"তারা আল্লাহর নামে হলফ করে বলে যে, তারা তোমাদেরই দলভূক্ত, অথচ তারা তোমাদের দলের লোক নয়৷ তারা এমন লোক যারা ভয় করে৷"
লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৫ মে, ২০১৩, ০৮:০৫:০৯ সকাল
(ধারাবাহিক অনুবাদ, পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আত তাওবাহ, রুকূ;-৭ আয়াত;-৪৩-৫৯
সুরা তওবার এ আয়াতগুলি তাবুক অভিযানের প্রস্তুতির সময় নাজিল হলেও মদীনার প্রকৃত মোনাফেকদের মুখোশ উন্মোচনের চুড়ান্ত আয়াত৷ আগের আয়াতে মোনাফেকদের মিথ্যা অজুহাতে রসুল সঃ এর কাছ থেকে অভিযানে না যাবার প্রতিশ্রুতি আদায় করার কথা বলা হয়েছে৷ কপটতার কথা রসুল সঃ এর অজানা ছিলনা৷ সরলতা ও দয়ার্দ হৃদয়ের কারণেই তাদের দাবী মঞ্জুর করেছিলেন৷
৪৩/ عَفَا اللّهُ عَنكَ لِمَ أَذِنتَ لَهُمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكَ الَّذِينَ صَدَقُواْ وَتَعْلَمَ الْكَاذِبِينَ
অর্থাৎ;-আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করেছেন, আপনি কেন তাদের অনুমতি দিলেন, যে পর্যন্তনা আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যেত কারা সত্যবাদী আর আপনি জেনে নিতেন মিথ্যাদীদের৷
মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে যারা জেহাদে না যাবার অনুমতি নিয়ে গেল, তাদের মুখোশ উন্মোচন হলনা৷ তা ইআল্লাহ বলেন, হে নবী, আপনি তাদের রেহাই দিয়ে তা বন্ধ করে দিলেন৷ তাদের ছুটি না দিলেও তারা যেতনা তাতে সত্যবাদী আর মিথ্যাবাদী কারা তা প্রকাশ হয়ে পড়ত৷ আল্লাহ আপনার এ ভুল সিদ্ধান্তকে মাফ করে দিয়েছেন৷
৪৪/ لاَ يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَن يُجَاهِدُواْ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ وَاللّهُ عَلِيمٌ بِالْمُتَّقِينَ
অর্থাৎ;-যারা ইমান রাখে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি, তারা নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জেহাদ করা থেকে আপনার কাছে অব্যাহতি চাইবেনা৷ আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালই জানেন৷
সুরা আনফালের ২ ও ৭৪ নং আয়াতে ও সুরা হুজরাতের ১৪ও ১৫ নং আয়াতে প্রকৃত মুমিনের সংজ্ঞায় জেহাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ অতএব প্রকৃত মুমিন কোন দিনই বিনা অজুহাতে জেহাদ ত্যাগ করবেনা৷ এতেই প্রমানিত যারা মিথ্যা অজুহাতে তাবুক অভিযানে বিরত থাকল তারা প্রকৃত মুমিন নয়।
৪৫/ إِنَّمَا يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَارْتَابَتْ قُلُوبُهُمْ فَهُمْ فِي رَيْبِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ
অর্থাৎ;-নিঃসন্দেহে তারাই আপনার কাছে অব্যাহতি চায় যারা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখেনা এবং তাদের অন্তর সন্দেহগ্রস্থ হয়ে পড়েছে৷ সুতরাং তারা সন্দেহের আবর্তে ঘুরপাক খেয়ে চলেছে৷
এখানে সুরা হুজরাতের ১৫ নং আয়াত স্মরণযোগ্য, যেখানে বলা হয়েছে প্রকৃত মুমিন কোনদিন ইমানে সন্দেহ পোষণ করেনা৷ অতএব যারা সন্দেহের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে তারা প্রকৃত মুমিন নয়৷ আর যারা প্রকৃত মুমিন নয় তারাই মোনাফেক৷
৪৬/ وَلَوْ أَرَادُواْ الْخُرُوجَ لأَعَدُّواْ لَهُ عُدَّةً وَلَـكِن كَرِهَ اللّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُواْ مَعَ الْقَاعِدِينَ
অর্থাৎ;- আর যদি তারা যুদ্ধে বের হবার সংকল্প করত তবে তার জন্য কিছু প্রস্তুতির ব্যবস্থা করত৷ কিন্তু আল্লাহই তাদের যুদ্ধে বের হওয়াকে অপছন্দ করেছেন৷ সুতরাং তিনি তাদের বিরত রাখলেন৷ এবং বলা হল, যারা রয়ে গেল তাদের সাথে তোমরাও বসে থাকো৷
৪৭/ لَوْ خَرَجُواْ فِيكُم مَّا زَادُوكُمْ إِلاَّ خَبَالاً ولأَوْضَعُواْ خِلاَلَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ وَاللّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
অর্থাৎ;-যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধে বের হত তবে তারা তোমাদের বিভ্রান্তি বাড়ানো ছাড়া কিছুই করত না৷ আর ঘোড়া ছুটাত তোমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য৷ আর তোমাদের মধ্যে তাদের গুপ্তচর রয়েছে৷ বস্তুত আল্লাহ জালিমদের ভালই জানেন৷
এ আয়াতের শেষের অংশের অপর আর একটি অর্থও হতে পারে, তা হল, তোমাদের মাঝে কিছু সরলপ্রান মুমিন আছে যারা ওদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে৷ আর শোনার পর বিভ্রান্ত হতে পারে৷ অতএব, তারা না গিয়ে বরং থেকে যাওয়াই মঙ্গল৷ আর যদি সত্যই তারা যাবার নিয়ত করত তবে, তারা তার কিছু প্রস্তুতি অবশ্যই করত৷ কিন্তু তারা তা করেনি৷
মনে রাখতে হবে, প্রতিরক্ষার জন্য তখনও কোন নির্দিষ্ট বাহিনী তৈরী হয়নি৷ যার যার নিজের হাতিয়ার, বাহন রসদ তাকেই সঙ্গে নিতে হত৷
৪৮/ لَقَدِ ابْتَغَوُاْ الْفِتْنَةَ مِن قَبْلُ وَقَلَّبُواْ لَكَ الأُمُورَ حَتَّى جَاء الْحَقُّ وَظَهَرَ أَمْرُ اللّهِ وَهُمْ كَارِهُونَ
অর্থাৎ;-তারাতো পূর্বেও ফেতনা সৃষ্টি করে ছিল এবং আপনার কার্যকলাপ ওলটপালট করতে চেয়েছিল৷ এমনকি সত্য এসে গেল, আল্লাহর হুকুম প্রকাশ পেল, যদিও তারা অপছন্দ করেছিল৷
মোনাফেকরা আগাগোড়াই প্রকৃত মুমিনদের বিরোধিতা করেই এসেছে৷ গুপ্তচর বৃত্তিও করেছে৷ এক কথায় এরা ছিল ঘরের শত্রু৷ তাদের অনিচ্ছা সত্বেও আল্লাহর দ্বীন আরবভূমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে৷ এমনকি আজও তাদের বংশধরেরা ইসলামের বিরোধিতা করেই চলেছে৷
৪৯/ وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ ائْذَن لِّي وَلاَ تَفْتِنِّي أَلاَ فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُواْ وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌ بِالْكَافِرِينَ
অর্থাৎ;-আর তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং আমাকে ফেতনায় ফেলবেননা৷ মনে রাখুন, এরাতো ফেতনায় পড়েই আছে৷ নিশ্চয় জাহান্নাম কাফেদের পরিবেষ্টন করেই রয়েছে৷
এ আয়াতে জাদ্দ ইবনে কায়েস নামের এক মোনাফেকের কথা বলা হয়েছে৷ ঐ লোক নবী সঃ এর কাছে এসে বলে ছিল, সুন্দরী রমনীদের প্রতি সে খুবই দূর্বল, অভিযানে যেদিকে যেতে হবে ওদিকের মেয়েরা অনেক সুন্দরী, তাই সে সহজেই তাদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ার ভয় করে৷ তাই তাকে আশু ফেতনা থেকে বাঁচাতে অব্যাহতি দেওয়া হোক৷ আল্লাহ বলেন, নতুন করে আর কি ফেতনায় পড়বে, তারাতো ফেতনায় পড়েই আছে৷ আর কাফেররা জাহান্নামের বেষ্টনির মধ্যেই আছে৷
৫০/ إِن تُصِبْكَ حَسَنَةٌ تَسُؤْهُمْ وَإِن تُصِبْكَ مُصِيبَةٌ يَقُولُواْ قَدْ أَخَذْنَا أَمْرَنَا مِن قَبْلُ وَيَتَوَلَّواْ وَّهُمْ فَرِحُونَ
অর্থাৎ;-যদি আপনার কোন মঙ্গল হয় তবে তা তাদেরকে কষ্ট দেয়, আর যদি কোন বিপদ আপতিত হয়, তবে তারা বলে, আমরা আগেই আমাদের ব্যাপারে সামলে নিয়েছিলাম৷ এবং তারা উল্লসিত হয়ে ফিরে যায়৷
৫১/ قُل لَّن يُصِيبَنَا إِلاَّ مَا كَتَبَ اللّهُ لَنَا هُوَ مَوْلاَنَا وَعَلَى اللّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
অর্থাৎ;-আপনি বলে দিন, আমাদের উপর কখনও কোন বিপদ আসবেনা শুধু তাই যা আল্লাহ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন৷ তিনিই আমাদের মওলা৷ আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরষা করা উচিৎ৷
প্রকৃত মুমিনদের চরিত্রই হচ্ছে ‘রাজি বা রেজায়ে রব’ বা আল্লাহর ইচ্ছাই বান্দার ইচ্ছা৷ প্রভুর সন্তোষেই দাসের সন্তোষ৷ মুসলীম শব্দের আসল অর্থই এটি৷ প্রভুর সত্তায় আত্মসমর্পণ৷ অবএব কোন বিপদই বিপদ নয়৷ আল্লাহ যখন যে অবস্থায় রাখে তাই সই৷
৫২/ قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلاَّ إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَن يُصِيبَكُمُ اللّهُ بِعَذَابٍ مِّنْ عِندِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا فَتَرَبَّصُواْ إِنَّا مَعَكُم مُّتَرَبِّصُونَ
অর্থাৎ;-বলুন, তোমরাতো আমাদের জন্য দুটি মঙ্গলের একটি প্রত্যাশা কর! আর আমরা প্রত্যাশায় আছি তোমাদের জন্য যে, আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের শাস্তি দেবেন, অথবা আমাদের হাতে৷ অপেক্ষা করতে থাক আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান৷
মোনাফেকরা মুমিনদের যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যুই কামনা করে, যার ভয়ে তারা দূরে থাকতে চায়৷ অথচ তারা জানেনা মুমিনদের সামনে দুটিই মাত্র পথ৷ শহীদ অথবা গাজী৷ দুটাই তাদের জন্য কল্যান কর৷ মুমিনরা শহীদ হতে সদা প্রস্তুত৷ আর বিজয়ী হলে সবার সাথে মোনাফেকরাও তাদের সাফল্য স্বীকার করবে৷ কিন্তু মোনাফেক বা কাফেরদের জন্য রয়েছে শুধুই মৃত্যু৷ মুমিনদের অপেক্ষা যে, আল্লাহ নিজেই তাদের সে শাস্তি দেবেন না মুশরীক নিধনের মত হুকুম দেবেন, ‘তাদের যেখানে পাও হত্যা কর’ বলে তাদের হাতে ছেড়ে দেবেন৷ এস তোমাদের সাথে আমরাও অপেক্ষায় থাকি৷
৫৩/ قُلْ أَنفِقُواْ طَوْعًا أَوْ كَرْهًا لَّن يُتَقَبَّلَ مِنكُمْ إِنَّكُمْ كُنتُمْ قَوْمًا فَاسِقِينَ
অর্থাৎ;-বলুন, তোমরা ইচ্ছায় অর্থ ব্যয় কর কিংবা অনিচ্ছায়, তোমাদের থেকে তা কখনও কবুল করা হবে না৷ তোমরাতো না ফরমানের দল৷
৫৪/ وَمَا مَنَعَهُمْ أَن تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَاتُهُمْ إِلاَّ أَنَّهُمْ كَفَرُواْ بِاللّهِ وَبِرَسُولِهِ وَلاَ يَأْتُونَ الصَّلاَةَ إِلاَّ وَهُمْ كُسَالَى وَلاَ يُنفِقُونَ إِلاَّ وَهُمْ كَارِهُونَ
অর্থাৎ;-তদের অর্থ ব্যয় কবুল না হবার এ ছাড়া আর কোন কারণ নেই যে তারা কুফরী করেছে আল্লাহর সাথে ও তার রসুলের সাথে৷ তারা নামাজে আসে অলসতার সাথে এবং অর্থ ব্যয় করে অনিচ্ছাকৃত ভাবে৷
মোনাফেকদের সাহায্য কবুল করা হবেনা কারণ তারা আল্লাহ আর তার রসুলের সাথে নাফরমানী করেছে৷ অনোন্যপায় হয়েই আর অনিচ্ছা স্বত্যেও লোক দেখানোর জন্য তারা আল্লাহর পথে মাল খরচ করে থাকে৷ নামাজে আসার ব্যপারটাও ঠিক তেমন, আন্তরিকতা ছাড়া, অলসতার সাথেই তারা মসজিদে আসে৷
৫৫/ فَلاَ تُعْجِبْكَ أَمْوَالُهُمْ وَلاَ أَوْلاَدُهُمْ إِنَّمَا يُرِيدُ اللّهُ لِيُعَذِّبَهُم بِهَا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَتَزْهَقَ أَنفُسُهُمْ وَهُمْ كَافِرُونَ
অর্থাৎ;-অতএব, তাদের ধন-সম্পদ এবং তাদের সন্তান সন্ততি যেন আপনাকে চমৎকৃত না করে৷ আল্লাহর ইচ্ছা হল, এ গুলো দিয়ে দুনিয়ার জীবনে শাস্তি দেবেন৷ এবং কাফের অবস্থায় তাদের প্রান বহির্গত হবে৷
কাফের ও মোনাফেকদের মালদৌলত, বলিষ্ঠ সন্তান সন্ততি দেখে অবাক হবার কোন কারণ নেই, আল্লাহ ইচ্ছা করলে এ সব দিয়েই তাদের শাস্তি দেবেন৷ ঐ সন্তান বা ঐ সম্পদই হয়ত একদিন তাদের কাল হয়ে দাঁড়াবে৷ আর তারা শেষ পর্যন্ত কাফের অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করবে৷
৫৬/ وَيَحْلِفُونَ بِاللّهِ إِنَّهُمْ لَمِنكُمْ وَمَا هُم مِّنكُمْ وَلَـكِنَّهُمْ قَوْمٌ يَفْرَقُونَ
অর্থাৎ;-তারা আল্লাহর নামে হলফ করে বলে যে, তারা তোমাদেরই দলভুক্ত, অথচ তারা তোমাদের দলের লোক নয়৷ কিন্তু তারা এমন লোক যারা ভয় করে৷
৫৭/ لَوْ يَجِدُونَ مَلْجَأً أَوْ مَغَارَاتٍ أَوْ مُدَّخَلاً لَّوَلَّوْاْ إِلَيْهِ وَهُمْ يَجْمَحُونَ
অর্থাৎ;-যদি তারা পেত কোন আশ্রয়স্থল অথবা কোন গিরিগুহা কিংবা মাথা গোঁজার ঠাঁই, তবে অবশ্যই তারা সেদিকে উর্দ্ধশ্বাসে ধাবিত হত।
যেহেতু আরব ভূমী মুশীকদের জন্য নয় ঘোষনা হয়েছে, তাই বাধ্য হয়ে তারা মুমিনের দলভুক্ত হয়ে রয়েছে৷ তাদের যদি কোন আশ্রয় বা মাথাগোঁজার জায়গা থাকত তবে তারা সেখানে পালিয়েই যেত৷
৫৮/ وَمِنْهُم مَّن يَلْمِزُكَ فِي الصَّدَقَاتِ فَإِنْ أُعْطُواْ مِنْهَا رَضُواْ وَإِن لَّمْ يُعْطَوْاْ مِنهَا إِذَا هُمْ يَسْخَطُونَ
অর্থাৎ;-আর তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যে, সদকা বন্টনের ব্যাপারে আপনাকে দোষারোপ করে৷ তার পর তা থেকে তাদের কিছু দেওয়া হলে তারা তুষ্ট হয়৷ কিন্তু যদি না দেওয়া হয় তাথেকে, তবে তখনই তারা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়৷
জাকাত সদকা যা কিছু বাইতুল মালে জমা পড়ত নবী সঃ তা সুচারু রূপে সবার মাঝে বন্টন করে দিতেন৷ মাল বিভিন্ন হওয়ার কারণে কোন মতেই সব কিছুই সমান সব সময় হতনা৷ কোন এক মোনাফেক একদিন রসুল সঃ কে চার্জ করে বলল, ‘হে মোহাম্মদ, ইনসাফ করো’! রসুল সঃ বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলেন, ‘যদি আমি ইনসাফ না করি তবে আর কে করবে’? এ ঘটনাটারই ইঙ্গীত এখানে এসেছে৷ আল্লাহ বলেন, যদি এদেরও কিছু দেওয়া হয় তবে এরা সন্তুষ্ট হয়ে মুখ বন্ধ রাখে৷
৫৯/ وَلَوْ أَنَّهُمْ رَضُوْاْ مَا آتَاهُمُ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَقَالُواْ حَسْبُنَا اللّهُ سَيُؤْتِينَا اللّهُ مِن فَضْلِهِ وَرَسُولُهُ إِنَّا إِلَى اللّهِ رَاغِبُونَ
অর্থাৎ;-কতইনা ভাল হত যদি তারা পরিতুষ্ট হত তাতে, যা আল্লাহ ও তার রসুল তাদের দিয়েছেন; এবং বলত, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট৷ ভবিষ্যতে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আমাদের আরও দেবেন এবং তার রসুলও৷ নিশ্চয় আমরা আল্লাহর প্রতি অনুরক্ত৷
বিষয়: বিবিধ
১৮১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন