ইসরায়েল ও আমেরিকার মুসলিম নিধন পলিসি
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হাসেম ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:২৬:০০ বিকাল
ইসরায়েল ও আমেরিকার পলিসি !!!
তারা কোনো মুসলিম দেশকে ধ্বংস বা দুর্বল করে দিতে প্রথমে সেদেশে মুসলমানদের একটি "এ" টিম (উদাহরণ স্বরূপ) গঠন করে এবং তাদেরকে অস্ত্র, টাকা ইত্যাদি দিয়ে সহযোগীতা করে এবং ঐ দেশের প্রভাবশালী পক্ষের বিপক্ষে যুদ্ধ করার ব্যাবস্থা করে । এতে ঐ সরকার দুর্বল হয়ে যায় এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় । এরপর ঐ "এ" টিম যাতে কখনোই তাদের প্রতি হুমকি হতে না পারে সেজন্য তারা আরেকটি পরিকল্পনা করে । তারা প্রচার করতে থাকে, ঐ "এ" টিমটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং এদেরকে দমনে ঐ সরকার ব্যার্থ । তাই আমেরিকা-ইসরায়েল সন্ত্রাস দমনের নামে সরাসরি তাদের উপর হামলা করে । এতে সেই "এ" টিমটিও দুর্বল হয়ে যায় । আল্টিমেইটলি আমেরিকা-ইস্রায়েলের পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হয় । যেখানে মুসলমানদের বিপক্ষে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দিয়ে পুরো মুসলিম দেশটাকেই ধ্বংস বা দুর্বল করে দেয়া হয়।
এটি আমেরিকা-ইসরায়েলের অনেক পুরনো কিন্তু ইফেক্টিভ কৌশল । যেটা এখনো চলমান রয়েছে ।
এই পরিকল্পনা তারা ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান ও লিবিয়াসহ অনেকগুলো দেশে সফলতার সাথে এপ্লাই করেছে এবং সম্প্রতি সিরিয়াতেও শুরু করেছে । এটা এখন সবারই জানা যে ওসামা বিন লাদেন এবং তার আল কায়েদাকে এই আমেরিকাতেই প্রশিক্ষণ দিয়ে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল আফগান ও রাশিয়ার যুদ্ধে। কিন্তু যখন রাশিয়া আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হলো, তখন আল কায়েদার শক্তিকে আর বাড়তে না দেয়ার অভিলাষে আমেরিকাই তাদেরকে সন্ত্রাসী দল ঘোষনা দিয়ে ক্রমে ক্রমে তাদেরকে কোনঠাসা করে ফেলে এবং একসময় বিন লাদেনকেও অতি করুণভাবে পাকিস্তানী চরের সহায়তায় পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেয়। এম্নিভাবে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে অস্ত্র দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িতে করে দিয়ে দুটো দেশকেই দুর্বল করে দেয় এবং সুযোগ বুঝে বেশী দুর্বল রাষ্ট্র ইরাকে সরাসরি আক্রমন করে সেখানে শতাব্দীর সবচাইতে ভয়ঙ্কর গণহত্যার মাধ্যমে দেশটাকে প্রায় মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এভাবে প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের কারণ হচ্ছে ।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ! কিছু কিছু মুসলিম দেশের শাসক সাময়িক স্বার্থের লোভে তাদের পা-চাটা গোলামী করে যাচ্ছে। এদের মাঝে সৌদী আরবের বাদশাহ অন্যতম। স্পষ্ট হওয়ার পরেও মুসলিম দেশ ধ্বংসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মুসলমানরাই তার শত্রুদের সহযোগীতা করছে । আর এভাবেই ইস্রায়েল-আমেরিকার মুসলিম নিধন কার্যক্রম সফলতার মুখ দেখছে । তারা জানে মুসলিম সম্প্রদায় এক থাকলে ইহুদীরা কখনোই মুসলমানদের উপর বিজয়ী হতে পারবেনা । তাই নিজেদের মধ্যেই বিভেদ, অনৈক্য, মতানৈক্য ও যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে তারা পৃথিবীময় মুসলমানদেরকে বারবার নাস্তানাবুদ করে চলছে ।
এখনো সময় আছে ! হে মুসলিম সম্প্রদায় ! জেগে ওঠো ! চোখ মেলে দেখো ! তাদের সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হও ! এবং এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় নিজেদের মধ্যে অনৈক্য দূর করে ভুল বুঝাবুঝি দূর করে সীসা ঢালা প্রাচীর গড়ে তোলো । তবেই ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ইনশা-আল্লাহ ।।
(সংগৃহীত ও পরিবর্ধিত)
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চেতনামূলক লিখনি দিয়ে আমাদের ভিতরকার সুপ্ত মূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলবার চেষ্টা করার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার যুক্তিটি স্বতসিদ্ধ। ধন্যবাদ ভাইজান। অনেকদিন নেটের বাহীরে ছিলাম। তাই বিলম্ব হল। আমার হয়ে আপনার পক্ষে থেকে দু:খ প্রকাশ করছি!
আপনার হয়ে আমার পক্ষ থেকে দুঃখটুকু মুছে দিচ্ছি...
মন্তব্য করতে লগইন করুন