পৃথিবী বদলে দেবে যে “আবিষ্কার” !

লিখেছেন লিখেছেন ইকুইকবাল ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:৩১:২৫ রাত

মোঃ রুহুল আমিন: যদি এমন হয় মানুষের আয়গুলি চিরস্থায়ী হয়ে যায়, এবং সময়ের সাথে সাথে কেবলি চলতে থাকে একইভাবে অথবা বৃদ্ধির দিকে তাহলে কেমন হবে। ফান নয় সত্যি সত্যি যদি এমন হয়, একবার রানিং করার পর কম হোক বেশী হোক সেই ইনকাম চলতেই থাকে তাহলে কেমন হবে। একটু ভেবে দেখুনতো; যেখানে মানুষের ইনকামের কোনো নিশ্চয়তা নেই; চাকুরী আছে, ব্যবসা আছে, তো ইনকাম আছে, এসব নেই, ইনকামও নেই। আর সেই জায়গায় যদি এর কোনোটির সাথে সম্পৃক্ততা ছাড়াও যেকোনো পেশার যেকোনো লোকের উল্লেখিত পন্থায় ইনকাম আসে তাহলে কেমন হবে। ভাবতেই অবাক লাগে তাইনা ! এ নির্ঘাত ফান বা মস্তবড় চাপাবাজি তেমনটিই ভাবার কথা তাইতো ! আসলেই তেমন অবাক করা ব্যাপার, শুধু এটুকুই নয় আরো অনেক কিছু আছে সেই আবিষ্কৃত বিষয়ে, যা আপনার অবাক বিশ্ময়কে আরো চমক লাগিয়ে দেয়ার মতো অবস্থা। গর্বের বিষয় হচ্ছে সেই সিস্টেমটির আবিষ্কারক বিক্রম পুরের কৃতিসন্তান, সিরাজদিখান থানার লতব্দী ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের নূর হোসেন। তার বাবা ছিলেন সিরাজদিখানের সুনাম ধন্য আলেমেদীন মরহুম মাওলানা আব্দুল খালেক। এই আবিষ্কৃত বিষয়টির নাম দিয়েছে ও-রেঞ্জ সিস্টেম। আবিষ্কারক নূর হোসেনের সাথে এই বিষয়ে আলাপ করে এর নানা দিক সমন্ধে জানা যায়। এরূপ নাম করণের কারণ হিসেবে জানা যায় সিস্টেমটির মাধ্যমে ইনকামগুলিকে ইংরেজী “ও” অক্ষরের মতো পার্সনাল ইকোনোমিক রুলিং ঘটিয়ে ইউনিভার্সেল র‌্যয়েলটিতে (চির স্থায়ী ইনকাম) পরিণত করা হয়েছে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইকোনোমিক রুলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর এই সিস্টেমের মাধ্যমে সেই ইকোনোমিক রুলিংকে ব্যক্তি পর্যায়ে নামিয়ে আনা হইছে, এটি অর্থনীতির পরিভাষায় নতুন এক অধ্যায়। যার কারণে ভেতর থেকেই অর্থনীতির চাকা আস্তে আস্তে চমৎকার গতি পাবে, জিডিপির পরিমাণ বেড়ে আসবে ইনফ্লাশন কমবে ধীরে ধীরে; আর সর্বপরি মানুষের জীবন যাত্রায় সহনশীল ভারসাম্যতা বিরাজ করবে সব দিক থেকে। সিস্টেমটির নানা দিক নিয়ে আলোচনার সময় এসমস্ত দিকগুলি চরম বাস্তবতার মতোই মনে হচ্ছে; যা সচেতন মহল একইভাবে বুঝতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই সিস্টেমটি অত্যাধুনিক সফটওয়ার বেইজড, এর মাঝে টেকনোলজির বিভিন্ন দিক সন্নিবেশিত করে জীবন যাত্রায় ভারসাম্য ও গতি আনা হয়েছে। সফটওয়ারটির বাহিরের দৃশ্যমান বিষয়ের মাঝে আশ্চর্য জনক বিষয়ের উপস্থিতি লক্ষণীয়। আপনি নিজের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য্য পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে তথা জীবন যাত্রা নির্বাহ করার জন্য যে যে যায়গায় ব্যয় করছেন সেখান থেকেই আয় করবেন। এর মাঝে অবাক করা একটি সিস্টেম হলো; এখন যেভাবে আপনার পছন্দনীয় দোকান থেকে পছন্দনীয় পণ্য পছন্দনীয় দামে ক্রয় করছেন, সেই ক্রয়ের মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্যের লভ্যাংশ থেকে ডিসকাউন্ট ধরে ডিসকাউন্টের সেই এমাউন্টগুলি সফটওয়ারিং সিস্টেমে প্রদান করা হচ্ছে। আর সেই ডিসকাউন্ট ইনকামটাকে সফটওয়ারিং সিস্টেমে চিরস্থায়ী ইনকামে পরিণত করা হইছে আশ্চর্য জনকভাবে, যেটি এখানকার ও-রেঞ্জ সিস্টেমের সবচেয়ে বড় বিশ্ময়। এগুলি ছাড়াও সফটওয়ারের ভেতর আরো নানাবিধ সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিককে আধুনিক সভ্যতার টেকনোলজিক্যাল বিষয়ের ভেতর দিয়ে আরো গতিশীল অত্যাধুনিক জীবন যাত্রার দিকে নিয়ে যাবে। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ বিষয়গুলি মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য ‘রিপড ইউনিভার্সেল’ নামে তারা একটি ব্যাতিক্রমী প্রতিষ্ঠান তৈরী করছে। ‘রিপড’ এর নামের মাঝেই প্রতিষ্ঠানটির ভিশন মিশন ফুটে উঠছে। ‘রিপড’ এর চমৎকার ইল্যাবরেশন প্রত্যেকের মন নাড়িয়ে দেবে। সেটি হচ্ছে রিলীভ এন্ড ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান অব ডেপ্রাইভড, অর্থাৎ বঞ্চিতদের মুক্তি ও উন্নয়ন প্রকল্প। এরূপ নাম করণ সমন্ধে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকই কোনো না কোনো দিক দিয়ে বঞ্চিত, সেই সমস্ত বঞ্চিত বিষয়গুলি দূর করার জন্যই আমরা কাজ করব, তাই প্রতিষ্ঠানটির এরূপ নাম করণ করা হয়েছে। ‘রিপড’ এর সেবা সারা দেশব্যপী মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনেক লোক বলের প্রয়োজন, সেই মতে এখানে অসংখ্য লোকের কর্ম সংস্থান হবে। আশার কথা হচ্ছে; আবিষ্কারক তার আবিষ্কৃত বিষয়ের সেবা সর্ব প্রথম তার এলাকার লোকদের মাঝে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কবে পর্যন্ত এই সেবার কার্যক্রম শুরু করবে সেই সমন্ধে কোনো কিছু জানাননি। তবে খুব দ্রুত শুরু করতে যাচ্ছেন এব্যাপারটি তার আলোচনার মাঝে ফুটে উঠে। আলোচনার মাঝে আরো জানা যায়, তারা “দ্য ওয়েভ অব চেইঞ্জ” তথা “পরিবর্তনের ঢেউ” নামে ভিন্ন ধারার একটি শ্লোগান নিয়ে নামছে। কবে নাগাদ পরিবর্তনের সেই ঢেউ শুরু হয়, আর শুরু হলে সেই ঢেউ জীবন যাত্রার মান কোথায় নিয়ে যাবে তাই দেখার পালা। -22/01/2013

-link: http://www.bdreport24.com/archives/12625

RIPD

বিষয়: বিবিধ

১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File