ক্ষমতায় যেতে চাইলে জামাতের যা করা উচিত (১)
লিখেছেন লিখেছেন থার্ড আই ১৬ মে, ২০১৪, ০৫:১৫:৩১ বিকাল
আগে আলোচনা করেছিলাম জামাত কেন ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। এবার ক্ষমতায় যেতে চাইলে জামাতের কি করা উচিত তা আলোচনা করব।
বাংলাদেশে তৃতীয় একটা দলের ক্ষমতায় যাবার খুব ই সম্ভাবনা। কারন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির উপর মানুষ হতাশ। তারা অনেক সুযোগ পেয়েছে কিন্তু মানুষের আশা পুরন করতে পারেনি।
সে বিবেচনায় জামাতের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কারন জামাতের রয়েছে বিশাল এক ডেডিকেটেড কর্মী বাহিনী।
কিন্তু বর্তমান ফরম্যাটে জামাতের ক্ষমতায় যাবার কোন সম্ভাবনা নাই। ক্ষমতায় যেতে হলে অনেক পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রথমত নাম পরিবর্তন।
এক্ষেত্রে তুরস্কের মডেল অনুসরন করতে হবে। তুরস্কে ইসলামী দল ইসলামি নাম না নিয়ে জাস্টিস পার্টি নাম দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে। জামাতের ও এধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি , বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার পার্টি বা অন্য কোন নাম নিতে হবে।
এবং নেতৃ্ত্বে নিয়ে আসতে হবে তরুন ও স্মার্ট প্রজম্মকে। পান্জাবী জোব্বা নয় নয়া নেতৃত্বকে ধরতে হবে সার্ট প্যাণ্ট বা স্যুট। এবং তারা হাইলি এডুকেটেড, তরুন, কারিশমাটিক হতে হবে।
পরবর্তিতে অন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন গুলি নিয়ে আলোচনা করবো।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪২ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ক্ষমতায় যেতে চায় বলেই তো জামাত ইলেকশনের অংশ গ্রহন করে।
ক্ষমতায় যদি যেতে না চাইতো তাহলেতো জামাতের উচিত তাবলীগ জামাতের মত দাওয়াহ কার্যক্রম নিয়ে ই থাকা।
ইলেকশনের যাবার দরকার কি ? আর এত কর্মীদের জীবন দেয়ার বা তাদের স্যাক্রিফাইসের দরকার কি।
কারণ জামায়াত মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন দ্বারা পরিচালিত হয় । জামায়াত যদি মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন পরিত্যাগ করে এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধী নেতাদের ও তাদের সমথর্কদের পরিত্যাগ করে তাহলেই জামায়াত নতুন নামে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে ।
মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী মতবাদ নারী ও অমুসলিমদের স্বাধীন কর্মক্ষেত্র বেছে নেওয়া ও চলাফেরার স্বাধীনতা প্রচন্ডবিরোধী । মওদুদীর আর রিজালুনা কাওয়ামুনা আলা নিসা-র ব্যাখ্যায় নারী জন্য পুরুষরা সব করবে ও নারী রানীর মত বসে বসে আংগুল চুষবে ও স্বামীকে দেবতা জ্ঞানে সেবা করবে । ঠিক তেতুল হুজুরী মতবাদ বা দেওবন্দী মতবাদেও একই ব্যাখ্যা রয়েছে ।
তুরস্কের শাসক দলের গায়ে যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধীতার দুর্গন্ধ নেই । উপরন্তু তুরস্কের শাসক দল নারী - পুরুষের সমতায় শুধু বিশ্বাসীই নয়, তারা বাস্তবেও তা প্রয়োগ করেছে । এই দলের ওয়েবসাইট দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায় ।
আপনি মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী মতবাদ নিয়ে লিখুন ।
জামায়াত তার মতোই থাকবে । কথায় আছে না কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না (আমি দু:ক্ষিত । আমি অন্য কোন উপমা খুজে পাইনি ।) ।
জামায়াত পরিচালিত হয় গোলাম আজম - নিজামী - সাইদী - র পরিবার সহ বেশ কিছু পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা । এটা এক ধরনের লিমিটেড কোম্পানী ছাড়া কিছু নয় । অন্য অর্থে এটা আন্তজার্তিক ব্যবসায়ী সংগঠণ ।
আমি এই সংগঠণকে ১৯৯৩ সালের ২১ মে হতে দেখছি । কারণ আমি নিজে এই তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে শিবিরের সমর্থক ফরম পূরণ করি । জামায়াত-শিবিরের ভিতরের খবর কম-বেশী ভাল করেই জানি । আর যেহেতু এখন এই সংগঠণে নেই । সেহেতু আমি এই দল সম্পর্কে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
কিন্তু আপনার এই কথা ''কারণ জামায়াত মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন দ্বারা পরিচালিত হয়। জামায়াত যদি মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন পরিত্যাগ করে এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধী নেতাদের ও তাদের সমথর্কদের পরিত্যাগ করে তাহলেই জামায়াত নতুন নামে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে।'' শুনে মনে হলো আপনি ইসলামের মূল স্প্রিট ও আল্লাহর মানুষসৃষ্টির উদ্দেশ্য থেকেই দুরে সরে গেছেন এবং এমনকি নবী-রসুলদের প্রেরণ এবং জ্বীন-ইনসানকে বানানোর আসল উদ্দেশ্যই ভুলে গেছেন।
কারণ আমি ইসলাম শিখেছি যেখান থেকে আপনি সেখান থেকে শিখেছেন বিভ্রান্তি ও চরম অকৃতজ্ঞতা, জামায়াত বিরোধী কাফিরসহ অন্য নাস্তিক, কমুনিস্ট আওয়ামীলীগের সাথে আপনার ফারাক থাকলেও আপনার কথা মানলে বলতে হয়, অন্য নবী-রাসুলরাও ক্ষমতায় না যেতে পেরে ভুল করেছেন এবং তাদের জীবন বৃথা। আপনার ধারণা ইসলামী হুকুমত কায়েমই ছিল নবী ও আল্লাহর ইচ্ছা। এর ব্যতিক্রম হওয়া মানেই বিফলতা।
তাই জামায়াত যতই ইসলামের কাজ করুক এবং আমার মত লাখ লাখ মানুষকে ইসলামের দিকে আনুক--তার মূল্য নেই।
অনেক নবীর স্ত্রীরাও কাফির ছিলেন বা সন্তানরাও কাফির ছিলেন বলে বা নবীরা সাধারান মানুষ হওয়ায় কাফেররা যে তাদের নবুয়ত মানতে চাইতো না এ বলে যে, এ আবার কেমন নবী যে আমাদের মত খায় ইত্যাদি; এজন্যও কি নবীরাই অপরাধী যেহেতু তারা তাদের মনঃপূত নবী হলেন না, তাইকি?? য়াপনার আর বাতিলদের মাঝে কী ফারাক তা আমার বোধগম্যই হলোনা আজকের আপনার বক্তব্যে।
আপনার ও পোস্টদাতার কথামত, ইসলামবিরোধীরা নবীদের আন্দোলনের বিরোধী থাকায় নবীদের কর্মপন্থাও যেমন বদল করা উচিত ছিলো যাতে তারা সফল হন কী ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে কিংবা দলে দলে লোকদের তাদের দলে ভিড়াতে?? এটা হয়নি বলে মানে আপনারদের ভাষায় অনেক নবীর ২/৪ জনের বেশি সমর্থকও ছিলো না বলে তার সফল হননি এবং বিফল ছিলেন, তাইকি??
তাহলে জামাতের কারণে আমাদের মত লাখ লাখ মানুষের কী হবে--আমরা কি বিফল এবং দোজখে যাবো? আশা করি জবাব দেবেন--আমার কঠিন কথাগুলোর।
কোন কোন নবী(রা ইসলামী রাস্ট্র প্রতিস্ঠা করতে চেয়েছিলেন বলবেন কি?
আমার জানা মতে কোন নবী(রা ই তো ক্ষমতার প্রতি আকৃস্ট ছিলেন না। হাজার হাজার নবী(আ র মধ্যে একমাত্র সোলাইমান (আ কে রাজা হিসাবে দেখা যায়।
আপনার বিপরীতে কেউ যদি বলে--এরা ক
ষমতায় অবশ্যি যাবে--তাও কি ভুল বলা হবে এবং শিরক হবে নাকি??
আলোচন/লেখা থেকে বুঝা যায়, যেমন
এক্ষেত্রে তুরস্কের মডেল অনুসরন করতে হবে। তুরস্কে ইসলামী দল ইসলামি নাম না নিয়ে জাস্টিস পার্টি নাম দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে। জামাতের ও এধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি , বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার পার্টি বা অন্য কোন নাম নিতে হবে। এ কথা আগেও কতবার বলেছে।
জামায়াতকে জামায়াতের রাজনীতি করতে দিন।
তৃতীয় ফ্রন্ট কায়েমের জন্য ইসলামী সংগঠনের মডারেট কর্মী আর অনৈস্লামিক দলের ইসলাম ও দেশ প্রেমিক অংশের সমন্বয় নতুন দল কায়েম করতে হবে।
তবে কট্টর মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
জামায়াত যে অবস্থানে চলে গেছে সে অবস্থান থেকে পড়ে গেলে বাঙ্গালাদেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন