আমেরিকান বুঝতে পারে জামাত পারেনা
লিখেছেন লিখেছেন থার্ড আই ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১২:০৮ সন্ধ্যা
আজকের প্রথম আলোতে মাইলাম যিনি আগে মনে হয় রাস্ট্রদুত ছিলেন তার একটা লেখা ছাপিয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন জামাত যদি নাম বদলে একটু নিউট্রাল নামে আসে তাহলে তারা ক্ষমতায় চলে যেতে পারে।
ভাল কথা লিখেছেন। জামাত যদি আজ তুরস্কের মত জাস্টিস পার্টি বা এরকম একটা নাম দিয়ে নুতন জেনারেশনের কাছে লিডারশিপ দিয়ে নামে তাহলে নিস্চিত ক্ষমতায় যাবে। কারন আওয়ামিলীগ ও বিএনপির উপর জনগন খ্যাপা।
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা হলো জামাত নেতাদের গোয়ার্তুমি ও দাম্ভিকতার ব্যাপার। যেসব নেতারা মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা ইসলামের ইতিহাস অথবা ইসলামী শিক্ষা অনার্স/মাষ্টার্স তাদের প্রজ্ঞা কখনো সুদূরপ্রসারী হয় না। তারা এক বছর দু বছরের বেশী দূর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে পারে না।
দেখুন ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘের নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্রশিবির করাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যাবসায়ীরা শিবির নিয়ে ব্যাবসা করতে পারেনা। অনেক বাম বুদ্ধিজীবিব্দের মুখেও শিবিরের প্রশংসা পাওয়া যায়।
তবে জামাত নামের মধ্যে যে কি মাহাত্ম্য আছে জামাতের বুড়া নেতারাই ভালো জানে।
মাইলাম বলেছে তার নিজস্ব পার্সপেক্টিভ থেকে।
বাংলাদেশীকে বাংলাদেশী পরিচয় না দিয়ে বিদেশে যেতে হবে?
"ইসলাম" কি কোনো অপরাধী? বরং এটা বলুন জামাত যেন ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরী করতে পারে।
ইসলাম তো শিবিরের সাথেও আছে সেটা তো পরিবর্তন করতে বলিনি।
রাজনীতি করতে গেলে অনেক বেশী প্রজ্ঞা দরকার।
৯৬ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে গিয়ে খাল কেটে কুমির এনেছে কে?
দেখুন জাসদের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা সত্ত্বেও আদর্শিক কারনে ইনুরা শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে সমর্থন যোগাচ্ছে। আজ ইনুদের প্রেশক্রিপশনেই দেশ চলছে। যদি গো ধরে বসে থাকত তাহলে ইনুরা আজ এই অবস্থানে আসতো না। ইনু-মেনন রাও জেনে স্বাধীনতার ইতিহাস। কিন্তু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা বলে না, এটা হলো তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। তাই আদর্শিকভাবে সাংগষিক জামাতকে তারা হাসিনার মাধ্যমে ধ্বংস করতে চাচ্ছে, অনেকক্ষেত্রে সফল। বর্তমানের মিডিয়া সন্ত্রাসের যুগে রাজনৈতিক প্রজ্ঞাহীনতা আত্মহত্যার শামিল।
এই মূহুর্তে হাসিনারা যে অবস্থা রেখেছে তাতে অস্ত্র ধরা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।
তখন এই আপনারাই আবার জামাতকে আল-কায়েদা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলবেন।
জামাতের কথা না বলে নিজেরা ভারতের দখলদারী সরকারের প্রতিবাদ করে একটা গুলি বুকে হজম করে বলুন ন্যায়ের জন্য, দেশের মনুষের জন্য কিছু একটা করেছেন।
However, They should fix the goal first! For gaining the political 'power ( Throne!) or to serve (in real meaning- not a leap service).
Jamat has created a sect- they dont want to acknowledge that there are other people who loves and practice ISLAM in a better way than them!
They always support their 'own boys- even they are wrong! Such is done by other political parties too! Jamat is following the other political parties- their ways- their practice, it failed to distingusih itself from the other parties of BD in practice! So, when the People compare what Islam says and what Jamat practices - people understand the differences! So that, mistrust is overwhelming. Jamat is still sitting on the ruins of 1971- as BAL is trying to capitalize 1971 ! As soon they will recognize- that would be better for them!
আপনারা কি কানা? জামাত অসফল এটা বলার ভিত্তি কি?
সংগঠণ হিসাবে সবাই স্বীকার করে জামাত সফল। নির্বাচনের ফল প্রমাণ করে জনভিত্তিতেও সফল। তারপর ও আপনারা জামাত অসফল বলার কারণ কি?
ভারতের নির্বাচনটা আগে হয়ে যাক দেখবেন জামায়াতে আবারও দৌড় শুরু করে দেবে ।
কতটুকু অর্জন হয়েছে? শুধুমাত্র নামটির কারনে যতদ্রুত অগগতি হওয়ার তা হয় নাই। কারন আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষকে জামায়াত থেকে আলাদা করে রেখেছে। উপজেলা নির্বাচনে নেগেটীভ ভোট ও সিম্প্যাথীর ভোট পড়েছে। এটাকে সফলতা মনে করে আত্মতৃপ্ত হলে পাছে ব্যার্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইসলাম মানে জামায়াত ইসলাম কিন্তু অপপ্রচারের কারনে সবপেশার শ্রেনীর মানুষকে টানা যাচ্ছে না। ইসলামী বিপ্লবের জন্য এই ধরনের ব্যারিয়ার থাকা ঠিক নয়। আমরা যদি তুরস্কের দিকে তাকাই তাহলে কিছুটা হলেও উপলদ্ধি করতে পারব।
''আমি এ আন্দোলন সমৃদ্ধি, কর্তৃত্ব, খ্যাতি ও অথবা মানুষ আমাকে ভোট দিবে সে জন্য করিনা, আমি যা করেছি সব একমাত্র আল্লাহ্ সন্তুষ্টির জন্য করেছি। ''
- তুরস্কের ইসলামী আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ এরদোগানের শিক্ষক প্রফেসর ডক্টর নাজমুদ্দিন এরবাকান।
- জামায়াত নামটা বাদ দিলে আওয়ামীলীগের দাবার গুটির খেলা ৭৫% শেষ।
- গোড়ামী অনস্বীকার্য। অনেক ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট রাজনীতি ও আছে। তবে অতি অানুগত্য কারণে এসব বলা অনেক বড় গুনাহ মনে করে নীচের টায়ার।
- বাক স্বাধীনতাটা আরও মুক্ত হওয়া উচিত। স্লীপের মাধ্যমে নেতার প্রশ্নোত্তরের চেয়ে সোজাসুজি প্রশ্ন। দেখি নেতার কতটুক হিম্মত আছে নিজেকে উপস্থাপন করার। হযরত ওমর (রা) এর গল্প মুখে শোনার চেয়ে বাস্তব দেখতে চাওয়া বড় অপরাধ।
সবচেয়ে বড় কথা হল, রাসুল (সা) এর অনুসৃত জীবন বক্তৃতায় বলার চেয়ে প্রয়োগীক ইসলামের মাধ্যমে সমাজকে উপস্থাপন ছাড়া ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়না।
জামায়াত আজকের রাজনীতি নিয়ে যতটা সফল, আগামী এক বছর পর কি করতে হবে,এ বিষয়ে বড়ই দুর্বল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে যাওয়ার বিষয়টি এমনই।
সমালোচনা করা সহজ। এটিকে সহ্য করা বড় কঠিন। কিন্তু সমালোচনা বা পর্যালোচনার মাঝে যে বিজয়ের সুত্র লুকিয়ে আছে তা বুঝাতে ব্যর্থ বলেই অনেক সম্ভাবনা আমরা হারিয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে। সকল ব্লগারকে। এখানে এটি মনে করার কোন কারণ নেই যে, পরামর্শ কিংবা সমালোচনার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে জামায়াত বিরোধী বলতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন