বোকাদের স্বর্গের রূপঃ পুলিশ কন্সটেবলের জাংগির ভিতরে থেকে আস্ফালন। পুরোটা পড়লে বেয়াফক বিনোদন, মিস নাই
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ১৯ মে, ২০১৩, ০৩:৫১:০৫ রাত
[ফটিকছড়ির ভুজপুর - দুঃস্বপ্ন হয়ে যা তাড়া করে বেড়াচ্ছে]
২০০৮ সালে delusional আর মেরুদন্ডহীন জেনারেল মঈনের মাধ্যমে ভারতের cherry picked হাসিনার সরকার ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে দেশের মানুষের আশা আকাংখার প্রতি খেয়াল না করে একের পর প্রতিহিংসামুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এখন চরম 'মাইনকা চিপা' বলতে যা বুঝায় তার মধ্যেই পড়েছে। গলায় শুধু একটি নয়, বেশ কয়েকটি কাটা ঢুকিয়ে না গিলতে পারছে, না গলায় রাখতে পারছে।
ট্রাইব্যুনাল যাত্রানাটক
বিএনপি-জামাত দমণ
ডঃ ইউনুস ইস্যু
এ'সব কিছুই একেকটা কাটা হয়ে গলায় বিধে আছে।
তার সাথে যোগ হয়েছে, পানি-বিদ্যুৎ সমস্যা, হেফাযত, সেনা-অফিসার হত্যা, চাপাতীলীগ, পদ্মাসেতু দুর্নীতি, নতুন বিমানবন্দর নির্মানের হরিলুটের কুচেষ্টা, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক, স্টক মার্কেট, শাহবাগী বিষফোঁড়া, সাভারের ঘটনা, রানা-মুরাদ জং, বিশ্বজিৎ এ' সবকিছুই সরকারকে করে তুলেছে দিশাহীন। আর সেজন্য সরকারের পাগল মন্ত্রী পরিষদে লুলু পাগলাদের নতুন নতুন সমাবেশ ঘটছে।
ক্ষমতা পেয়ে বালখিল্যতা করে এখন আর নিজের গড়া কুয়া বা quagmire থেকে কোনোভাবেই ত্রান পাচ্ছেনা।
গুলি করে মানুষ হত্যা করে নিজের প্রাণ বাচানো ছাড়া পথও নেই।
এদিকে দু'দিন পরপর বিদশী মিডিয়া গুলোর ইকুটি বিকুটি পেচানো পেচানো উত্তর দিতে দিতেই হাসিনার ব্লাড প্রেসার আরো বেড়ে যাচ্ছে।
এ' অবস্থা মোহান্ধ কিছু ভারতীয় দালালরাও বুঝে। কয়েকদিন "বিচার চাই, বিচার চাই" ডুগডুগি বাজিয়ে দেখল পরিস্থিতি উল্টা ঘূর্ণি খাচ্ছে। এসব বস্তাপচা মুরগি শাহরিয়ারের ডুগডুগি বাজানো শুনলে জনগন আরো তেড়ে আসছে।
কিভাবে তাহলে তাদের মনকে স্বান্তনা দেবে? তারা তাদের ভাবনাকে আবদ্ধ রাখে একটা alternate universe এ। সোজা বাংলায়, বোকার স্বর্গে বসবাস। সেখানের আলো-বাতাস শুধুই তাদের অবাস্তবিক গাঁজার ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। বাইরের বাস্তব পৃথিবীর সাথে যার যোজন যোজন ফারাক। সেখানেই তারা তাদের দশমাথার রাবনকে বধ করছে, পাতালে সীতার সন্ধান পাচ্ছে, আরো কত পুরাণ কাহিনী।
যা কিছু তারা দেখে মেনে নিতে পারেনা, তা না দেখার জন্য নিজেই নিজের চোখ গুতা মেরে কানা হয়ে যায়। যা বুঝতে চায়না সেটা না বুঝার জন্য নিজেই নিজের মগজ খোঁচা দিয়ে মানসিক বিকলাংগ হয়ে বসে থাকে।
সরকারের আয়ু যখন শেষ হবে কয়েক মাস পরে, জনগন যখন যার যা আছে তাই নিয়ে এসে টেনে হিঁচড়ে বিদেয় করবে, তখনও কি তারা তাদের ধোঁয়াচ্ছন্ন স্বর্গে বসবাস করবে? নাকি তখন খালেদাকে স্বাধীনতার মহান ঘোষক আর গোলাম আযমকে জাতির পিতা বানিয়ে দিয়ে পিঠ বাচানোর চেষ্টা করবে।
সময়ই বলে দেবে, যেমনটি প্রমাণ করেছিল আগেও..
বিষয়: বিবিধ
১৭৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন