কিসের ট্রায়াল? কিসের ট্রাইব্যুনাল? - কমেন্টসে ভারতীয় দালালদের যন্ত্রণার ছটফট (বোনাস)
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ২৩ মে, ২০১৩, ০৭:৫৫:৩৭ সকাল
[নীচে টিক্কাসহ আসল গণহত্যার রূপকারদের ছবি]
[২৫শে মার্চের গণহত্যার রূপকার - ইয়াহিয়া, টিক্কা, রাও ফরমান]
২৫শে মার্চ ১৯৭১ রাতে যে গণহত্যা হয়েছিল, এর চেয়ে বড় অপরাধ এ অন্চলের মানুষের উপর আগে হয়নি। ইতিহাসের জঘন্যতম এই অপরাধের বিচার কোথায়? জানতে চেয়েছিলাম এক শাহবাগীর কাছে। পাইনি কোনো উত্তর। এই প্রশ্ন কেউ করেছে কি না জানিনা। তখন ত রাজাকার ফাজাকার কিছুই ছিলনা। এতবড় জেনোসাইডের বিচারের প্রশ্নে কারোই মাথাব্যাথা নেই?
শুধু হত্যা করতে হবে জামাত নেতাদের? এজন্যই কোটি কোটি টাকা খরচ করে 'স্কাইপ' ট্রাইব্যুনাল? "তুমি খাড়ায়া যাবা, আমি ধমক দিয়ে নামায়া দেব।" বাচ্চাদের স্কুলের বার্ষিক নাটক? একজন মুকুট পরে রাজা, আরেকজন কোমরে খেলনা তলোয়ার নিয়ে উজির?
বিচার, আইন এসব নিয়ে এরকম চরম উপহাসমূলক কাজ গণতন্ত্র, মানবতা, সভ্যতাকে নিয়ে হাসি তামাশার সর্বনিকৃষ্ট রূপ। ওখানে যারা "বিচারক(?)" তাদেরকে বিচারকত দুরের কথা, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভাবতেও নিজেকে বিকৃত মনে হয়।
এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা কিংবা সমালোচনা করা আমি একজন বোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে নিয়েই মশকরা মনে হয়।
তারপরও এই মুখরোচক বিষয় নিয়ে কথা বলেন অনেকে তাই একটু নাক গলালাম।
যার ভাইদের বলা হত ব্যাংক ডাকাত, যার বাবা হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী হত্যা করেছে, যে নিজে জনসন্মুখে চালিয়েছে গণহত্যা, যার কর্মীবাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ খুন করে কসাইয়ের মত। যার দলবল হতদরিদ্র মানুষের রক্তচোষা বেনিয়া, হাজার হাজার কোটি টাকা আত্নসাৎকারী - সে করবে বিচার?
৪২ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষরা তাদের অধিকার থেকে বন্চিত। শিক্ষার পরিবেশ নেই। মানুষের নিরাপত্তা নেই। কর্মসংস্থান নেই। বিদ্যুৎ অপর্যাপ্ত, পানি নেই। শিল্পের বিকাশ নেই। অপরিকল্পিত নগরায়ণে জীবনহানির সম্ভাবনা এবং জনদুর্ভোগ চলছে।
ছিন্নমূল শিশু-নারীর মানবেতর জীবনযাপন।
এরকম অগণিত চরম ইস্যু পাশ কাটিয়ে জামাত নেতাদের হত্যার জন্য বিচার-নাটক?
এত কথার পরেও কিছু গৌতম বুদ্ধ মহামণীষি এসে "অংক" করা শুরু করবেন। ওনারা শাহবাগে সবাইকে সরিয়ে ঘটিবাটি থালাবাসন নিয়ে কাঁথা-বালিস বিছানা বসিয়ে রাস্তা চলচাচল বন্ধ করে রাতদিন মাসের উপরে কি এক ভীষণ মনোযোগ দিয়ে খালি "অংক" করলেন। কেউ পাশে আসলেই বলতেন ভাই "কৃষিবিজ্ঞান" নিয়ে আসবেন না। বাংলাদেশের তাবৎ সমস্যা ওনাদের কাছে "কৃষিবিজ্ঞান" এবং ওটা নিয়ে তাদের একটুও মাথা ঘামানোর গরজ নেই। একেকজন অংকের অতিশ দীপংকর। অংক ঘষতে ঘষতে (থুক্কু, অংক কষতে কষতে) এমন অবস্থা, আইনস্টাইন ও বাপ বাপ বলে দৌড়াবে।
এসব গাণিতীয় আর্কিমিডিসদের কথা হল, আগে এই বিচার হোক।
ঠিক আছে তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম বিচার হোক।
কিন্তু, কাদের বিচার হচ্ছে?
যুদ্ধ হল তিন দেশ মিলে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান।
খোদার এই বিশাল জাহানে পুরো পাক-ভারত-বাংলাদেশ মাঠ ঘাট তন্ন তন্ন করে যুদ্ধাপরাধী পাওয়া গেল কিনা মাত্র হাতে গুনে ৯/১০ জন?
বলি হরি, অংকেও ফরমালিন? বিশাল অংকবিদরা এই অংকে একটিও গোজামিল পাচ্ছেন না?
পেয়েছেন, গোজামিল না পেলেও গাঁজার মিল পেয়েছেন। মানে গাঁজার যোগ পেয়েছেন, শাহবাগের মাজারে। আর তাইত কল্কির ফুঁকে ফুঁকে অংকের জটিল জটিল সব রহস্য সমাধান করছেন।
যাই হোক। এরকম লিখতে লিখতে দেখা যাবে পুরো একখন্ড রামায়ণ লিখে ফেলেছি তারপরও পিশাচদের দালালরা ভোরে তখনও গাঁজায় টান দেবে আর মাতলামি ভংগিতে অবাক হয়ে জানতে চাইবে, "সিতা কার বাপ?"
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন