মুক্তির দাবানল নিভেনা মুখের ফুৎকারে
লিখেছেন লিখেছেন রক্তলাল ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৩৬:০২ রাত
নয় মাস গর্ভে ধারণ করে অসম্ভব যন্ত্রণায় স্বপ্ন নিয়ে প্রসব করেছিলে যে দেশ, বাংলা মা এখনো সে স্বপ্ন দেখেনি আলো।
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে অপমানে গ্লানিতে। অত্যাচারের খড়গ আঘাতে তুমি জর্জরিত।
রাক্ষুসেদের রক্ত লালসায় তুমি আজ চরমভাবে নির্যাতিত নিস্পেষিত।
ক্ষমতালোভীদের নির্মম থাবায় তুমি আজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।
কারাগারে বন্দী মানবতার গগণবিদারী আর্তচিত্কারে পৃথিবীর আকাশ বাতাস লজ্জার ভারে নিথর।
কালো রাজপথ ব্যাথার বেদনায় হাজারো প্রানের তাজা রক্তে সিক্ত হয়ে কালো পিচ আর রক্তের লালে এক শঙ্কর রঙে বিমর্ষ।
তোমার নাগরিকদের অধিকার আজ বাকশালীদের নিষ্ঠুর পৈশাচিকতায় পদদলিত।
মুক্তিকামী মানুষ আজ মিলিত মুক্তির মোহনায় সময়ের সাক্ষী হিসাবে বাংলার মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার আদায়ে।
হাসিনার হুংকার আর ভয় ভীতিতে বিচলিত নই একটুও। চট্টগ্রামের ওয়াসামোড়, সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট, লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক কিংবা টাইমস স্কয়ার, কোথাও আমরা বসে নেই।
দ্বিতীয়ঃ
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রসারিত বন্দীশালার কাঁটাতারে আবদ্ধ স্বদেশ মাতৃভূমি।
ছোপ ছোপ রক্তে আঁকা আল্পনায় করুণ চিত্র হাসিনার দাম্ভিক মসনদের চারপাশ।
এই রক্তে সঞ্জীবিত মাটি ভেদ করে প্রতিবাদী নতুন প্রাণের উদ্ভব। ওরা আসবেই।
ওরা আসবে।
নতুন নতুন একেকটি কুঁড়ি তাই গজিয়ে উঠছে শাপলা চত্বরে, ওয়াসামোড়ে, কোর্টপয়েন্টে, আফতাব আলী পার্কে।
অলিতে গলিতে হাতে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বিপ্লবী ধ্বনিতে তাদের স্ফুটন।
হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পুলিশের রাইফেলের সামনে তারা নির্ভীক দন্ডায়মান।
একেকটা তাজা প্রাণের রক্ত যতদূর গড়িয়ে যাচ্ছে কিংবা বৃষ্টিতে বাতাসে মিশে বিস্তৃতি পাচ্ছে ততই এই রক্তকণিকার ছোঁয়া নতুন নতুন প্রতিবাদী কন্ঠ যোগ করছে মুক্তির এই মিছিলে।
জীবনের অর্থ আজ নিহিত হয়ে গেছে জীবন বিসর্জনে।
হাসিনার নিস্ফল তর্জনী হেলানো আর রক্তচক্ষু শহীদ হবার আকাংখায় নিবেদিত প্রাণের কাছে শুধুই কৌতুকমাত্র।
সমর্থন দিলে সহমত হলে মন্তব্য দিয়ে প্রকাশ করুন। পত্র-পত্রিকাসহ সবাইকে জানিয়ে দিন।
বিষয়: বিবিধ
৮৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন