তাতে কোন রকম কাট ছাঁট করা হয়না৷ আর যার সৎ কর্ম তেমন নাই, তার প্রতিদান অবশ্যই শাস্তি হয়েই আসবে৷ এ জন্যই বলা হয়েছে, দুনিয়ায় যে শাস্তি ভোগকর, তা তোমাদের কর্মফল৷
১৬/أُوْلَـئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُواْ فِيهَا وَبَاطِلٌ مَّا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
অর্থ;-এরা এমন লোক যে এদের আখেরাতে আগুন ছাড়া আর কিছু নেই৷ আর তারা যাকিছু করেছিল তা সেখানে নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং তারা যা করে থাকে তা নির্রথক৷
# যা কিছু পাওনা তা যদি অগ্রিম নিয়ে নেয় তো সময় কালে কিছুই না থাকার কথা৷ আর হবেও তাই৷ তাই তাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই থাকবে না৷ তাই আখেরাতের পাথেয় সষ্ণয় করা বুদ্ধিমানের কাজ৷ তাই বলা হয়, দুনিয়ায় ফষল বোন, ফল আখেরাতে কাটবে৷
১৭/أَفَمَن كَانَ عَلَى بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّهِ وَيَتْلُوهُ شَاهِدٌ مِّنْهُ وَمِن قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَى إَمَامًا وَرَحْمَةً أُوْلَـئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَن يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ فَلاَ تَكُ فِي مِرْيَةٍ مِّنْهُ إِنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يُؤْمِنُونَ
অর্থ;-তবেকি যে ব্যাক্তি রবের সুস্পষ্ট পথে রয়েছে, তার সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সাক্ষীও বর্তমান রয়েছে এবং তার পূর্ববর্তী মুসা (আঃ) এর কিতাবও সাক্ষী, যা ছিল পথ প্রদর্শক ও রহমত স্বরূপ৷ তারা এর প্রতি ইমান আনে, (সমান হবে?)গোত্রগুলীর মধ্য হতে যারা তাকে অস্বীকার করে, আগুনই যাদের প্রতিশ্রুত ঠিকানা! অতএব আপনি তাতে সন্দেহ করবেন না৷ নিঃসন্দেহে তা আপনার রবের পক্ষ থেকে ধ্রুব সত্য৷ অথচ অনেকেই তা বিশ্বাস করেনা৷
# কিছু মানুষ পৃথিবীতে জন্মান পূন্যাত্মা নিয়েই৷ তারা কোন কিতাব, কোন হেদায়েত ছাড়াই বিশ্ব চরাচর দেখেই আন্দাজ করেন সৃষ্টি কর্তাকে৷ এরা রবের স্পষ্ট পথেই থাকেন৷ আমাদের রসুল সঃ তাদের অন্যতম৷ তাঁর সে সঠিক পথে থাকার পক্ষে সাক্ষী হয়ে এল পবিত্র কোরআন৷ এ যেন, ‘নূরূন আলা নূর’(সুরা নূর এ বিষটি জানা যাবে)৷ উপরন্তু অতিরিক্ত সাক্ষী হিসেবে রয়েছে হজরত মুসা আঃ কে দেয় আসমানী কিতাব, যা পথ প্রদর্শক ও রহমত হয়ে এসেছিল৷ সেই কোরআন ও সেই ব্যাক্তি, মোহাম্মদ সঃ এর উপর যারা ইমান আনলো তাদের সাথে কি ঐ লোকদের তুলনা হতে পারে, বিভিন্ন গোত্রের যারা তাকে অস্বীকার করল আর তাদের ঠিকানা হল জাহান্নাম!
অতএব নিঃসন্দেহে এ কিতাব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আগত৷ যদিও অনেক তা মানেনা৷
১৮/وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللّهِ كَذِبًا أُوْلَـئِكَ يُعْرَضُونَ عَلَى رَبِّهِمْ وَيَقُولُ الأَشْهَادُ هَـؤُلاء الَّذِينَ كَذَبُواْ عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ
অর্থ;-যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তাদের চাইতে বড় জালীম আর কে? তাদেরকে রবের সামনে পেশ করা হবে এবং সাক্ষীরা বলবে, এরাই ঐ সব লোক যারা তাদের রবের প্রতি মিথ্যা আরোপ করে ছিল৷ জেনে রেখো, জালীমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত রয়েছে৷
# অহংকার অহমিকা ও শয়তানের উষ্কানিতে পড়ে অনেকেই আল্লাহর ব্যাপারে অনেক মিথ্যা রটায়৷ কেউবা নিজেকে মহা শক্তধর আল্লাই বলেছে, কেউবা নিজেকে নবী রসুল বলে, আল্লাহর মনোনীত বলেও মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে৷ কেয়ামতের দিন এদেরকে আল্লাহর সামনে হাজির করা হবে৷ ভুক্তভোগী উম্মত, মুরীদ গন তখন নিজেদের বাঁচার জন্য সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে, বলবে এরাই আমাদের ধোঁকা দিয়েছে৷ আজ আমরা অপরাধী হয়ে শাস্তির সন্মুখীন হয়েছি৷ উদাহরণ হিসেবে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর কথা ভাবুন৷ যিনি নিজেকে অনেক কিছু বলে অসংখ্য মানুষকে ভ্রষ্ঠ করেছে৷
১৯/الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ اللّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا وَهُم بِالآخِرَةِ هُمْ كَافِرُونَ
অর্থ;-যারা মানুষকে আল্লাহর পথ হতে বিরত রাখে এবং তাতে বক্রতা খুঁজে বেড়ায়, আর তারা আখেরাতের প্রতিও অবিশ্বাসী৷
# এমন অনেক মানুষ আছে যারা অন্যকে আল্লাহর পথ হতে সরিয়ে রাখে৷ দ্বীনের মধ্যে ছিদ্র অন্বেষন করে তাকে অসার ভূয়া বানাতে আপ্রান চেষ্টা করে৷ এরা নিজেরা যেমন আখেরাতে সৃষ্টিকর্তার সামনে হাজির হয়ে সমস্ত কাজের হিসেব দেওয়াকে অস্বীকার করে, অন্যকেও সেই বিশ্বাসে গড়তে চেষ্টা করে৷ এদের মধ্যে অনেকে মুমিন হওয়ার দাবীও করে৷ মূলতঃ এরা পার্থিব দুনিয়াকেই বেশী প্রাধান্য দেয়, আখেরাতকে গৌণ করে৷ অথচ ইমানের মূল অংশই আখেরাতে বিশ্বাস, জবাব দেহীতায় বিশ্বাস করা৷ সুরা ‘ইউনুস’ এ ‘তারা আমার সাক্ষাতকে বিশ্বাস করেনা’ কথাটা বার বার এসেছে৷
২০/أُولَـئِكَ لَمْ يَكُونُواْ مُعْجِزِينَ فِي الأَرْضِ وَمَا كَانَ لَهُم مِّن دُونِ اللّهِ مِنْ أَوْلِيَاء يُضَاعَفُ لَهُمُ الْعَذَابُ مَا كَانُواْ يَسْتَطِيعُونَ السَّمْعَ وَمَا كَانُواْ يُبْصِرُونَ
অর্থ;-তারা পৃথিবীতে আল্লাহকে অপারগ করতে পারিনি৷ আর আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন অভিভাবকও ছিলনা৷ তাদের জন্য আজাব দ্বিগুন করা হবে, তারা শুনতেও পেতনা, দেখতেও পেতনা৷
# যারা চোখের দেখা দেখে আর শোনাকথা শোনে কিন্তু অন্তর দিয়ে অনভব করেনা৷ হজ্জত দিয়ে আল্লাহকে উড়িয়েদিতে চায়৷ কিনতু প্রকৃত পক্ষে আল্লাহই তাদের রব৷ এদেরকে অন্যত্র পশু অপেক্ষাও নিকৃষ্ট বলা হয়েছে৷ কারণ মানুষের শোনা দেখা আর পশুন শোনা দেখেকে এরা এক করে ফেলে৷ এদের শাস্তি দ্বিগুন করা হবে৷
২১/أُوْلَـئِكَ الَّذِينَ خَسِرُواْ أَنفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُواْ يَفْتَرُونَ
অর্থ;-এরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে এবং এরা যে সব অলীক উপাস্য সাব্যস্ত করে ছিল, তা তাদের থেকে উবে যাব৷
# অলীক বা কাল্পনিক দেবতা, যা তারা উপাসনা করার জন্য বেছে নিয়েছিল, কেয়ামতের দিন এদের কোন চিহ্নই পাওয়া যাবেনা৷ তারা যেমন কস্মিন কালে ছিলনা তেমনি নাই হয়েই থাকবে, মাঝখান থেকে ঐ পুঁজারীগন ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তাদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য৷
২২/لاَ جَرَمَ أَنَّهُمْ فِي الآخِرَةِ هُمُ الأَخْسَرُونَ
অর্থ;-নিঃসন্দেহে আখেরাতে এরাই হবে সর্বাপেক্ষা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত৷
# শির্কের গোনাহ মাফ হয়না৷ এটি বড় অপরাধ৷ যারা আল্লাহর শরিক বানিয়ে নিয়েছিল তারা সেই অপরাধে অপরাধী হল৷ যার পরিনাম কঠিন শাস্তি৷ যারা পীর ওলী আউলীয়ার মাজারে ধর্না দেন, মূলতঃ তারা পূঁজাই করেন৷ তাদের এ শরিকরা যে দাবী অস্বীকার করবে তা আগে আমরা জেনে এসেছি৷
২৩/إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَخْبَتُواْ إِلَى رَبِّهِمْ أُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ الجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
অর্থ;-নিশ্চয় যারা ইমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে এবং স্বীয় রবের প্রতি বিনত হয়েছে, তারাই জান্নাতের অধীবাসী৷ সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে৷
২৪/مَثَلُ الْفَرِيقَيْنِ كَالأَعْمَى وَالأَصَمِّ وَالْبَصِيرِ وَالسَّمِيعِ هَلْ يَسْتَوِيَانِ مَثَلاً أَفَلاَ تَذَكَّرُونَ
অর্থ;-উভয় পক্ষের দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেমন, অন্ধ ও বধির আর যে দেখে ও শোনে, এরাদুজে উদাহরণের জন্য কি সমান হবে?
অবিশ্বাসী বা কাফেরগন তাদের চর্ম চোক্ষে দখলেও শুনলেও অন্তরের চোখে দেখেও না শোনেও না, তাই এদেরও অন্ধ বধির বলা হয়েছে৷ তুলনার ক্ষেত্রে, শ্রুতিশক্তি সম্পন্ন ও চক্ষুস্মান কখনই অন্ধ বধিরের সমান হবে না তাই সকলের উচিত অন্তরে অবস্থিত রূহের অনুগত হওয়া মাটির শরীরের নয়৷
বিষয়: বিবিধ
১০৯৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন