সরকারের বিরুদ্ধে পদ্মা দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণ। একজনের মন্তব্য কানাডার সরকারী টেলিভিশন নাকি জামাতি টাকায় এটা করেছে - মা গো, বাবাগো...

লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ১৮ মে, ২০১৩, ০৮:৪১:০৭ সকাল



[পোস্টের শেষে ভিডিওর লিংক আছে]

কানাডীয় সরকারী টিভি চ্যানেল সিবিসি-তে একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করা হয়। সেই ডকুমেন্টারীর মধ্যে হাসিনার একটি ইন্টারভিউও ছিল। এবারে নিজের থলের কালো বিড়ালের শব্দ শুনে ওনার নিজের বুকের ধড়ফড়টাও ইন্টারভিউয়ে স্পষ্ট। বারবার ঢোক গিলছিলেন।

যে বিষয়টি অনুষ্ঠানটিতে দেখানো হয়েছে তার সারমর্ম নিম্নরূপঃ

পদ্মা নদি পারাপারে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। পণ্যবাহী ট্রাক অনেক সময় সপ্তাহ খানেক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই ভোগান্তি নিরসনের জন্য পদ্মাসেতু নির্মাণের সরকারী পরিকল্পনায় সায় দিয়ে বিশ্বব্যাংক অর্থের যোগান দিতে রাজি ও হয়েছিল। বাধ সাধল তখনি যখন এই প্রকল্প তদারকিতে কানাডিয়ান কোম্পানি 'এস এন সি লাভালিন' সম্পৃক্ত হল।

পদ্মা পারাপারের সমাধান ছিল ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ অত্যাধুনিক পদ্মা বহুমুখী সেতু। যা নির্মিত হলে জাতীয় উৎপাদন ২০% বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। এটি বানাতে খরচ হত ৩ বিলিয়ন ডলার, যার মূল যোগানদাতা বিশ্বব্যাংক।

হাসিনার সাথে ইন্টারভিউয়ের সময় ডকুমেন্টারির প্রতিবেদক উল্লেখ করেন লাভালিন কিভাবে লিবিয়াসহ অন্যান্য দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে তারা ঘুষের বিনিময়ে কাজ পেয়ে আসছিল। কিভাবে তারা মন্ত্রী আবুল হোসেনের মাধ্যমে ঘুষের বিনিময়ে এই প্রকল্পটি পায়; আবুল হোসেনকে সরকার চাদা তুলতে ক্যাশিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। বোন রেহানাসহ শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা সেই চাদার ভাগ পেয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসাবে পরিচিত আগে থেকেই, সে আশংকায় বিশ্বব্যাংক আর্জেন্টিনার প্রাক্তন বিচারক লুইস মরেনো ওকাম্পোর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত দলের মাধ্যমে পদ্মাসেতু প্রকল্পে লাভালিনের ঘুষ দুর্নীতির প্রমাণ পায়।

সিবিসি টেলিভিশন লাভালিনের বিভিন্ন অফিসিয়াল কাগজে প্রমাণ পায় যে, লাভালিন ঘুষ প্রদানের খাতকে সি.পি.পি. কোডনামে ডাকত। লাভালিনের প্রধান এই অভিযোগ অস্বীকার করেননি। আরেক কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমায়েল (দেখতে আর ইংরেজী শুনে বাংলাদেশী মনে হচ্ছিল) স্বীকার করেন ঘুষের কোড হিসাবে সি.পি.পি. অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হত। তিনি নিজেও ঘটনার আসামী।

হাসিনা তার সরকার জড়িত ছিল সেটা অস্বীকার করলেও তিনি যে হাতেনাতে ধরা পড়ে গলাশুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল।

শেষের দিকে প্রতিবেদকের মন্তব্য, "বাংলাদেশের মানুষের পদ্মাসেতু নিয়ে ভোগান্তির শেষ হলনা সরকারী কর্মকর্তাদের ঘুষ দুর্নীতির কারণে।"

তিনি আরো মন্তব্য করেন, "পদ্মাসেতু নিয়ে হাসিনার আর তার পরিবারের জন্য আরো বিব্রতকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে কারণ এই স্ক্যান্ডাল শুধু বড়ই হচ্ছে।"

আমরা জনগণের প্রশ্ন, হাসিনা, তোমার ক্ষমতা আর অর্থের লোভের কারণে আর কত গণহত্যা, দুর্নীতি হবে? গুলিতেও মারলে, ভাতেও মারলে। তোমাকে আমরা চাচ্ছিনা। দয়া করে তুমি বিদায় হয়ে আমাদের হাফ ছেড়ে বাচতে দাও।

মূল ভিডিও

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File