ব্যক্তিত্বের বিকাশ-২য় পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন ইকুইকবাল ২২ জুন, ২০১৩, ০৯:৫৬:৪৩ রাত
এছাড়া যা করতে হবেঃ-
১.তর্ক করা যাবে না (যুক্তিপূর্ণ তর্ক হতে হবে)
২.কথার সাথে কাজের মিল রাখা
৩.করুনার পাত্র হওয়া যাবেনা
৪.শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে
৫.নিরপেক্ষভাবে কথা বলা
৬.একান্ত গোপন বিষয় কাউকেই বলা যাবেনা
৭.নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে কাউকে নাক গলাতে দেয়া যাবেনা
৮.অনধিকারচর্চা করা যাবে না
৯.অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করতে হবে
১০.জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা
১১.স্মার্ট হতে হবে-(স্মার্ট বলতে আমরা যা বুঝি)
-পরিচ্ছন্ন
-দক্ষ
-চটপটে
-বুদ্ধিমান
-উপস্থিত বুদ্ধিও অধিকারী
১২.দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিক মত পালন করা
-মাতাপিতার প্রতি
-দেশের প্রতি
ব্যক্তিত্বের অনুভুতি/ যাদু :-
১.কার সাথে কথা বলছেন তিনি ভাবতে চাননা, তার কথা শুনে যান
২.তার চমৎকার ধৈর্য্য আছে
৩.মানুষের সাথে মেলমেশা করতে তার কোনোরকম অসুবিধা হয়না
৪.যেখানেই যান সেখানেই তিনি বেশ মানিয়ে চলতে পারেন
৫.তিনি কখনই স্বার্থপর মানুষ নন
৬.যে লোকই তার সংস্পর্শে আসে তাকেই বলতে শোনা যায় “কেমন চমৎকার মানুষ, আহা ওর মতো যদি হতে পারতাম”।
৭.এর ভিতরে অনেক কিছু আছে, জিনিয়াস ইত্যাদি ইত্যাদি।
৮. মনোরঞ্জন করার ওই যাদু যদি আমার থাকত।
ডেল কার্নেগীর ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা:-
একজন মানুষের সঠিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশের চাবিকাঠি চারটি। এই চারটি বিষয় নির্ভর করেই গড়ে ওঠে যেকোনো মানুষের ব্যক্তিত্ব। যথাঃ-
১.আমরা কি করি?
২.আমাদের বাহ্যিক আকৃতি কী?
৩.আমরা কীভাবে কী কথা বলি?
৪.আমাদের সেই বলার পদ্ধতি কী রকম?
ব্যক্তিত্বের বিকাশ:-
মানুষের জ্ঞান, বিশ্বাস, আচার-আচরণ, রুচী, অভ্যাস ইত্যাদি মিলিয়ে তার ব্যক্তিত্ব। যাদেও মধ্যে মানবিক গুণের চেয়ে পাশবিক গুণ বেশি অর্থাৎ যারা চরিত্রহীন তাদেরকে ব্যক্তিত্বহীন বলা যায়। এ্যাড লারের মতে- ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যক্তির প্রধান উপাদান হচ্ছে তার চরিত্র। কুপরিশেকে জয় করে যদি চরিত্রকে অক্ষত রাখা যায়, সেখানে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সুন্দর হয়ে ফুটে উঠে।
চরিত্র বলতে বুঝায় মানবীয় ও নৈতিক গুণাবলী সমৃদ্ধ আচার ব্যবহার চাল-চলন। ব্যক্তির মূল উৎস হচ্ছে মানসিকতা। বুদ্ধি ও আবেক দ্বারাই মানসিকতা গড়ে উঠে। মানসিকতা আবার নিয়ন্ত্রিত হয় জ্ঞান দ্বারা। জ্ঞান হচ্ছে ব্যক্তিত্বের ১ম/ মূল উপাদান। যার মধ্যে জ্ঞান আছে তার মধ্যে ব্যক্তিত্ব অবশ্যই থাকবে। একারণে ব্যক্তিত্বকে সুন্দর করতে হলে জ্ঞানের সাধনা করা প্রয়োজন। ব্যক্তিত্বের ২য় অনুভূতি। যাদের অনুভূতি কম তারা সাধারণত ব্যক্তিত্বহীন হতে পারে। জ্ঞানীরা অনুভূতি সম্পন্ন বলেই মান সম্মানবোধ তাদের প্রখর। ব্যক্তিত্বকে ছোট করতে পারে এমন কাজ থেকে তারা সদা-সর্বদা বিরত থাকে। আমাদের সহজাত ক্ষমতাকে নমনীয় করে তুলতে হবে। নমনীয় করতে হবে তার ইচ্ছা, বাসনা, আবেগ আর কল্পনাকেও। আর এই পথধরেই ব্যক্তিত্বকে গঠন করতে হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন