শৈশব স্মৃতিঃ স্মৃতিতে অম্লান, নানাবাড়ির উপাখ্যান (শেষ পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হাসেম ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৫২:৪৮ সকাল

Click this linkপ্রথম পর্ব এখানে

আহা! আমার লাল টকটকে, পূণ্যবতী জান্নাতবাসী নানু, যাঁর হাতের রান্নার স্বাদ যেন জিহ্বার আগায় এখনো অনুভব করি। শুটকির ভর্তা বলুন, বেগুন ভর্তা বলুন, কি ইলিশ শুটকি দিয়ে পাকানো কচুর লতির কথা বলুন, যেন অমৃত হতো, অমৃত। ঐযে বলছিলুম ভূতের আড্ডাখানা পথের উপরের বিরাট বটগাছ পেরিয়ে যাবার পরপরই দেহমনে আরো বেশী শক্তি ও সাহস সঞ্চার হতো, নানুর হাতের পাকানো উপাদেয় সব খাবারের আসন্ন ঘ্রাণে। সাথে সকালবেলায় নাস্তা হিসেবে আসা বিভিন্ন পদের পিঠার (শুরুতে বর্ণিত) চিন্তা আর সিজনাল ফলফলারীর লোভনীয় হাতছানি, সব মিলেই কিন্তু ভূত চিন্তাকে মাথা থেকে তাড়াতে সফল হয়ে যেতাম। শুধু কি এই এক নানু? আমার নানুদের সংখ্যা কিন্তু হাতে গুনে শেষ করা যাবেনা। নূতন বাড়ি, পুরান বাড়ি, দুই ভূঁইয়া বাড়ি সব মিলিয়ে প্রায় ২ ডজন নানুর অধিকারী ছিলাম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আমার আদরটা কেমন হতো। যদিও এখন ইসলামী শিক্ষার প্রসারের কারণে কদমবুছি করার চল প্রায় উঠে গেছে, সেসব বিগত সময়ে কিন্তু ঐভাবে পা ধরে ছালাম না করাকে বেয়াদবী ধরা হতো। তাই ছালাম করতেই হতো, তবে যদি কোন পদযুগলের মালিক হতেন অত্যন্ত ফর্সা, আর সালাম করে উঠতে দেরী হতো, তখন নানুভাইর তীর্যক মন্তব্যে কানের লতি গরম হতে সময় লাগতোনা। অবশ্য শ্যামলা বা কালো নানুরাও যে তীর্যক মন্তব্য করতে পিছে ছিলেন না তা বলাই বাহুল্য, নানা-নাতী সম্পর্ক বলে কথা। তবে কতগুলো ঠোঁটকাটা নানু ছিলেন, যাঁদের ঐসব মন্তব্যের ধার তীব্র থাকায়, সহজে তাঁদের সামনে যেতাম না। Love Struck Love Struck বাল্যকালে আবার কথা কম বলতাম, ছিলাম অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির।(তাই বলে কিন্তু এখন কথা বেশী বলি তা নয়)।

বাইন পুকুর ছিল নানা বাড়ির সদরের (সামনের) পুকুর, যেখানে মূলতঃ পুরুষরাই গোসল করতেন। স্বচ্ছ টলটলায়মান পানির অধিকারী এ পুকুরটির বিশেষত্ব ছিল, এখানে কাউকে মাছ ধরতে দেখিনি। আর একটা কথা প্রচলিত ছিল যে, এখান অতীতে কোন এক মানুষ গোসল করতে গেলে তাকে কিছু একটা টেনে নিয়ে যায় মাঝ পুকুরে, তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। তাই ঐখানে গোসল করতে গেলে কখনো একা যেতাম না, আর নামলেও পাড়ের আশেপাশেই থাকতাম।

চিড়া, মুড়ি, আমসত্ত্ব, ছাঁইয়া পিঠা, রাব (খেজুরের রসকে জাল দিয়ে ঘন করে ব্রাউন রং এ বদলে দেয়া), নারকেল, কলা এসব প্রায় বার মাসই নানুর জোগাড়ে থাকতো, আর তা যাতে অপব্যবহার না হয়, সেজন্য তুলে রাখতেন সিলিং এর উপর যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো 'দমদমা'। কিন্তু এই বাঁদরটার হাত থেকে রেহাই পেতোনা সেসব মজাদার খাবার, তা যেখানেই থাক না কেন। আমার গুনবতী মরহুম নানুর আর একটা গুন ছিল, তিনি বাড়ির পেছনের পুকুরে (অন্দরমহলের) সব সময় আট দশটা বড়শি গেঁথে রাখতেন, বিশেষতঃ রাতের বেলায়। সকাল বেলায় উঠে সেই বড়শীতে পেতাম ইয়া বড় সব ষোল, মাগুর আর রুই মাছ। আহ্, পুকুরের তাজা মাছের সেকি স্বাদ। আবার নির্দিষ্ট বিরতিতে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য লোক ডাকা হতো। প্রায় অর্ধদিন চলে যেত মাছ ধরার উৎসবে, আমরা ছোটদের আনন্দই ছিল আলাদা সেসব সময়। দমদমায় উঠে যখন চুরি করে খাই, তখন আর হুঁশ জ্ঞান থাকেনা বলে অনেক সময় বদ হজমের শিকার হতে হতো। এবার আপু ভাইজান সকলে একটু কাপড় লুঙ্গি সামলে বসেন, মজার এক ঘটনা বর্ণনা করছি। হাসতে হাসতে কাপড় খুলে গেলে আমাকে দোষ দিয়েন না।

সেদিন মনে হয় কাঠালটা বেশী খাওয়া হয়েছিল। দু একটা দানাও আস্ত ফুরুৎ করে গলার নীচে চলে যায়। রাতে শুতে গেলে পেট মোচড় দিয়ে উঠলো। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, কি করি, কি করি? কাউকে না বলে চুপি চুপি দরজা খুলে ঘরের পেছনে গিয়ে ডেলার উপর কাপড় খুলে বসে পড়লাম, ২ মিনিটে পেট খালি করে দিয়ে উপরে টিনের চালা বেয়ে পড়া বৃষ্টির পানিতেই ঝটপট পরিষ্কার হয়ে আবার পা টিপে টিপে ঘরে ফিরে কাঁথা মুড়ে শুয়ে পড়লাম। মনে কিন্তু একটু আশঙ্কাও হচ্ছিল সকালে ডেলার উপর মনুষ্য বর্জ্য দেখে না আবার হৈচৈ শুরু হয়, আসামী ধরা না পড়ে। কিন্তু সকালে ভয়ে ভয়ে স্থান পরিদর্শনে গিয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। রাতের বর্জ্যর কিছুই নেই অবশিষ্ট সেখানে, শুধু আস্ত দুটো কাঠালের বিচি ছাড়া। আল্লাহকে হাজার শুকরিয়া জানালাম মনে মনে। কিন্তু পরবর্তী ঘন্টাখানেক পর যা ঘটলো - মায়ের এক কাজিন সকালে আন্তা দিয়ে কিছু গুঁড়ো মাছ ধরে তা রান্না করার জন্য ইতিউতি আরো সরঞ্জাম খুঁজতে গিয়ে ঐ ডেলার কাছে গিয়ে বৃষ্টিতে ধোয়া সুন্দর কাঠাল বিচি দুটো পেয়ে খুশীমনে তা তুলে নিয়ে রান্নাঘরে চলে যান। এবং অন্যসব উপাদানসহ মাছ দিয়ে তা মজা করে রান্না করে উদরপূর্তি করে ফেলেন। এ কাহিনী মানে কাঠাল বিচি আহরণের কাহিনী আমি উনার কাছেই পরে শুনেছিলাম। মনে মনে তখন হাসিটা দমন করা ছাড়া আর কি কোন উপায় ছিল, আপনারাই বলেন তো? Happy) Happy) Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

ভুলে যাবার আগে নানুবাড়ির সামনে মুহুরী গাং সম্পর্কে মনে আসা আর একটা তথ্য দেই। নদীতে জোয়ার আসার সময় হলে দৌড়ে চলে যেতাম জোয়ারের রূপ দেখতে। জোয়ারের পরপর নদীর পানির উচ্চতা প্রায় এক হাত পরিমান বৃদ্ধি পেত। জোয়ারে যখন ভাটার টান পড়ে এবং পাড়ের অনেকটা ভুমি আত্মপ্রকাশ করে তখন সেখানে বড় বড় কিছু গর্ত আবিষ্কার হয়। মামারা সবাই তখন দেখতাম গর্তের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে বড় বড় বাইলা মাছ বের করে আনতেন। নদীর একটা স্তন্যপায়ী প্রাণী 'শুশুক' স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ছুছুম দেখার জন্যও অনেক সময় মাঝ নদী বরাবর তাকিয়ে থাকতাম। সমবয়সীরা বলতো, ঐ ছুছুম তোর দুধ দেখা, আর অমনি ছুছুম কে দেখা যেতো বুক উঁচিয়ে পানির উপর দেহের কিছু অংশ ভাসিয়ে দিয়ে আবার উধাও। তার আসল রূপটা কি তা কিন্তু আজো জানিনা।

প্রকৃতি প্রেমীদের কি কি গুন থাকে জানিনা। কিন্তু যখন নিজেকে আবিষ্কার করি প্রকৃতির মাঝে, আল্লাহ সৃষ্ট প্রাকৃতিক উপাদানের মাঝে তখন যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলি, তখন অমুকে আমাকে কি কাজ দিয়েছে, কখন তা শেষ করতে হবে, কিছু আর মনে থাকেনা। গ্রামের শান্ত, নিরিবিলি আর সবুজ অরণ্যময় পরিবেশটা যে প্রকৃতির কত বড় উদাহরণ তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে? তাই গ্রামীণ পরিবেশ আমাকে সবসময় কাছে টানে। বিশেষতঃ দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেত, ক্ষেতের স্বচ্ছ পানিতে (প্রাকৃতিক এ্যাকুইরিয়াম) সাঁতার কাটা ছোট বড় নানা প্রজাতির মাছের ছুটাছুটি, এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা তালগাছ, গাছের পাতায় ঝুলে থাকা বাবুইদের কতো মজবুত প্রযুক্তির বাসা, আমজাম, নারকেল সুপুরি গাছের সারি, বাঁশবন, বেতঝাড়, মা-মুরগীর ডজনখানেক ছাও নিয়ে এসবের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্য আহরণের দৃশ্য, চিল এলে কক্ কক্ শব্দে কান ঝালাপালা করে শত্রুকে সিকি মাইল তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া, পুকুরে হাসা-হাসির জলকেলী, ছাগল ছানা আর বাছুরের দুরন্ত লাফালাফি, গরুর ওলান ধরে বাছুরের মুখ দিয়ে টান দিয়ে ওলান সতেজ করে গৃহস্থের দুধ দোহনক্রিয়া, কৃষকের জমিতে লাঙ্গল চাষ, রাখালের বাঁশীর সুর, কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি?

প্রকৃতির সাথে নিজেকে মিশিয়ে নেয়ার আর এক উপমা হলো, বাদলা দিনে কাচারী ঘরে শুয়ে শুয়ে টিনের চালের বৃষ্টি নামার ঝংকারময় ছন্দ শোনা আর চালভাজা দিয়ে রাব দিয়ে মোয়া বানিয়ে খাওয়া, অথবা নিকানো উঠানে নেমে কয়েকজনে মিলে বৃষ্টির মাঝে পায়ের হিলের উপর ভর করে দৌড়ে বহুদুর পর্যন্ত পিছল খেয়ে যাওয়া (অনেকটা আধুনিক স্কেটিং এর মত), হাতের কাছে হাসের ছানা পেয়ে পরম আদরে যখন মুঠোর মাঝে তাকে চেপে অজ্ঞান করার অবস্থা, তখন নানুভাইর দৌড়ে 'আহা, নাতি কি কররে, কি কররে' বলতে বলতে এসে সেটাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া, নাহ্, মনে হয় আর দীর্ঘ করাটা ঠিক হবেনা, সকলের ধৈর্য্যচ্যুতি হলে, তখন পাঠক পাওয়া কষ্টকর হবে।

আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করি, তিনি যেন আমার জীবনের শেষ দিনগুলো এই নির্মল, পবিত্র এবং উদার গ্রামীন পরিবেশে কাটানোর সুযোগ করে দেন।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯৪ বার পঠিত, ৭২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

263512
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:১৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : Chalam vaiya. It is an excellent presentation with lovely childhood memories. Your writing has reminded me many things what I did as well.
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১৫
207099
ইবনে হাসেম লিখেছেন : Waalaikum assalam apu. Pls. draft another memoire on the basis of your new discovery of the childhood memories.
263517
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
শেখের পোলা লিখেছেন : হাঁ ভাই আপনার নানা বাড়ির গল্প শুনলাম৷ একটা জিজ্ঞাসা ছিল৷ কাঁঠাল বিচি আর গুঁড়া মাছের স্বাদটা কেমন ছিল?
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১৪
207098
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অতো কি আর ভাই খালাকে প্রশ্ন করেছি? আমি তো মনে মনে শুধু হাসি দমন করছিলাম ঐ মূহুর্তে...হা, হা, হা, হা.
263528
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫২
নূর আল আমিন লিখেছেন : আমি ছোটকাল থেকে নানীর কাছেই বড় হয়েছি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
207177
ইবনে হাসেম লিখেছেন : তাহলে তো আপনার কাহিনী আরো বেশী সুখময় হবে, লিখে ফেলুন ভাই।
263554
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো । নিয়মিত চাই
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১০
207178
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ প্রদানের জন্য। ইনশাআল্লাহ।
263561
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৭
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মায়ের এক কাজিন সকালে আন্তা দিয়ে কিছু গুঁড়ো মাছ ধরে তা রান্না করার জন্য ইতিউতি আরো সরঞ্জাম খুঁজতে গিয়ে ঐ ডেলার কাছে গিয়ে বৃষ্টিতে ধোয়া সুন্দর কাঠাল বিচি দুটো পেয়ে খুশীমনে তা তুলে নিয়ে রান্নাঘরে চলে যান। এবং অন্যসব উপাদানসহ মাছ দিয়ে তা মজা করে রান্না করে উদরপূর্তি করে ফেলেন। এ কাহিনী মানে কাঠাল বিচি আহরণের কাহিনী আমি উনা Chatterboxর কাছেই পরে শুনেছিলাম। মনে মনে তখন হাসিটা দমন করা ছাড়া আর কি কোন উপায় ছিল, আপনারাই বলেন ? It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me! It Wasn't Me!

কাহিনীটি পড়ে আমার নানুর একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। সময়ের অভাবে দীর্ঘ ঘটনাটি লিখতে পারলাম না। যাক, আপনার নানুর বাড়ীর সাথে আমার নানু বাড়ীর অনেক কিছুর মিল আছে। উপভোগ্য কাহিনী টির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১১
207179
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মিল তো হতেই হবে। আমরা যে একই আদর্শের অনুসারী ডিয়ার টিপু ভাই। ধন্যবাদ। ভাবীকে পড়তে দিবেন কিন্তু।
263571
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
রাইয়ান লিখেছেন : অন্নেক মজা পেলাম ! খেজুরের রস জ্বাল দিলে যে মধুর মত দেখতে তরল গুড় তৈরী হয় , আমাদের গ্রামে সেটিকে ভির মিঠা বলে। নানুবাড়িতে গেলে ওটাও ছিল ওই বাড়ীর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ! অসংখ্য শুকরিয়া অসাধারণ লেখনীর জন্য !
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২১
207182
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সালাম। অনেক ধন্যবাদ পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য। আপনাদের কোন এলাকা যেখানে ফেনীর রাব কে ভির মিঠা বলে?
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৮
207203
রাইয়ান লিখেছেন : মাদারিপুর জেলা ....Happy
263618
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৮
আফরা লিখেছেন : ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুড়ে বেড়ালেও বাংলাদেশে ঢাকার বাহিরে কখনো যাওয়া হয়নি । আপনাদের বর্ননায় গ্রামীন জীবনের বর্ননা পড়ে খুব গ্রাম দেখতে মন চায় । কিন´টু ভাইয়া আমার এখন শুটকির ভর্তা বেগুন ভর্তা খেতে ইচ্ছা করছে ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
207229
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কেন ঐ দেশে কি এগুলো পাওয়া যায়না? ম্যানিলাতে কিন্তু পাওয়া যায়। না হয় একবার সবাইকে নিয়ে বেড়িয়ে যাও..
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
207232
ইবনে হাসেম লিখেছেন : বইনরে, আগের গ্রাম কি আর আছে? গ্রামের সুন্দর মানুষগুলো সব বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে যে...
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৯
207633
আফরা লিখেছেন : জী ভাইয়া সবই পাওয়া যায় কিন্তু রান্না তো আমার ইচ্ছা মত হবে না মামনির ইচ্ছা মত হবে ।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৫৭
207679
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আচ্ছা এক কাজ কর না হয়। এখানে যেমন ভর্তা খাবার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছ, তেমনি মা মনির কাছেও কর, সাথে এই বুড়া ভাইয়াটার সালাম পেশ কর উনাকে। ইনশাআল্লাহ কাজ হবে। বলবে তো?
264074
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনার গল্পটাতো ভাই কয়েকমাস আগে গ্যঞ্জাম খান এর এক পোষ্ট এ পড়ে ফেলেছি!!!!!

সেই দুরন্ত শৈশব আর উন্মক্ত আনন্দ কি এখনকার শিশুরা পায়।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৫১
207677
ইবনে হাসেম লিখেছেন : হায় হায় কন কি! এই গ্যাঞ্জাম খানটা কে? উনি আবার এই কাহিনী কোথায় পাইলেন? কাহিনীর শিরোনামটা বলেন তো দেখি। কি লিখেছেন উনি।
এখনকার শিশুরা তো সব এখন কম্প্যূটার এর সাদাপর্দার (নাকি রঙ্গীন পর্দার) প্রেমে মজে এখন স্বশরীরে গৃহবন্দীর জীবন বেছে নিয়েছে...
264172
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৩৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : কাঠালের বিচির সেই তরকারি কারা খেয়েছিল? উনাদের কাছে কি সত্য ঘটনা প্রকাশ করেছেন এখনো? ব্যাপক হাসির জোয়ার বয়ে গেলো যে আমাদের বাসাতে! Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

দুরন্ত শৈশবের প্রানবন্ত ঘটনা খুব ভালো লাগলো! শেয়ার করার জন্য শুকরিয়া Good Luck
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৫৫
207678
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনাকেও পাঠের জন্য শুকরিয়া। না কখনো বলা হয়নি। আমি একপ্রকারের ইন্ট্রোভার্ট। সত্যি বলতে কি, ভিশু ভাইয়ার আহ্বানে লিখিত এই অতীত স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এমন কিছু কথাই এসে গেছে, যার অনেক কিছুই ইতোপূর্বে অন্য কারো সাথেই শেয়ার করা হয়নি। এমনকি ৩০ বছরের সংসার করা গিন্নীর সাথেও নয়। বুঝুন আমি কেমন গল্প বলিয়ে। এজন্য ভিশু ভাই বিশাল একখান ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু ঘটনা কি? উনি আমাদেরকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন?
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
207795
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আমিও ভাবছি ভিশু ভাই কোথায় গেলেন:Thinking :Thinking ?
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৪
207804
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এমনকি ৩০ বছরের সংসার করা গিন্নীর সাথেও নয়। -- এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো Sad Sad Crying Crying এরকম হওয়াটা আমার খুব্বি অপছন্দ। Sad Sad At Wits' End At Wits' End @ইবনে হাসেম
১০
264268
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৬
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৯
207826
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সমস্যাটা কি আপনার ব্রাদার? এখনি যদি এতো কাঁদা কাটি, বিয়ের পরে তখন জল কোথায় পাবেন?
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:০০
208410
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ভাইজতা, সব্বাইরে সব কিছু বলতে হয়না। আকলমন্দ ক্যা লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যায়
১১
264299
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আমারও নানীর সংখ্যা ওর্কমই[এটি ভিশুরীতির বানান] হতে পারে- গুণে দেখতে হবে

আর আমি ছিলাম ঐ বংশের সবার বড় জনের প্রথম ছেলের প্রথম মেয়ের প্রথম ছেলে

আমার আম্মার দাদা-দাদী পর্যায়ের অনেকের আদর-যত্ন পেয়েছি,
আর নানী-খালাদের "খেলনা" ছিলাম আমি!
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৪
207832
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ভিশুরীতির বানান এর জন্য ইবনে হাসেম আঙ্কেল আমাকে সতর্ক-কমেন্ট করেছিলেন। Sad Give Up না জানি আবার আপনাকেও কী বলে Day Dreaming Day Dreaming
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৮
207836
ইবনে হাসেম লিখেছেন : বেশ তো ভাই, আপনার স্মৃতিকথা টি কবে কখন এবং কিভাবে এই ব্লগে দেখতে পাবো? অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
207839
আবু সাইফ লিখেছেন : @ সূর্যের পাশে হারিকেন :
আমিতো সূত্র উল্লেখ করেছি



@ইবনে হাসেম : এমাসেই দেবার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ-
দোয়া চাই
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
207840
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ইবনে হাসেম আঙ্কেল দেখি আপনাকে কিছু বলে নাই Surprised Surprised Crying Crying @আবু সাইফ আঙ্কেল
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৬
214229
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


@ইবনে হাসেম : এমাসে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারলাম না, আগামী মাসে হবে ইনশাআল্লাহ

Waiting




@সূর্যের পাশে হারিকেন : সূত্র উল্লেখ করে দায়মুক্তি পেয়েছি মনে হয়
Thumbs Up Big Grin
১২
264798
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমরা ছোটবেলায় বলতাম নানার বাড়ি মধুর হাঁড়ি। নানার বাড়ির আদরটা মনে হয় বেশি থাকে। অনেক মজা পেলাম আপনার মজার সব ঘটনাগুলো পড়ে।
আপনার বর্ণিত কাঁঠালের বিচির ঘটনা ব্লগার গ্যাঞ্জাম খান ভাই কোথাও মনে হয় লিখেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম সেটা দুষ্টামি। এখন দেখছি এমন ঘটনা অনেকের জীবনে ঘটেছে Rolling on the Floorধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। উপভোগ করলাম আপনার শৈশব পর্ব Good Luck Rose
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৫৮
208409
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আজব কথা বলেছেন তো? আমার তো ভয়ই করতেছে এখন। এমনিতেই আমি গ্যাঞ্জাম পছন্দ করিনা। এখন গ্যাঞ্জাম খান ভাই যদি আমার লিখা পড়ে তো মহা গ্যাঞ্জাম বাঁধাই দিবেন। আমাকে নকলবাজ .......। ইয়া আল্লাহ তুমি কিন্তু উনারে আমার এইখানে আসিতে বাঁধা দিওHappy>- Happy>- Happy>-
১৩
269843
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া দেখেছেন তো হিংসার করলে লাভ ও হয় ।স্টিকি পোষ্টে অভিনন্দন Rose Rose Rose Rose
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৪
213899
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ্। অবশেষে এই হতভাগার কপালেও একটি স্টিকি জুটলো!! মডু ভাইজান আপনি কই গো? কাছে পাইলে একটু গলাগলি করতাম। আফরা কেও ধন্যবাদ সংবাদটুকু প্রথমেই ফুলসহ ফ্লাশ করার জন্য।
১৪
269848
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : স্টিকি শুভেচ্ছা. Thumbs Up
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১১
213900
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সূপাহা ভাই, আপনার অন্য সঙ্গী ঐযে কি নাম....ও হ্যাঁ মনে পড়েছে, আওন রাহবার, তাকে দেখছি না অনেকদিন। কি হলো তার, ভালো আছে তো? আমাদের শুভেচ্ছা দিবেন। আপনার দৃষ্টিনন্দন সুন্দর অভিব্যক্তির জন্য শুকরিয়া।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩২
213950
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @ইহা ভাইয়া Big Grin আওণ সামনে যা পায়, তা খায় Eat হয়তো কোথাও দাওয়াত খাচ্ছে , অথবা মুড়ি মনে করে নুড়ি খাচ্ছে Big Grin I Don't Want To See আমি পাইলেই হাতুড়ি পেটা করবো ওকে Time Out Time Out Frustrated Time Out Time Out
১৫
269860
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
সুশীল লিখেছেন : সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ জানবেন। আর স্টিকি পোস্টের জন্য !
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১২
213901
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অনেক সময় বাস্তব কল্পনাকেও হার মানায়, মডু মামারা তাই প্রমাণ করলেন, ধন্যবাদ আপনাকেও পুনরায় ভিজিটে আসার জন্য।
১৬
269869
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫১
ফেরারী মন লিখেছেন : ভাই হাসেম
এবার একটু হাসেন Big Grin
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৪
213903
ইবনে হাসেম লিখেছেন : হাসির ইমোটা যখন দিয়েই দিয়েছেন, তা আর কষ্ট করে হাসলাম না। হাসলে তো আর দেখতে পারবেন না, তাই এ সিদ্ধান্ত নিলাম। ঠিক করেছি তো?
১৭
269874
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অভিনন্দন সুন্দর পোষ্টটি ষ্টিকি করার জন্য। আমি আগেও মন্তব্য রেখেছিলাম। ১০ই সেপ্টেম্বরের পোষ্ট দেরীতে ষ্টিকি হল! যাক, এটাই তো প্রমান হল যে, মডারেটর গন পুরানা পোষ্টকেও নজরে রাখেন! তাদেরকেও ধন্যবাদ।

আবারো ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৬
213905
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ! এ যেন সেই কথারই পুনরাবৃত্তি, অনেক সময় বাস্তব কল্পনাকেও হার মানায়। সে যাক, আপনাকে আবারো পোস্টে পেয়ে ধন্য হলাম ভাই। ভাবীকে সালাম এবং ভাতিজাকে আদর দিবেন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০০
213932
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

নজরুল ইসলাম টিপু যা যা লিখেছেন .... স হ ম ত
১৮
269964
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : কি শুনাইলেন ভাই? কাঁঠাল বিচি কাহিনী শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
েো
পোস্টটি স্টিকি না হলে নজরে পড়তো না হয়ত। ধন্যবাদ মডারেটর।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০১
213933
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সালাম ভাই, অনেকদিন পর দেখা পেলাম মম এই ছোট্ট কুঠুরীতে। তা হাসতে হাসতে যাতে লুঙ্গি না খুলে যায়, সেই সতর্ক বাণী কিন্তু আগেই দিয়ে দিয়েছিলাম।
দোয়াপ্রার্থী
১৯
269982
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অবশেষে আমাদের মডারেশন কতৃপক্ষের চোখে পড়েছে আপনার লিখাটি! ইয়াহু Thumbs Up

স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন ভাইয়া Good Luck Praying
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪২
214030
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু। আপনাকে আবারো স্বাগতম আমার এই ক্ষুদ্র আলয়ে। আপনাদের আনন্দ দেখে আমার আনন্দ বহুগুনে বর্ধিত হলো।শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
214231
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহGood Luck Praying
২০
270033
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৫
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : যাক!শেষ পর্যন্ত আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাইদের লেখা মডু ভাই বোন/মামা মামী/চাচা চাচীদের চোখে পড়েছে!স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন ভাইয়া আপনাকে Happy Good Luck Starকর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ Good Luck

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪৩
214031
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু। আপনাদের আনন্দে আমি খুশীতে আপ্লুত হলাম। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
২১
270107
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই।
কাজটা কি ভাল করলেন? শটকী ভর্তাতার কথা বলে এখন মনে হচ্ছে আমারও বাচ্চাদের মত বিব লাগবে Drooling
পিঠা বানাতে পারিনা, শুধু খেতে পারি। আর নোয়াখালী ফেনী হোল পিঠার মাস্টার। খেতে না দিলে লোভ দেখালেন কেন :"(
আহ! রাব! মোয়া!
কাঁঠালবিচি আমার ভীষণ পছন্দ। কিন্তু যে গল্প শোনালেন, আর তো খেতে পারবনা It Wasn't Me!
প্রকৃতির সাথে নিজেকে মিশিয়ে নেয়ার আর এক উপমা হলো, বাদলা দিনে কাচারী ঘরে শুয়ে শুয়ে টিনের চালের বৃষ্টি নামার ঝংকারময় ছন্দ শোনা - আহ! সে অলস সময় আবার কি পাব? Day Dreaming
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৩১
214048
ইবনে হাসেম লিখেছেন : প্রিয় আপুকে দেখে আমি খুশীতে আটখানা। খাবার কথা বলছেন? দোয়া করি একদিন আমাদের দুই পরিবার কোথায়ও একত্রিত হবো, আর তখন গিন্নীর আনাড়ী হাতের কিছু ভর্তা খাওয়ার ব্যবস্থা হবে ইনশাআল্লাহ।
আরে আপনি তো আর কোন বাড়ির ডেলা থেকে কুড়িয়ে নিবেন না। আপনার সামনে কাঠাল খুলে তার বিচি দিয়ে ভর্তা করে খাওয়াবো। সো ডোন্ট ওরী।
'টিনের চালে গাছের ডালে, বৃষ্টি নামে তালে তালে'- সেই বহু বছর আগে এমন মাইস্টিক কবিতাটি পাঠ করেছিলাম।
২২
270123
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।
আপনার এই লিখাটি পর্বাকারে লিখেছেন, তাই এই পর্বটি আমার দৃষ্টি কিভাবে এড়িয়ে গেলো বুঝলাম না। তবে একই শিরোনামের অন্য লেখাগুলো পড়েছিলাম এবং মন্তব্যও করেছিলাম বোধহয়।
বেশ সাবলীল শৈশব স্মৃতির ভিতরে প্রবেশ করে অনেক আনন্দ পেলাম।
সুন্দর পোষ্টটি স্টিকি হওয়াতেও আপনাকে অভিনন্দন জানাই।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১১
214242
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। ধন্যবাদ ভায়া, আপনি নুতন হলেও আপনার পোস্টগুলো বেশ ভালো হচ্ছে। জাযাকাল্লাহ্ ।
২৩
270130
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : পড়ে উদাস বনে গেলাম। Rolling Eyes Rolling Eyes Rolling Eyes Rolling Eyes Rolling Eyes
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৯
214241
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মেঘ ভাঙা রোদ এর মতোই উদাস আপনার অভিব্যক্তি, অ্যা পারফেক্ট রিফ্লেকশন অব দ্য নেইম....
২৪
270282
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
আবু জারীর লিখেছেন : ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৮
214240
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অাসসালামু আলাইকুম ভাই। অনেকদিন পরে দেখলুম ভাইটাকে এই অধমের ব্লগবাড়িতে। খবর ভালো তো সব?
২৫
270375
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৩৩
তারাচাঁদ লিখেছেন : গ্রামের সাথে, নদীর সাথে আমার আত্মার আত্মীয়তা । আপনার বর্ণিত পুকুর, নদী এবং প্রকৃতির বিবরণ খুব উপভোগ করছিলাম । এর সাথে টিনের চালে টাপুর টপুর বৃষ্টির শব্দও ।

যে দিন গেছে সে দিন কী আর ফিরিয়ে আনা যায় ?
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:০২
214325
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই। অনেকদিন পর দেখা পেলুম। মহান আল্লাহর সৃষ্টি এ পৃথিবীর কতভাগই আমরা উপভোগ করতে পারি? মনে হয় ২ থেকে ৯% ও না। সেই মানুষ আমরা বড়াই করি, নিজেকে ভাবি অনেক কিছু, নবী রাসূল (সাঃ) কে নিয়েও কটাক্ষ করতে কসুর করিনা। কেউ কটাক্ষ করে, আর বেশীর ভাগ মানুষ হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা বলতে বলতেই দিন কাবার করে দেয়... এই জাতির দূর্দশা দূরের কোন লক্ষণ সহসা দেখছি না।
০১ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৪
214513
তারাচাঁদ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
কোথাও যদি কোন প্রকৃতির বর্ণনা পাই, তা আমি পড়ার চেষ্টা করিই ।
আচ্ছা, এটা কি কোন ভালবাসা ?
আমার মনে কী প্রেমের সঞ্চার হয়েছে ?
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৬
214540
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মনে হয় না, প্রেম ট্রেম কিছু অয় নাই। আগে দুই একখান কবিতা লিখছেন নি? প্রেম অইলে ত জানি কবি হয়। তা আম্নের কোন কবিতা পোস্ট হয়নি তো???
২৬
270501
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৫
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কিন্তু পরবর্তী ঘন্টাখানেক পর যা ঘটলো - মায়ের এক কাজিন সকালে আন্তা দিয়ে কিছু গুঁড়ো মাছ ধরে তা রান্না করার জন্য ইতিউতি আরো সরঞ্জাম খুঁজতে গিয়ে ঐ ডেলার কাছে গিয়ে বৃষ্টিতে ধোয়া সুন্দর কাঠাল বিচি দুটো পেয়ে খুশীমনে তা তুলে নিয়ে রান্নাঘরে চলে যান। এবং অন্যসব উপাদানসহ মাছ দিয়ে তা মজা করে রান্না করে উদরপূর্তি করে ফেলেন।
...সাথে আপনিও নিজের পায়খানা যে খেলেন তা কিন্তু এড়িয়ে গেছেন। কারণ নানুর আদরের নাতিকে বাদ দিয়ে নিশ্চয়ই নানু এত মজার তরকারী খায়নি। খাওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন...


আপনার অতীতের স্মৃতিকথা নিয়ে ষ্টিকী পোষ্টটি সত্যিই অনেক মজাদার। থেংক্যু।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪১
214538
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আম্নেরে কি আঙ্গো নানাবাড়ীর পথের সেই বটগাছের ভূতের পেত্নীয়ে ধইরছেনি। আম্নে ইয়ানে আঁর নানুরে টানি আইনলেন ক্যা। মায়ের কাজিন নানী অয়, ইয়ান তো আগে কনদিন হুনি ন।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
214539
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আম্নেরে কি আঙ্গো নানাবাড়ীর পথের সেই বটগাছের ভূতের পেত্নীয়ে ধইরছেনি। আম্নে ইয়ানে আঁর নানুরে টানি আইনলেন ক্যা। মায়ের কাজিন নানী অয়, ইয়ান তো আগে কনদিন হুনি ন।Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৭
270945
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওরে ভাই কাঠাল বিচির আত্ম কাহিনী পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছি ....কেন যে এত পরে পড়লাম।...আমার এরকম অনেক কাহিনী আছে...মনে পড়ে গেল,তবে সব কিছু বলার যোগ্য না Happy
০৩ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
215233
ইবনে হাসেম লিখেছেন : যাক, দেরীতে পড়ায় একেবারে লস্ হয় নাই। পোস্ট ও পড়লেন এবং মজাদার কুরকুরে মন্তব্যসমূহ ও একসাথে পড়ে নিলেন। আপনার শৈশবটাকেও দেখে নিতে চাই এই সুযোগে। ঈদ মোবারক
২৮
282677
০৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৩
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ইস রাব জিনিসটা আমার এত প্রিয়! খুব মিস করি। কাঠালের বিচির বর্ণনা পড়ে মুখের হাসি বিলীন হতে না হতেই উনি হাজির। তাই উচ্ছস্বরে হাসির কারণ বয়ান দিতে হল। ৫ সদস্য মিলে সবাই এক চোট হাসলাম। কি যে করেন না মিয়া ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File