বাদাম চিবিয়ে ছায়ার নীচে রিলাক্সমুডের হরতালঃ জাতি বিএনপি না ইসলামপন্থীদের উত্থান আশা করবে?
লিখেছেন লিখেছেন জহাসানজয় ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৫০:২৫ সন্ধ্যা
২০১৩ সালে শীতনিদ্রায় ঘুমিয়ে থাক বিএনপি হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে জাতিকে অবাক করে দিয়ে জানালো তারা আর ঘরের ভীতর থাকবেনা। জনতার কাতারে জনতার কথা বলবে রাজপথ কাপিয়ে।
সরকার, জনগন এবং স্বজোট এবং বিরোধী জোট সকলেই নড়ে চড়ে বসলো। উৎসুক অপেক্ষায় বিএনপি কিছু একটা করে দেখাবে। বিশ্বাস করতে শুরু করলো অনেকেই।
কিন্তু তারপরও কাঠকোট্টা টাইপের কিছু মানুষ যারা বিএনপিকে না চিনলেও বিএনপির নেতাদের চিনেন তারা বিশ্বাস করলেন না। বললেন "বিএনপির আন্দোলন পূরানা পল্টনের ১০০ গজের মধ্যেই।
বিএনপি চিরকালনি সত্যের মতো বলবে "সরকার আমাদের পুলিশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে, তাই আমরা পিকেটিং করতে পারিনি।"
এই সমালোচকদের এবার অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়নি।
কিন্তু সারাদিন যারা হরতাল চিত্র পর্যবেক্ষন করলেন তারা প্রমান করলেন বিএনপি এখনও "চুড়ি" পড়ার অভ্যাসটা ছাড়তে পারছে না।
বিএনপি হয়তো নিজেই জানেনা তাদের গন্তব্য কোথায়? বিএনপি হয়তো এটাও জানে না মিডিয়ার সামনে হুংকার দেয়া নেতা আর রাজপথে হুংকার দেওয়া নেতা একরকম না।
জনগন মনে করে বিএনপি ছাদের নীচের নেতৃত্ব দিয়ে জনতার আমা পূরণ করতে পারবে না।
জাতি রবি ও সোমবার বিএনপির ভাষায় ছোট একটি দল "জামায়াতের" হরতাল দেখেছে। জামায়াত এখন এমন একটি অবস্থানে যেখানে ১ম, ২য় এমনকি ৩য় শ্রেণীর নেতারা ও এখন কারারুদ্ধ। সেই দল যখন হরতাল করলো জনসমপৃক্ততা এবং নিজেদের রাজপথে আপোষহীন ভুমিকার কারনে সফল হরতাল করে নজীর স্থাপন করলো।
আগে বলা হতো "জামায়াত" নিজেদের শক্তির প্রমান দিচ্ছে বিএনপির কাছে। এখনতো বিএনপিকেই জামায়াত উল্টো পরীক্ষায় ফেললো । এখন বিএনপিকেই প্রমান করতে হবে তারা জামায়াত ছাড়াই আন্দোলন করতে পারবে।
জামায়াতের উত্থান আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি সবার জন্যই অশনি সংকেত- কথাটি কয়েকদিন আগে বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিষ্টার নাজমূল হুদার।
আজ রাজপথে বিএনপির পরিচিত মিডিয়াপ্রিয় কোন নেতাকে দেখা যায়নি হরতালে পিকেটিং করতে। তবে বরাবরের মতো কয়েকজনকে দেখা গেছে অফিসের বারান্দায় নারীঢাল ব্যবহার করে আয়েসি ভঙ্গিতে বাদাম চিবিয়ে হরতাল করতে।
জনগন যে কোন মুহুর্তে নতুন ধারার নেতৃত্বের অধীনে চলে যাবে। হয়তো জামায়াত নয়। জামায়াত নিষিদ্ধ হলে পরিশুদ্ধ জামায়াত অন্য কোন নামে জনগনকে সম্পৃক্ত করবে।
বোদ্বারা বলেন বিএনপি কিংবা আওয়ামীলীগ উভয়ই চায় জামায়াত নিষিদ্ধ হোক। ওরা জানেনা জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জামায়াতের বিজয়। কারন অপবাদ মুক্ত হয়ে দিনের মধ্যেই নতুন করে তৎপরতা শুরু করতে পারবে।
বিএনপি কিংবা আওয়ামীলীগ উভয়ই যেদিন এটা বুঝবে সেদিন অবশ্যই তারা আবার নিজেদের প্রয়োজনেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার আব্দার থেকে দুরে থাকবে।
জনগনের দল থেকে বাদাম খাওয়ার হরতাল আশা করা যায় না।
বিষয়: রাজনীতি
৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন