নাস্তিক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর জঘন্য উক্তি ও দুটো বাছাইকৃত পোস্ট
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হাসেম ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:২২:৪২ সকাল
জঘন্য উক্তিঃ
"আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারাতো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারিরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।"
"আমি কিন্তু হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধি। আমি জামায়াতে ইসলামীর বিরোধি। তার চেয়েও হজ ও তাবলীগ জামাতের বেশি বিরোধি।"
"এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোন কাম নাই। এদেও কোন প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।
বাই 'ইলোরা জামান'-
হু ইজ দিস লতিফ সিদ্দিকি? কি তার পরিচয়? তাকে নিয়ে এত সরব কেন সকলে? লতিফেরা এসব কথা বার্তা বলবেন, এটি কি অনাকাংখিত ছিলো? নাকি আপনারা ভেবে নিয়েছিলেন এরা সাধু সন্ত ইসলাম প্রিয় জননেতা। এদের নোংরা মুখ দিয়ে এধরনের কিছু উগলিয়ে এলে আমি তেমন ভাবান্তর দেখাতে পারিনা। কারণ, মনের মধ্যে জেগেই থাকে, এরাইতো এসব বলবেন। এরা না বললে কারা বলবে? আমি অবাক হতাম যদি এই কথাগুলো শফি হুজুর কিংবা বড় কোনও প্রসিদ্ধ আলেম বলতেন।
মহানবী সাঃ কে নিয়ে কটুক্তি কিংবা ব্যাঙ্গ এদেশে আরো অনেকেই করেছেন এবং বহাল তবীয়তে চমৎকার আরাম আয়েশের জীবন যাপনও করছেন। শুধুমাত্র দেশ ছাড়া হয়েছি আমরা। সরকার দুইদিন পর মাথায় হিজাব দিয়ে নামাজ রত অবস্থায় ছবি পাবলিশ করেন। সেই তিনিই থাবা বাবাদের ঘোষণা করেন শহীদ হিসেবে। যেই থাবা বাবারা নবী করিম সাঃ নিয়ে অশালীন লিখা লিখে এসেছিলো দিনের পর দিন। আবার তাহাজ্জুদ নামাজ ও মিস হয়না তাহাজ্জুদিদের। সরকারের প্রানান্ত প্রানেরা তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করে ভোর বেলা শীতলক্ষায় যায় ক্ষ্যাপ মারতে। সকাল বেলা ভেসে ওঠে গুম করা লাশ।
সারাজীবন চৈনিক পন্থা অবলম্বন করে আল্লাহ্কে অস্বীকার করা কমিউনিজমের গন্দম খাওয়া এই সরকারের আদম সন্তানেরা যখন হজ্জ ব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় পৌছায়, তখন আপনাদের হিক্কাপ ওঠে। এইসব হিক্কাপে কিন্তু তিনাদের কিছুই আসে যায়না। সুন্দর মত ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছেন দারুণ প্ল্যান মাফিক। আমি জাস্ট বলি, ওয়াও! সরকারের ওয়াও ওয়াও সব লোকজন দের ওয়াও ওয়াও কাজ কর্ম দেখে আমাদের মত তেজপাতারা কেবল ওঁয়া ওঁয়া করে চেচাতে পারি। কিন্তু এতে কাজ হবেনা। জানা আছে।
কাজ একটি যা হবার হয়েছিলো সেটি থাবার বেলাতেই হয়েছে। কাজের কাজ। বিচার কার কাছে চাইবার আছে? বিচারপতিরা নিজেরাই যেখানে ইসলামের শত্রু। খুব স্থূল শোনালো কথাটি? এতটা ডিপ্লোম্যাটিক আজ অবদি হতে পারিনি। সাধারণ চোখে স্বল্প বুদ্ধিতে যা দেখেছি তাই লিখেছি। মানা না মানা আপনাদের ব্যাপার। তাই রাগের মাথা খেয়ে বলতে ইচ্ছে করে, বিচার হবেনা। এই লতিফ সাহেব যখন বলেছিলেন, ঘরে ঘরে প্রবেশ করে জামায়াত শিবির মারতে হবে, সেসময়ে যখন কিছু হয়নি, বরঞ্চ প্রকাশ্য খুনের হুমকি দাতা হিসেবেও বহাল তবীয়তে আছেন, সেহেতু এখনো কিছু হবেনা। শুরু করেছিলেন শিবির দিয়ে। তবে শেষ কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ কে দিয়ে করেন নি। সামনে আরো দেখতে পাবেন এদের নখর দন্ত।
আমি অপেক্ষায় থাকি আর শয়তানের ধোঁকা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবার জন্য আল্লাহর কাছে অনুরোধ করি। আমি এই অভিশপ্ত শয়তানদের কাছ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আউজু বিল্লাহে মিনাশ শাইতোয়ানির রাজ্বীম!
বাই 'সাকিবুর রহমান মেরাজ'-
সবার উদ্দেশ্য আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের চিন্তাদ্বারা থেকে বলছি-
ইসলামের অন্যতম রুকন হজ্বকে নিয়েবাজে মন্তব্যকারী নাস্তিক
লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি কার্যকর
করতে হবে । এই মর্মে যারা
লেখালেখি করছেন এবং বিবৃতি
দিচ্ছেন তারা কি এটা জানেন
না যে যাদের কাছে বিচার দায়ের করা হচ্ছে তারা নিজেরাই এই লতিফ সিদ্দিকীরই একটি অংশ? এবং তারাই এই সমস্ত মানুষ নামের জানোয়ারদেরকে তারাই লালন-পালন করে আসছে ।
আমার ধারনা এদের কাছে বিচার দিয়ে কোন লাভ হবেনা, বরং এরা নিজেরাই এই সমস্ত কুটুক্তির সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জরিত । তাই এরা এই বিচার করবেনা, যেটা আমরা অতীতেও দেখেছি । তাই বলি কি ! আসুন, বসে না থেকে আবারো গর্জে উঠি আল্লাহ, নবী, ও ইসলামের কুটুক্তিকারী নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে, ভেঙ্গে দেই এদের বিষঁদাত ।
নারায়ে তাকবির স্লোগান তুলে জিহাদের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে বেরিয়ে আসি ।
আল্লাহপাক আপনে আমি তথা সবাইকে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে হযরত ওমর(রা.)মত গর্জে উঠার হিম্মত দান করুন, এবং মোদের জন্য তিনি সহায় হোন ।
আমীন !
বিষয়: বিবিধ
১৯০৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সকল উপদেশ দাতার অন্তর ও ভিতর প্রতারনা, হঠকারী, কপটতা আর চরম মিথ্যায় ভরা, তা শুধু গলার টাই আর ক্লিন সেভ চেহারার কল্যানে চাপা থাকে!
এই আবদুল সেই ধরনের আরেক জোচ্চর। এদের মুখ বন্ধ করার জন্য শক্ত তালার ব্যবস্থা করা দরকা।
ভাই মাওঃ সাঈদী কে কোন ধরণের ধর্ম অবমাননায় গ্রেফতার করা হয়েছিল?
এই লতিফ মুরতাদ কে দেশে ঢুকতে দেয়া কি উচিত জনগনের?
প্রথম আলোর পাঠকদের কয়েকটি মন্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি--
# হোটেলে মাগনা পাইয়া বেশী পান করে ফেলেছে
# সামনের বছর বাইন্ধ্যা হজ্জে পাঠানো হউক । আসার পর উনার বক্তব্য শোনা যাবে ।
# কাজী নজরুল ইসলামের সেই অমর বাণীটি দিয়ে- "রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই, রাসূলের দুশমন"
# হালকা প্রতিবাদ করুন - পাগল বলুন - পরে ভুলে যান । আমরা সব গরু খাওরা মুসলমান ।
তবে সবচেয়ে বেশী যে কথাগুলো এসেছে--
# শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবের নামে কটূক্তি করলে যদি সাত বছর জেল হয়, তাহলে আল্লাহ্র # রাসুলের নামে কটূক্তি করলে এর চেয়েও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ।
# তারা যে সরকারী খরচে ১৮০জন নিয়ে আমেরিকা বেড়াতে গেছেন, তাতে দেশের টাকা অপচয় হয়নি ?
# হজ নিয়ে রিরূপ মন্তব্য করলে ঈমান থাকবে না, কারণ ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদাত ।
# এমন মন্তব্য করার কারণে তার ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে, তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বের করে দেয়া উচিত, কারো মতে তাকে মৃত্যদণ্ড দেয়া উচিত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন