ডাইকাটমি ইন লাইফ এন্ড দি হিপোক্রেটস ইন আস
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ১২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:৫৯:১৫ রাত
ছোটবেলায় পড়েছিলাম মানুষ স্বভাবতই দ্বীজ। মানে হচ্ছে আমাদের স্বভাবের বিপরীতমুখিতা রয়েছে।
বড় হয়ে এটার মানে যে কত কুৎসিত তা বুঝতে অনেক সময় এত বেশী আনকোমফর্টেবল ফীল করি, মাঝে মাঝে মনে হয় ডিসগাস্ট (ঘৃণা শব্দটি প্রযোজ্য নয়) এ বমি করি।
মানুষ এত বিপরীতমূখী হতে পারে ভাবতেও মনে হয় একটা বিদঘুটে সামাজিক বা মানব সভ্যতায় বাস করছি।
দেশপ্রেমে আমাদের আবেগ এত উথলে ওঠে, শহীদ মিনার আর স্মৃতি সৌধকে ফুলে ফুলে এত ভারী করি যে ওগুলা আরো কয়েক ফীট দেবে যাবে মনে হয়।
অথচ এই আমরাই আমাদের কুৎসিত মনে প্রশ্নপত্র ফাস করি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংসের বীজ বুনি। পুলিশকে ঘুষ আর ডাকাত বাহিনীতে পরিণত করেছি। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি সেক্টরকে চোর বাটপারের আখড়া বানিয়েছি।
গণতন্ত্রের মানসকন্যা সাজি অথচ পিশাচ রূপ নিয়ে ঢোল পিটিয়ে রাখঢাক না রেখে গণতন্ত্রের গলা টিপে দিনে দুপুরে হত্যা করি।
এরপর রক্তমাখা জিহ্ববা বের করে অহংকার আর গর্বে প্রেস কনফারেন্স করি।
আমরা টিভি, সমাবেশ, মঞ্চ কাপাই কিছু মানুষের ফাসি দাবী করে। চুপ থাকি যখন মুসলমানদের উপর নির্যাতন হয়। গলা ফাটাই পাকিস্থানের নেগেটিভ কিছু নিয়ে - অথচ আবার সেই একই ছাইমাখা মুখে অভিজিৎ আর তাসলিমার জন্য মানবতার সব দরদ বেয়ে বেয়ে পড়ে।
ভারতের পতাকা নিয়ে হাজির হই স্টেডিয়ামে, ভারত সবকিছু লুটে পুটে নিয়ে গেলেও মুখে রা বের হয়না।
সেই আমরাই।
একজন মুসল্লী ময়লা জায়গাতে নামাজ না পড়ার জন্য পতাকা বিছিয়ে নামাজ পড়লে তাকে গালি দিয়ে জবাই করতে উদ্ধত হই। আবার সেই একই পিশাচ আত্না সানন্দে কুত্তার গায়ে পতাকা পরাই।
নিজেদের গন্ধময় পশ্চাতদেশ যেন মাটিতে না লাগে সেজন্য পতাকার উপরেই বিশাল নিতম্বকেই রাখি।
লজ্জাহীন মুখে নিজেদের মত প্রকাশের অধিকারের কথা বলি - আবার নিজেরাই জামাত-শিবিরের কথা বলার অধিকারকে গলা টিপে ধরি।
এই আমরা জঙ্গি জঙ্গি বলে চেচামেচি করি আবার ছাত্রলীগ নামক হিংস্র বাহিনীর মক্ষিরানী হাসিনার পদলেহনে ব্যাস্ত থাকি।
নিজেরা ডিসগাস্টিং জীব হিসাবে নিজেদেরকে তুলে ধরে আশ্চর্াযান্বিত হই কিভাবে জামাত-শিবির তরুণ প্রজন্মের কাছে এত প্রিয় ভেবে।
একটা বার যদি নিজেদের দিকে আমরা তাকাতাম। একটাবার যদি বুঝতে পারতাম নিজেদের বর্জ্য কত দুর্গন্ধময়।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সহমতে থাকার জন্য এবং মন্তব্য দেয়ায় ধন্যবাদ।
আবার নিরপরাধ স্বধর্মীয় মানুষদেরকেই মারি বা মারতে সাহায্য করি
nijeke musolman dabi kore ba na kore... kono niroporadh manushke keu hotta korle tar shasti howa uchit.
seta hasina, khaleda shoho jei hok na keno.
পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না
আল্লা ভাইরাস আক্রান্ত মুসলিম বলে কথা।
আযানের ধ্বনি শ্রুতিমধুর তা নাস্তিক বা অমুসলিম যে কেউ বিশ্বাস করবে।
আযানের ধ্বনি নিয়ে যার এমন হিংসাত্নক অনুভূতি সে বিকৃত মস্তিস্কের নিজেই প্রমাণ করল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন