"নিশ্চয় রাত ও দিনের পরিবর্তনে এবং আসমান ও জমীনে আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তাতে মুত্তাকীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে৷"
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৫১:২৭ রাত
(উর্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)
১০) সুরা ইউনুস, (মক্কী) রুকু ১১টি আয়াত ১০৯ টি
শুরু হতে যাচ্ছে তৃতীয় মঞ্জিল৷ প্রথম মঞ্জিল শেষ হয়ে ছিল সুরা নিসায়৷ সেই সঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে, মক্কী ও মাদানী মিলিত সুরার তৃতীয় গ্রুপ৷ প্রথম গ্রুপ শেষ হয় সুরা মাঈদায়৷ সংখ্যার বিচারে মক্কী সুরার বড় গ্রুপটি শেষেরটি হলেও আয়তনে এটিই মক্কী সুরার বড় গ্রুপ৷ এতে সুরা মুমিনুন পর্যন্ত একাধারে চৌদ্দটি মক্কী ও একটি মাদানী সুরা রয়েছে৷ যা প্রায় সাত পারার সমান৷ মাদানী সুরা প্রথম গ্রুপটিতেই আয়তনে বড় ছিল, যা প্রায় সাড়ে ছয় পারার সমান৷ এ গ্রুপে সুরা ‘হজ্জ্ব’ নিয়ে মক্কী বা মাদানী বিষয়ে কিছু মত ভেদ আছে৷
এ গ্রুপে প্রতি তিনটি সুরা নিয়ে শাখা গ্রুপ যেমন আছে তেমনই প্রথমের তিনটি সুরা বড় ও পরের তিনটি অপেক্ষাকৃত ছোট এই ভাবে বিন্যস্ত হয়েছে৷ আবার শাখা গ্রুপের প্রথম দুটি সুরায় বেশ কিছু মিল পাওয়া যাবে যাতে এদের জোড়া বলা যায়৷ আর পরের সুরাটি নিরপেক্ষ ভাবে এসেছে৷
প্রথম দুটি সুরা যথাক্রমে সুরা ‘ইউনুস’ ও সুরা ‘হুদ’৷ এ দুটি সুরায় মিল বা জোড়া হওয়ার কারণ গুলি হল; সুরা ‘ইউনুস’ এর দুই রুকুতে ‘আম্বাউ রুসুল’ বা নবী রসুলদের বর্ণনা আর বাকী নয় রুকুতে আছে ‘আততাজকির বে আলা ইল্লাহ’ বা আল্লাহর বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি বা গুনাবলীর মাধ্যমে সতর্কী করণ৷ অপর দিকে সুরা ‘হুদ’ এর সাড়ে ছয় রুকুতে রয়েছে ‘আম্বাউ রুসুল’ আর প্রায় চার রুকুতে রয়েছে ‘আততাজকির বে আইয়ামিল্লাহ’ বা আল্লাহর বিশেষ বিশেষ দিনের বর্ণনর মাধ্যমে সতর্কী করণ৷
সুরা ‘ইউনুস’ এর ‘আমবাউ রুসুল’ এর দুই রুকুর আধা রুকুতে আছে হজরত নূহ আঃ এর বর্ণনা, আর বাকী দেড় রুকুতে আছে হজরত মূসা আঃ এর বর্ণনা৷ অপর পক্ষে সুরা ‘হুদ’ এর সাড়ে ছয় রুকু ‘আম্বউ রুসুল’ এর দুই রুকুতে হজরত নূহ আঃ এর বর্ণনা যা নূহ আঃ এর বর্ণনায় একটি বিশেষ স্থান হয়ে আছে৷ আর এ সুরায় হজরত মূসা আঃ এর বর্ণনা আছে সামান্যই স্পর্শ মাত্র৷
ইউনুস রুকু;-১ আয়াত;-১-১০
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
অর্থ;-পরম করুনাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি৷
১/الر تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْحَكِيمِ
অর্থ;-‘আলিফ’ ‘লাম’ ‘রা’ এ গুলো জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত৷
# ইতি পূর্বে আমরা হরফে মুকাত্তায়াত বিষয়ে পড়ে এসেছি, যার প্রকৃত রহস্য আল্লাহ ও তার রসুলই জানেন৷ এখানে কিছু নতুনত্ব এসেছে৷ এর আগে হরফে মুকাত্তাত কে আমরা আয়াতের আকারে দেখেছি, এখানে তাদের আয়াতের সাথে শামিল করা হয়েছে৷
২/أَكَانَ لِلنَّاسِ عَجَبًا أَنْ أَوْحَيْنَا إِلَى رَجُلٍ مِّنْهُمْ أَنْ أَنذِرِ النَّاسَ وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُواْ أَنَّ لَهُمْ قَدَمَ صِدْقٍ عِندَ رَبِّهِمْ قَالَ الْكَافِرُونَ إِنَّ هَـذَا لَسَاحِرٌ مُّبِينٌ
অর্থ;-মানুষের জন্য কি এটা আশ্চর্যজনক হয়েছে যে, আমি তাদেরই মধ্য হতে এক জনের কাছে ওহী পাঠিয়েছি এই মর্মে যে, আপনি মানুষে সতর্ক করুন এবং তাদেরকে সু সংবাদ দিন যারা ইমান এনেছে৷ তাদের জন্য তাদের রবের কাছে উচ্চ মর্যাদা রয়েছে৷ কাফেররা বলল, নিশ্চয় এ ব্যক্তি তো এক জন প্রকাশ্য যাদুকর৷
# মানুষের মধ্য হতে যোগ্যতম এক জনকে মনোনিত করে আল্লাহ তার বাণী পাঠালেন, যার দ্বারায় সৎ পথযাত্রীদের সুসংবাদ বা ভাল প্রতিদান দেবার বার্তা পাঠালেন, আর বিপথের যাত্রীদের সাবধান বাণী বা অগ্রসর না হবার আর ভয়াবহ পরিনতির সতর্ক বাণী পাঠালেন৷ মানুষের জন্য মানুষ মনোনিত করাই তো স্বাভাবিক৷ বিশেষ করে একই ভাষা, একই কৃষ্টি, একই ভূ খণ্ডের, এতে অবাক হবার বা যাদুকর বলার কোন কারণ নেই৷ কারণ একটাই যে তারা তা পছন্দ করেনি, তারা অবিশ্বাসী৷
৩/إِنَّ رَبَّكُمُ اللّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُدَبِّرُ الأَمْرَ مَا مِن شَفِيعٍ إِلاَّ مِن بَعْدِ إِذْنِهِ ذَلِكُمُ اللّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ أَفَلاَ تَذَكَّرُونَ
অর্থ;-নিশ্চয় তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, যিনি ছয় দিনে আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন৷ তার পর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন৷ তিনিই কার্য পরিচালনা করেন৷ তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই৷ তিনিই হলেন আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক৷ তোমরা তারই ইবাদত কর, তবুওকি তোমরা উপদেশ গ্রহন করবে না?
# ‘আইয়াম’ শব্দটি ‘ইয়াওম’ এর বহু বচন৷ ‘ইয়াওম’ অর্থ দিন৷ কিন্তু এখানে এই ‘আইয়াম’ কে পৃথিবীর দিনের মধ্যে বাঁধা যাবে না৷ এর অর্থ পৃথিবীর হিসাবে কয়েক যুগও হতে পারে৷ তেমনই ছয়দিনে আল্লাহ এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন৷ অনেকে একে স্তর বা ধাপও বলে থাকেন৷ তার পর তিনি তার আরশে অধিষ্ঠিত অধিষ্ঠিত হলেন ও কর্ম পরিচালনা শুরু করলেন৷
শাহ ওয়ালীউল্লাহ রঃ তাঁর কিতাব, ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা’ তে আল্লাহর এ কাজকে তিনটি ধারায় বর্ণনা করেছেন৷ প্রথমটি; শুন্য হতে কোন জিনিষ তৈরী করা, যাকে ‘ইবদায়’ বলে৷ যেমন পৃথিবী ছিলনা, তিনি বানালেন৷ দ্বিতীয়টি; কোন জিনিষ হতে অন্য জিনিষ বানানো, যাকে ‘খালক্’ বলে, যেমন মাটি থেকে মানুষ বানালেন৷ আর তৃতীয় টি পরিচালনা করা, যাকে ‘আমর’ বলে৷ তিনি নিজের পদ্ধতি পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বিশ্বকে পরিচালনা করতে শুরু করলেন৷ যেহেতু তিনি একা অদ্বিতীয়, তাই তার কাজে সেচ্ছায় বা তার অনুমতি ছাড়া কেউ সাহায্য করতে পারেনা৷ এ কথাটি আমরা সুরা ‘বাক্বারায়’ ‘আয়াতুল কূরসী’তে পড়ে এসেছি৷
৪/إِلَيْهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا وَعْدَ اللّهِ حَقًّا إِنَّهُ يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ لِيَجْزِيَ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ بِالْقِسْطِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ لَهُمْ شَرَابٌ مِّنْ حَمِيمٍ وَعَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُواْ يَكْفُرُونَ
অর্থ;-তার কাছেই তোমাদের সকলকে ফিরে যেতে হবে৷ আল্লাহর ওয়াদা সত্য৷ নিঃসন্দেহে তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন৷ তারপর তিনিই তা পূনর্বার সৃষ্টি করবেন যেন, ন্যায় বিচারের সাথে বিনিময় প্রদান করেন তাদেরকে যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে৷ আর যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানীয় এবং যন্ত্রনাদায়ক আজাব, তারা যে কুফী করত তার জন্য৷
# কাফেরদের ধারণা ছিল এবং আজও অনেকে মনেকরে, মৃত্যুর পরই সব শেষ৷ যে শীর নষ্ট হয়েযাবে তা আবার বদলা দেবার জন্য কেমন করে আবার তৈরী করা হবে৷ সেই সঙ্গে তারা মৃত্যু পরবর্তী জীবনকেও অস্বীকার করে৷ তাই আল্লাহ বলেন, আমি যখন প্রথমবার বানাতে পেরেছি এটা নিশ্চিত, অতএব দ্বিতীয়বার বানানো আমার জন্য আরও সহজ৷ আর এজন্যই বানানো হবে যে যারা ভাল কাজ করেছে তাদের পুরষ্কার দেওয়া হবে আর যারা আমার সবকিছুকে অস্বীকার করল তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে৷ আমার ওয়াদার সঠিক বাস্তবায়ন অবশ্যই করা হবে৷
৫/هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
অর্থ;-তিনি এমন সত্তা যিনি সূর্যকে দীপ্তিময় আর চাঁদকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারী বানিয়েছেন৷ অতঃপর তিনি এদের জন্য গন্তব্য সমুহ নির্ধারিত করেছেন, যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখ্যা ও হিসাব৷ আল্লাহ এ সব নিরর্থক সৃষ্টি করেননি৷ তিনি বিশদ ভাবে লক্ষন সমুহ বর্ণনা করেন তাদের জন্য যারা জ্ঞান রাখে৷
# সূর্য ও চাঁদের আলোর পার্থক্যটা দুটি আলাদা শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে সূর্যের যে নিজস্ব আলো আছে আর চাঁদ শুধুই উজ্জ্বল, তার নিজস্ব আলো নেই, বিচ্ছুরিত করে মাত্র তা পরিষ্কার৷
আল্লাহ অযথাই এ বিশ্ব সৃষ্টি করেননি৷ যারা জ্ঞান আহরণ করতে চায়, বা জ্ঞান আছে তাদের জন্য আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যেই উপাদান আছে৷ চাঁদ ও সূর্য সৃষ্টি করে তাদের গন্তব্য পথও ঠিক করে দিয়েছেন যাতে করে বছরের হিসাব পাওয়া যায়৷ আর এ আয়াতে গন্তব্য সমুহ বলে তারা যে চলমান তাও পরিষ্কার করা হয়েছে৷ বলা বাহুল্য এদেরই পরিক্রমায় দিন রাত্রী, মাস বছর হয়ে থাকে৷
৬/إِنَّ فِي اخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمَا خَلَقَ اللّهُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ لآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَّقُونَ
অর্থ;-নিশ্চয় রাত ও দিনের পরিবর্তনে এবং আসমান ও জমীনে আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, তাতে মুত্তাকীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে৷
# যারা সৃষ্টির আড়ালে স্রষ্টাকে চেনে, জানে, বোঝে তার প্রতি শ্রদ্ধা ভয় রাখে, তাদের জন্য প্রতিটি সৃষ্টির ভীতরে রয়েছে শিক্ষনীয় বিষয়৷ দিন রাতের পরিক্রমা সহ বিশ্বের সকল কিছুর মাঝেই রয়েছে স্রষ্টার কারিগরি ও মুত্তাকী গনের জন্য নিদর্শন৷
৭/إَنَّ الَّذِينَ لاَ يَرْجُونَ لِقَاءنَا وَرَضُواْ بِالْحَياةِ الدُّنْيَا وَاطْمَأَنُّواْ بِهَا وَالَّذِينَ هُمْ عَنْ آيَاتِنَا غَافِلُونَ
অর্থ;-নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাত লাভের আশা রাখে না এবং পার্থিব জীবন নিয়েই পরিতুষ্ট রয়েছে, তাতেই প্রশান্তি অনুভব করছে, আর যারা আমার নিদর্শন সমুহের বিষয়ে গাফেল;
৮/أُوْلَـئِكَ مَأْوَاهُمُ النُّارُ بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
অর্থ;-এমন লোকদের ঠিকানা হল আগুন, তাদের কৃত কর্মের দরুন৷
# যারা আখেরাতে বিশ্বাস রাখেনা, পার্থিব জীবনকেই শুরু আর শেষ মনে করে, এক কথায় নগদেই তারা বিশ্বাসী৷ তারা চায় জীবনকে উপভোগ করতে৷ তারজন্য কেউ জীবন বাজী রাখে সম্পদ আহরণে, হালাল হারাম বিচার করেনা৷ পার্থিব জীবনেই পরিতৃপ্ত হয়৷ আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে তাদের ভাবার সময় নেই, কিছুই যেন দেখেনা৷ বিশ্ব প্রকৃতির মধ্যে তারা ডুবে যায়৷ অপর দিকে মুমিন মুত্তাকীগনের মাঝেই প্রকৃতি ডুবেযায়৷ পৃথিবীতেই যারা পরিতৃপ্ত ও গাফেল তাদের জন্য পরকালে রয়েছে কঠিন আজাব৷ কিন্তু যারা উদয়অস্ত পরিশ্রম করেও পার্থিব প্রশান্তি পেলনা, তাদের প্রাপ্য অবশ্যই পাওনা থাকল৷ যদি আখেরাত না থাকে তবে তাদের কি অপরাধ, যে তারা বঞ্চিত হল?
৯/إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ يَهْدِيهِمْ رَبُّهُمْ بِإِيمَانِهِمْ تَجْرِي مِن تَحْتِهِمُ الأَنْهَارُ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
অর্থ;-নিশ্চয় যারা ইমান এনেছে ও সৎ কাজ করেছে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা হেদায়েত দান করবেন তাদের ইমানের বদৌলতে এমন সুখময় জান্নাত যার তলদেশে নহর সমুহ প্রবাহিত হয়৷
১০/دَعْوَاهُمْ فِيهَا سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَتَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلاَمٌ وَآخِرُ دَعْوَاهُمْ أَنِ الْحَمْدُ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِين
অর্থ;-সেখানে তাদের প্রার্থনা হবে, ‘হে আল্লাহ, তুমি মহান পবিত্র’ আর সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’৷ তাদের শেষ প্রার্থনা হবে, ‘সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর জন্য’ বলে৷
# আগের দুটি আয়াতে কাফের দের আচরণ ও পরিনতির কথা বলা হয়েছে, আর এ দুটি আয়াতে মুমিনদের ইমানের বদলে পুরষ্কারের কথা বলা হয়েছে৷ জান্নাতে তাদের সুখই সুখ৷ একে অপরের সাথে সালামের সাথে কুশল বিনিময় হবে৷ তারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে থাকবে৷
বিষয়: বিবিধ
২২৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন