কে দিল আত্মমর্যাদার স্বীকৃতি?

লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ০২ মে, ২০১৩, ০৬:৫৮:২৪ সকাল

এক.

আমার দেড় বছরের ভাতিজা যখন আমাকে কিছু একটা বলতে চেয়ে আমার মনযোগ পায়নি তখন যে দুই একটা ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারে তা দিয়েই তার মা দাদুর কাছে খুব রাগে অভিমানে অভিযোগ করছিল।

সবাই অবাক হল তার অভিমানের কারণ আর প্রকাশভঙ্গি দেখে।

এতটুকুন একটা বাচ্চা তার প্রতি কিংবা তার মতামতের প্রতি অবহেলা মানতে রাজি নয়।

দুই.

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক, সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। উনার স্ত্রী আর উনি মিলে অনেক অর্থ কড়ির মালিক। অথচ শুধু মত প্রকাশের দাবীতে তিনি মানবেতর অবস্থায় আছেন। কারাগারে বন্দী হয়ে অনশন করে মৃত্যুর মুখোমুখি।

তিন.

স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমের সম্পর্কে অনেক সময় শুধু মতামত চাপিয়ে দেওয়া কিংবা মতের প্রতি অবহেলার কারণে সম্পর্কে চিড় ধরে। অনেক সময় ভেঙ্গেও যায়।

চার.

সমাজবদ্ধ ভাবে আমরা পরাধীনতা মেনে নেইনা। আমরা সমান সুযোগ চাই। বাক-স্বাধীনতা চাই। অনেক সময় জীবন দিয়ে জাতি হিসাবে স্বাধীনতার যুদ্ধ করি।

উপরের উদাহরণগুলোর মাধ্যমে যা বুঝাতে চাইছি, মৌলিক অধিকার কি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান? নাকি কথা বলার অধিকার। আমার আত্মমর্যাদার স্বীকৃতি?

আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষ প্রথমেই যা চায় তা হল মানুষ হিসাবে তার মর্যাদা।

এবারে আসি আমার এই লেখার মূল কথায়। কালেমা। ইসলামের অন্তর্ভূক্ত হবার প্রথম যে বিষয় তা হল, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।"

যার অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কাউকে মানিনা।

চিন্তা করুন আল্লাহ সর্ব প্রথমেই মানুষ হিসাবে অন্য কারো বা কিছুর কাছে নত হওয়া বা বাধ্য না হওয়ার মুক্তি দিচ্ছেন। এরচেয়ে বড় মর্যাদা পৃথিবীর কোনো সংবিধান বা মতবাদ কি দিয়েছে?

হয় রাজা বাদশাহ বা রানীর সামনে মাথা নত করতে হবে, নয় বুশ, লেনিন এদের মতবাদ, নির্দেশের কাছে বাধ্য থাকতে হবে।

একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসাবে মাথা উঁচু করে নিজের বোধশক্তির স্বাধীনতা আমি শুধু ইসলামের কালেমাতেই পেয়েছি।

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File