আত্মহত্যা প্রসঙ্গে আমাদের অভিব্যক্তি
লিখেছেন লিখেছেন মুজতাহিদ বাপ্পী ১৭ আগস্ট, ২০১৪, ১১:০৭:৪৫ সকাল
আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই । কতো কথা যে পরে শুনতে হবে ! একজনের শিরোনাম হওয়াকে কেন্দ্র করে পুরো পরিবারটি সংকটে পড়বে । কেনো এমন হলো.........কি কারণ ছিলো.......মরতে গেলো কেনো...........মরলোনা কেনো......ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এছাড়াও একশ্রেণীর উদ্ভট ফতোয়াবাজ রয়েছে সমাজে । তারা আত্মহত্যা-কেন্দ্রিক খবর জানতে পারলেই হলো । এমনকি আত্মহত্যার গুজব হলেও রক্ষা নেই । কঠিন কঠিন ফতোয়া দিয়ে তারা ক্যালকুুলেশন শুরু করবে- নরকের কোন কক্ষে গেলো লোকটা । সম্ভবত প্রতিটি ধর্মেই এসব আজাইরা ক্যালকুলেশন করার প্রচুর লোক থাকে । অথচ সীরাত গ্রন্থ থেকে দেখা যায় আমাদের মহানবী (স) নিজেও বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন । ফেরেশতারা যদি তাঁকে রক্ষা না করতো, হয়তো মুসলিমদের ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যেতো ।
আত্মহত্যা করার আগ মুহুর্তে মানুষের মনের অনুভূতি কেমন থাকে জানা নেই আমার । তবে আত্মহত্যার পর যদি কেউ পৃথিবীতে তার সম্পর্কে কি ধরনের আলোচনা হচ্ছে সেটা জানতে পারে, নিশ্চয়ই ফিরে আসার ইচ্ছা আর হবেনা ।
বি দ্রঃ জানি অনেকেই মহানবী (স) কে টেনে আনার বিষয়ে জল ঘোলা করবেন । তাদের জন্য রেফারেন্স দেয়া হলো- নবুয়তের পর রাসূল (স) কিছুদিন বেশ মনোকষ্টে ছিলেন । তখন তিনি বেশ কয়েকবার পাহাড়ে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে আর রাহীকুল মাখতুম গ্রন্থে লেখা রয়েছে ।
Waraqa said, “This is the same Namus (i.e., Gabriel, the Angel who keeps the secrets) whom Allah had sent to Moses. I wish I were young and could live up to the time when your people would turn you out.” Allah’s Apostle asked, “Will they turn me out?” Waraqa replied in the affirmative and said: “Never did a man come with something similar to what you have brought but was treated with hostility. If I should remain alive till the day when you will be turned out then I would support you strongly.” But after a few days Waraqa died and the Divine Inspiration was also paused for a while and the Prophet (peace be upon him) became so sad as we have heard(come to know) that he intended several times to throw himself from the tops of high mountains and every time he went up the top of a mountain in order to throw himself down, Gabriel would appear before him and say, “O Muhammad! You are indeed Allah’s Apostle in truth” whereupon his heart would become quiet and he would calm down and would return home. And whenever the period of the coming of the inspiration used to become long, he would do as before, but when he used to reach the top of a mountain, Gabriel would appear before him and say to him what he had said before. (Ibn ‘Abbas said regarding the meaning of: ‘He it is that Cleaves the daybreak (from the darkness)’ (6.96) that Al-Asbah. means the light of the sun during the day and the light of the moon at night). (Sahih Bukhari, Volume 9, Book 87, hadith 111).
বিষয়: বিবিধ
১২৮৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যাপারটা কিন্তু খুবই রিমার্কেবল কারণ এটা নবীজীর জীবন মরণে সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল ।
নবীজী যেখানে অসুস্থ হয়েছিলেন সে সময় নিয়ে সূরা আছে , আছে উনাকে যখন যাদু টোনা করা হয়েছিল সেটা নিয়েও । তাহলে নবীজী যদি আত্মহত্যা করতে চাইতেন সেটা নিয়েও সূরা না হোক কয়েকটা আয়াত তো থাকার কথা ।
বা হাদিসেও আসবে না
মূসা (আঃ) নবুওত প্রাপ্ত্য হবার আগে এক জনকে ঘুষি মেরে মেরেই ফেলেছিলেন সে ঘটনা এসেছে , আইয়ুব (আঃ) সম্পর্কে এসেছিল যে শয়তান তাকে কষ্ট দিয়েছিল , এসেছে ইউনুস (আঃ)কে লটারীর করে যে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল , আরও এসেছে ইউসুফ (আঃ)কে যে কূপের ফেলে দিয়েছিল তার ভাইয়েরা এবং তাকে যে জুলেখা ফুসলিয়ে ছিল তাও । সবার আগে এসেছে শয়তান কর্তৃক হযরত আদম (আঃ) এর প্রতারিত হয়ে আল্লাহর নিষেধ করা নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়াকে ঘিরে যে ঘটনা এবং এর ফলে যে তাদেরকে স্বর্গ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল দুনিয়াতে - তাও ।
এত বড় একটা ঘটনা শিউর না হয়ে বলা উচিত না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন