বাংলাদেশে আল কায়েদা নেটওয়ার্ক হবে জেনে আপনি কি আনন্দিত ?
লিখেছেন লিখেছেন মুজতাহিদ বাপ্পী ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:০৪:৫৫ বিকাল
জর্জ ওয়াকার বুশ এবং বারাক ওবামার মধ্যে মিল হচ্ছে দুজনেই দুইবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন । দুজনেই হাতি-গাধা নিয়ে ইসরাঈলের ইচ্ছানুযায়ী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে কাজ করে গেছেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রুসেড সফল করার জন্য । তারপরেও বারাক ওবামা নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেলেন । বুশকে মিডিয়াতে যুদ্ধবাজ এক হাস্যকর ক্যারেক্টার হিসেবে যতো বেশি প্রচার করা হয়েছে এবং এখনো হয়, তার অর্ধেকটাও বারাক ওবামার ভাগ্যে জুটেনি । কেনো ? বারাক ওবামা কোন দিক দিয়ে বুশের চেয়ে অগ্রগণ্য ? সেটাই ভাবছিলাম কয়দিন ধরে ! হঠাৎ সমাধান নিয়ে হাজির হলেন আল কায়েদা মুজাহিদীন বৃন্দ !
জর্জ ডব্লিউ বুশ মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ক্রুসেড করেছেন প্রকাশ্য দিবালোকে সব্বাইকে জানিয়ে শুনিয়ে । তিনি ওয়ান ইলেভেনের পর আফগানিস্তান এবং ইরাক আক্রমণ করেছেন সরাসরি । সারা বিশ্ব আমেরিকার প্রতি একটা ছি ছি মনোভাব দেখিয়েছে যুদ্ধের কারণে । আমরাও তাকে প্রচন্ড ঘৃণা করতে শিখেছি । অথচ বারাক ওবামা অত্যন্ত কৌশলে ক্রুসেডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন । ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়া-মিশর-ফিলিস্তিন-আফগানিস্তানে এখন যুদ্ধকালীন সময়ের চাইতে বেশি মানুষ নিহত হয় প্রতিদিন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কেবল বেড়েই চলেছে । আমেরিকা চাইলে বিশ্বের যেকোন জায়গায় ড্রোন হামলা করতে পারে এবং করেই চলেছে । গত কয়েকদিনের ড্রোন হামলার স্ট্যাটিসটিক্স দেখুন- সোমালিয়াতে আল শাবাবের উপর আক্রমনের নামে, নাইজেরিয়াতে বোকো হারামের উপর আক্রমনের নামে, ইরাকে আইসিসের উপর অপারেশনের নামে, আফগানে তালেবান নিধনের নামে, লিবিয়াতে দূতাবাস রক্ষার নামে, ঠিকই মুসলিম নিধন হচ্ছে । কাজ হচ্ছে কিন্তু নাম থাকছে না । আমেরিকান সৈন্যও মরছেনা । যুদ্ধের বাজেটও বাড়াতে হচ্ছেনা । ইতিহাসের কেউ বলবে না আমেরিকা অমুক দেশে আক্রমন চালিয়েছিলো । নির্দিষ্ট ধর্ম/দল/দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না বলে, নির্দিষ্ট মিলিট্যান্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে প্রচার করাতে এখন মুসলিম বিশ্বের যেখানে খুশি হামলা করে যাচ্ছে আমেরিকা । বারাক ওবামাকে কেউ যুদ্ধবাজ নেতা বলছেনা । বরং আরব বাদশাহের মেডেল শোভা পাচ্ছে তার গলায় । কি চমৎকার ক্যালকুলেশন এবং অ্যাপ্লিকেশন !
এক আল কায়েদা দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বোমাবাজি করা যাবেনা বলেই সম্ভবত আইসিস এলো গিফট অব গড হিসেবে । এখন আমেরিকার প্রতি কেউ কোশ্চেন করতে পারবেনা- আপনারা কেনো মানুষ মারছেন ! কেউ বলতে পারবেনা ওরা যুদ্ধপ্রিয় জাতি ! আমি ভাবতাম, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোকে আমেরিকা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা কেনো ! এখানে আমেরিকার ড্রোন হামলা বাড়ানোর উপায় কি ! ঠিক তখনই বাংলাদেশ-ভারত সহ দক্ষিন এশিয়ায় আলকায়েদার নতুন শাখা স্থাপনের ঘোষনা দিলেন জাওয়াহিরি । এই শাখার নাম হবে 'কায়েদাত্ আল জিহাদ' । সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি এই ঘোষনা দেন । মিলেছে তো ইকুয়েশন ? আমাদের দেশী বেকুবের দল ইতোমধ্যে জিহাদী চেতনার বুদবুদে উড়াউড়ি শুরু করেছে । মসজিদে বোমা, সিনেমা হলে বোমা, বাজারে বোমা, খামারে বোমা দিয়ে উপমহাদেশের নতুন যুগ যখন শুরু হবে, মুসলিমরাই হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ, আমেরিকার ড্রোন হামলার পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড তৈরি হবে তখন । ওয়েস্টার্ন পলিটিক্স ......রিয়েলি ইনজিনিয়াস !
বিষয়: রাজনীতি
১৬০৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমেরিকাকে এনে দেয় বিশাল বিশাল ফায়দা
এরকম প্ল্যান-প্রোগ্রামতো মুসলিমদের থাকার কথা ছিলো, তা-তো নাই!
নিউজে এই সংবাদ এসেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন