ব্যক্তিত্বের বিকাশ ৩য় পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন ইকুইকবাল ২০ জুলাই, ২০১৩, ০২:০২:০৭ দুপুর

দ্বিতীয় উপাদান পেশাদারিত্ব:

জ্ঞানী ও ব্যক্তিত্ববানদেরকে ভাল না বাসে কে!!! আসুন জ্ঞানের সাধনা করে সঠিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী হেই। জ্ঞান হলো মন ও বিবেকের পথপ্রদর্শক। জ্ঞান অর্জন না করলে আমরা নিরেট আদর্শবাদী অথবা নিছক বাক্যবাগিশ হয়ে যাব। ভয় কিশের আল্লাহ সুবহানাহু অতায়ালা জ্ঞান ও প্রাকৃতিক শক্তিকে মানুষের আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন। আসল কথায় আসি : পেশাদারিত্বের কথায়- সঠিকভাবে খুন করতে পারলে আমরা তাকে পেশাদার খুনি হিসেবেই চিনি। তাই পেশাটিকে মানিয়ে নেয়ার জন্য পেশাদারিত্ব অর্জন করা দরকার। দেখি কিভাবে অর্জন করা যায়।

পেশাদারিত অর্জন করার পদ্ধতিঃ-

১.নিজের স্বপ্ন লেখা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা

২.যে সেক্টরে কাজ করেন সেখানের দায়িত্বশীল/ লিডারদের সাথে সময় দেয়া নিজের পেশাকে বুঝার জন্য

৩.ডিসিপ্লিন/ সিস্টেম মানা

৪.ট্রেনিং করা বা তথ্য সংগ্রহ করা

৫.পেশার যে কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা

৬.নিয়মিত অফিসে আসা

৭.উদ্যেগী হওয়া

৮.পেশাটাকে ভালবাসা

৯.অফিসিয়াল টুলস সাথে রাখা (পেড, কলম, ব্যাগ, লিগ্যাল পেপার, ব্রুশিয়ার, কেটালগ ইত্যাদি)

প্রপার ড্রেসকোড

১০.ধৈর্য ধরা ও লেগে থাকা

১১.প্রো-একটিভ, ক্রিয়েটিভ ও লিডার হওয়া

১২.প্ল্যান করে কাজে নেমে পড়া

১৩.অভিজ্ঞতা অর্জন করা (কিভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়)

১৪.দীর্ঘদিন লেগে থেকে

১৫.পরিবেশ থেকে

১৬.প্রশিক্ষণ নিয়ে

১৭.অপরের ভুল বা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে

১৮.নিজের ভুল থেকে

১৯.সব ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে

২০.স্ট্যামিনা/ কঠোর পরিশ্রম করে

তৃতীয় উপাদান মানসিকতা:

ব্যক্তির মূল উৎস হচ্ছে মানসিকতা। বিবেক ও আবেগ দ্বারাই মানসিকতা গড়ে উঠে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়েছে পৃথিবীর ৮৭% লোক তাদের এটিচুডের কারণে সফল হয়। আর এই এটিচুড দুই প্রকার। যথা:-

১.রি-একটিভ (Negative - নেতিবাচক) Vs ২.প্রো-একটিভ (Negative - ইতিবাচক)

দেয়াশলাই এর একটি কাঠি দিয়ে:

ঘড় পোড়া যায় Vs আলোকিত হয়

একটি গ্লাস যা দিয়ে:

মদ খাওয়া যায় Vs দুধ খাওয়া যায়

একটি সেলফোন দিয়ে:-

সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তৈরী করা যায় Vs প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করা যায়

তাই প্রো-একটিভ হওয়ার জন্য পাঁচটি জিনিস অন্যকে দিতে হবে। যথা:-

১. Respect (সম্মান)

২.Influence (উৎসাহ)

৩. Help (সহযোগিতা)

৪. Gratitude (কৃতজ্ঞতা)

৫. Experience (অভিজ্ঞতা)

এই মানসিকতা ইতিবাচক করার জন্য একটি কার্যকরী থেরাপি দেয়া হল। যা জীবনের সব সময় যত বেশি ব্যবহার করবো তব উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ।

মানসিকতা বা স্বপ্ন বড় করার পদ্ধতি:-

১) ইমাজিনেশন করতে হবে

২) মেডিটেশন করতে হবে (না জানলে যে বইগুলির সহায়তা নিব)

The power of positive thinking and attitude-Remez Sasson

সাফল্যের চাবিকাঠি কোয়ান্টাম মেথড- মহাজাতক সহিদ আল বোখারি

আত্ম উন্নয়ন-বিদ্যুৎ মিত্র

নিজেকে জানো- বিদ্যুৎ মিত্র

সুখ-সমৃদ্ধি- বিদ্যুৎ মিত্র

আত্মসম্মোহন- বিদ্যুৎ মিত্র

নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেননা-ডাঃ ড্যানিয়েল জি আমেন

চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি-মহাজাতক সহিদ আল বোখারি

৪) মটিভেশনাল বই পড়তে হবে

বিগব্যাঙ থেকে মানুষ-রুশো তাহের

ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ উপায়-ডেল কার্নেগী

আপনি প্রতিষ্ঠিত যদি হতে চান-ডেল কার্নেগী

ধনী হতে কদিন লাগে-হারবার্ট ক্যাশন

মানুষকে বাগ মানানোর কলাকৌশল-লেসলি টি গিবলিন

মোরা বড় জতে চাই-আহসান হাবিব ইমরোজ

সবার আগে নিজেকে গড়ো-আব্দুস্ শহীদ নাসিম

ডা: লুৎফর রহমান শ্রেষ্ঠ রচনাসমগ্র

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনিষি-মাইকেল এইচ হার্ট

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে-গোলাম হাফিজ

সফলতার রহস্য-মো: আয়াজ করিম

Freedom is not free-Shiv Khera

Living with honour-Shiv Khera

The 7 habits of highly effective people-Stephen R Covey

The magic of thinking big-David J.Schwartz Phd

Success and creativity within seven days-Garath Luis

৫) অভিজ্ঞ, জ্ঞানী এবং উচু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের সাথে মিশতে হবে

৬) যারা বড় বড় স্বপ্ন দেখে তাদের সাথে মিশতে হবে

৭) যারা গোছালো, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে, পজিটিভ, ক্রিয়েটিভ, ও প্রো-একটিভ তাদের সাথে মিশতে হবে

৮) বড় ও প্রশস্ত রাস্তায় যেতে হবে

সমুদ্রে যেতে হবে

৯) পাহার পর্বতে যেতে হবে

১০) মটিভেশনাল সিডি, ভিসিডি, ডিভিডি দেখতে হবে

১১) সেলিব্রেশন প্রোগ্রামে যেতে হবে

১২) বড় সমাবেশ, মিছিল, মেরাথন ট্রেনিং ও বড় হাট-বাজারে যেতে হবে

১৩) ইনটারনেট সার্স করতে হবে

১৪) উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ব্লগ সাইটে ব্যপক ঘাটাঘাটি করতে হবে

চতুর্থ উপাদান বিশ্বাস:

যে নদীর স্রোত রুদ্ধ হইয়া যায়, তাহার পানি যেমন হাজিয়া মজিয়া পচিয়া দুর্গন্ধযুক্ত এবং অব্যবহার্য হইয়া পড়ে, তেমনি যে জাতি আত্ম-গৌরব ও আত্ম-শক্তিতে বিশ্বাসহারা হইয়া উঠে, পৃথিবীর সমস্ত লাঞ্ছনা ও দুর্গতি তাহাদের মস্তকেই। আত্ম-শক্তির প্রতি যাহার শ্রদ্ধা আছে, সে একদিন যত বিলম্বেই হউক না কেন,তরুর ন্যায় নিজের পায়ে নির্ভর করিয়া, গগনমার্গের দিকে শির উত্তোলন করিবেই। কিন্তু যাহার আত্ম-বিশ্বাস নাই, তাহার অন্য গুণ যতই থাকুক না কেন, চিরকাল আশ্রয়হীনা লতার ন্যায় শোচনীয় দুর্গতিগ্রস্ত হইয়া কাল কাটাইবে। বিশ্বাস হইতেছে আত্মার খাদ্য। বিশ্বাস হইতে চিন্তা এবং চিন্তা হইতে কার্যের উৎপত্তি। প্রত্যেক মানবের কার্যই তাহার বিশ্বাসের অনুরূপ হইবে। যখনই যে জাতি পৃথিবীতে যে বিষয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে,তখন শুধু তাহা আত্ম-বিশ্বাসের বলেই লাভ করিয়াছে। -(সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) একটি প্রচলিত কথা আছে- When belief is established, the rest is automatic.

ছয়টি বিষয়ের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। এখানে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা প্রাসঙ্গিত তাই সেটি নিয়েই আমার আলোচনা। তবে কিছু জিনিস বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে মন থেকে গভীরভাবে পরিহার/দূর করতেই হবে। তা হচ্ছে-

১) হীনমন্যতা দূর করুন:-

-আমি কালো, মোটা, ছোট, বৃদ্ধ , অশিক্ষিত, দরিদ্র

-অমুকের মেধা বেশি

-অমুকের সৌভাগ্য আছে

-তিনি পারেন ও তিনি জয়ী / সফল হবেন

২) ভয় দূর করুন:-

-অজানার ভয়

-প্রস্তুত না থাকার ভয়

-ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার ভয়

-প্রত্যাখ্যাত/ব্যর্থ হওয়ার ভয়

-দেউলিয়া হবার ভয়

-স্বাধীনতা হারাবার ভয়

-সমালোচনার ভয়

৩) ঝুঁকি দূর করুন:-

-আত্ম সম্মানের ঝুঁকি

-অর্থনৈতিক ঝুঁকি

-শারীরীক ঝুঁকি

৪) আলস্য ও অযুহাত পরিহার করুন:-

৫) উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, তিক্ততা ও ক্লান্তি দূর করুন

৬) ধৈর্য্য ধরুন ও লেগে থাকুন

৭) নিজেকে নিজে প্রেরণা এবং উৎসাহ দিয়ে কাজ করুন

৮) আমার জীবনকে পরিবর্তন করতে যাচ্ছি,স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি ও লক্ষ্যে পৌঁছতে যাচ্ছি এই ভাবুন

হীনমন্যতা, ভয়, ঝুঁকি, আলস্য ও অযুহাত পরিহার করার জন্য (জীবন মানেই কাজ-মিখাইল ডিলান) পড়ুন। জোড়ে জোড়ে সব স্থানে একা হলেই খালি মাঠে ইয়েস ইয়েস বলুন। আর নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য বিখ্যাত দার্শনিক, প্রখ্যাত বিজ্ঞানিদের ভাষ্যমতে ও আমার সারা জীবনের অজ্ঞিতা থেকে একটি থেরাপি বের করেছি। এটি কার্যকরভাবে প্রত্যেকের জীবনে ব্যবহার করলে বিশ্বাস বাড়বে ও সব কাজে সফল হওয়া যাবে। প্রথমে সকালে উঠেই ডান হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে মাথার উপর থেকে নীচ দিকে অর্থাৎ মাজা পর্যন্ত হাত জোড়ো জোড়ো নামিয়ে ইয়েস ইয়েস উচ্চ কন্ঠে বলতে হবে। আর মনে মনে বলতে হবে আমি সব পারব। কঠিন লাগলে আমার সাথে যোগাযোগ করলে বাতলে দিব। এবার নীচের কথাগুলি সকালে উঠেই জোড়ে জোড়ে বলতে হবে। পাগল-ছাগল লোকে যাই বলুক বন্ধ করা যাবে না। এটি হচ্ছে থেরাপি।

নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানোর পদ্ধতি:-

১) আমি সাহসী, আমি তেজস্বী , আমি সম্ভাবনাময়ী, আমি গুরুত্বপূর্ণ

২) আমি সক্ষম,

৩) আমি ব্যর্থ হতে চাইনা

৪) আমি আমার জীবনে সাফল্য আনবই

৫) আমাকে উঠতেই হবে

৬) আমার মাঝে বেশ কিছু ভালো জিনিস আছে

৭) আমার চেয়ে নিকৃষ্ট মানের মানুষও যখন পেরেছে আমি পারবনা কেনো ? আমি অবশ্যই পারব

৮) আমি সবকিছু সঠিক করতে চাই। আমি প্রাণপনে সবকিছু বদল করতে চাই

৯) আমি এবার আবার কাজে মনোযোগ দেবো। সব মনপ্রাণ নিয়োজিত করবো, এর মাঝখানে আনন্দ আর সুখ খুঁজে নেব

১০) একাজ আমি পারবো

১১) অন্য গুলোও পারবো

পঞ্চম উপাদান নিজেকে উপস্থাপনা:

সারা বিশ্বে চিন্তার জগতে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আলোড়ণ সৃষ্টিকারী ‘ডেভিড জোসেফ সার্টজ’ ও আমার আবিষ্কৃত বিশেষভাবে ৪ টি সংজ্ঞা মনে রাখবেন। যা সারা জীবনের জন্য সফলতার ক্ষেত্রে কাজে দিবে। যেমন:-

১.সফলতা:-কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ধৈর্য্য সহকারে কর্মের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করাই হচ্ছে সফলতা।

২.ব্যর্থতা:- কিছু নেতিবাচক ও ভুল কাজের ধারাবাহিক পূনরাবৃত্তি।

৩.উদ্দেশ্য:- উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো কিছু করার সাধারণ অভিপ্রায়, যেটা সাধারণ ভাবে প্রকাশ করা হয়। যেমন:-আমি মাঠা কোমপানির মুন্সিগঞ্জ এরিয়ার ডিলারশীপ নেব।

৪.লক্ষ্য:-লক্ষ্য হচ্ছে কোনো কিছু করার সুনির্দিষ্ট অভিপ্রায়। যেমন:-আমি ০১/০৮/২০১৩ইং তারিখের মধ্যেই মুন্সিগঞ্জের সমগ্র উপজেলায় মাল সরবরাহ করব।

৫.উন্নতি:-উন্নতি হচ্ছে বর্তমানের কাজ এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় প্রত্যয়।

প্রথমেই ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য কেন আমি সফল হব তা ভাবতে হবে। এই ভাবনার মাধ্যমেই নিজেকে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে পারব। এটিই ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানোর প্রান্তিক পর্যায়। আসুন আমরা কেন সফল হব তা ভাবতে শিখি।

-আমি কেন সফল হব

১) স্বপ্ন, উদ্দেশ্য, ও লক্ষ্য আছে

২) কাজ করি ও ধৈর্য ধরি

৩) বই পড়ি, ট্রেনিং করি ও সিস্টেম মানি

৪) আত্ম-বিশ্বাসী, আন্তরিক, কৌশলি, সৎ, সাহসী, সত্যবাদি, ৫) শিক্ষিত, কঠোর পরিশ্রমি, পজিটিভ ও প্রো-এক্টিভ

৬) জীবন থেকে ও অতীত থেকে শিক্ষা নেই

৭) পরিকল্পনা মাফিক কাজ করি

নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করার পদ্ধতি:-

১.শামুকের মত খোলসের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে রাখলে মানুষ আপনাকে চিনবে না। লার্নিং এন্ড শেয়ারিং করুন।

২.সবসময় এবং অফিসে হাসি-খুশি থাকুন।

৩.নাম মনে রাখুন অর্থাৎ সবার সাথে মিশুন ও পরিচিত হোন।

৪.রিহার্সেল অনুষ্ঠানে কিছু বলার জন্য পূর্বেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।

৫.বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত হোন (সিবিএফ, আইএফসি, চাঁদেরহাট ইত্যাদি)।

৬.বিভিন্ন ব্লগ, পেইজ ও গ্রুপে লেখালেখি করুন।

৭.কারোপ্রতি ঘৃণা, রাগ-ক্ষোভ, হিংসা-বিদ্বেষ ও গর্ব-অহংকার একদম করবেননা।

৮.কোনো প্রকার নেশা (ঘুম, মেয়ে,মদ) করবেননা।

৯.আপনি অনেক কিছু জানেন এটি জাহির করার মানষিকতা থেকে বিরত থাকুন।

১০.অতি আবেগ, রাগ, লজ্জা ও ভয় দূর করুন এবং স্বাভাবিকতা বজায় রাখুন।

প্রথম পর্বের জন্য - https://www.facebook.com/bdcbf/posts/472693906151010?comment_id=75768143&ref=notif¬if_t=comment_mention

দ্বিতীয় পর্বের জন্য https://www.facebook.com/photo.php?fbid=480134372073630&set=a.445737778846623.1073741825.445325182221216&type=1&comment_id=1296444&offset=0&total_comments=3&ref=notif¬if_t=photo_reply&theater

বিষয়: সাহিত্য

১৪৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File