এক সপ্তাহে ০২ ডজন মানুষ হত্যা। বিজয়টা আসলে কার? সন্ত্রাসির তকমায় সন্ত্রাসের শিকার।

লিখেছেন লিখেছেন জহাসানজয় ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:০৮:০২ সন্ধ্যা

প্রথমে বগুরা- পুলিশ এবং সরকার সমর্থকদের হামলায় একাধিক নিহত।

খবর আসলো কক্সবাজার- একই ঘটনার পূনরাবিত্তি।

পিছিয়ে থাকলো না সিলেট-সুনামগন্জ।

রেশকাটতে না কাটতেই আবার গাইবান্দায় একই কাহিনি। শিকার ইসলামপন্থিরা। ঘটনার ঘটক পুলিশ এবং সরকার সমর্থকরা।

আজ ২৪/০২/২০১৩ ঢাকার অদুরে মানিকগন্জ। নিরিহ মানুষের প্র্রতিবাদি মিছিল। ধর্মরক্ষায়-দেশরক্ষায়। বাধা দিচ্ছে আবারো সরকারের সেই দুই অংগ। পুলিশ এবং সরকার সমর্থক। নিহত হলো মাত্র ০৫ জন। তাদের মধ্যে একজন নারী ও আছে।

গ্রামের এই নারী হয়তো কোনদিন রাজনৈতিক কোনো শ্লোগান ও দেয়নি। তারপর ও তাকে জীবন দিতে হলো কেবল রাজনিতি রাজনিতি খেলার শিকার হয়ে।

গত ১৮ দিন- সারা বাংলাদেশ কেন্দ্রীভুত হলো শাহবাগ নামক ২০০ গজের মধ্যে। ওখানে যা বলা হবে, দেশে তাই ঘটবে এবং ঘটচে তাই। ন্যায় অন্যায় যাই হোক না কেনো।

শাহবাগের কয়েকটি জনপ্রিয় শ্লোগানঃ শিবির ধর-জবাই কর, জামায়াত ধর-জবাই কর।

এত উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগনের ট্যাক্স এর টাকায় (+ ঘুষের) টাকায় পরিচালিত পুলিশ একটার পর একটা লাশ উপহার দিচ্ছে সরকারকে।

দেশের সকল শ্রেনীর মিডিয়া প্রচার করছে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা মানুষ হত্যা করে, রগ কাটে ইত্যাদি।

কিন্তু জনগন দেখছে মারা যাচ্ছে জামায়াত-শিবিরের লোকজন। জনগন এখন ভাবতে শুরু করেছে যে আসলে যে জামায়াত শিবির কে সন্ত্রাসী হিসাবে প্রমান করতে মিডিয়া এতটাই মরিয়া আসলে সে জামায়াত শিবির সন্ত্রাসের শিকার।

বিনামূল্যে কোটি টাকার প্রচার পাচ্ছে জামায়াত। যে ইসলাম পন্থিরা এতদিন জামায়াত থেকে দূরে থাকতো, তারাও এখন একই ইস্যুতে আন্দোলনে মাঠে নামছে। এটা জামায়াতের প্রাপ্তি।

জনগন বিএনপিক এখন চুড়ি পরা দূর্বল পুরুষের দল মনে করে।

জামায়াতরে প্রতি মিডিয়া বৈরিতা যতোটা বেড়েছে জনগনের নরিব সমর্থন ও ততোটা বেড়েছে। কারন জনতা রাস্তায় বের হয়। তারা প্রকৃত বিষয়টা দেখে-বুঝে।

এর প্রভার আগামী নির্বাচনে পড়তে পারে বলেই সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে। বিএনপির নিরবতায় মনে হয় তারা ও চায় জামায়াত নিষিদ্ধ হোক। হয়তো সরকারের সাথে গোপন সমজোতা। কারন জামায়াত যখন নির্যাতনের শিকার, বিএনপি তখন সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক "কনসেশন" পাচ্ছে।

জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জামায়াতের লাভ বেশী। অন্যনামে যখন ইসলামী আন্দোলন করবে তখন তো আর স্বাধীনতা বিরোধী শব্দটা প্রয়োগ করা যাবেনা।

লাভ এবং জয় দুইটাই জামায়াতের।

জামায়াত থাকলেও জামায়াতের লাভ, নিষিদ্ধ হলেও জামায়াতের লাভ। হিসাবটা সরকার মিলাতে পারছেনা বলেই সিদ্ধান্তটা নিতে পারছেনা।

সাম্প্রতিক কালে জামায়াতের কয়েকডজন লোকের নিহত হওয়া প্রমান করে প্রচারনা যাই হোকনা কেনো, জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং সন্ত্রাসের শিকার।

বিষয়: রাজনীতি

১০৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File