ভীতর থেকে জামায়াতকে ডুবাচ্ছে রিয়েল স্টেট আর কো-অপারেটিভস সংশ্লিষ্ট নেতারা

লিখেছেন লিখেছেন জহাসানজয় ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৪৭:১২ সন্ধ্যা



অসংখ্য অর্জনের মাঝে আজ জামায়াতকে তীলে তীলে ক্ষয় করে দিচ্ছে ভীতরের কিছু উঠতি নেতা। এই নেতারা আবার রাজনৈতিক দায়ীত্ব পালন করে দলকে ডুবাচ্ছে না, ডুবাচ্ছে তাদের অর্থ ও ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট অসচ্ছ লেনদেনে।

খোজ নিলে দেখা যাবে সারাদেশে জামায়াতের অসংখ্য স্থানীয় নেতারা রিয়েলস্টেট ও কো-অপারেটিভস ব্যবসার সাথে জড়িত।

আর তাদের টার্গেট থাকে সংগঠনের নেতা-কর্মী ও তাদের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব। নেতাদের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারনে কর্মীরা তাদের চটকদার ও লোভনীয় “অফারে” আকৃষ্ট হয়ে তাদের নিকট থেকে প্লট কেনার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। আবার কোন কোন কোম্পানী লাখে ২০০০/- টাকা মাসিক লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়ায় সেখানে কর্মীরা নেতাদের হাতে তাদের সঞ্চয় তুলে দেন।

২/৩ বছর যাওয়ার পর কোম্পানীর চেয়ারম্যান এমডি থাকা নেতারা কর্মীদের প্লট দিতে অস্বীকার করেন। এবং টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যারা লাভের আশায় বিনিয়োগ করেন, তারা তাদের পুঁজি ও আর ফেরত পান না।

ঢাকা শহরে ও একাধিক কোম্পানী ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা আমীরের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে। এই থানা আমীররা সংগঠনের লোকজনের বিনিয়োগ ব্যবহার করে নিজেরা কোম্পানী থেকে প্রচুর সম্মানী নিলেও বিনিয়োগ কারী কর্মীদের সাথে রীতিমতো প্রতারণামূলক আচরন করে যাচ্ছেন।

ফলশ্রুতিতে কর্মীদের এক বিশাল গ্রুপ এখন সংগঠন বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। উপরন্তু শীর্ষ নেতারা বিষয়টি অবগত হলেও দায়ী নেতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

টাক আত্মসাৎকারী এই নেতারা অনেকেই এখণ বিনিয়োগকারীদের ফোন রিসিভ করেন না। কেউ কেউ আবার অফিস পরিবর্তন করে বিদেশে অবস্থান করছেন। আবার কেউ কেউ বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় আছেন।

রাজনৈতিক ভাবে বিপাকে পড়া জামায়াত তার আদর্শ বিচ্যুত নেতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় কিনা তা ভু্ক্তভোগি কর্মীরা জানতে চায়।

এই অবস্থা চলতে থাকলে অাভ্যন্তরীন এই ক্ষোভের বিষয়টি প্রকাশ্যে ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় চলে যাওয়ার ও সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347453
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:০৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : এগুলো না করে কি ভিক্ষা করে খাবে?
347454
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বাস্তবতা প্রায়ই এমনই। কিন্তু অপর পিঠে আরো কিছু বিষয় আছে যা শুধুমাত্র এমন নয়।
কিছু মুখচেনা মানুষ আছেন যারা সত্যিকার অর্থে সংগঠন এবং তার জনশক্তিকে বিক্রি করছেন। লাভবান হয়েছেন তারা নিজেরা।
ক্ষতি হয়েছে সংগঠন।
347455
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:১০
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
347460
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৫৩
মেজর জলিল লিখেছেন : আমি নিজে পরোক্ষভাবে একজন ভুক্তভোগী। একটু ঘুরিয়ে বলতে গেলে এমন ই এক প্রতারকের অফিসের সাথে সংশ্লিস্টতার কারনে নিজেই প্রতারনার স্বীকার।
347463
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দেশের সর্বগ্রাসি নৈতিক অবস্থায় এটা অসম্ভব নয়। একে প্রতিরোধ না করলে তারাই একসময় বড় শত্রু হয়ে উঠবে।
347488
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫১
রক্তলাল লিখেছেন : হালাল ব্যাবসা করে খেয়ে বাচতে ক্ষতি কই।

তবে আমার অপিনিয়ন, ব্যাবসাকে ব্যাক্তিগত রাখাই ভাল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File