শিশু হত্যার টিকা স্টাইল

লিখেছেন লিখেছেন ইচ্ছে দেয়াল ১৭ মার্চ, ২০১৩, ১০:২৯:২৯ সকাল



যুদ্ধাপরাধী সাঈদির চেহারা চাদে দেখা যাওয়ার গুজব শুনে বিশ্বাস করে রাস্তায় নেমে আসাটা যতটা কুসংস্কারাচ্ছনতার পরিচয়, নব্য রাজাকার ও লুটেরা আওয়ামি লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখের কথায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে হাজার হাজার শিশু অসুস্থতার খবরকে স্রেফ জামাত-শিবিরের ছড়ানো গুজব বলে নিশ্চিন্তে অবিশ্বাস করা, কোন যাচাই বাছাই করার প্রয়োজনীয়তাই বোধ না করা তার চেয়ে কম কুসংস্কারাচ্ছন্নতা নয়!

সরকারের অবহেলা, লুন্ঠন ও সেই লুন্ঠনকারী সরকারের প্রতি অনেকের অগাধ আস্থার ‘কুসংস্কারের’ ফলাফলস্বরুপ হাজারো শিশুর অসুস্থ হওয়া এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যু ঘটার পর এখন সরকারের উপরে প্রথমেই আস্থা স্থাপনকারী মিডিয়ায় খবর আসছে:

১) বিদেশ থেকে মান পরীক্ষার কথা বলা হলেও ভারতীয় অলিভ হেলথকেয়ার কোম্পানির কাছ থেকে আমদানিকৃত ৬৮টি ব্যাচের ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মধ্যে মাত্র ১১টি ব্যাচের মান পরীক্ষা করিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ অবশিষ্ট ৫৭টি ব্যাচের ওষুধ মান যাচাই ছাড়াই খাওয়ানো হয়েছে।(১৬ মার্চ সমকাল)

২) ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস নামের দেশি একটি কোম্পানির ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে যার কোন অনুমোদন ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন এর মতো জাতীয় একটি কর্মসূচীর জন্য ছিল না। (১৬ মার্চ সমকাল, প্রথম আলো)

৩) ওষুধনীতিতে এনওসি বা নো অবজেকশান সার্টিফিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ওষুধ আমদানির সুযোগ নেই, কেবল সীমিত ক্ষেত্রে মুমুর্ষূ রোগীদের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এনওসির মাধ্যমে ওষুধ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। অথচ ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ আমদানিতে এনওসি নিয়মেরও ব্যত্যয় ঘটেছে। স্থানীয় যে এজেন্ট (জনতা ট্রেডার্স ) ভারতীয় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল আমদানি করেছে, তারা ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। যে কারণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনন্যোপায় হয়ে ভারতীয় কোম্পানি ওলিভকে এনওসির মাধ্যমে ওষুধ আমদানির অনুমোদন দেয়। (১৬ মার্চ সমকাল)

দেশী বিদেশী লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষাকরতে গিয়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, সেই মুনাফা-পিশাচদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

Share

যুদ্ধাপরাধী সাঈদির চেহারা চাদে দেখা যাওয়ার গুজব শুনে বিশ্বাস করে রাস্তায় নেমে আসাটা যতটা কুসংস্কারাচ্ছনতার পরিচয়, নব্য রাজাকার ও লুটেরা আওয়ামি লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখের কথায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে হাজার হাজার শিশু অসুস্থতার খবরকে স্রেফ জামাত-শিবিরের ছড়ানো গুজব বলে নিশ্চিন্তে অবিশ্বাস করা, কোন যাচাই বাছাই করার প্রয়োজনীয়তাই বোধ না করা তার চেয়ে কম কুসংস্কারাচ্ছন্নতা নয়!

সরকারের অবহেলা, লুন্ঠন ও সেই লুন্ঠনকারী সরকারের প্রতি অনেকের অগাধ আস্থার ‘কুসংস্কারের’ ফলাফলস্বরুপ হাজারো শিশুর অসুস্থ হওয়া এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যু ঘটার পর এখন সরকারের উপরে প্রথমেই আস্থা স্থাপনকারী মিডিয়ায় খবর আসছে:

১) বিদেশ থেকে মান পরীক্ষার কথা বলা হলেও ভারতীয় অলিভ হেলথকেয়ার কোম্পানির কাছ থেকে আমদানিকৃত ৬৮টি ব্যাচের ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মধ্যে মাত্র ১১টি ব্যাচের মান পরীক্ষা করিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ অবশিষ্ট ৫৭টি ব্যাচের ওষুধ মান যাচাই ছাড়াই খাওয়ানো হয়েছে।(১৬ মার্চ সমকাল)

২) ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস নামের দেশি একটি কোম্পানির ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে যার কোন অনুমোদন ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন এর মতো জাতীয় একটি কর্মসূচীর জন্য ছিল না। (১৬ মার্চ সমকাল, প্রথম আলো)

৩) ওষুধনীতিতে এনওসি বা নো অবজেকশান সার্টিফিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ওষুধ আমদানির সুযোগ নেই, কেবল সীমিত ক্ষেত্রে মুমুর্ষূ রোগীদের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এনওসির মাধ্যমে ওষুধ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। অথচ ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ আমদানিতে এনওসি নিয়মেরও ব্যত্যয় ঘটেছে। স্থানীয় যে এজেন্ট (জনতা ট্রেডার্স ) ভারতীয় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল আমদানি করেছে, তারা ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। যে কারণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনন্যোপায় হয়ে ভারতীয় কোম্পানি ওলিভকে এনওসির মাধ্যমে ওষুধ আমদানির অনুমোদন দেয়। (১৬ মার্চ সমকাল)

দেশী বিদেশী লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষাকরতে গিয়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, সেই মুনাফা-পিশাচদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

Share

বিষয়: রাজনীতি

১০৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File