খুনীর পরিচয় প্রমাণিত তাই এই পোস্টটি অদৃশ্য কারণে মাঝে মাঝে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে - দ্রুত ছড়িয়ে দিন।

লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:৩১:৪৯ সন্ধ্যা



বিভিন্ন হত্যাকান্ডে যখন কোনো সরাসরি প্রমাণ না থাকে এবং প্রত্যক্ষদর্শী না থাকে তখন কিভাবে এর খুনিকে বের করা হয়?

এটা বের করতে circumstantial evidences খোজা হয়।

হত্যার মোটিভ খোজা হয়।

ফরেনসিক এভিডেন্স বের করা হয়।

ঘটনাপ্রবাহের টাইমলাইন নিরীক্ষা করা হয়।

এরকম সবকিছু তথ্য, তত্ত্ব, উপাত্ত মিলিয়ে তারপর নির্ধারণ করা হয় সম্ভাব্য খুনীর পরিচয়।

যেসব খুন সাধারণ লোকজন করে তাদের তথ্য খুব সহজেই ধরা পড়ে।

কিন্তু কোনো সরকারী বা বেসরকারী প্রফেশনাল বাহিনী খুন করলে তাদেরকে খুজতে সময় লাগে।

সমাজে পরিচিত লোকজনকে ছুরি দিয়ে খুন করাটা খুব রিস্কি ব্যাপার - কিন্তু তারপরও ১০০% ঘটনাগুলোতে (তথাকথিত মুক্তমনা হত্যা) ছুরির ব্যাবহার হচ্ছে। যেন সরাসরি প্রমাণ না থাকে। বুলেট শরীরে আটকে গেলে বা খোসা থেকে এই বুলেট ট্রেইস করে এর উৎস্য এবং কে বানিয়েছে কার হাতে আসতে পারে বের করা সম্ভব। এমনকি ঠিক কোন অস্ত্র থেকে গুলি করা হয়েছে তাও বের করা সম্ভব।

যেহেতু এসব ঘটনায় বিদেশী তদন্ত সংস্থা জড়িত হতে পারে এবং গুলি থেকে আরো নানা তথ্য বের করে ফেলার প্রযুক্তি জানা আছে, সেহেতু ছুরি ব্যাবহার করা হচ্ছে।

এ'টি কারা করবে? যারা হাই রিস্ক নিতে সক্ষম।

শুধু মাত্র অরগানাইজড ফোর্সেস সেটা সরকারী বা বেসকারী হোক তারাই এই রিস্ক নিবে।

এদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সন্ত্রাসীচক্র যেমন পি.এল.ও., উলফা, টামিল টাইগার্স, মাওবাদী, সর্বহারা এরা থাকতে পারে। আল-কায়েদাকে উদাহরণ হিসাবে বলিনি কারণ আমার ধারণা আল-কায়েদা বায়বীয় - বুশের বানানো শুধু কাগজে কলমের (বিশ্বাস না হলে সি.আই.এ.-র ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্টস পড়ে দেখবেন আফগানিস্তানে মুজাহিদ বানানোর কাহিনী)।

দেশি বা বিদেশী সরকারি বাহিনীর মধ্যে সো কলড 'ইনটেলিজেন্স এজেন্সি' যেমন সি.আই.এ. 'র' ডিজিএফআই মোসাদ আইএসাই এরা থাকতে পারে।

এবার ঘটনাপ্রবাহ ঘটার টাইমলাইন থেকে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনা বারবার ঘটছে। এর মানে সরকারী গোয়েন্দারা এ'ব্যাপারে সম্পূর্ন ব্যার্থ কিংবা তাদের সহযোগিতা নিয়েই হচ্ছে নাহলে ঘটনা একেবারে হুবহু হত না।

খুনীরা তদন্তকে ডিসরাপ্ট করতে হলেও ভিন্ন কৌশল নিত। সেটা তারা করছেনা। মানে হল ভিতরের সমর্থন আছে।

এবং পার পেয়ে যাওয়ার যথেস্ট ব্যাকআপ আছে।

এবার আসি একটু ফ্ল্যশব্যাক এ' -

বেশ কয়েকদিন এসব ছুরি দিয়ে তথাকথিত 'মুক্তমনা' হত্যা হচ্ছিল না।

বলা নেই কওয়া নেই - হঠাৎ করে জয় হাসিনার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ যাওয়ার ঠিক আগে একটা মতামত ছাপালো বাংলাদেশে জঙ্গীরা লুকিয়ে আছে এই বলে।

এর পরেই ধরাবাহিকভাবে এই খুন গুলো হতে লাগলো। যেনো জয়ের ডাকেই খুনিরা সাড়া পেল।

আরেকটা বিষয়, এসব খুনে একমাত্র হাসিনা ছাড়া কারোরই লাভ হচ্ছেনা।

হাসিনা ইনুরা প্রকাশ্যে গণতন্ত্রের বিরোধীতা এবং নির্বাচন হত্যা এবং মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা আকড়ে আছে।

অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তৈরী করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ রাখতে পারলে অবৈধ সরকাররা ক্ষমতায় আরো বেশী সময় থাকতে পারে।

আরেকটা জিনিষ জলবৎ তরলং। সেটা হল সুষ্ঠু নির্বাচনের বিদেশী চাপ অনেক বেশী। এই বিদেশী চাপকে ছেড়াবেরা করে দেবার সবচেয়ে বড় ওষুধ হল জঙ্গী ডুগডুগি।

আর এই জঙ্গী ডুগডুগি বিদেশীদের কানে ঠিকমত পৌছানোর মরিয়া চেষ্টা হল কিছু বলির পাঠাকে বলি দেয়া। আর তাই হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

১২৩৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348128
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫৩
হতভাগা লিখেছেন : আপনি টার্গেট হয়ে যাবেন
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৭
289014
রক্তলাল লিখেছেন : টার্গেট কি ভূমধ্যসাগরে পতিত হবে?
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৮
289015
রক্তলাল লিখেছেন : It leaves everyone blind. The best course of action is to establish full democracy.
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩২
289016
হতভাগা লিখেছেন : এতদূরে নয় , নারায়ণগন্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে


০২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৫৪
289045
রক্তলাল লিখেছেন : আমি বলছি উনারা টার্গেট করে যে জিনিষ ছুড়বেন ওটা কি ভূমধ্যসাগরে পড়বে না চীনের উপকুলে।

আমার পিছে না ছুটে নিজেদের কাজকর্ম ঠিক করাটাই উনাদের জন্য বেশী বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

কতজন রে টার্গেট করবেন?
348174
০২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:১৬
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : জলবৎ তরলং নাকি জলের মতো পরিস্কারং....? ভাইরে সাবধার দেশে আইসেন না রক্তত এমনিতেই লাল....তা কিন্তু প্রবাহিত করিয়া বানাইয়া ফালাইবো খাল....সাবধান। অনেক ধন্যবাদ
০২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৩
289077
রক্তলাল লিখেছেন : কম মানুষরে ত' মারা, জেইলড করা হলনা। পার পাইতেছে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File