জামায়াত, গরীবে সুন্দরী বউ এবং নপংশকের বন্ধুত্ব

লিখেছেন লিখেছেন জহাসানজয় ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৫৫:৩৪ রাত

জামায়াতকে নিয়ে এখনও আলোচনা হয়। যদিও তা আগের মতো অতোটা প্রকট নয়। নিবন্ধন বাতিল হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। একজন বিচারপতি নিজে থেকেই অপ্রতুল শুনানিতে বাতিল করেছে জামায়াতের আপিল।জামায়াত নিষিদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আপিল ও করা হয়েছে। জামায়াত অবশ্য স্মরণকালের সবচাইতে বেশী চাপের মধ্যে।

হালের রাজনীতির গরম খবর প্রায় সবটুকুই জামায়াত কে নিয়ে। বাকী যেটুকু থাকে তা প্রধান মন্ত্রী, জয়, বিরোধিদলীয় নেত্রী, তারেক জিয়ার উক্তি কিংবা যুবলীগের-ছাত্রলীগের কর্মকান্ড নিয়ে।

তা জামায়াতকে নিয়ে এত আলোচনার মানে কি? কারন জামায়াত হয়তো নির্বাচনই অযোগ্য নয়, রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

জামায়াত নিষিদ্ধ হোক এটা চাচ্ছে কারা? প্রশ্ন এটা না হয়ে হতে পাড়ে চাচ্ছে না কারা?

শুনা যায় জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে জামায়াতের তথাকথিক প্রধান মিত্র বিএনপির একটি গোপন সমঝোতা হয়েছে।

কারন আওয়ামীলীগের লাভ "ক্রেডিট অর্জন", আর বিএনপির লাভ কতগুলো বিনা পয়সার ভোট সাথে রাজাকার গ্লানি মুক্ত একটা জোট।

কথায় বলে গরীবের সুন্দরী বউ থাকতে নাই। তাহলে সবাই ওকি ঝুকি দেয়, খাতির জমাতে চেষ্টা করে। সুন্দরী বউটি যদি "অমুকের" সাথে কথা বলে তবে "তমুক" তাকে রাগ দেখায় আর অপবাদ দেয়। মাঝখানে স্বামী বেচারার বিরুদ্ধে শালিশ ডেকে তাকে এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়।

জামায়াতের অবস্থাও সেই গরীবের সুন্দরী বউটির মতো। কখনও বিএনপি সাথে থাকলে বিএনপি সুবিধা নিবে, ব্যবহার করবে আর বলবে জামায়াত ভালো, আওয়ামী লীগ বলবে জামায়াত খারাপ। আবার আওয়ামী লীগের সাথে থাকলে জামায়াত হবে দেশপ্রেমিক, বিএনপির চোখে রাজাকার।

আর জামায়াত, বস্তাপচা কয়টা গোড়ামীর কারনে কখনও একা না চলে আজ এর কোলে, তো কাল ওর কোলে চড়ে বেড়াবে।

একদল তত্তাবধায়ক নিয়ে আন্দোলন এর প্রলোভন দেখিয়ে জামায়াতকে মাঠে নামিয়ে নিজেরা তলার টা উপরেরট সবটাই খাবে। আর বার বার ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুংকার দিবে। এদের কথায় মনে হবে প্রতি মাসেই মনে হয় ঈদ আসবে, আর তারা এক ভাঙ্গা বাশি আজিবন বাজাবে।

বিএনপির আন্দোলনের মুরোদ নেই এটা্ সবার জানা কথা। জানেনা শুধু জামায়াত এ মোটা নেতারা। তাই কর্মীদের আন্দোলনে নামিয়ে মাঝখানে মার খাবে, মারা যাবে, জেলে যাবে, আহত হবে, মামলা খাবে সবটাই জামায়াত।

আরবিএনপি গায়ে হাওয়া দিয়ে বেড়াবে। কারন জামায়াত মরলে ও তো বিএনপির লাভ। আর বেচেঁ থাকলে তাদের বিনামুল্যে ব্যবহার তো করাই যাবে।

তারপরেও গরীবের সুন্দরী বউ হিসাবে জামায়াতের দোষ সবার কাছে।

জামায়াতের পাশে কেউ না দাড়ালেও জামায়াতের এক শ্রেনির শীর্ষ নেতা সবসময়ই বলে যাবেন, আমাদের পাশে ম্যাডামরা আছে।

জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও তো আর ও নির্বাচন আছে। রাজনীতিতে জোট ছাড়া ও তো যুগপৎ আন্দোলনের নজির আছে। জামায়াত নেতা কর্মীদের আন্দোলন, রাজনীতি এগুলো নিয়ে আরও ভাবতে হবে।

বিষয়: রাজনীতি

১৭৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File