জামাত কেন ক্ষমতায় যাবে না ? (৪)
লিখেছেন লিখেছেন থার্ড আই ০৯ মে, ২০১৪, ০১:৩৩:২৮ দুপুর
আগের তিন পর্বে ৩ টি কারন উল্লেখ করেছিলাম।
১) অমুসলিমদের বিরোধীতা কারন সমান অধিকার পাবেনা
২) নারীদের বিরোধীতা কারন অধিকার হরন করা হবে
৩) শরীয়া আইনের কঠোর প্রয়োগ যেমন, হাত পা কাটা, পাথর মেরে হত্যা ইত্যাদী আইনের বিরোধীতা করবে মানবাধিকার সংস্থা গুলি ও দেশের অনেক মানুষ।
আজ আরেকটি কারন তুলে ধরবো। বাংলাদেশ একটা গরীব দেশ। দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি নির্ভর করে বিদেশের সাথে লেনদেনের উপর। আজকে যদি ইউরোপ, আমেরিকা বা ভারত ঘোষনা দেয় তারা বাংলাদেশের সাথে কোন অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখবেনা তাহলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে।
বাংলাদেশ ভারত দ্বারা পরিবেস্টিত।ভারত ও পশ্চিমা দেশ গুলি বাংলাদেশে সামরিক আক্রমনের ও ক্ষমতা রাখে।
কথা হচ্ছে জামাতকে কি এই দেশ গুলি ক্ষমতায় দেখতে চাইবে। চাইবেনা, কারন:
১) তারা অমুসলিমদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বিশাল হিন্দু জনগোস্টী যদি জামাতের ব্যাপারে আপত্তি জানায় তাহলে ভারত ও পশ্চিমারা হস্তক্ষেপ করবে।
২) তারা নারীদের ব্যাপারেও উদ্বিগ্ন।
৩) তারা জংগী সমস্যা নিয়ে ও উদ্বিগ্ন। তারা হয়তো ভাবতে পারে জামাত ক্ষমতায় গেলে জংগীদের আশ্রয় দিবে।
৪) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গুলি নারী, অমুসলিম, শরিয়া আইন এসব ব্যাপারে নানান রিপোর্টদিবে এবং যা জাতিসংঘকে বাধ্য করবে হস্তক্ষেপ করার জন্য।
মিশরে মুসলিম ব্রাদাহুড যাবার পরে মিশরের খ্রীস্টান রা তীব্র বিরোধীতা করেছে। আর তালেবান রা তো সমারিক আক্রমনের শিকার হয়েছে। আর ইরান অর্থনৈতিক অবরোধে হাবুডুবু খাচ্ছে যদিও ইরান তৈল সমৃদ্ধ দেশ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জামায়াতের সমর্থন বড় জোড় ১২ % । কারণ কোন নির্বাচনেই জামায়াত ১২ % এর বেশী ভোট পায়নি ।
বিস্তারিত পরিসংখ্যান হলো :
১৯৯১ সালে সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ১২.১৩ শতাংশ।
১৯৯৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ০৮.৬১ শতাংশ।
২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ০৪.২৮ শতাংশ।
২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ০৪.৭০ শতাংশ।
সুতরাং জনসমর্থনহীন দল হিসেবে কখনোই জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারবে না । তবে মওদুদী মতবাদ অনুযায়ী মারামারি কাটাকাটি করে বাংলাদেশের কিছু অংশকে সাময়িকভাবে দখল করে রাখতে পারবে । যেমন : সাইদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার ঘটনার পর বাংলাদেশের ১৫ টা জেলার ৫০ টা উপজেলাকে কয়েক দিনের জন্য দখল করে রাখতে সক্ষম হয় ।কিন্তু বাংলাদেশ সরকার খুব সহজেই জামায়াতের কবল হতে এসব জেলা মুক্ত করে । তবে সাতক্ষীরা জেলাটাকে জামায়াতের দখল হতে মুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিতে হয় বলে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে ।
জামায়াত কখনোই ক্ষমতায় যাবে না । কারণ তারা কখনোই অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করা তো দুরে থাক তারা মওদুদী মতবাদ যারা গ্রহণ করে না বা বর্জন করে থাকে তাদের সমালোচকদেরকে তারা সর্বত্র অশালীনভাবে আক্রমনই করে ক্ষ্যান্ত হয় না , তারা তাদের সমালোচকদের মা-বোন-স্ত্রীদেরও রেহাই দেয় না ।
http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/fakhrul/1381771564.jpg
কারণ জামায়াতের মহিলা শাখা এবং ইসলামী ছাত্রী সংস্হা নামক বিকলাঙ্গ ও মানষিক বিকারগ্রস্হ মেয়েদের সংগঠণের উপস্হিতির জন্যও জামায়াত কখনোই ক্ষমতায় যেতে পারবে না ।
উপরন্তু এধরনের মেয়েদের বা সংগঠন প্রবলতর হতে বাংলাদেশের নারী সমাজের জন্যই নয় বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে ।
আমার এই কথাটি বোঝার জন্য এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই যথেষ্ঠ :
১।ছাত্রী সংস্হার কয়টা মেয়ে ৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময় বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলো ?
২।দয়া করে বলবেন কি সামরিক বাহিনী আর পুলিশের মধ্যে কত জন ইসলামী ছাত্রী সংস্হার কর্মী আছে ? যদি না থাকে তাহলে এর কারণ কি ?
৩।সমাজের লোকরা এদেরকে কেন উপহাস করে পাত্রী সংস্হা বলে থাকে ?
৪।এই সংগঠণ মুসলিম মেয়েদের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ?
৫। বাংলাদেশের নারী আন্দোলন ও নারীদের সমস্যা সমাধানে এই সংগঠণ কতটা সোচ্চার ? আর এই ক্ষেত্রে তাদের অবদান কতটুকু ?
আল্লাহ আমাদের এই অশুভশক্তির রাহুরগ্রাস হতে আমাদের রক্ষা করুন ।
আসুন বলি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি
ওয়া আজুবিকা মিনাল আজ্জি ওয়াল কাসলি
ওয়া আজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি
ওয়া আজুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল । আমিন ।
এই দুয়াটা মিশকাত শরীফে আছে । এই দুয়ায় আট ধরনের বিষয় ও লোক হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলা হয়েছে । সর্বশেষে বলা হয়েছে খারাপ লোকদের অনিষ্টের কথা ।
পরিশেষে বলছি :
বাংলাদেশের মুসলিমরা ১০০ টি ইসলামী দলে বিভক্ত না থেকে মিশরের মোহাম্মদ মুরসীর মত বা তুরস্কের এরদুগানের মতো পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত নেতার নেতৃত্ব মানতে মানসিকভাবে তৈরী হলেই বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্রে পরিনত হবে ।
কিন্তু এর প্রতিবন্ধক হলো :
১। কওমী মাদ্রাসা ও দেওবন্দী মতবাদ । এই মতবাদের প্রধানগুরু নারীবিদ্বেষী ও নারী লোলুপ তেতুল হুজুর ।
তার সম্প্রদায়ের নাম হলো দেওবন্দী সম্প্রদায় বা তেতুল হুজুরী সম্প্রদায় । তেতুল হুজুরী ধর্ম ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বা ভারত হতে আগত দেহবন্দি মতবাদ হলো ফিরকায়ে বাতেলা । এই মতবাদে যে বা যারা দীক্ষিত হবে তাদের ঈমান আমল বরবাদ হয়ে যাবে ।
২। তারপর মুসলিমদের গলার কাটা হয়ে আছে জামা-তে ইসলামী বা মওদুদী মুসলিম সম্প্রদায় ।
আল্লাহ এসব দল ও সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিন - এই দুয়া করা মুসলিমদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে ।
৩। তারপর রয়েছে চরমনারীবিদ্বেষী ও আল্লাহর আন্দাজ নেই আকিদার চরমোনাই ফির্কা ।
৪। শক্তিশালী নাস্তিক, উগ্র হিন্দু , খৃষ্টান, বৌদ্ধ ও উপজাতি সম্প্রদায় যারা ধর্মনিরোপেক্ষ ও ধর্মহীন সংগঠণ আওয়ামী লীগের আচলের তলায় থেকে মুসলিমদের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
তবে কঠোর শাস্তি দেয়া যায় অন্য ভাবে। দন্ড বাড়িয়ে বা অন্য ভাবে।
ব্যাক্তি। গত ২০০ বছরে ও আমেরিকাতে কোন
মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন