CBF এর ইতিকথা
লিখেছেন লিখেছেন ইকুইকবাল ১১ মার্চ, ২০১৪, ০১:৫৭:২০ রাত
সিবিএফ কি করেছে আর কি করতে চায়?
তা জানতে চায় আমার মত সাদাসিধা মানুষ
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
সিবিএফ সম্পর্কে কোন একসময় আমি ডাকসাইটে ব্লগার হাসান ভাইয়ের একটি পোস্ট দেখি। ভার্চুয়াল জগতেই সিবিএফ এর দাওয়াত পাই। সেখান থেকে সাহিত্যিক ব্লগার এম এম ওবায়দুর রহমান ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে প্রথম সম্মেলনে যোগ দেয়ার মাধ্যমে সিবিএফ এর প্লাট ফর্মে আসি। ‘জাতীয় ব্লগার প্রতিনিধি সম্মেলন, ৪ মে, শনিবার, ২০১৩’
এই সম্মেলনে বোরহান মাহমুদ, সরোজ মাহদী, ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ, বাহাউদ্দিন, সাইফ মাহদি, আল নাহিয়ান, রশিক হাজারি, জান্নাত মৌ, আফসানা এনি, আজিজ সাইফুল্লাহ, কাজী রকিব আহমেদ, ইমন ফয়সাল, তাওহীদ, মাহমুদ ফাহাদ, মেজবাহ উল আলম, লোকমান বিন ইউসুফ, লোকমান বিন নূর হাসিম, আব্দুল মাজেদ, নেহায়েত, সাইফ, ইলিয়াস হাসান, ইসহাক খান, নাদিম মাজিদ, সুরিদ আকবর, ইকবাল হাসনাইন, মনজুর মাওলা, শরফুদ্দিন আহমেদ লিংকন, নূর নবী, মামুন সিদ্দিক, গুল্লা সানোয়ার, নাজমুস সাকিব, জুনাইদ কবীর, নোমান সাদিক, ইবনে সেলিম, আশরাফ আজীজ ইশরাক, মাহমুদুল হাসান নয়ন, মো.হেলাল উদ্দিন, ইবনে বেলাল, যোবায়ের আব্দুল্লাহ, ইকবাল হোছাইন ইকু প্রমুখ।
দ্বিতীয়বার আমাদের ঢাকা কমিটি গঠন করার সময়ও আমি উপস্থিত ছিলাম। অন্যান্যদের মধ্যে সেদিন উপস্থিত ছিলেন, সরোজ মেহেদী, ডিজিটাল প্রেসিডেন্ট, ইসহাক খান, এম এম ওবায়দুর রহমান, নেহায়েত, লোকমান বিন ইউসুফ, ইমরুল কায়েস পরাগ, ইসমাইল একেবি, আফসানা জেরিন খান এনি, শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন, মুজতাহিদ বাপ্পি, এস হাসানুল বান্না, অজানা পথিক, মো: লুৎফুর রহমান চৌধুরী, ধ্রুব নীল প্রমুখ।
তৃতিয়বার বই মেলায় যারা একত্রিত হই, ডিজিটাল প্রেসিডেন্ট, ইসহাক খান, নেহায়েত, এম এম ওবায়দূর রহমান, শিয়াল পন্ডিত, বাংলার দামাল সন্তান প্রমুখ।
চতুর্থবারের মত কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার লক্ষে ঢাকায় অভিযাত অফিসে সারা বাংলাদেশের বিদগ্ধ ব্লগাররা একত্রিত হই। এই সম্মেলন জাতিয়ভাবে খুবই গুরুত্ব বহন করে তাই এটির বিস্তারিত ব্যাখায় যাচ্ছি। ব্লগাররা সাধারণত দুষ্ট প্রকৃতির হয়। প্রথমেই জম্পেস আড্ডা শুরু হল। ডাকসাইটে ও জনপ্রিয় ইসলামি ব্লগার ইসহাক খানের আয়োজনে বিস্কুট, পানি, আম সত্য খাওয়ায় গলাবাজি চলল। এদিকে প্রখ্যাত ব্লগার আবু আসফাক কিছু বুঝে উঠার আগেই সবাইকে একখান কারেন্ট নিউজ ধরিয়ে দিল। সবাই আমরা ঝটপট ওটির দিকে নজর দেয়ায় খান ভাই এর ঈর্ষা হল। তাই তিনি নিজের সম্পাদিত একটি বহুল প্রচারিত আলোর মিনার দিতে ভুল করলেননা। আমি চোখে সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করলাম। কারণ আমি ভাবছিলাম অন্যকিছু। যাই হোক আমি তাদের মত জাতিয় পর্যায়ের কোন পত্রিকা নিয়ে যাইনি। স্থানীয় একটি পত্রিকা মাসিক বিক্রমপুর নিয়েছিলাম সাথে করে। কি আর করা সেটিই দিলাম কিছু ব্লগার ভাইদেরকে। এভাবে আড্ডার মধ্য দিয়েই চলল আমাদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন অনুষ্ঠান। ডিজিটাল প্রেসিডেন্টের পরিচালনায় সিবিএফ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সরোজ মেহেদী ভাই আলোচনা শুরু করলেন প্রধান অতিথি হিসেবে। তিনি বললেন, সিবিএফকে আমাদের একটি বিকল্প মিডিয়া হিসেবে ভাবতে হবে। আমাদের কাজ হল মানুষের চিন্তার জগতকে হিট করা। তিনি আরও বলেন, ইয়াং জেনারেশনের মাঝে আমাদের সুন্দর-গঠনমূলক চিন্তাধারাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ইকবাল হাসনাইন বলেন, সিবিএফ এর সাথে ব্লগ বিষয়টি জড়িত, তাই এই সামাজিক সংগঠনের একটি স্বতন্ত্র ব্লগ তৈরি করা যেতে পারে। আমরা আজ একত্রিত নেই, মানুষ পরিচালনা করার চিন্তা নেই। যেটি এখন এজেন্ডা হিসেবে অন্যান্য হলুদ মিডিয়া কঠিনভাবে হাতে নিয়েছে। বিশেষভাবে বাংলা নিউজ, বিডি নিউজ, প্রথম আলো এইসব মিডিয়া মানুষের মাঝে একটি চিন্তাধারা পরিকল্পিতভাবে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এই পরিকল্পনা তাদের বহু আগ থেকেই। আমাদের কাজ হবে হলুদ সাংবাদিকতার উন্মোচন করা। এখন থেকেই একটি পরিকল্পনা করা দরকার ব্লগ সাইট করার জন্য। আবু আসফাক বলেন, এখন থেকে আমাদের সাবজেক্ট ভিত্তিক লেখা লেখি করা উচিত। আর একজনে অন্যজনের ব্লগে মন্তব্য করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনিও সিবিএফ এর নিজস্ব ব্লগ সাইট করার পক্ষে মত পেশ করেন। মাই নেম ইজ খান বলেন, নতুন ব্লগ করা খুবই কঠিন। এখানে অনেক সময় ও অর্থের প্রয়োজন যা এই মূহুর্তে আমাদের হাতে নেই। সুতরাং লাইট হাউজ নামে একটি ব্লগ সাইট আছে যেটিতে আমরা নিজেদের ব্লগ মনে করে ব্লগিং করতে পারি। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আমাদের কিছু সামাজিক কাজ করে সংগঠনটিকে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যম হিসেবে দাড়া করাতে হবে। কবি ও ব্লগার নেহায়েত বলেন, আমাদের স্লোগান আগে ঠিক করতে হবে, তারপর অন্য কিছু। আমাদের সংগঠন যেহেতু সামাজিক তাই আমাদের সামাজিক কিছু কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। যেমন: কিছু ঢাকার মেইন রোডের পাশে ময়লা থাকলে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে তা পরিষ্কার করা। সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা। আমাদের মাঝে পরস্পরের গ্যাপ দূর করার ব্যবস্থা করা। অজানা পথিক বলেন, পেইজের এডমিন হিসেবে তরুণ একটিভ ব্লগারদের সুযোগ দেয়া। কমিটির একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা। বাংলার দামাল সন্তান বলেন, কমিটির সদস্যদের সবাই প্রত্যেকে একে অপরে খোঁজ খবর নেয়া যাতে আন্ত্ররিকতা বৃদ্ধি পায়। আবু সাইফ বলেন, -----। শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন বলেন,----। ডিজিটাল প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এতদিন কাঙ্খিত স্পিড পাইনি। আজ থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা আমাদের লক্ষে পৌছার জন্য যা করা দরকার তাই করব। হলুদ সাংবাদিকতাকে লেখনির মাধ্যমে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। ইকবাল হোছাইন ইকু বলেন, আমাদের সংগঠনের একটি ব্লগ, একটি অনলাইন পত্রিকা ও একটি মাসিক পত্রিকা হওয়া চাই। যারাই সদস্য প্রত্যেককেই ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু ডোনেশন করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। খুব দ্রুতই কেন্দ্রীয়, বিভাগিয় ও জেলা কমিটি গঠন করতে হবে। আমাদের এই সংগঠন কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে অথবা বিপক্ষে অবস্থান নিবেনা। কারও দালালিও করবেনা। সবশেষে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। এভাবে:-
আহবায়কঃ ব্লগার চাটিগাঁ থেকে বাহার
সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কঃ
ব্লগার মাই নেম ইজ খান,
ব্লগার এমএম ওবায়দুর রহমান,
ব্লগার হাসনাইন ইকবাল।
যুগ্ম আহবায়কঃ
ব্লগার বাক প্রবাস,
ব্লগার আজব মানুষ,
ব্লগার নেহায়েৎ,
ব্লগার আবু জারীর,
ব্লগার সাইফ মাহদী,
ব্লগার রসিক হাজারী,
ব্লগার আবু আশফাক,
ব্লগার লোকমান বিন ইউসুফ।
সদস্য সচিবঃ
ব্লগার ডিজিটাল প্রেসিডেন্ট।
যুগ্ম সদস্য সচিবঃ
ব্লগার আয়না শাহ (রেজাউল করিম), ,
ব্লগার আফসানা জেরীন খান অ্যানী,
ব্লগার মেরাজ,
ব্লগার আহমেদ তানভীর,
ব্লগার ইমন ফয়সাল,
ব্লগার সিটিজি৪বিডি,
ব্লগার চেয়ারম্যান,
ব্লগার শিয়াল পন্ডিত,
ব্লগার নূর নবী।
সদস্যঃ
ব্লগার শরফুদ্দীন আহমদ লিংকন,
ব্লগার ইমরুল কায়েস পরাগ,
ব্লগার ইকু ইকবাল,
ব্লগার আহমদ মূসা,
ব্লগার বাংলার দামাল সন্তান,
ব্লগার অজানা পথিক,
ব্লগার তুহিন হাসান,
ব্লগার মুজতাহিদ বাপ্পী,
ব্লগার রিদওয়ান কবির সবুজ,
ব্লগার ফেলানীর ছোট ভাই,
ব্লগার হাসানুল বান্না,
ব্লগার আধা শিক্ষিত মানুষ,
ব্লগার ওসমান গনি,
ব্লগার প্রবাসী আবদুল্লাহ শাহীন।
এ তো গেল সাম্প্রতিক বিষয়। তার আগে আমাদের সিবিএফ এর পক্ষ থেকে চিটাগাং এ অনেক সম্মেলন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মুন্সিগঞ্জ। সেখানে অনেক প্রোগ্রাম হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল:-
১.সিরাজদিখান উপজেলা কমিটি গঠন
২.শ্রিনগর উপজেলা কমিট গঠন
৩.মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটি গঠন
৪.টঙ্গিবাড়ি উপজেলা কমিটি গঠন
৫.হরগঙ্গা সরকারি কলেজ উপজেলা কমিটি গঠন
৬.আদিলুর রহমানের মু্ক্তির দাবিতে মানববন্ধন
৭.ঈদূল ফিতরের পর ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান
৮.ঈদূল আযহার পর ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান
৯.গজাড়িয়া ও লৌহজং উপজেলার দুই আহ্বায়ক নিয়মিত আমাদের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সংযুক্ত হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সদস্য সংগ্রহ করে সেখানেও কমিটি গঠন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এরপর খুলনা কমিটি গঠন হয়েছে ব্লগার ওয়াশি উজজামান ভাইয়ের নেতৃত্বে। কাতারে বাক প্রবাসের নেতৃত্বে। প্রায় সব জেলাতেই আমাদের কমবেশি সদস্য রয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্ত সদস্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করব।
একুশে মেলা ২০১৪ইং
‘জাতীয় ব্লগার প্রতিনিধি সম্মেলন, ৪ মে, শনিবার, ২০১৩’
কিছু প্রয়োজনীয় লিংক শেয়ার করলাম
ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান, ২৩ আগষ্ট, শুক্রবার, ২০১৩
কেন চিন্তা করতে পারিনা??? মুক্ত চিন্তার প্লাটফর্ম সিবিএফ
CBF নিয়ে ভাবনা ও একজন সদস্যর ৬ টি গুণ
CBF নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে-
আমাদের পেইজ লিংক:- Community Bloggers Forum - CBF
আগামী ২৮ মার্চ সিবিএফ এর আয়োজনে ধুমপানের ব্যাপারে সচেতনতার জন্য মানববন্ধন হবে। আপনারা সকলে আমন্ত্রিত। আসাকরি আমরা ধৈর্য ধরে সকল প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে স্বপ্ন বাস্তবায়ক করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
eque iqbal
সদস্য, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি
-০১৯২০১৪৪৮৩৪
বিষয়: বিবিধ
২০৬১ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আপনাদের ফোরামটি যদি অনলাইন জগতে আপনাদের ব্যকগ্রাউন্ডকে ছাপিয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যকে ফুলফিলমেন্ট করার কাজে আত্মনিয়োগ করে তবে স্বার্থকতা আসবে। কিন্তু কোন কারনে আপনাদের ব্যাকগ্রাউন্ড যদি আপনাদের উদ্দেশ্যকে ছাপিয়ে সামনে এগোয় - তবে হয়তো অনেক মানুষ ম্যাসেজটা নিবে না, বা নিতে সময় বেশী নেবে।
আপনাদের জন্য শুভ কামনা।
সেই কুটিরটা এখন রাজপ্রাসাদ হবার অপেক্ষায়। কয়েকজোড়া চোখ এখন কয়েক'শ তে ঠেকেছে। আমি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি কয়েক লক্ষ চোখ দেখার জন্য।
সিবিএফ হোক কয়েক লক্ষ চোখের মিলনস্থল।
সিবিএফ সদস্যদের পদচারণায় ধন্য হোক অনলাইন জগত, মুছে যাক অনলাইনের সকল অশ্লীলতা।
বুড়া প্রেসিডেন্ট দেইখা আমারে বাদ দিছেন বুঝি? বুড়া হইলে কুস্তি লড়তে পারি। প্রোপিক দেইখা বুঝেননা?
কিন্তু এত টাকা কড়ি পামু কই?
আর সবাইকে পিলাচ।
ইকু ভাইকে একশোটা পিলাচ ধৈর্য্যের সাথে সিবিএফ ইতিকথা উপস্হাপন করার জন্যে
অভিমানী হয়ে কেটেছে কত প্রহর
তবুও হয়ে যায় দেখা বার বার
জানি তোমরায় ছিলে আপন
সময়ের পালাবদলে হয়ত কোন দিন
তোমার পাশে অবাগ দুই নয়ন
খুুউব ভালো লাগলো।
সত্যের ঝান্ডা হাতে নিয়ে সিবিএফ এগিয়ে চলুক এই কামনাই করি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন