পাঠক পাঠিকাগণ একটু ভেবে দেখবেন কি, ঘটনা কি??
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হাসেম ২৫ জুন, ২০১৩, ০৫:৫৪:৫৬ সকাল
২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারীর বিডিআর হত্যাকান্ড বা ট্রাজেডি শেষ হবার পর পর সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঘটনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িতদের উঠে আসাদের নামের তালিকায় বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতার মাঝে আওয়ামী এমপি জাহাঙ্গীর কবীর নানকের নাম ও বহুভাবে বহু স্থানে উচ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু সরকারী দলের নেতা বলে কথা। তাও আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পাতি মন্ত্রী। ছাত্র জীবনে ছিলেন ডাকসাইটে ছাত্রনেতা। তার বিরুদ্ধে কথা বলবে এমন বুকের পাটা কয়জনের আছে। তবে আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর বলে একটা প্রবাদ আমাদের গ্রাম বাংলায় প্রচলিত আছে। সেই প্রবাদের কবলে যে এই নানকের বেটা পড়ে যাবে তা কি তখন বা তার পরে ও কেউ মাথা ঘামিয়ে ভেবেছিল? না ভাবলে এখন একটু ভাবতে পারেন, হয়তঃ বা কোন জটিল সমস্যার জট খুলেও যেতে পারে।
এই জট খুলার আগে আজকের সংবাদ মাধ্যমে আসা অপর একটি সংবাদের প্রতি সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই। গোলাম আরিফ টিপু নামের একজন আছেন, যাকে বর্তমান সরকার তথাকথিত আন্তর্জাাতিক অপরাধ মামলার চীফ প্রসিকিউটর রূপে নিয়োগ দিয়েছেন, যাতে তিনি ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ মর্দে মুমিনদের ঘাড়ে ৭১ এর যুদ্ধাপরাধের দায় চাপিয়ে মিথ্যা সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে তাঁদেরকে শূলীতে চড়িয়ে আওয়ামীদের ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের বিরুদ্ধে এদেশে ইসলামের সঠিক রূপ প্রচারের ঘৃণিত(?) অপরাধের প্রতিশোধ নিতে পারে। তো এই বৃদ্ধ লোকটি বিগত এক বছরেরও উপরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের, যাদের জ্ঞানের নখের সমান জ্ঞানও এই মূর্খদের নেই, তাঁদের বিরুদ্ধে তথাকথিত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের মনগড়া সব মিথ্যা ও জঘন্য অপবাদ দিয়ে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে দিয়ে তাঁদের ফাঁসির আদেশ শুনিয়ে যাচ্ছে।
মহান আল্লাহ আর কত সইবেন। এই মিথ্যা বিচারের প্রহসনের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক সব মিডিয়া এবং রাষ্ট্র সোচ্চার হলেও এমন কি এই বিচার সংক্রান্ত স্কাইপি কেলেঙ্কারীর সিসিম ফাঁক করা কাহিনী বিশ্বব্যাপী চাউর হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ওরা তাদের ক্যার্দামী বজায় রাখতে সেই মিথ্যা বিচারের প্রহসনে ইস্তফা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।
তাই মহান আল্লাহ এই চীফ প্রসিকিউটরের মাথায় আজ এমন একটি বজ্রাঘাতের ব্যবস্থা করেছেন, যেই বজ্রাঘাতে হয়তো সে তার আওয়ামী প্রভূদের নিকট বন্ধক রাখা হুঁশ ফিরে পেয়ে তার এই মিথ্যা বিচারিক প্রহসনে ইস্তফা দিবে, নয়তো সে অনন্তকাল ধরে আওয়ামী লিংক বজায় রেখে দোযখের জ্বলন্ত অঙ্গারের কাষ্ঠ হবে।
সবাই হয়তঃ পড়ে থাকবেন এই চীফ প্রসিকিউটরের একমাত্র ৩৮ বছর বয়স্ক ছেলে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে কয়েকদিনের সামান্য জ্বরে ভূগে পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছে......। আহা! তিন মেয়ের পর সবার ছোট হিসেবে সংসারে আসা সবার ছোট সন্তান, একমাত্র ছেলে, যার জন্য বাবা-মায়ের আদর সোহাগের কোন শেষ ছিল না, সেই একমাত্র ছেলেকে খুইয়ে এই বৃদ্ধ মানুষটি কেমন করে ঠিক থাকবে?
মিথ্যা বিচারের প্রহসনের অংশীদার হবার ফল হয়তঃ তিনি বুঝতে পারবেন, এবং তৌবা করে সঠিক পথে ফিরে আসবেন, আমরা তার জন্য এই দুয়াই করবো।
আর হ্যাঁ ঐ পাতি মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও ঠিক এমনি করে তার একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছিল, ঠিক সেসময় যখন বিডিআর ট্রাজেডির ঘটনা দেশ বিদেশে বিষাদের ছায়া ফেলেছিল, দেশ হারিয়েছিল, তার সেনাবাহিনীর চৌকষ সব সেনা অফিসারদের, দীর্ঘদিন ব্যাপী চলা একটি যুদ্ধ ময়দানেও একসাথে এতগুলো সেনা কর্মকর্তার প্রাণ যাওয়ার কোন নজীর পৃথিবীর ইতিহাসে নেই বলে আমরা জেনেছি।
কিন্তু সব কথার শেষ কথা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।
বিষয়: বিবিধ
১৬১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন