পিঠ বাচানো কাপুরুষদের নারকীয়তার সাথে তাল মেলানোর তৃপ্তির ঢেকুর!
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪১:০৭ রাত
বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করল ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী।
মুজিব সেই ইয়াহিয়ার সাথে দিনের পর দিনে মিটিং করে বাংলাদেশে অস্ত্র চালানের সুযোগ করে দিল, যা ২৫শে মার্চ এবং পরবর্তীতে ব্যাবহার করা হল।
পাকিস্থান সরকারের প্রাশাসনিক কর্মকর্তাদের (ম. খা. আলমগীর সরাসরি জড়িত ছিল যেহেতু সরকারী প্রশাসনে ছিল) মাধ্যমে 'ড্রাফ্ট' করে গঠণ করা হল রাজাকার। ড্রাফ্ট মানে হল যুদ্ধকালীন সময়ে সাধারন মানুষকে যুদ্ধে রাষ্ট্রের পক্ষে জোর করে অংশগ্রহণ করানো। রাজাকার এরকম ড্রাফ্টের মাধ্যমে গঠণ করা সরকারী বাহিনী ছিল।
যে কোনো আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে যদি কাউকে যুদ্ধাপরাধী বলা হয় তাহলে শুধু পাকিস্থানী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বলা যেতে পারে।
কোনো সংজ্ঞাতে যাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী বলা যায়না।
১৯৭১ সালে মাত্র ৯ মাসের মানবতাবিরোধী কাজে জামাতের নেতাদের হত্যা করতে হলে পরবর্তীতে ৩৯৬ মাসের সকল মানবতাবিরোধী কাজের জন্য কতজনের ফাসি প্রস্তুত?
ব্যাক্তিগতভাবে এ' ব্যাপারে কখনো আমি যুক্তিতর্কে যাইনা। কারণ এখানে পশুবৃত্তির চর্চা চলছে। মঈনের কারণে নরখাদকদের খপ্পরে বিচারের দন্ড - ইচ্ছামত রক্ত হোলি খেলবে, কোনো কিছু বলে লাভ নাই।
কিছু অমানুষ নিজেদের সুবিবেচক প্রমাণের আত্মপ্রতারণামূলক চেষ্টা করতে গিয়ে - গণতন্ত্র, বিচার, নিয়ম সবকিছুকে খুন আর ধর্ষণ করার নারকীয় তান্ডবকে নানা ভুজুং ভাজুংয়ে বৈধ করার নগ্নতা আর কাপুরুষতা দেখে কিছুটা ঘৃণা অনুভব হয়।
বিষয়: বিবিধ
১২২৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ মুমহুত্বে মুমিনের দায়িত্ব বেশি বেশি নফল এবাদতি কইরা আল্লার শুকরিয়া আদায় করা। বদরের যুদ্ধে ঐ পাথ্থর তোমরা মার নি, আল্যায় মারসে। আল্যায় মুমিনরে দিসে না? আরো দিবে।
মুজিবের চাটুকার মোশতাকেরাই তারে মাটির সাথে মিশাই দিছিল। আনোয়ারের ভাই তাহের, ইনু ওরা মিলেই ফেরাউনরে কতল করছিল শয়তানের শিষ্যরাই।
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর ভেঙ্গে যাওয়া দাঁত হাসে
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে
আজকে আমার সজাগ ঈমান পল্ললে -
তাকবীরেতে জাগল জোয়ার মূর্তি ভাঙা কল্লোলে
নাস্তি ধরো, পাকড়ো কাফির
করব কতল সব্বারই শির
মিষ্টি হুরের সুখ আসে মোর জিভ ফেটে মোর জল আসে
ঐ জিভ ফেটে মোর জল আসে-
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে
আসলো জেহেল আসলো লাহাব
শিরশ্ছেদে অসীম সোয়াব
তাকবীরেতে দুলবে আকাশ ছুটবে বাতাস
গগন ফেটে পাখায় হেঁটে ফেরেস্তাদের দল আসে
এর বদলা পাবি বাসরে
বেশ্যা-বোঝাই হাশরে
আজ তাই তো ঈমানদণ্ডে আমার সাদা গোলাপজল হাসে
আজ কল্লা কাটার উল্লাসে
রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে হিটম্যান বানিয়ে বস্তায় ভরে লাশ নদীতে ফেল - আর কত পশু হবে!
১- http://bangla.samakal.net/2015/11/29/176416
২-http://www.jugantor.com/sub-editorial/2015/11/27/14219
যুদ্ধাপরাধ কি?
কি হয়েছিল ৭১ এ?
কার ভূমিকা, অংশগ্রহণ কি ছিল?
ঐ সময়ে ঘটে যাওয়া কর্মকান্ডে কারা জড়িত ছিল?
সরকারে কি গণতান্ত্রিক আস্থাবান কেউ আছে?
বিচারে কারা অংশগ্রহণ করছে?
এটা মনিটরিং এর জন্য আন্তর্জাতিক কোনো অবজার্ভেশনকারী কোনো এনটিটি আছে?
আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারে জাতিসংঘসহ আর কোনো অর্গানাইযেশনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে?
যদি ঢালাওভাবে মানবতাবিরোধী বিচার করতে হয় - তাহলে আবার বিচার করছে কারা? তারা নিজেরাও কি একি দোষে দুষ্ট?
৯ মাসের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে - বাকি ৪০০ মাসের মানবতাবিরোধী কাজের বিচার কই?
রক্ষিবাহিনী সর্বহারাদের হাতে হাজার মানুষ মারা যাও্রয়ার বিচার কই?
বুদ্ধিজীবির সন্তানদের কান্নার দাম আছে - বাকি যারা নিহত আহত হয়েছে ৭১ এর পর থেকে তারা মানুষের বাচ্চা না? ডাঃ মিলন, নুর হোসেন, সিরাজ সিকদার, বিশ্বজিৎ তাদের আত্নিয়ের কান্না না?
গণতন্ত্র যারা হত্যা করে - যাদের নিজেদের দাতে জিহবায়, হাতে রক্ত তারা করবে মানবতাবিরোধী কাজের বিচার?
আমাদের বিবেক কোনো পঁচা নর্দমায় আটকে নেই।
আমাদের চোখ কোনো মেরদন্ডহীন প্রানী বা উদ্ভিদের নয়।
ভুজুং ভাজুং বুঝি। মিনা ফারাহর এই লেখা পড়েন।
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3694/rokto_lal/72003#.Vlp1pLSd_Qc
মন্তব্য করতে লগইন করুন