My two penny on পাক-ভারত!!!
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৮:৩১:১১ রাত
(নেট থেকে পাড়ার দোকান সবখানে এখন পাক-ভারত নিয়ে আলোচনা। আমিও তার সুযোগ টা একটু নিলাম!)
ভারতিয় নিয়ন্ত্রনে থাকা কাশ্মির এর উরিতে ভারতিয় সেনাবাহিনির ঘাঁটিতে হামলার পর এখন পাক-ভারত উত্তেজনা খুব্ হাই ডিগ্রিতে! এই হামলার জবাব দিতে গতকাল ভারতিয় বাহিনি দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তান এর অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে। ভারতিয় মিডিয়া এই হামলা কে ”সার্জিক্যাল ষ্ট্রাইক“ বলে প্রচার করছে। ভারতিয় দৈনিক আনন্দবাজার এর এহ নাম নিয়ে বিশ্লেষন পরে যা মনে হলে সাধারন ভাবে রেইড বলে পরিচিত সামরিক হামলার পদ্ধতিকে নতুন নাম দিয়ে মিডিয়ায় প্রচারনা করা হচ্ছে। গেরিলা যুদ্ধে যেটাকে বলা হয় “হিট এন্ড রান”। ভারতিয় মিডিয়ার মতে এ্ হামলা একশ পার্সেন্ট সফল। যদিও পাকিস্তান ১৪ জন ভারতিয় নিহত হওয়ার এবং একজন গ্রেফতার হওয়ার দাবি করেছে। নিহত দের কথা স্বিকার না করলেও গ্রেফতার এর কথা স্বিকার করেছে ভারত। পাকিস্তান যদি পাল্টা কোন হামলা চালায় সে আশংকায় ভারতিয় সীমান্ত যুরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বাংকার খনন সহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই পর্যন্ত ঠিক আছে। তবে আমার মনে হয় যারা এই নিয়ে একটা পারমানবিক যুদ্ধ দেখার আশা করছেন তাদের সে আশা এবার অপূর্ণই থেকে যাবে! ভারতিয় হামলা যতটা না যুদ্ধের ময়দানে তার চেয়ে বেশি মিডিয়া তে। কারন উরি তে নিহত ১৭ জন সেনার বিপরীতে প্রতিশোধ নেয়া না হলে সেটা ভারতিয় জনগন কে মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করত। এর আরেকটা কারন ও আছে। সেটা হল সাম্প্রতিক ভারতে কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে বিজেপির ব্যর্থতা! মনমোহন সরকার এর দুর্নীতি কে কেন্দ্র করে মোদি “আচ্ছে দিন” এর যে প্রচারনা চালিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন গত দুই বছর এ তার বিশেষ কিছুই করতে পারেন নাই তিনি। বরং ভারতে অর্থনৈতিক সমস্যা আরো বেড়েছে। সামনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাজ্য উত্তর প্রদেশ আর পাঞ্জাব এ নির্বাচন। আর বেশ কিছু বিল ঝুলে আছে ভারতিয় পারলামেন্ট এ। এই উত্তেজনার সুযোগে “মেরা ভারত মহান হ্যয়!” দিয়ে এই সমস্যা গুলি পার হওয়াই মোদির লক্ষ্য বলে আমার মনে হচ্ছে।
বিপরীত দিকে পাকিস্তান এ তার ইতিহাসে যে কোন সময়ের চেয়ে রাজনিতি ও দেশ পরিচালনায় সেনা বাহিনির প্রভাব এখন সবচেয়ে কম। এই ডামাডোল এর সুযোগে পাকিস্তান সেনাবাহিনি তার কিছুটা উদ্ধার করতে পারে।
সব মিলিয়ে এই যুদ্ধ সম্ভবত দুই চারটা লাশ আর মিডিয়াতে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে হয়। তবে এইএই ঘটনা নিয়ে ভারতিয় মিডিয়া পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে যে দাবি জানাচ্ছে এবং বাংলাদেশের মিডিয়া তাতে যে ঢোল পিটাচ্ছে(!) দু টাই মিথ্যা। বরং মনে হচ্ছে ডিপ্লমেটিক্যালি পাকিস্তান অনেক এগিয়ে গেছে। ভারত যদি ডিপ্লমেটিক সুবিধা পেতই তবে তার এত হামলা বা ঢোল পেটানর দরকার পড়ত না!
৯৯% নিশ্চিত থাকেন উপমহাদেশ এ আপাতত কোন পারমাণবিক যুদ্ধ বাধছে না। (তবে ওই বাকি ১% টাও মনে রাখবেন। তার জন্য ১০০% ফেইল হতে পারে)।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন