পাঠককে লেখক বানানোর উদ্যোগ - যাযাদি থেকে ব্লগ ওয়ার্ল্ড
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ০১ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:২৬:৪৯ রাত
আমি কোনো সাহিত্য বোদ্ধা নই। এবং সে ব্যাপারে দস্তা দস্তা বিশ্লেষণমূলক কোনো লেখার অবতারণা ও করছিনা।
হঠাৎ একটা বিষয় মাথায় আসলো - আর তা থেকে পাঠকদের একটা বিষয়ে আহবান জানানোর এই পোস্ট।
প্রাক কথাঃ
শফিক রেহমান মনে হয় প্রথম এই উদ্যোগটি নিয়েছিলেন বাংলাদেশে। যায় যায় দিন সাপ্তাহিক ম্যাগাযিনের মাধ্যমে।
পাঠকদের দিয়েই লেখানো। সম্পূর্ণ লেখক বানানো উদ্দশ্য ছিল কি না জানিনা, তবে অন্তত উৎসাহিত করা হয়েছিল।
যদিও আহবান করা হত সত্য ঘটনা নিয়ে লিখতে, কিন্তু আমি জানি অনেকেই গল্প বানিয়েও পাঠিয়ে দিত, ছাপাও হত। সেটা কথা না।
শফিক রেহমান সফল হয়েছিলেন। একটা প্লাটফর্ম তৈরী করতে পেরেছিলেন, যেখানে ঝাকে ঝাকে পাঠকরা লেখা পাঠাতে শুরু করেছিল।
প্রযুক্তির বিবর্তনে সেই একই কাজটি এখন করতে পারছে সারা পৃথিবীর মানুষ। ব্লগ, ফোরাম, টুইটার, ফেইসবুক - বিভিন্নভাবে মানুষ ছোট বা বড় আকারে তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা, অন্যান্য লেখা জানিয়ে দিচ্ছে দুনিয়া ছড়িয়ে।
ব্লগ শব্দটা সঠিক টার্ম না হলেও কিছু ওয়েবসাইট এখন বাংলাদেশী পাঠকদের সেই সুযোগটাই করে দিচ্ছে।
সামু, সচলায়তন, বিডিটুডে আরো অসংখ্য।
কিছু সাইটের পরিবেশনায় হালকা চাকচিক্য, এবং কৃত্রিমভাবে নিজেদের বেশ বুদ্ধিচর্চার একমাত্র "সোল এজেন্ট" এমন ভাবখানা দেখান। কেউ নিজেদের মুক্তবুদ্ধির চর্চার "only authoritative church/school" হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ছোট্ট বৃত্তে আবদ্ধ কুপমূন্ডকতার খোয়াড় বানিয়ে রেখেছেন। মুক্তমনা ও মুক্তবুদ্ধির দাবী করলেই ignorance থেকে বের হওয়া যায়না।
পয়েন্ট টা হচ্ছে, অনেকেই নিজেদের কুপমূন্ডুকতার নির্দিষ্ট গন্ডির মধে্য সীমাবদ্ধ রেখেই নির্ভানা লাভ করার ফানুসী আত্মতৃপ্তিতে মগ্ন।
সেদিক থেকে বিডিটুডে ব্লগ একটু ভিন্ন। তারা তাদের প্লাটফর্মটাকে উন্মুক্ত রাখতে পেরেছে। সাইটটা বেশ চাকচিক্যময় না হলেও তাদের মূলনীতি টা অনেক উচুমানের। এসব সামু-ফামু, সচলায়তনের ভূয়া আভিজাত্যের বিপরীতে সত্যিকারের উন্মুক্ত একটা "ব্লগ" সাইট হচ্ছে বিডিটুডে।
এখন আসি মূল কথায়ঃ
পাঠকরা যারা এখানে নিয়মিত আসেন, সবার এখানে নিয়মিত অংশ নেয়া, পরিচিতদের নিয়ে আসা এবং লিখতে উৎসাহিত করা উচিৎ।
উচিৎ, মান সম্পন্ন পোস্ট লেখা। মান সম্পন্ন মানে কঠিন বাংলায় দস্তা দস্তা নয়।
আমি বুঝাচ্ছি গালি গালাজহীন তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ছোট হতে পারে। ভাষায় পান্ডিত্যের বা পাকনামির ছাপ থাকতে হবে তাও নয়।
আশা করি অনেকেই একমত হবেন
বিষয়: বিবিধ
১৪১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জয় ভায়াকে নিয়ে কাহিনী করতে গিয়ে এখন আছেন হুইল চেয়ারে ।
উনার লেখক সৃষ্টির মূল বেস ছিল ভালবাসা বিষয়ক গল্প নিয়ে , যেই ভালবাসা দিবসের বাংলাদেশে প্রচলনের গুরু ভাবা হয় তাকে । অন্যান্য টপিক নিয়েও উনি আয়োজন করতেন (বিডিটুডেও বিশেষ বিশেষ দিবসে এটা করে , এডও আছে )।
আমার এরকম লিখালিখির(!!!) শখও এসেছিল উনার এরকম একটা উদ্যোগের কারণে (যদিও কখনও আমি যাযাদিতে লিখা পাঠাতে উৎসাহী ছিলাম না - আমি বরং পড়তে আগ্রহীই ছিলাম বেশী)। গত ৭/৮ বছরে আর পড়া হয় নি উনার কোন ম্যাগাজিন।
লোকটা শুনেছিলাম নাস্তিক (আল্লাহই ভাল জানেন ) । তবে আজকের আসিফ-রাজিব-অভিজিতদের মত না । উনাকে কোন ধর্মের সমালোচনা করতে দেখেছি বলে মনে হয় না ।
মাঝে মাঝে মনে হয় প্রবল জনপ্রিয় সাপ্তাহিকটি থেকে দৈনিকে যাওয়া উনার সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
জাযাকাল্লাহ
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন