আসহাবে রাসুলের জীবনধারা সাহাবী কারা

লিখেছেন লিখেছেন কোরডোবা ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৭:১৭:১১ সন্ধ্যা

আসহাবে রাসুলের জীবনধারা

সাহাবী কারা

যারা নবী করিম (স) কে দেখেছেন, ঈমান এনেছেন, সংস্পর্শ পেয়েছেন এবং ঈমানের সাথেই মৃত্যু বরণ করেছেন তারাই সাহাবী

ঈমানের ক্ষেত্রে তাদের দৃঢ়তা ও পেরেশানী

হযরত আবু বকর (রা)। প্রথম ঈমান গ্রহন করেছিলেন যখন তাঁর চারিপাশে কেউ ছিলনা। আবার মে’রাজের ঘটনা নিয়ে যখন বাতিলরা ধুম্রজাল ছড়াচ্ছে তখন আবু বকরই এর সত্যতার সাক্ষ্য দিলেন।

যায়েদ বিন হারিছা (রা)। রাসুলের সেবায় এসে ইসলাম গ্রহন করেন। পরবর্তীতে বাবা তাঁকে নিতে চাইলেও তিনি আর যাননি কারণ তিনি ইসলামের মাঝেই সফলতা বুঝতে পেরেছিলেন।

হযরত আবু হুরায়রা (রা)।

ইসলাম গ্রহন করেছিলেন চুপিসারে। প্রায়ই রাসুলের খেদমতে ব্যস্ত থাকতেন। এক সময় মা তাঁর উপর প্রচুর নির্যাতন করেন কিন্তু তারপরও তিনি রাসুলের সঙ্গ ত্যাগ করেননি।

দাওয়াতী কাজে তাদের পেরেশানী

বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুল (স) যখন বলেছিলেন তোমরা যারা উপস্থিত তারা যেন আমার কথাগুলো অনুপস্থিত লোকদের মাঝে পৌছায়। ঐতিহাসিকরা বলেছেন একথা শুনে সাহাবীরা যার ঘোড়া, উঠের মুখ যে দিকে ছিল তারা সেদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন পৃথিবীব্যাপী। তাই দেখা যায় বিদায় হজ্জে এক লক্ষ সাহাবী উপস্থিত থাকলেও মাত্র কয়েক হাজার সাহাবীর কবর সৌদিআরবে পাওয়া যায়।

নামাজের ক্ষেত্রে সাহাবীদের আন্তরিকতা

হযরত আলী (রা)।

যুদ্ধে তীর বিদ্ধ হয়েছে। কোন অবস্থায় বাহির করা যাচ্ছেনা অবশেষে নামাজরত অবস্থায় বাহির করা হলেও তিনি মোটের কষ্ট অনুভব করেন নি।

সাহাবীরা যখনই সমস্যায় পড়তেন তখনই নামাজ পড়তেন। তাদেরকে বলা হয় দিনের বেলা তারা ঘোড়ার উপরে থাকতেন আর রাতের বেলা জায়নামাজে।

ত্যাগ-কুরবানীর ক্ষেত্রে তাদের অনন্য দৃষ্টান্ত

হযরত বেলাল (রা)

। যিনি উমাইয়া বিন খলফের কৃতদাস ছিলেন। আবু বকর তাঁকে ক্রয় করে মুক্ত করেন।

হযরত আম্মার (রা) ও ইয়াছির (রা)।

আবু জেহেল কর্তৃক......।

হযরত খাব্বাব (রা)।

নির্যাতনের কারণে যার পিঠে গর্ত তৈরী হয়েছিল.......।

পরস্পরকে অগ্রাধিকার দানে সাহাবীরা

যুদ্ধের ময়দানে পানি পানের ঘটনা

আনসারগণ তাদের বাড়ী, বাগান এমনকি স্ত্রীদের পর্যন্ত মোহাজির সাহাবীদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন

অর্থদানে সাহাবীরা

হযরত খাদিজা (রা)।

যিনি আরবের তৎকালীন সময়ে একজন শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। রাসুলের নবুয়তের পর তাঁর সম্পদ অকাতরে ব্যয় করেন........।

হযরত আবু বকর (রা)।

তিনিও একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ঈমান আনার পর দ্বীনের কাজে ব্যস্ত থেকেছেন ব্যবসায় সময় দিতে পারেননি। তাই তাবুক যুদ্ধে সবাই যখন বিশাল পরিমাণ অর্থ-কড়ি দান করছে, তখন আবু বকর একটি ব্যাগে সামান্য জব আর কয়েকটি মাত্র দিরহাম দিতে সক্ষম হন..........।

শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত সাহাবীরা

ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর। ভাইয়ে-ভাইর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে। পিতা-পুত্রে বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে।

হযরত ওমায়ের (রা) খুরমা হাত থেকে ফেলে জিহাদে ঝাপিয়ে পড়েছেন....।

হযরত মা’য়াজ ও মোয়াজ (রা) এর সাহসীকতা.......।

হযরত হানজালা (রা)।

যিনি নতুন বিবাহ করেছিলেন। তারপরও জিহাদের ময়দানে ছুটে এসেছেন ওহুদের ময়দানে।

হযরন খানসা’আ (রা)।

যিনি তাঁর ৫টি ছেলে আর প্রিয় স্বামীকে ওহুদের ময়দানে প্রেরণ করেছিলেন।

মুতার যুদ্ধের তিন সেনাপতি যায়েদ বিন হারিসা, জাফর বিন আবু তালিব আর আব্দুল¬াহ বিন রাওয়াহা (রা)।

একে একে তিন জনই শাহাদাত বরণ করেছিলেন।

আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবীরা

হিজরতকালীন অবস্থায় আবু বকরকে (রা) একটি ডাক দেয়ার সাথে সাথে দরজা খোলে দেন আবু বকর.......।

হযরত আলী (রা) কে হিজরত কালীন রাসুলের বিছানায় শুয়ে রাখা হল। কিন্তু সামান্যতম ইতস্ততা করলেন না যে, তার জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয় কি-না....।

ওহুদের ময়দানে রাসুল (স) যখন আক্রান্ত হলেন তখন কয়েকজন সাহাবী জীবন বাজী রেখে রাসুলকে হেফাজত করেন।

হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) কে ওমর (রা) যুদ্ধের ময়দানে নিজ দায়িত্ব থেকে অপসারন করলেও তিনি সামান্যতম প্রতিক্রিয়া দেখান নি..।

বাড়ী-ঘর ত্যাগের ক্ষেত্রে সাহাবীরা

হযরত আব্দুল ওজ্জা (রা)।

যিনি চাচার তত্বাবধানে লালিত পালিত হয়েছিলেন.......

হযরত মুসআব (রা)।

যিনি এমন ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ছিলেন যে, তিনি সকালে যে জামা পরতেন সেটা বিকালে পরতেন না। তিনি এমন সুগন্ধি ব্যবহার করতেন যে তিনি যে রাস্তা দিয়ে হেঠে যেতেন লোকেরা বুঝতে পারত যে এই রাস্তা দিয়ে মুসআব গিয়েছেন .....

সর্বোচ্চ ত্যাগ

শিয়াবে আবু তালিবে কারাবরণ

উদারতা

যুদ্ধের ময়দানে আলী (রা) এর ঘটনা। একজন কাফিরকে ছেড়ে দেয়া....।

ওমর (রা) ভৃত্যকে উঠে বসানো....।

আমানতদারীতা

আবু বকরের (রা) নিজ উদ্যোগে ভাতা কমানোর ঘটনা...। যখন দেখলেন বাড়ীতে ভালো রান্না হয়েছে।

ওমর (রা) বাতি নিবিয়ে নিজের কাজ সারতেন..। আর রাত্রি বেলা জন সাধারণের অবস্থা দেখার জন্য ঘুরে বেড়াতেন, একদিন .....।

সাহসীকতা

সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা)।

যিনি আটলান্টিকের ওপারে আফ্রিকার গহীন জঙ্গলেও ইসলামের দাওয়াত নিয়ে ছিলেন।

তারেক বিন যিয়াদ (রা)।

যিনি স্পেন বিজয় করেছিলেন। আর এটা বিজয় করতে গিয়ে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তোমাদের পিছনে ফিরে যাওয়ার বাহনটুকু জ্বালিয়ে দিয়েছ। আর তোমাদের সামনে শত্র“.........।

বিষয়: বিবিধ

১৬৭৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358204
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:২৭
শেখের পোলা লিখেছেন : ঘটনাগুলো পুর্ণাঙ্গ করলে আরও সুন্দর হত৷ ধন্যবাদ৷
358224
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:২২
আফরা লিখেছেন : আমরা ও জান্নাতের আশা রাখি কিন্তু যখন কোন সাহাবীর জীবনি পড়ি লজ্জাই হয় কোথায় উনারা আর কোথায় আমরা ।

জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
359093
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:১৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অসম্ভব দারুন পোস্ট

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File