গোঁড়া নাস্তিক আর তাদের সংকীর্ণ ভুবন
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ২৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:২৩:৪৪ দুপুর
কোনো মানুষ মুক্তচিন্তার অধিকারী আবার নাস্তিক দুটোই একসাথে হতে পারে না।
নিজেকে নাস্তিক বলা মানে হল একটা নিদৃষ্ট সংজ্ঞায় সীমাবদ্ধ করে ফেলা।
আর যদি নাস্তিক আস্তিক এই ব্যাপারে নিরপেক্ষ থেকে বলতে হয় তাহলে কোনো গ্রন্থ মিথ্যা বা সত্য তার উপরে ভিত্তি করে স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে কি না তার বিতর্কে যাওয়া যায়না।
স্রষ্টার অস্তিত্ব বিষয়টি মেটাফিজিক্স না, এটা ফিজিক্স এর ব্যাপার। আসলে এস্ট্রফিজিক্সের ব্যাপার।
আমরা যে ফিজিক্স জানি বলে মনে করি তা এখনো পরিপক্ক নয়। ইউনিভার্সের কোথাও কোথাও আমরা যে ফিজিক্স জানি তা খাটেনা।
আমরা টাইম ট্র্যাভেল, প্যারালাল ইউনিভার্স, কতটা ইউনিভার্স এসব সম্পর্কে শুধু আবছা ধারনাই রাখি কিন্তু এসবের বাস্তবিক ধারণা এখনো ফিজিক্স দিতে পারেনি।
মানুষ নাস্তিক হবার অসংখ্য কারণ আছে।
আল্লাহ আছেন কি না এটা নিয়ে চিন্তা বন্ধ না করে এ নিয়ে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করতে হলে বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার প্রয়োজন। এর চেয়ে বরং সোজা হিসাব আল্লাহকেই অস্বীকার করা। বিনা পরিশ্রমে সহজ ফল।
নাস্তিক হলে তাদের অনেক সুবিধা। জীবনের অনেক জিজ্ঞাসা, বিভিন্ন মাত্রাকে সহজেই পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়। যাকে ডিনায়াল বলা যেতে পারে।
আরেক পক্ষ নিজেদের বেশ বাস্তব এবং যুক্তিবাদী মনে করে। তাদের কথা, শুধু যা দেখব তাই বিশ্বাস করব। আরেকটু গভীরভাবে বললে যা আমার বোধশক্তিতে ধরতে পারব শুধু তাই বিশ্বাস করব।
কিন্তু, এই ইউনিভার্স এ অনেক কিছুই আছে যা আমাদের বোধগম্যের বাইরে। যেমন ব্ল্যাক মেটার্স, ডার্ক এনার্জি। এসব শুধু অনুমান করতে পারি কিন্তু বাস্তবিক ধারণা বা বোধ নেই।
প্লেটোর ফিজিক্স এ গ্র্যাভিটি কোনো ফ্যাক্টর ছিলনা।
আরেকটা বিষয় অনেকে মিলাতে পারেনা যে স্রষ্টা ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে মানুষের সাথে কথা বলা বা কম্যুনিকেট করা। কিন্তু ওদের কথা অনুযায়ী যদি গ্যাস থেকে মানুষের উত্পত্তি হয় আর সেই মানুষ কম্যুনিকেট করতে পারে, তাহলে স্রষ্টা পারবেন না কেনো।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন