জামাত কেন ক্ষমতায় যাবে না (৩)

লিখেছেন লিখেছেন থার্ড আই ০৭ মে, ২০১৪, ০১:১৬:৩৮ দুপুর

আগের দুই পর্বে দুটি কারন উল্লেখ করেছিলাম।

১) জামাত অমুসলিমদেরকে সমান অধিকার দিবেনা। তাই তারা বিরোধীতা করবে।

২) জামাত নারীদেরকে ও সমান অধিকার দিবে না। তাই দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীও তাদের সমর্থন দিবে না।

এখন আরেকটি কারন আলোচনা করবো। আফগানিস্থানে যখন তালেবান রা ক্ষমতায় আসে। তখন তারা শরিয়া আইন বলবত করে। তারা পাথর মেরে মানুষ কে হত্যা করে মৃত্যুদন্ড দেয়। প্রকাশ্য চাবুক মেরে বা মাথা কেটেও শাস্তি দেয়। এমন কি নারীদের কে ও তারা প্রকাশ্যে চাবুক মেরে শাস্তি দেয়। সৌদি আরবে কয়েকমাস আগে প্রকাশ্যে ৫ বাংগালীকে মাথা কেটে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া হাত কেটে , পা কেটে ও শাস্তি দেয়া হয়।

পবিত্র কোরান বা হাদিসে কিন্তু আইন বিষয়ে খুব বেশী বক্তব্য নেই। কোরানে মুলত আছে, জায়গা সম্পত্তি ভাগের আইন এবং বিয়ে বা তালাকের আইন। এই ইসলামী আইন গুলি বাংলাদেশে অলরেডি প্রচলন আছে।

মুলত, এই আইনগুলির বাইরে যে আইন গুলি আছে যাদেরকে শরিয়া আইন বলে বলা হয়। সেগুলি মুলত ইমামরা সংকলন ও তৈরী করেছেন। ইমামরা এগুলি করেছেন রাসুল(সা: ) ওফাতের অনেক পরে। এমন কি ইমাম রা নিজেরাও এই শরিয়া আইন গুলি প্রয়োগের বিরোধী ছিলেন। যেমন ইমাম মালিক (র: ) ততকালীন শাসক জাফর কে তার সংকলিত আইন গুলি প্রয়োগ করতে দেন নি। কারন তিনি হয়তো মনে করতেন আইন মুলত যুগের চাহিদে অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে এবং তার তৈরী করা আইন ই শেষ কথা নয়। অথচ আজ জামাত এই শরিয়া আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে চায়।

ততকালীন সময়ের জন্য অনেক শাস্তি আছে যা খুবই নরমাল ছিল। ততকালীন সব সমাজেই প্রকাশ্যে মাথা কেটে শাস্তি দেয়া হত এবং ততকালীন সমাজের জন্য তা নরমাল ছিল। কিন্তু বর্তমানে পাথরমেরে হত্যা, বা প্রকাশ্যে মাথা কেটে হত্যা। হাত পা কাটা এসব আইন প্রয়োগ করলে দেশে বিদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলি তীব্র বিরোধীতা করবে।

এইসব কঠোর আইন প্রয়োগে মানবাধিকার সংস্থার বিরোধীতা, দেশের মানুষদের একটা বিরাট অংশের বিরোধীতা, আন্তর্জাতিক বিরোধীতা জামাতকে কখনো ক্ষমতায় আসতে দিবেনা।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

218483
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনি তো পেছ লাগিয়ে দিয়েছেন। কি বলছেন এগুলো। শরীয়া আইন সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন মেহেরবানী করে মূল্যায়ণ করুন।
218526
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৮
মাজহার১৩ লিখেছেন : আপনি যে কারনগুলো বলছেন এগুলো হলো উপকারন। গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো ইসলাম প্রতিষ্টা হওয়ার নজির নাই। আমরা যদি ইসলামের ইতিহাস বিশ্লেষন করি কখনো ভোটের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্টা হয় নাই। সাম্প্রতিক মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার এক বছর পর এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। তুরস্কে ক্ষমতায় গেলেও মেলানো মেশানো। আল-কায়দার পদ্ধতি হয়তো সঠিক, তা না হলে পৃথিবীতে সত্যিকারার্থে ইসলামী রাষ্ট্রের সম্ভবনা ক্ষীণ।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
166553
আহ জীবন লিখেছেন : একমত।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০০
166858
থার্ড আই লিখেছেন : আলকায়েদা একটা জংগী গোস্ঠী। এরা কখনো ইসলাম পহ্নী কেউ নয়। সন্ত্রাসী গোস্ঠী মাত্র।
ইরানে গন অভ্যুত্থান হয়েছিল। তবে বর্তমানে গনাঅভ্যুথান হবার কোন সম্ভাবনা নাই। গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসার এবং থাকার ভাল উদাহরন তুরস্ক। ইসলামী দলগুলির তুরস্ককে ফলো করা উচিত।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
166875
মাজহার১৩ লিখেছেন : তুরস্কতো সঠিক পদ্ধতি অনুসরন করছেনা। সেখানে হয়তো বলতে পারি সেকুলাররা ক্ষমতায় যায়নি।
218538
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
মাজহার১৩ লিখেছেন : বরং আপনি জামায়াতের পেছনে না তাড়া করে সকল ইসলামী দল গুলোকে পর্যালোচনা করতে পারেন।
নারীর ব্যাপারে যেটা বলেছেন সেটা হলো জামায়াতের নারীদের নিয়ে উদাসীনতা। জামায়াত শিবির যারা করে মুলতঃ স্বতস্পূর্তভাবে করে , মেয়েদেরকে স্বতস্ফূর্ত কাজে নামানো কঠিন।
প্রকাশ্য কাজ বলতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যা মিডিয়া কাভারেজ পায়। সংস্কৃতির নামে যে বেলাল্লাপনা তা অবশ্যই রক্ষনশীল মেয়েরা করতে চায় না ,তাই প্রচারমুখ কর্মকান্ডে তাদের অবস্থান কম তার মানে এই নয় যে নারীদের স্বাধীনতা দেয় না।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০২
166860
থার্ড আই লিখেছেন : এসব কারনে নারী সমাজের মনে একটা ভীতি ঢুকে গেছে, জামাত নারীদের স্বাধীনতা দিবে না। শালীনতার ভিতরেও প্রকাশ্য কার্যক্রম চালানো যায়। ইরানের মেয়েরা প্রকাশ্যে ফুটবল পর্যন্ত খেলে গেলো।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
166874
মাজহার১৩ লিখেছেন : মেয়েদের ফুটবল খেলাটা কি খুব জরুরী?
218570
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
এম এ আলীম লিখেছেন : নারী স্বাধীনতা বলতে আপনি কি বুঝেন আগে সেটা বলেন।ইসলাম কিভাবে বলেছে সেটা বলেন।আপনি যদি বলেন ইসলাম নারী স্বাধীনতা দেয় নাই তাহলে আপনার সাথে তর্ক করার কোন মানে হয়না।জামায়াত ইসলাম যদি সঠিক ইসলাম না মানে তাহলে আমরা জামায়াতের সাথে নেই।সুতরাং ইসলাম যেভাবে বলেছে জামায়াতকে সেভাবে করতে হবে।আর যারা ইসলামী দল করে তাদেরও সেই মনমানসিকতা থাকতে হবে।
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৪
166861
থার্ড আই লিখেছেন : ইসলাম নারী স্বাধীনতা দিয়েছে। উদাহরন খাদিজা (রা: ) । তিনি একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু মুফতি, ইমাম রা নারী স্বাধীনতাকে কমিয়ে দিয়েছেন। এখন নারীরা স্বাধীনভাবে কিছু করতে গেলেই তারা ইসলামের নামে নারীদের দমন করতে চেস্টা করেন। উদাহরন , তালেবান।
218589
০৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : জামাতের ক্ষমতার স্বাদ নেয়ার দিন শেষ জিন্দেগীর জন্য।
218977
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০০
মাজহার১৩ লিখেছেন : ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান হওয়ার শর্ত ইসলামী ব্যাক্তিত্ব হতে হবে যিনি ইসলামের বিধিবিধান জানবেন এবং মানবেন এবং মানাবেন।
কিন্তু একজন অমুসলিমের পক্ষে নামাজ পড়া যেমন অসম্ভব তেমনি নামাজের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলাও অবান্তর। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসে উনি কোন কিছুই করতে পারবেন না। সুতরাং অমুসলিম রাশট্র প্রধান হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তাই ১৫% এর কথা বিবেচনা করে মোলিক বিষয়ে পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
০৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
167172
থার্ড আই লিখেছেন : আপনি যদি অমুসলিমদের সমান অধিকার না দেন তারা হয়ে যাবে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। যেমন ধরুন, যারা ইংল্যান্ড আমেরিকার মুসলিমরা আছে, তাদেরকে কে কিন্তু সমান অধিকার দেয়া হয়। তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বানানো হয়না।
218978
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
মাজহার১৩ লিখেছেন : তবে জামায়াত ক্ষমতায় গেল কি গেল না এটা ধর্তব্য নয়, একজন বা এক গোষ্ঠী মুসলমান হিসেবে চেষ্টা করাই ঈমানী দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে ফলাফলের চেয়ে চেষ্টা করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File