প্রসঙ্গঃসংখ্যা লঘু
লিখেছেন লিখেছেন রিফায়েত বিন কবির ০৪ মার্চ, ২০১৩, ১১:৩৫:৩৬ রাত
যখন সংখ্যাগুরু আওয়ামীলীগ সমর্থক (মুসলিম ) ,সংখ্যালঘু (হিন্দু )বিএনপি বা অন্যান্য সমর্থকদের জান মালের উপর আঘাত হানেন তখন সেটি রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবেই পরিগনিত হয় কিন্তু যখন কোন সংখ্যালঘু আওয়ামী সমর্থক ,সংখ্যাগুরু বিএনপি কিংবা জামায়াত সমর্থক দ্বারা জান মালের উপর আঘাত পান সেটি কেন রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত না হয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হবে তা আমার বোধ গম্য নয় ।
এখন সংখ্যা লঘুদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এভাবে আর কত কাল ক্ষমতার জন্য কিন্তু ইস্যু চাপা দেয়ার জন্য বলির পাঠা হবেন । তাদেরকে রাজনৈতিক ভাবেই এর সমাধান করতে হবে । যে দলকেই তারা ভোট দেন না কেন একটি বিশেষ দলের ভোট ব্যাংক হিসেবে তাদের গায়ে যে তকমা লেগেছে তার থেকেও বের হয়ে আসতে হবে ।
প্রয়োজনে তারা সংসদে তাদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে পুরো দেশকে তাদের জন্য আলাদা ৩০ টি সংসদীয় আসন ঘোষনা করে ( জনসংখ্যার ১০% হিসেবে ) আলাদা নির্বাচনের দাবি জানাতে পারেন ।সেই সাথে মন্ত্রী সভায় নূন্যতম ১০% প্রতিনিধি নিশ্চিত করার দাবি জানাতে পারেন । এর ফলে তাদের দাবী দাওয়া পূরণেও কারো কাছে আর তাদের ধরণা দিতে হবে না ।
এটি নতুন কোন আইডিয়া নয় । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটি প্রচলিত আছে যেমন লেবানন । একসময় ভারত ভাগের আগে সংখ্যা লঘু মুসলমানদেরও এ দাবি ছিল । কিন্তু কংগ্রেস ও কতিপয় মুসলমান নেতা তা না মানায় দ্বি জাতিতত্ত্ব নামে অদ্ভুত এক তত্ত্বের ভিত্তিতে রক্তক্ষয়ী পথ পাড়ি দিয়ে ভারত ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি দেশের জম্ম হয় । কিন্তু এটি যে কোন সমাধান ছিল না তার প্রমান পরে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের উদ্ভব । আর আজকের পরিস্থিতি ।
সময় বদলেছে । বেড়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও । তাই সমস্যা সমাধানে বাস্তবতা মাথায় রেখে আজ আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে । এটি আমার একান্তই নিজের অভিমত,এর সাথে কেউ দ্বিমত পোষন করতেই পারেন । তবে সমস্যাটিকে রাজনৈতিক ভাবে না ভেবে সামাজিক সমস্যা হিসেবে ভাবলে আমার ধারণা এর কোন সুরাহা হবে না ।
(যদিও আমাদের সংবিধান অনূযায়ী কোন সম্প্রদায় কে সংখ্যা লঘু বলার কোন সুযোগ নেই । তারপর ও আমি সংখ্যালঘু শব্দটি ব্যবহার করলাম )
বিষয়: রাজনীতি
১৩২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন