হাসিনার তিতা লেবুর সরবত
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ২১ জুলাই, ২০১৩, ০৩:২০:৫৫ দুপুর
বিয়াল্লিশ বছর ধরে যে লেবু চিপানো হয়েছে সে লেবু দিয়ে বানানো সরবত প্রান জুসের মত প্রাণ জুড়ানো হবার সম্ভাবনা খুব কম। বরং তিতাই হবে। আর সে তিতা শরবতে জনগণ খুব একটা আগ্রহী নয়।
আমাদের দেশের যাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়েছে সেই রক্তপিপাসু (দিনে এবং রাতে গণহত্যা চালিয়েছে), হিংসুটে (উদাহরণঃ ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক আর খালেদার বাড়ি ভাংগা) মহিলা দেশের মানুষকে লেবুর শরবত খাওয়াতে বেশ প্রচেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন।
মানুষ এমনিতেই এই শরবতের ব্যাপারে খুব একটা উদ্দীপনায় ছিল তাও নয়। যদি তাই হত তাহলে জামাত ৮৬ সালে ১০ সীট পেতনা। ৯০ এ তাদের সমর্থনে সরকার গঠিত হতনা। ২০০১ এ তাদের সাপোর্টে বিএনপি জোট সুপার মেজরিটি পেতনা।
গত সিটি নির্বাচনে আশানুরূপ ফল পেতনা।
হাসিনার সেই তিতা শরবতটি হচ্ছে জামাত নেতাদের প্রতারণামূলক ফাসির (যুদ্ধোপরাধ নাটকের) রায় কার্যকর।
গত ৪২ বছর ধরে এই ব্যাপারটি যথেষ্ট কচলানো হয়েছে। এটা এখন সম্পূর্ণ তিতা আর বিলাসী। ভুখা নাংগা মানুষ দুইবেলা ভাত চায়।
এসব শরবত শরাবে কেউ উৎসাহী ও নয়, কেয়ার ও করেনা।
অন্য যেসব ব্যাপারে সরকার যেমন কাচা কাজ করে ধরা - তেমনি পুরান কাসুন্দি ঘেটে লাভের লাভ কিছুই হবেনা, শুধুই জুটবে গলাতে কলংকির ঢোল।
তা ইতিমধ্যেই হচ্ছে। তার প্রমাণ নির্বাচনী ফল আর আর হাসিনার মহাউন্মাদীয় কথাবার্তাতেই পাওয়া যাচ্ছে।
ড. ইউনুসের সমর্থক, বিএনপি, জামাত, হেফাযত, শিবির, ছাত্রদল, বি. চৌধুরী, অলি আহমদ, ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টি - সবাই হাসিনাকে বলছে, "দুরে যা"
হাসিনার লেবুর শরবতের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছেনা। শাহবাগীরা চিৎপটাং - এই অবস্থায় তিতা শরবতের প্রচার করে নৌকার পালে খুব একটা গতি আসবেনা। বরং নৌকা আরো ডুবছে, ডুবতে থাকবে। অতি চালাক সেই রাখাল বালকের মত সত্যি এখন বাঘের থাবায় সরকারের বিদায় ঘটবে।
বিষয়: বিবিধ
১৭২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন