আসলে এরা ব্লগার নয়, ব্লগারের ছদ্মবেশ পরা ক্ষমতাসীন মহাজোটের ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী

লিখেছেন লিখেছেন মুজতাহিদ বাপ্পী ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:২৯:৩১ রাত

পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে খাওয়া জীবনে অনেক দেখেছি । কিন্তু "ব্লগার" পরিচয়ে যে কারো জীবন এতো রোমাঞ্চকর এবং সফল হতে পারে তা আমার কল্পনাতেও ছিলো না । গত কয়েকদিনে দেশের সবচেয়ে বেশী নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, গার্ড অব অনার, সোর্ড অব সুপারষ্টার যারা ভোগ করেছে তাদের পরিচয় লিখতে কোন ডক্টরেট ডিগ্রী নেই, ব্যারিষ্টারি সার্টিফিকেট নেই, এমনকি যে মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে রঙ্গমঞ্চ বানিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থেযাগে পিকনিক করে যাচ্ছেন সে সার্টিফিকেট কয়জনের আছে তাও স্পষ্ট নয় ।

গতকাল জামায়াত ও শিবিরকে রুখে দেয়া এবং রোববারের হরতাল প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেছেন এই মহাপ্রতাপশালী ‘ব্লগার’রা। রাজধানীর রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে তারা এই অঙ্গীকার করেন। গণজাগরণ মঞ্চের নামে শাহবাগের বাইরে এটি তাদের প্রথম সমাবেশ।সমাবেশে জাতীয় পতাকা ধরে হাত তুলে জামায়াত ও শিবিরকে রুখে না দেয়া না পর্যন্ত ঘরে না ফেরার শপথ পাঠ করানো হয়। বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া সমাবেশে শপথ পাঠ করানো হয় বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে। শপথ পাঠ করান আয়োজকদের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি গত ১৮ দিনে প্রায় বিশ বারের মতো শপথ পাঠ করিয়েছেন মনে হয় । তবে বরাবরই তার পাশে ছাত্রলীগের সভাপতি অথবা সম্পাদককে বেশ শক্তিমত্তার সাথে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে ।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পর সরকার সমর্থক ও বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। যারা শহীদ মিনার ভেঙেছে, জাতীয় পতাকা ছিড়েছে তাদেরকে আপনারা প্রতিহত করেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এসএম শুভ বলেন, জামায়াত শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা গণজাগরণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের হেফাজত করার জন্য হেফাজতে ইসলামের নামে তারা মাঠে নেমেছে।

আজ মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে কুৎসা। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বলা হচ্ছে রাজাকার। পিয়াস করীম এবং আসিফ নজরুলদের চামড়া তুলে নিচ্ছেন এই ব্লগার নেতৃবৃন্দ । বাপ্পাদিত্যের মতো বিকৃত ও বিকারগ্রস্ত মানসিকতাসম্পন্ন খুনী যে নাকি বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী নামক মহাজোট ছায়ার সভাপতি আজ শাহবাগে ব্লগার সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে । তারপরও সংবাদ মাধ্যম তাদেরকে ব্লগার পরিচয়ে তুলে আনছে কারণ ছাত্রলীগ পরিচয় মানুষ চিনে ফেলতো সহজেই । এমনকি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনতা যেভাবে ধোলাই দিয়েছিলো তাও ঘটতে পারতো ওদের কপালে । অতএব আসুন আমরা সাধারণ ব্লগাররা জনগণের কাছে প্রকৃত সত্য তুলে ধরি । নয়তো সাধারণ জনগন আমাদেরকেও ভুল বুঝে নাস্তিক মুরতাদ ভাবতে শুরু করবে ।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File