প্রসঙ্গ বিয়েঃসেকাল ও একাল
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হাসেম ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১৯:৩১ সকাল
আগেকার দিনের বউ সাজানীঃ
আজকালকার বিয়ে-শাদীতে বিউটি পার্লারে গিয়ে বিয়ের কনে সাজানো ও তার সাথীদেরও উগ্র প্রসাধনী সহকারে মেক-আপ করে আসাটা একপ্রকার ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অথচ এই মাত্র সেদিনও বিয়ের কনে সাজাতেন কনের ভাবী, বোন কিংবা সহপাঠিরা। আর তাদের সহকারীরূপে পাশে এসে দাঁড়াতো বাড়ির (কিংবা শহর হলে এলাকার) এক দঙ্গল ছোট ছোট কিশোর কিশোরী ও শিশুরা। এতে বিয়ে বাড়িতে আলাদা একটা উৎসবের ফোয়ারা বয়ে যেতো সবার মাঝে। বিয়ের আগের দিন রাতে কনের হাতে মেহেন্দী দেয়া হতে নিয়ে তার সমবয়েসী সবার মেহেন্দী লাগানো/ নাচ গান ইত্যাদিতে তখনকার বিয়ের আসর গরম করে রাখতো বাড়িরই এক বা একাধিক কমেড়িয়ান বা জোকার সদস্য। তিনি ছোট কেউও হতে পারেন অথবা কনের দাদী/নানীও হতে পারেন। বাড়িতে এমন কোন ব্যক্তি না থাকলে পাশের বাড়ি হতেই কেউ না কেউ এসে যেতো বিয়েবাড়িতে হাসি আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেবার দায়িত্ব নিয়ে। তাই বলে তখনকার বিয়ের অনুষ্ঠানে বর্তমানের কমার্শিয়াল টাইপ বিয়ের অনুষ্ঠানের চাইতে আনন্দ বা মজা কোন অংশেই কম হতো বলে মনে হয়না। বরং কনের সহপাঠী, বোন ভাগ্নী, অল্পবয়েসী মামা-চাচা,ফুফু-খালা, দাদী নানীদের এবং ছোট ছোট স্বর্গীয় শিশুদের কলতানে সে সময়কার বিয়েবাড়িতে পবিত্রতা ও প্রানচাঞ্চল্যতার যে ফল্গুধারা বয়ে যেতো তার ছিটেফোঁটাও বর্তমানের কমার্শিয়ালী এরেঞ্জড্ বিয়ে অনুষ্ঠানে আর অবশিষ্ট নেই। বরং তার স্থান দখল করে নিয়েছে প্রতিবেশী হিন্দু দেশের অনুকরণে অতি ব্যয়বহুল হলুদ অনুষ্ঠান, যার সাথে আগের দিনের মেহেন্দী লাগানো অনুষ্ঠানের কোন সামঞ্জস্যতা নেই, না ব্যবহারিক দিক দিয়ে, না ধর্মীয় দিক দিয়ে আর না খরচের বাহুল্যের দিক দিয়ে। এ যেন মূল বিয়ের আগে আর এক ছোটখাট বিয়ের মহড়া; কোন কোন হলুদ অনুষ্ঠানে বরপক্ষের আর কনেপক্ষের অতিথি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথির সমপর্যায়ে পৌঁছে যায়।
বর্তমানের কমার্শিয়াল বৌ সাজানীঃ
এ কাজের দায়িত্ব নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজে ওঠা তথাকথিত বিউটি পার্লারগুলো। এদের আবির্ভাবের সময়কালে এরা অনেকটা গোবেচারা টাইপের ছিল মানে একটু অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের নববধূকে একটু আলাদা করে সাজিয়ে দেবার কাজ করে নারীর কর্মসংস্থানের একটি নয়া দিগন্তের সূচনা করা। কিন্তু বর্তমানে এদের কর্মপরিধি এতো ডাইমেনশন নিয়ে বিস্তার লাভ করেছে যে, এরা বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউজগুলোর হাতের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করা শুরু করেছে। আর সেটা করতে গিয়ে তারা বাংলার মুসলিম গৃহের নববধূদেরকে প্রতিবেশী হিন্দুয়ানী কালচারের অনুকরেণ এমন উৎকটভাবে ফ্যাশন-গার্লরূপে সাজানো শুরু করেছে যে, তাদের মাথার ওড়নাটুকু পেছনদিকে সরতে সরতে এখন কোনভাবে পিন দিয়ে শুধু ব্যাকসাইডে আটকে দেয়া হচ্ছে অর্থাৎ মাথার চুলগুলোকে উঁচু করে তুলে ধরে প্রদর্শনী করার জন্য ওড়নাকে একবোরে নাই করে দিচ্ছে। অথচ একজন পর্দনশীন নারীর সাবালক হবার পর হতে তাকে হিজাবের আবরণে নিজের সৌন্দয্যকে লুকানো আবশ্যক কর্তব্য । আগেকার বিয়েতে কনে সাজানোর এটা একটা অতি অাবশ্যকীয় অঙ্গরূপে বিবেচিত হতো বিধায় কনেকে দামী শাড়ী-গহনা পরিয়ে সাজানো হলেও তার মাথার অবগুন্ঠনকে সামনের দিকে টেনে এনে তার চেহারাও ঢেকে ফেলা হতো এবং বর-কনের শুভ দৃষ্টি বিনিময়ের ক্ষন হলে সুন্দর পবিত্র আবহে বর-কনের নানী/দাদী স্থানীয় কিংবা ভাবীরাই কনের অবগুন্ঠন তুলে বরকে তার নববধূর পবিত্র চেহারা দর্শনের ব্যবস্থা করে দিতেন। আর এ সময়টাতে রসিক দাদি/নানীদের কর্ণদ্বয় গরম করা কমেন্টস এ অনুষ্ঠানে হাসির রোল বয়ে যেতো। তাই, হিন্দি ছবির কল্যাণে জনসমক্ষে কনের আমস্তক চেহারা প্রদর্শনের যে ফ্যাশন বর্তমানের বিয়ে অনুষ্ঠানে চালু হয়েছে তা একদিকে যেমন বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা ছড়িয়ে বিয়ের পবিত্রতাকে ভূলুন্ঠিত করছে, অপরদিকে তা বিয়ের খরচকে বহুগুনে বর্ধিত করে দিচ্ছে।
ফটোসেশনের গর্হিত কাজে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয়ঃ
বর্তমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনেকে সাথে বসিয়ে তাদের সাথে তাদের স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের যে ফটো-সেশন ঘন্টার পর ঘন্টা চলে, তাও এই বিউটি পার্লারেরই একটি বাই-প্রোডাক্ট বলা চলে। বলা বাহুল্য আগেরকার দিনে এমন বেহায়াপনার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারতোনা। আই-টির যুগে এভাবে বর-কনের ফটো সেশন, একা বা বন্ধু-বান্ধব সহকারে, এবং তা যেভাবে তড়িৎগতিতে ইন্টারনেট ও ফেসবুকের কল্যানে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, তা চিন্তাশীলদের জন্য মাথাব্যাথার কারণ অবশ্যই। ইসলামের পর্দপ্রর্থার মৌলিক বিষয়কে পদদলিত করে যেভাবে আধুনিক হিন্দুয়ানী চালে আগাগোড়া মোড়া বিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের নারীকূলকে আমরা পরপুরুষের সামনে উলঙ্গ করে চলেছি,তাতে ভয় হয় একদিন তা বুমেরাং হয়ে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকেই উলট পালট করে ছাড়বে। এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক কালে লব্ধ আমার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক হবেনা। বিয়ের বর-কনের অবারিত ফটোসেশন এবং এর ফেসবুকে বাছ-বিচারহীন আপলোডের ব্যাপারে আমার কঠিন মনোভাবের কারণে আমাকে আমার ফেবু বন্ধুদের কেউ কেউ সম্প্রতি আনফ্রেন্ড করে দেয়, পাছে আমি তাদের বিবাহ-অনুষ্ঠানের ছবি আপলোড নিয়ে কটু কথা না বলি। হলে কি হবে, এমনই এক সংশ্লিষ্টজনের আপলোডকৃত বিয়ের ছবি অন্য কোন ফেবু বন্ধুর কল্যাণে তা আমার দৃষ্টিগোচর হতে আমাকে আনফ্রেন্ড করার পরবর্তীতে ২৪ ঘন্টা সময় ও লাগেনি। কোন কোন সময় এমন কান্ড ঘটে ফেসবুক বন্ধু সে হয়তঃ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় বসে তার ঢাকার বন্ধুকে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত বিয়ের ছবি পাঠাচ্ছে বিয়ের ৪/৫ ঘন্টা পরেই। আমার তাই ভয় হয়, না জানি এমনই এক বর-কনের যুগল ছবি আই-টির কল্যাণে কোন একদিন ইউরোপ আমেরিকার কোন অতিমাত্রায় ব্রাকেটেড নারী-ম্যাগাজিনের কভার স্টোরি হয়ে না আবির্ভূত হয়। হয়তঃ ইতোমধ্যে তা হয়েও গেছে, শুধু আমাদের জানার বাকী।
আমাদের অাপন/নিকটজনের ছবির অপব্যবহারঃ
ফেবুতে আমি মুসলিম নারীদের হিজাববিহীন ছবি আপলোডের ঘোর বিরোধী। একই সূত্রে আমি বিয়ে অনুষ্ঠানের বর-কনের অবাধ ফটোসেশনের ও ঘোর বিরোধী। কারণ এ ছবি শত শত মোবাইল ক্যামেরার কল্যাণে বর-কনের অজান্তেই মুহুর্তের মধ্যে নেট এর মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কথা হলো, নেটজগতে পর্ন-সাইটের রয়েছে রমরমা ব্যবসা। আল্লাহ না করুন, তাদের কোন এক ঘৃন্য মস্তিষ্কের অধিকারীর হাতে পড়লো আমারই কোন আত্মীয়ার অবগুন্ঠনহীন সুন্দর ছবি। বেশ আর যাবে কোথায়। ফটোশপের কল্যাণে সে ঐ ছবির মস্তক হতে থুতনি অবধি অংশ কেটে পর্ন-সাইটের কোন বেশ্যানারীর নগ্ন দেহের সাথে জুড়ে দিলে, তার পরবর্তী অবস্থা কল্পনা করতেই গা শিউরে উঠে। আমি কোন কল্পনার কথা এখানে বলছিনা। বলিউডের অনেক নায়িকার সাথে এমনটি অলরেডি ঘটেছে এবং তা পরবর্তীতে কোর্ট কাছারী পর্যন্তও গড়িয়েছে। তবে, বলিউডের নায়িকাদের তো নিজেরই কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কোর্টে গিয়ে নামকাওয়াস্তে মানহানির মামলা দিয়ে কিছু হাতিয়ে নেয়া ছাড়া তাদের আর কোন উদ্দেশ্যও তেমন থাকেনা। কিন্তু আপনার/আমার বোন/ভাগ্নীদের সাথে যদি এমনটি হয়, তাহলে সেদিন কি আমাদের মূখ লুকাবার স্থান থাকবে। এমনও তো হতে পারে যে কোন অসৎ লোক এমনটি করে সে ছবিটাকে সদ্য বিবাহিতার শ্বশুরপক্ষের কারো নিকট পাঠিয়ে দিলো ব্ল্যাকমেইল এর উদ্দেশ্যে আর লাখ/কোটি টাকা দাবী করে বসলো। সাথে এমন কাহিনী ফেঁদে দিল যে এই মেয়ে এমন/এত এত লোকের সাথে তার গোপন সম্পর্ক.....। আজকাল তো আবার তথাকথিত নারী স্বাধীনতার যুগ। তাই স্কুল কলেজে সহ-শিক্ষার কল্যাণে ছেলে-মেয়েদের মাঝে প্রেম ভালোবাসার নাটক চলে হরদম। তো, কোন এক যুবতীর বিয়ে হয়ে গেল তার বাবা-মার ইচ্ছা অনুযায়ী। কিন্তু তাকে তার কলেজের কোন ছেলে মনে মনে চাইতো বা ভালোবাসতো। এখন সেই ছেলেটি আশাভঙ্গ হয়ে ফেসবুকে প্রাপ্ত সদ্য প্রেমিকার ছবি নিয়ে শয়তানের প্ররোচনায় সে একইভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে পিছপা হবেনা।
তাই সময় থাকতে আমাদের সবার সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত।
একটুখানি ভাবা উচিতঃ
কেন আমরা আমাদের সন্তানদের বিয়ে বিউটি পার্লারের বা ফটোসেশনের বাইরে চিন্তা করতে পারছিনা? আমাদের কি পরকালের ভয় নেই? মহান আল্লাহ নারী-পুরুষের পর্দা পালনের ব্যাপারে আল কোরআনের পাতায়, বিশেষত: সূরা নূরের ৩০ ও ৩১ নং আয়াতে কি বলেছে, তা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে আমরা আমাদের নারীদের পর্দাহীন এই বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা ও ফটোসেশনের কথা চিন্তাও করতে পারিনা। দেখা যাক আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ কি বলেনঃ
৩০.) নবী! মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে।এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি। যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন।
৩১.) আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া (অর্থাৎ হাতের কব্জি, পায়ের পাতা)। আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে। তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়া স্বামী, বাপ, স্বামীর বাপ, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, নিজের মেলামেশার মেয়েদের নিজের মালিকানাধীনদের, অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্য কোন রকম উদ্দেশ্য নেই এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ। তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে।.........."
প্রথম আয়াতে তো পুরুষদেরকে সাবধান করা হয়েছে তাদের দৃষ্টি নত করতে বলে। অথচ, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই শিক্ষিত(?) পুরুষরা দৃষ্টিকে শুধু উঁচিয়েই রাখে না বরং তারা সেই দৃষ্টির সামনে ক্যামেরার লেন্স দিয়ে আরো বেশী গুনে দৃষ্টিকে পরনারীর দিকে প্রসারিত করছে এবং আরো একধাপ এগিয়ে ছবি নিয়ে সেই ছবিকে নেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেখুন, কোরআনের আয়াতকে অমান্য তো করছেই বরং তার চাইতে বেশী এগিয়ে অমান্য করছে। আর এভাবে ছড়িয়ে দিয়ে তারা আয়াতের পরবর্তী অংশ অর্থাৎ "তোমাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করোর" প্রতিও বৃদ্ধৃঙ্গুষ্টি দেখিয়ে, নেটে সেসব ছবি ছড়িয়ে দিয়ে অপর পরপুরুষের লজ্জাস্থানে সুড়সুড়ি দেবার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করছে।
আর সূরার ৩১ নং আয়াতে নারীকে সম্বোধন করে যে নির্দেশ সেটিও লক্ষ্য করুন। এখানে নারীকে পর্দার ব্যাপারে যে নির্দেশ তা কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নয়, বরং তা সবসময়ের জন্য। সে হিসেবে বিয়ের অনুষ্ঠানে যদি কনে বা তার নারী আত্মীয়রা বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে খোলাখুলি ষ্টেজে পরপুরুষের সামনে ফটোসেশনে পোজ দেয় তাহলে এটা তো কোরানের নির্দেশের শুধু বিরোধীতাই নয়, চরম বিরোধীতা। যেখান সাধারণ অবস্থায় সাজ-সজ্জা উম্মুক্ত করতে মানা করা হয়েছে, সেখানে বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য তারা বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজ সজ্জাকে আরো চোস্ত করে নিয়ে তারপরে তা উম্মোচিত বা সাধারণের দর্শনের ব্যব্স্থা নিশ্চিত করছে। চিন্তা করুন, এমন ভূমিকায় নেমে বিয়েতে কোরআনের এই নির্দেশের পক্ষে কাজ করছে কনে ও তার অভিভাবকরা নাকি বিপক্ষে? রোজ হাশরের দিন এজন্য শুধু কনেই দায়ী হবেনা, বরং কনের বাপ, ভাই, ও আরো অন্য গার্জেন সবাইকেই দায়ী করা হবে এ নির্দেশ অমান্যের জন্য। আর ফলস্বরূপ বিচারটা কি হবে তা না বললেও চলে।
মহান আল্লাহর নিকট আমরা তাঁর নির্দেশ অমান্যে শয়তানের প্ররোচনার কবলে পড়া থেকে পানাহ চাই।
বিষয়: বিবিধ
২২৬৮ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব বিয়েতে খরচও করা হয় লোক দেখানোর জন্য এবং ছবিও তোলা হয় সাজের বহর দেখানোর জন্য । সাজগোজের জন্য যে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে তার ব্যাপকতা বিশাল এবং এর শেকড় বহুদূর পর্যন্ত তা বিস্তৃত ।
নিজেকে হাজির করতে কে না ভালবাসে এবং এই জাহির করার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে বিয়ের মত এরকম সামাজিক অনুষ্ঠান ।
বিয়ের সাজুগুজু তো সওয়াবের কাজ,
পর্দার খেলাফ হবে কেন??
পর্দার সাথেও সাজুগুজু করা যায়!!
আর এতে অনেকের অনেক আনন্দ ও অধিকারের প্রশ্ন জড়িত, তাদের বঞ্চিত করবেন কেন??
এখন বিয়ে এবং তাকে ঘিরে নানা কর্মকাণ্ড দেখলে হিন্দি মুভি/ সিরিয়ালের দৃশ্য বলে ভ্রম হয়।
এমনকি এটা জান্নাতুল ফেরদাউসের বিয়ে নাকি জয়তি ঘোষের বিয়ে সেটাও ঠাহর করা যায় না!
মজার ব্যপার হচ্ছে, জয়তি ঘোষের বিয়ে আগের মতই আছে,শুধু জান্নাতুল ফেরদাউসের বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন হয়ে গেছে। (সংগৃহীত)
আগেকার দিনে বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়ে গেলেই পাত্র/পাত্রীর চেয়ে ছোটদের যে আনন্দোতসব শুরু হতো এখনকার শিশু-কিশোর-তরুণরা তা কল্পনাও করতে পারেনা!!
এখন তো সবকিছুই কৃত্রিম, এমন কি অধিকাংশ শ্বশুর-শাশুড়ীও জামাই/বৌকে অকৃত্রিম ভালোবাসা দিতে পারছেননা সামাজিকতার বেড়া কিম্বা আনুষ্ঠানিকতার খোঁয়াড়ে বন্দীত্বের কারণে!!
রাত ভর নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশায় বরের সাথে যে ভিডিও অনুষ্ঠান করা হয় তাতে ঘৃণ্য ভরে নিন্দা জানানো ছাড়া উপায় নেই।
বিয়ে যদিও পবিত্র একটি বিষয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশের হিন্দু সংস্কৃতি ঘরে তুলে নিজের সংস্কৃতিকে গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। এর প্রতিকার চাই।
সচেতনতা মুলক পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
সামাজিক ব্যধি হিসেবে পরিণত হয়েছে এই ধরণের কিছু বিয়ে কেন্দ্রীভূত কাজ! হিন্দী সিনেমার কল্যাণে এগুলো উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে!
চমৎকার বিষয়ে কলম ধরার জন্য শুকরিয়া! স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!
এখন ফার্মের মুরগীর রোষ্ট খায়!
- আল্লাহর রাসুল (সা^) হাদিস, 'যে বিয়েতে অপচয় হবে বেশী, সেই বিয়েতে প্রচুর সংখ্যক ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে লানত দিতে থাকে, যাতে করে নব দম্পতি অসুখী হয়ে যায়'।
- আজকালকার বিয়েতে বেশী সংখ্যক অপচয় হয়, আর বেশী সংখ্যক বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এরা ফেরেশতাদের লানতের ফল।
- আজকালকার বিয়েতে মুসলমানের কিছুই থাকেনা। এটা আসলে হিন্দুদের বিয়েই হয়। হিন্দী গানের ধুম ধারাক্কায় পুরো বিয়ে বাড়ীতে কুকুর পযর্ন্ত টিকে থাকতে পারেনা।
- স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরা আইটেম গান মুখস্ত করে, প্রতিবেশীর বিয়েতে গিয়ে বিনা পয়সায় ভাড়াটি হিসেবে, ভাড়াটিয়া বাইদানির মত নাচে।
আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বিউটি পার্লারের আর একটি বাই প্রডাক্ট হল, এখন ম্যাকয়াপ নস্ট হয়ে যাবে দেখে মেয়েরা আগের মত বিয়ের দিন আর তেমন কান্না কাটি করে না। কারণ কান্না কাটি করলে বরের বাড়ি যেয়ে যে ছবি গুলি তোলা হবে তা সুন্দর আসবে না ....
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন, জাযাকাল্লাহ খাইর। মডারেশন প্যানেলকেও ধন্যবাদ জানাই সবার দৃষ্টিগোচর হওয়ার সূযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের বিষয়গুলো বুঝার ও মেনে চলার তাওফীক দান করুক। সকলকে ক্ষমা করুক। আমীন।
দাদু ভাই একজন ব্লগারের ইসলাম সম্মত বিয়ে! চারমাস আগে!
এ জমানার বিয়ে পড়ুন উপরের লিংক এ!
ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী!
লিংকটি আবার দিলে ভালো হবে.....
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন এ থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার আন্দোলন শুরু করতে হবে, এবং তা শুরু করতে হবে অনতিবিলম্বে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন